
প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনে আজন্ম লালিত কিছু স্বপ্ন থাকে। সদ্য কৈশোরে পা রাখা নয়নার জীবনেও ছিলো আজন্ম লালিত কিছু স্বপ্ন। নয়নার বিয়ে হবে, ঘর হবে,বর হবে, সুখের সংসার হবে। নয়না তার বরকে পাগলের মতো ভালবাসবে। শ্বাশুড়ি মা’কে সে নিজের মায়ের মতো ভালোবাসবে, সেবা যত্ন করবে। মোদ্দা কথা সে একটা সুখের স্বর্গ রচনা করবে তার স্বামীর ঘরে। এসবের পাশাপাশি সে ভার্সিটিতে পড়ারও স্বপ্ন দেখতো। নয়না ছাত্রী হিসেবে খুব একটা দুর্বল ছিলো না। নয়না সবসময় পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকতো। সকাল সন্ধ্যা যখন দেখো নয়না হাতে বই নিয়েই বসে থাকতো।
তিন ভাইয়ের একমাত্র আদরের বোন নয়না। একমাত্র কন্যা হওয়ায় নয়না বাবা মায়ের কলিজার টুকরা। মায়ের হার্টবিট, বাবার স্পন্দন ও ভাইদের চোখের মণি নয়না। স্বভাবে নয়না প্রচণ্ড জেদি, রাগী, একরোখা, দুরন্ত, চঞ্চলা। নয়নার মা তার মেয়েকে পাগলের মতো ভালোবাসতো। নয়না যখন যা চাইতো সাথে সাথে মা তাকে দিয়ে দিতো। নয়না এতো দুরন্ত ছিলো যে কেউ কেউ তাকে হরিণের সাবকের সাথে তুলনা করতো। সবার এতো এতো ভালোবাসায় দারুণ চলছিলো নয়নার জীবন।
ছোট্ট নয়না দেখতে দেখতে বড় হতে থাকলো। এস এস সি পরীক্ষা দিলো। রেজাল্ট এর অপেক্ষায় থাকলো নয়না। রেজাল্ট বের হলে নয়না কলেজে ভর্তি হবে। কলেজে পড়বে এই ভেবে সে কি আনন্দ নয়নার। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপর নয়নার রেজাল্ট বের হবে। হঠাৎ নয়নার এক কাজিন একটা ছেলেকে নিয়ে নয়নাদের বাড়িতে এলো। বললো ছেলেটি নয়নার ভাইয়ের বন্ধু। সে সময় নয়না বাঁশের মাচায় বসে কামিজে ফুল তুলছিলো। নয়না পড়াশোনার পাশাপাশি হাতের কাজেও ছিলো দারুণ পারদর্শী। এক নজর ছেলেটিকে দেখে আবার নিজের কাজে মন দেয় নয়না।
একদিন নয়না তার মেজ খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলো। হঠাৎ মা তাকে ফোন করে বলে যে ছেলেটা এসেছিলো, সে তোমাকে দেখতে এসেছিলো। তার তোমাকে পছন্দ হয়েছে। তুমি কি বলছো? ১৫ বছর বয়সী নয়না কতোটুকুই বা আর বোঝে দেখতে আসা। তবুও নয়না বললো ‘ভালোই তো’ দেখতে ছেলেটা। জীবনের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম ভুলটা করেই ফেললো নয়না। ‘ভালোই তো’ বলে
নয়নার বাবা কাউকে কিছু না বলে নয়নার বিয়ে ঠিক করে ফেলো। ছেলেটির বাবা দেখতে এলো মঙ্গলবারে আর বিয়ে ঠিক হলো শুক্রবারে। হুট করে কেমন যেনো সব এলোমেলো হয়ে গেলো। নয়না কিছু বুঝে উঠার আগেই বিয়ে হয়ে গেলো তার। সেদিনই নয়নাকে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ি।
নয়নার শাশুড়ি যখন নয়নাকে বরণ করে নামাতে এলেন তখন নতুন বউকে দেখে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেলো তার তুলোর মতো ধবধবে ফর্সা মুখোশ্রী……..
২১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নূতন বউকে দেখে শাশুড়ির কী হলো!
জানতে আমরা অপেক্ষা করতেই পারি।
একটু তড়িঘড়ি হয়ে যাচ্ছে কী না শুরুতেই ঠিক বুঝছি না কিন্তু!
সুরাইয়া পারভীন
গল্পটার মতোই তড়িঘড়ি শুরু হয়েছিল সবকিছু। এরপর থেকে শুরু হবে নয়নার জীবনের গল্প
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সবসময়
সুপর্ণা ফাল্গুনী
উদগ্রীব হয়ে আছি পরবর্তী পর্বের জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য ভালো থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
অপেক্ষার অবসান দ্রুত হবে দিদি
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সবসময়
ফয়জুল মহী
চরম বাস্তবতার অনন্য লিখনী।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সবসময়
কামাল উদ্দিন
কারণটা কি ছিল, নয়না কি দেখতে খুবই বিশ্রী চেহারার ছিল? নাকি অন্য কিছু?
সুরাইয়া পারভীন
ক্রমশ প্রকাশ্য
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সবসময় ভাইয়া
কামাল উদ্দিন
ঠিক আছে আপু, চালিয়ে যান
সুপায়ন বড়ুয়া
বাল্য বিবাহ দিয়ে শুরু করলেন
শাশুরীর মুখ দেখেই পরিনতি
ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
ভালো থাকবেন সবসময়
নৃ মাসুদ রানা
পরলাম।
সুরাইয়া পারভীন
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন সবসময়
এস.জেড বাবু
ঝড়ের পূর্বাভাস পাচ্ছি
পরের অংশ পড়ার প্রচন্ড ইচ্ছে হচ্ছে।
শুভকামনা
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সবসময়
সঞ্জয় মালাকার
পড়ে বেশ ভালো লাগলো দিদি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায়রইলাম । শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
ভালো থাকবেন সবসময়
রেহানা বীথি
শেষে ধরে রাখলেন পাঠকের আকাঙ্ক্ষা।
সুন্দর শুরু, অপেক্ষায় রইলাম।
সুরাইয়া পারভীন
শীঘ্রই অবসান ঘটবে অপেক্ষার
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপু 💓
ভালো থাকবেন সবসময়
অন্বেষা চৌধুরী
মনটা হাঁসফাঁস করছে শাশুড়ির এমন অবস্থা হওয়ার কারণ। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
সুরাইয়া পারভীন
শীঘ্রই অপেক্ষার পালা শেষ হবে ইনশাআল্লাহ
আপনাকে স্বাগতম আমাদের পরিবারে
সোনেলা উঠানে