বাবা ডাক শুনতেই পিছনের খুঁটোয় মাথায় ধাক্কা লাগে শামসুর। ততক্ষণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে শামসু। ধাক্কার শব্দ দ্রুতই মজনু মিয়ার কানে গিয়ে পৌছায়। মজনু আর লাল্টু ভেবেছিলো…।
না। আর কোন শব্দ শোনা যাচ্ছে না। শুধু ডুকরে ডুকরে কান্নার শব্দ ভেসে আসতে ছিলো। মেয়েটা কিছু একটা বলে বলে কাঁদছে। কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সন্দেহ গয় মজনু মিয়ায়। কারণ, ততক্ষণে আধাঘন্টা সময় পেড়িয়ে গেছে।
লাল্টু বলছে, ‘ওস্তাদ, ভিতরে ঢুকবেন নাহি। অনেক্ক্ষণ তো অইলো। ভিতরে থেইক্কা কোন…।’
মজনু মিয়া বলল, ‘হ রে লাল্টু! তুই ঠিকই কইছোস। একবার ডাক দিয়া দ্যাখ।’
লাল্টু বলল, ‘ওস্তাদ, আর কিছুক্ষণ দেহি। ভিতরে থেইক্কা আইয়ে নাহি।’
মজনু মিয়া বলল, ‘তাইলে বইয়া থাক। তারপর না অয় দেখমুনি।’
সত্যিই তো। ভিতর থেকে কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না। শামসুও বের হচ্ছে না। রাগের ছিটেফোঁটা লাল্টু আর মজনু মিয়া চোখেমুখে। অপেক্ষার আগুনে জ্বলছে আর পুড়ছে।
এই লাল্টু। ভিতরে গিয়ে দ্যাখনা। কি অইলো? তর যে সইছে নাহ। মশাইতো রক্ত খাইয়ে দাইয়ে সাবাড় করে ফেললো।
ওস্তাদ! আপনে একটা বিড়ি লাগান। আমি গিয়া দেইখা আহি।
দরজা খোলার শব্দে মেয়েটি আবারও গুটিসুটি হয়ে বসে রইলো। ভয়ে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে টিনের কাছাকাছি লেপ্টে বসে রইলো। লাল্টু ডাকছে – ওস্তাদ, ও ওস্তাদ। কই গেলেন আপনে? আপনের মিটছে নাহি। আমাদেরও একটু…।
না। তখনো কোন সাড়াশব্দ পাওয়া গেলো না। লাল্টু আবার ডাকলো। এবারও কোন আওয়াজ নেই। লাল্টু ভাবলো ওস্তাদ বোধহয় কাজ সেরে ভাগছে।
হঠাৎই বিদ্যুৎ চলে এলো। টায়ারের দিকে চোখ পড়তেই চিৎকার করে উঠলো লাল্টু। দৌড়ে কাছে এলো মজনু মিয়া আর অহল্লা।
শামসু অজ্ঞান অবচেতন হয়ে পড়ে আছে। কয়েকটি গর্ত রক্তের জলরাশিতে ভরে পরিপূর্ণ। নাক দিয়ে ফুসফুস করে রক্তের সাথে নিশ্বাস চলছে শামসুর। মজনু মিয়া বলল, ‘এই লাল্টু অহল্লা! ধর তারাতাড়ি। হাসপাতালে নিতে হবে।
মেয়েটি বলল কেঁদে কেঁদে বলে উঠলো, ‘উনি আমার আব্বু।’
২৩টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চালিয়ে যান। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয় কবিবর…
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয়
ফয়জুল মহী
অনবদ্য প্রকাশ।
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ কবিবর…
বন্যা লিপি
প্রথম পর্বের শিরোনাম আর এই পর্বের শিরোনাম আলাদা? শিরোনাম চোখে পড়তেই এখন ভাবতে হচ্ছে গল্পের কাহিনী প্রবাহিত হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। প্রথম পর্বে যদিও মন্তব্য করা হয়নি। না করে ভালোই করেছি মনে হচ্ছে এখন। চোখ রাখছি গল্পে। এগিয়ে চলুক আজব সব আড়াল…..
নৃ মাসুদ রানা
হুমম, আলাদা। বেশকিছু পর্ব লিখবো আশাকরি।
গল্পের নামের সাথে কাহিনীও ঘুরে যাবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
গল্পটা ভাল লাগলো যা হল অল্পতে শেষ।
ধারাবাহিক কিনা জানা হলো না।
শুভ কামনা।
নৃ মাসুদ রানা
নতুন নাম দিয়ে ধারাবাহিক প্লট সাজাতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
গল্পটি আপনি ধারাবাহিক লিখছেন, তাহলে শিরোনাম পাল্টালেন কেন মাসুদ ভাই? যেকোনো একটি শিরোনাম রেখে পর্ব সংখ্যা উল্লেখ করে দিন। পাঠকের জন্যে পড়তে সুবিধে হবে। আর এই পোস্টেও আগেরটার লিংক এ্যাড করুন।
পরের ঘটনা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা 🌹🌹
নৃ মাসুদ রানা
অবশ্যই, তাহলে একই নাম ব্যবহার করবো ইনশাআল্লাহ…
সুরাইয়া পারভীন
শেষে কি না নিজের মেয়ে!
ব্যাপারটা এমন হলো না।
তারা খাল কাটলো সেই খালে পড়লো।
নৃ মাসুদ রানা
হুম, খাল কেটে কুমির…
সুরাইয়া পারভীন
যে*
এস.জেড বাবু
মেয়েটি বলল কেঁদে কেঁদে বলে উঠলো,
মেয়েটি কেঁদে কেঁদে বলে উঠলো,
চমৎকার শিহরণ জাগানো লিখা-
নিজের মেয়ে,
তবুও হয়ত শিক্ষার বাকি থাকে তবুও কারও কারও।
নৃ মাসুদ রানা
শিক্ষার অভাব আছে।
হালিম নজরুল
চমৎকার গল্প
নৃ মাসুদ রানা
ধন্যবাদ প্রিয় কবিবর
ইঞ্জা
বেশ অর্থবহ এক লেখা দিলেন ভাই, কিন্তু বেশি ছোট হয়ে গেলো, ব্লগে আরও বড় লেখা চাই।
ধন্যবাদ।
নৃ মাসুদ রানা
আচ্ছা, বড় গল্প দেব।
এই গল্পটি পর্ব পর্ব লিখছি বলে…
রেহানা বীথি
আগের পর্ব পড়া হয়নি, এটুকু বেশ লাগলো।
নৃ মাসুদ রানা
পড়ুন, আশাকরি ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ…