
অফিসের গেটে হাতাহাতি হৈচৈ দেখে পুলিশ অফিসার এগিয়ে এলেন। কিন্তু দারোয়ান কাউকে ঢুকতে দিতে নারাজ। লতিফ সাহেব বললেন দেখুন তো পুলিশ অফিসার, আমারই অফিস, অথচ দারোয়ান ঢুকতে দিচ্ছেনা ! রাশেদ সাহেব বললেন, আপনিও তো আমাকে ঢুকতে দিচ্ছেন না! পাশে দাঁড়িয়ে হো হো করে কেঁদে যাচ্ছে কমলা বেগম। দশ বছর ধরে এই অফিসের এমএলএসএস। অথচ আজ তারই প্রবেশাধিকার নেই! অফিসার সব শুনে বুঝতে পেরে দাঁত কেলিয়ে বললেন, দিস ইজ করোনা ইফেক্ট। সবাই ভিতরে চলুন, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিলেই বুঝে নেব সমস্যাটা কি।স্বাক্ষর দেখে সবার চোখ চড়কগাছ!
নাস্তিক টাইপের লিকলিকে চেহারার লতিফ সাহেব করোনার ভয়ে খুবই পরহেজগার হয়ে গেছেন। বিশাল দাড়ি, টুপি, তসবি, পাজামা, পাঞ্জাবিতে একেবারে অচেনা। ঝাঁকড়া চুলের হালকা পাতলা রাশেদ সাহেব করোনার সময়গুলোতে শুধু খেয়ে আর ঘুমিয়ে ঢোল হয়েছে। মাথার চুল কামিয়ে টাক্কু হওয়ায় চেনারও কোন উপায় নেই। আর লম্বা গোফওয়ালা ইয়া মোটা শরীরের দারোয়ান অভাবের তাড়নায় না খেয়ে শুকিয়ে দড়ি হয়ে গেছে। গোফের বদলে গজিয়েছে লম্বা দাড়ি। আর সুন্দরী গোছের কমলা বেগমও শুকিয়ে কাঠি হয়ে গেছে। ঘরে যা মেকাপ ছিল তাও অনেক আগেই শেষ। ফলে যে ভূতকালো শরীরটাকে মেকাপে ঢেকে নায়িকা সাজিয়ে আসতো, সেটা আজ সত্যিকারের ভূত ভূতই লাগছে।
করোনার দীর্ঘ বিরতির পর অফিসে এসে তাই কেউ কাউকে চিনতে পারছে না। স্বাক্ষরশেষে পুলিশ অফিসার আবারও দাঁত কেলিয়ে হেসে উঠে বললেন, দিস ইস নাথিং বাট করোনা ইফেক্ট হো হো হো……….।
১৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣। অনেক খানি হেসে নিলাম। দিস ইজ রিয়েলি ইফ্যাক্ট ফর করোনা, নাথিং এলস। অসাধারণ লিখেছেন করোনা পরবর্তী ঘটনা নিয়ে। এমনটাই হতে চলেছে । জানিনা এই ইফ্যাক্ট এ কত জনের চাকরি থাকে! ধন্যবাদ এতো মজা দেবার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
হালিম নজরুল
করোনার পর সোনেলার সবাই সবাইকে চিনলেই হয়। হা হা হা
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা!
আহা!করোনা তোমার করুণায় সবাই বদলে গেলো। এবার তো তুমি যাও।
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া।
হালিম নজরুল
হা হা হা শুভকামনা
সুপায়ন বড়ুয়া
সত্যিই করোনা মানুষের জীবন যাত্রা উলোট
পালট করে দিছে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
শুভকামনা দাদা
ফয়জুল মহী
ভালো লাগলো। আল্লাহ আমাদের সুস্থ রাখো।
হালিম নজরুল
আপনার সুস্থতা কামনা করি ভাই।
ইঞ্জা
হো হো হো হি হি হি হা হা হা হা 🤣🤣🤣🤣🤣🤣😃
হালিম নজরুল
হা হা হা
ধন্যবাদ ভাই
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা জানবেন।
ছাইরাছ হেলাল
কপালে কী আছে জানি না,
তবে মৌসুমি ধার্মিক অনেক দেখলাম।
হালিম নজরুল
এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো
জিসান শা ইকরাম
একটা সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ এর আভাস যেন দেখতে পেলাম আপনার গল্পে,
এমন হবার সম্ভাবনা আছে অনেকটাই।
কবে করোনার পরে অফিস খুলবে? ততদিনে অনেকের চেহারা, বেশ ভুষা পালটে যাবেই।
গল্পে মজা পেলাম খুব।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ভাই।
কামাল উদ্দিন
বিষয়টা হয়তো হাস্য রসাত্মক ভাবে বলেছেন, কিন্তু বাস্তবতা যেন সেদিকেই এগোচ্ছে।
হালিম নজরুল
এমন সম্ভাবনা দুই একটা হতেই পারে। তাই ভেবেই লিখেছি ভাই। ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
শুভ কামনা সব সময়।
তৌহিদ
করোনার ভয়ে নয়, মরার ভয়ে এখন অনেকেই লাইনে হাটছেন। মন্দ কি!! হাটুক সবাই। তবু করোনা ভালো কিছুতো দিয়ে গেলো এটাই সান্ত্বনা।