
দুঃখজনক ভাবেই সত্য হলো আমার লেখা “কোভিড-১৯ করোনা আসছে” লেখাটি, এরপরে প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশটিতেও একি কথা বলে গেছি, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা বিষয়ক কিছুই লিখবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এর কারণে আছে আমার হতাশা, দুঃখ ইত্যাদি যা করোনা সংক্রান্তই।
সত্যি আমরা হতবাক হয়ে দেখলাম সরকারের একের পর এক অবিবেচক সিদ্ধান্ত কিভাবে দেশকে মহামারী রোগের হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমেই দেখলাম ইটালি থেকে ঢলের মতো আশা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জামাই আদরে বাড়ি ফিরে যেতে দেওয়া যা খুবই অনুচিত সিদ্ধান্ত ছিলো তা নিশ্চয় সরকার অস্বীকার করতে পারবেনা।
এরপর একের পর এক করোনা আক্রান্ত দেশ তথা সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ঢলের মতো এই দেশে চলে এলো, কিন্তু সরকার তাদের বাঁধা দেওয়া তো দূরের কথা, তাদেরকেও জামাই আদরে বাড়ি ফিরে যেতে দেয়।
এখন লও ঠ্যালা সামলাও অবস্থা, দেশে ধীরে ধীরে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যেতে লাগলো, এতেও মনে হচ্ছেনা সরকার ভয় ভীত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঢিলেঢালা করোনা রুগী খুঁজে বেড়ানো উনাদের ভীতি না জাগালেও, জনগণ সত্যিই আতংকিত হয়ে দেখছিলো।
এরপর সরকার দিলো ঢিলেঢালা ধরণের স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ছুটি, এতেই আমাদের আবাল জনতা খুশির ঠ্যালায়, ঘো্রতে বেরিয়ে পড়লো দিগ্বিদিক, দেশের পর্যটন এলাকাতে লোকে লোকারন্য হয়ে গেলো, চারিদিকে হৈচৈ পড়ে গেলো হায় হায় রবে।
সরকার বেগতিক দেখে সবাইকে ঘরে ফিরার তাগাদা দিলো, নিষিদ্ধ করা হলো বেড়ানো।
এর কিছুদিন পর সরকার ঘোষণা দিলো সাধারণ ছুটির, এতেই করোনার পায়া ভারী হলো।
লোকজন ছুটি পেয়েই ছুটলো বাড়ি ঘরে ঈদের খুশি নিয়ে, এতে করোনা ব্যাটার সুবিধা হলো ভীষণ ভাবে, সেও ছড়িয়ে পড়তে লাগলো দেশের বিভিন্ন জেলায়, কোণায় কোণায়।
আমি ভাবি, আমাদের মতো আহাম্মক আর কোন দেশে আছে?
মনে হয়না আছে বলে, আছে কি?
শুরু হলো করোনার ভয়ংকর নৃত্য, এদিকে মরে, ওদিক মরে, কিন্তু কেউ স্বীকার করেনা যে যারা মরেছে তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাচে থা ধিনধিন, বলে করোনায় আক্রান্তের হার কম, আহা বেশ বেশ বেশ।
আত্মতুষ্টির ঢেকুর তোলা শুরু হলো উনাদের, এরমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আদেশ দিলেন যেন প্রতিটি জেলা থেকে টেস্ট করা শুরু করার জন্য, এদিকে পিপিই সংকটে ডাক্তারগণ সাধারণ রোগীও দেখতে নারাজ, শুরু হলো খোঁজ খোঁজ।
ভাগ্য ভালো কিছু নবীন বুয়েটিয়ানের উদ্যোগে তাও পাওয়া হলো, ইতিমধ্যে সরকার দ্বিতীয় দফা ছুটি বাড়ালো।
এরপর হলো বিজিএমইএর কর্ণধারদের হঠকারি সিদ্ধান্ত, গার্মেন্টস গুলো দিলো খুলে, এ শুধু হঠকারিতা নয়, এ ছিলো জাস্ট কুচক্র, সরকারের থেকে ফায়দা নেওয়ার তালে এই সিদ্ধান্ত ছিলো নিশ্চয়, তারা তাদের লোক দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গার্মেন্টস কর্মীদের ফিরিয়ে আনা শুরু করলো, মানুষ যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে দুই তিনশো কিলোমিটার হেঁটে পাড়ি জমানো শুরু করলো।
এরপর জনগণের ছিঃ ছিঃ রবে বেতাল হয়ে রাতে তারা সিদ্ধান্ত দিলো গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে আগামী এগারোই এপ্রিল পর্যন্ত।
এতে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়েই গেছে, আরেকদফা করোনা ব্যাটা লাফাতে লাফাতে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় এসে আরও আক্রান্ত করে আবার লাফাতে লাফাতে বিভিন্ন জেলায় রোগ ছড়াতে ছড়াতে গেলো।
এখন আজ দেখুন এক লাফে করোনা আক্রান্ত ১৮ জন হয়ে গেলো, আহা কি মজা আকাশে বাতাসে।
এদিকে সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগ লক্ষণীয়, যেমন ত্রাণ তৎপরতা।
সরকার বিভিন্ন জায়গাতে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলো, গরীব দুঃখি ত্রাণ পাবে, খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকবে।
এতেও বাদ সাধলো এলাকার হর্তাকর্তারা, সরকার তাদের দিলো ত্রাণ দেওয়ার জন্য, কিন্তু তারা ত্রাণ দিলো কম, হজম করা শুরু করলো বেশি বেশি।
প্রধানমন্ত্রী এইসব দেখে নিরাশ হয়ে এখন নির্দেশ দিলেন, এখন থেকে ত্রাণ দেবে আর্মিরা, মনু বুঝছো, এখন নাই ঝারি ঝুরি, এই জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের মাধ্যমেই নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের ত্রাণ পোঁছানোর ব্যবস্থা করলেন।
স্যালুট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
আমার কিছু কথা আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অনুরোধ করছি, প্লিজ ফর গড সেইক আপনি এমন ঢিলেঢালা বন্ধ না দিয়ে কারফিউ জারি করুণ।
সাথে সাথে করোনা আক্রান্তের টেস্ট যেন আরও বৃহত্ পরিসরে করা হয় তার ব্যবস্থা করুণ।
সাথে সাথে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করুণ, যথাসাধ্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করুণ, যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকার, তাদেরকে যথাযথ ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুণ।
আপনি যেখানে সাহস দেখিয়ে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, আন্ডারগ্রাউন্ড রেল, হাইস্পিড ট্রেন, ফোর লেইন, সিক্স লেইন, ফ্লাইওভার, স্কেলেটর, এলিভেটর লাগানো ফুটওভার ব্রিজ, কর্ণফুলী টানেল সহ বিভিন্ন কাজ করতে পারেন, তাহলে নিশ্চয় এই করোনা যুদ্ধেও জয়ী হতে পারবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি চাইলেই চায়নার ডাক্তার, নার্সরা এসে আপনার সকল চিকিৎসকদের ট্রেনিং দিতে পারে এই যুদ্ধে জয়ী হতে।
সাথে সাথে বেক্সিমকো, ইউনাইটেড, স্কয়ার, এপোলো, বসুন্ধরা, প্রাণ গ্রুপ সবার থেকে সহযোগিতা নিন, এই দুঃসময়ে তারা না লাগলে আর কে লাগবে বলুন?
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এখন সবার জন্য বলছিঃ
প্লিজ বাড়ি ঘরে থাকুন, সবসময় পরিষ্কার থাকুন, হাত ধুয়ে নেবেন যথার্থ ভাবে, জানেন তো বেঁচে থাকাটাই এখন অনেক কঠিন।
ভালো থাকবেন সবাই।
STAY CALM, STAY HOME, BE SAFE.
ছবিঃ গুগল।
৩৭টি মন্তব্য
নীরা সাদীয়া
সবইতো বুঝলাম। কিন্তু এই যে এত এত অণুদান, ত্রান তার সবই কেন নিম্নবিত্তের জন্য? মধ্যবিত্তরের জন্য নয় কেন? দেশের সবাইতো সরকারি চাকরি করে না যে মাস গেলেই বেতন পাবে। বেসরকারি শিক্ষকদের কি হবে? কিভাবে তারা চলবে এই লকডাউনের দিনগুলোতে? যারা তা ধৈ ধৈ করতে করতে শহরে গেছে, তারা গেছে পেটের দায়ে। সরকার কি পেরেছে প্রতিটি ঘরে ঘরে অন্ন পৌঁছে দিতে?
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ভালো বলেছেন আপু।
ইঞ্জা
হাঁ আপু, কথা গুলো ঠিকই বলেছেন, এই জন্যই মধ্যবিত্তদের এক কলেই পুলিশ বাসায় ত্রাণ পোঁছে দিচ্ছে, আমি তার কিছু কিছু প্রমাণও দেখেছি।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু, খুব ভালো মন্তব্য দিলেন।
সঞ্জয় মালাকার
দিদি একই প্রশ্ন আমারও, কেনো মধ্যবিত্তদের জন্য নয়।
ইঞ্জা
দাদা মধ্যবিত্তদের জন্য পুলিশের ৩৩৩ নম্বর দেওয়া হয়েছে, অনেকেই সিক্রেট ভাবেই বাজার পাচ্ছেন পুলিশের মাধ্যমে।
সঞ্জয় মালাকার
কিন্তু আমাদের ওখানে তো পাওয়া যাচ্ছে না দাদা, পুলিশ উল্টো পিটাচ্ছে । ধন্যবাদ দাদা শুভ রাত্রী। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা, ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন নিরাপদ থাকুন সবসময় ।।
ইঞ্জা
দাদা আপনার নিজের বা অন্য কারো বাজার সদাই লাগলে ৩৩৩ নম্বরে কল করলেই পেয়ে যাবেন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ভালো লিখেছেন ভাইয়া। খুবই সময়োপযোগী লেখা। সরকারের বিবেচনা বোধ জাগ্রত হউক, এবং একই সাথে সরকারের ভালো উদ্যোগগুলোর জন্য সাধুবাদ।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত আপু।
ধন্যবাদ ভালো মন্তব্যের জন্য।
সুরাইয়া পারভীন
সময়োপযোগী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। সবার আগে যদি বিমান চলাচল বন্ধ করতেন তবে এমন হতো না। যারা চিৎকার চেঁচামেচি করে বলছিলেন আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা তেনারা যদি একটু সদয় হতেন তবে এটা এতো ধেয়ে আসতো না।
চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া।
ইঞ্জা
আপু সব কিছু তো খুলে বলতে পারিনা, তাই একটু টেকনিক্যাল ভাবে বললাম, একদম ঠিকই বলেছেন আপু।
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার লেখার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ, সরকারের মানবিকতা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কথা সবই পেলাম। বাঙালি যে হুজুগে তা এমনি এমনি বলা হয় না। পেটে ক্ষুধা নিয়ে যুদ্ধ করা যায় না। সরকার যদি অন্যান্য দেশের মতো ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতো তাহলে সবাই নিয়ম মানতে বাধ্য থাকতো। জানিনা কি হচ্ছে! তবে এটুকু বলতে পারি সামনে খুব খারাপ সময় আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো কে সহায়তা না দিলে লাখ লাখ কর্মজীবী দের পরিবার কিভাবে চলবে? ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন
ইঞ্জা
আপু আমি আপনার প্রতিটি কথার সাথে একমত, কিন্তু আমি খোলাসা করে বললে সমস্যা, বুঝেছেন নিশ্চয়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু।
জিসান শা ইকরাম
সব কিছুর মধ্যে একটা সমম্বয় হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে,
যে যার মত বলে যাচ্ছে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
করোনা সনাক্ত করার জন্য টেস্টের পরিসর অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। অত্যন্ত জরুরী ভাবে প্রতি জেলা হাসপাতালে এই টেস্টের ব্যবস্থা না করলে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে।
অত্যন্ত ভালো লিখেছেন ভাই।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইজান, আম চাই সমাজের প্রতিটি স্থর বুঝুক, জানুক, শিখুক, তাদের ভুল গুলো শুধরিয়ে নিক, তাহলেই আমরা ফলাফল হাতে নাতেই পাবো।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঘরমুখী মানুষের ঢল থামাবেন কেমনে ?
এই যে আমেরিকা ও জাপানের মানুষ গুলো সমস্থ কিছু বন্ধ হওয়ার পরও চাটার্ড বিমানে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ থেকে তাদের অবস্থা জেনেও।
ভারতের লক ডাউনে মানুষ বাড়ি ফিড়ছে পায়ে হেটে
১৮০ কিলো থেকে ৮০০ কিলো।
আর ভারতের চিখিৎসা করতে গিয়ে আটকা পড়া লোকগুলো দেশে আসছে।
আর আমাদের পোশাক কর্মীরা ছুটিতে বাসায় ঢল নেমেছে
আসার সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদেক চোখে পড়ছে।
এই হচ্ছে বাস্তবতা।
ইঞ্জা
দাদা, এই জন্যই বলছি কারফিউ দিতে, তাহলেই নাচেই ঢল থামানো যাবে।
যদিও বা বাস্তবতা হলো সরকার খুব ঢিলে ভাবে নিচ্ছে সব।
ধন্যবাদ দাদা।
এস.জেড বাবু
সত্যি আমরা হতবাক হয়ে দেখলাম সরকারের একের পর এক অবিবেচক সিদ্ধান্ত কিভাবে দেশকে মহামারী রোগের হাতে সপে দেওয়া হয়েছে।
কি বলবো !
কার কাছে বলবো !
কন্ঠ থেকেও বোবা আজকাল-
ইঞ্জা
সত্যি তাই, আমরা চেয়েভদেখা ছাড়া যেন কিছুই করার নেই, শুধু মাত্র সিদ্ধানহীনতার কারণেই আমরা সবাই মৃত্যুর মুখোমুখি, কি বলবো, কাকে বলবো?
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এস.জেড বাবু
কাউকে কিছুই বলার নেই।
শুধু নিজেরাই সাবধান থাকি, যতটা সম্ভব জ্ঞানে গুণে।
আর বিধাতার কৃপা ছাড়া কোন গতি নাই তা বুঝতে পারছি।
গতকাল রেকর্ড সংখ্যক করোনা রুগী সনাক্ত হয়েছে।
কেঁপে উঠে অন্তরআত্মা।
আল্লাহ
তুমিই রক্ষা করো।
ইঞ্জা
গতকাল বলছেন, আজ ৩৫ জন্য আক্রান্ত হয়েছে, গতদিনের দ্বিগুণ, আগামীদিন আরও বাড়বে, দেখবেন মাস শেষে সারা পৃথীবিকে ছাড়িয়ে যাবে।
আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।
তৌহিদ
দাদা এসব দেখে মনে হচ্ছে দেশ আসলে চালাচ্ছে কারা? যাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করবেন তারাইতো এমনসব কান্ড করছে যে সমন্বয়হীনতা চারিদিকে বিদ্যমান। যার ফলাফল আপনার লেখাতেই উঠে এসেছে।
সবাই সতর্ক থাকুন। সমসাময়িক সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
দুঃখ তো এখানেই, আমলারা সমস্যা গুলো প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত যেতে দিচ্ছে না, যাও শুনছেন তার ততখনাৎ সিদ্ধান্ত আসছে, তাও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত, বুঝেন অবস্থা।
আমার কথা হলো প্রধানমন্ত্রী না বললে কি আপনারা কাজ করবেন না?
এই দুঃখ কাকে বুখাবো বলুন?
ধন্যবাদ নিরন্তর ভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
#Suicidal_dicision
গনপরিবহন বন্ধ রেখে গার্মেন্টস খুলে দেওয়া
এ যেন প্যান্ট পরে চেইন খোলা রাখার আদেশ….!
.
ভয়ানক আতঙ্কে আছি দাদা।
সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুক।
সময়োপযোগী লেখা।
ইঞ্জা
দারুণ বললেন দাদা, এমনই অবস্থা।
আতংক স্বাভাবিক এখন, ওরা যেনে শুনে আমাদেরকে জমের দুয়ারে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলো। 😢
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
এক কথায় বলি, জাতি হিসাবে আমরা খুব-ই কিউট তা আবার ও প্রমানিত।
হায়রে সর্দি-জ্বর!!
ইঞ্জা
সত্যি কিউট এবং গাধা জাতি আমরা ভাইজান, এই দুঃখ কই রাখি?
ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
দোয়া রাখবেন ভাইজান
হালিম নজরুল
সম্ভবত একটি দুঃস্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে যাচ্ছি
ইঞ্জা
আল্লাহ আমাদের মাফ করুন, আজকের এই সিচুয়েশনের জন্য সরকারের সম্বনয় হীনতায় দায়ী।
সুরাইয়া নার্গিস
সময় উপযোগী পোষ্ট দাদা।
আল্লাহ্ রক্ষা করুন।
ইঞ্জা
আমীন।
ধন্যবাদ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঘরে ফেরা মানুষদের ঠেকানো কঠিন। তারচেয়ে বেশি কষ্টকর ব্যাপার হলো মানুষদের ঘর বন্দী রাখা। সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্যে সরকার ও প্রশাসন যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছে। এর ফলাফল ভালোর চাইতে উল্টো হয়েছে। সরকারের আন্তরিকতাকে কিছু মূর্খ বাঙালি দূর্বলতা ভেবে নিজের সহ সারা দেশের মানুষের বিপদের কারণ বানিয়ে নিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের কঠোর হওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ রাখা হয়নি। শুরু হয়েছে একেকটা জেলায় লকডাউনের মতো পরিস্থিতি। অথচ শুরু থেকেই যদি মানুষগুলো নিজের দমিত রাখতো তাহলে এইদিন দেখতে হতো না।
করোনা নিয়ে নিয়মিত ধারাবাহিক লেখা গুলোর জন্যে ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য ভাইজান। রাগ বা দুঃখ মনের মধ্যে যেটাই আসুক, পাত্তা না দিয়ে লেখা চালিয়ে যান। আপনার চেষ্টার ফলে যদি একজন মানুষও সচেতন হয় এটাই আপনার বড় পাওয়া।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনার অনুপ্রেরণার জন্য, সত্যিকার অর্থে সরকার এবং জনগণের অবস্থা দেখে সত্যি হতাশ হয়ে আছি বলেই এ বিষয়ে লিখতে চাইনি, কিন্তু আপনার অনুরোধের কাছে আমার হতাশা হেরে গেলো,
সরকারের এখনো অনেক সম্বনয় হীনতা আছে তা আমি এখনো বলছি, সাথে জনগণের অবস্থা দেখে সত্যি আতংকিত, বিজিএমইএর কর্মকান্ড নির্বুদ্ধিতার চেয়ে চক্রান্তই বলে মনে হচ্ছে আমার।
জানিনা এ বিপদ থেকে কবে রক্ষা পাবো তা আল্লাহই জানেন।
অপরিসীম ধন্যবাদ আপু।