
কুয়াশায় ঢাকা সূর্যটা বারবার জানান দিয়ে যায় শীত টা বেশ জেঁকে বসেছে শহরের গায়। শহুরে ব্যস্ত জীবনও থমকে আছে শীতের কারণে। তবুও জীবন ছুটে চলে,জীবনের নিয়মে। কুয়াশা ঘেরা প্রকৃতি যেন স্তব্ধ। দূরে কোথাও ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা যায়।হয়তো রক্ত হীম করা ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতেই আদূল গায়ে আগুনের তাপ পোহায় কিছু ছেলে-বুড়োর দল।সঙ্গে পাড়ার নেড়ি কুকুরও জায়গা করে নেয়। জীবন এখানে উন্মুখ থাকে এক ফালি রৌদ্র তাপের। বেলা বাড়ার বাড়ার সাথে সাথে সূর্য উঁকি দেয় বৈকি!কিন্তু ঠান্ডার প্রকোপ কমে কি? শহরের শ্রেণী বিভেদে শীতের উপভোগ্যের ধরনেও আসে ভিন্নতা। শীতের আমেজ উপভোগ করে এক শ্রেণী।আরেক শ্রেণী অপেক্ষায় থাকে শীত মুক্তির। শহুরে জীবনও আস্বাদন নেয় পিঠে-পুলির।গ্রামে প্রতি ঘরে ঘরে পিঠার উৎসব চলে বৌ- ঝি দের নিজ হাতে তৈরী করা পিঠে দিয়ে। নতুন জামাই সমাদর করতেও পিঠের জুড়ি নেই। বৌ-ঝি দের সেই পিঠে তৈরীতে থাকে আন্তরিকতা,ভালবাসা আর মমতা। আর শহরে বসে নানা রঙের পিঠের দোকান।ব্যাবসায়িক স্বার্থই এখানে মূখ্য বিষয়।এখানে কোথায় সেই বৌ-ঝি দের মমতা মেশানো পিঠে- পুলি?
তারপরও শহুরে জীবন শীত উৎসবে মাততে চায়। ব্যস্ত জীবনকে কখনও সখনও একটু উপেক্ষা করে ছেড়ে দিতে চায় অলস সময়ে শীত কালটা উপভোগ করার জন্য। সবার জীবনেই শীত কষ্টের না হয়ে আনন্দের ঋতূ হয়ে ধরা দিক।সেটাই হোক সকলের প্রত্যশা।
১৬টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
শীত চাদরে পিঠা
খেতে ভারী মজা
শহরেতে পিঠা উৎসব
পকেট কাটার সাজা।
ভালই লিখলেন আপু
শুভ কামনা।
সাদিয়া শারমীন
আপনার প্রশংসায় আপ্লুত। আপনার ছড়াটিও চমৎকার।
সুরাইয়া পারভীন
চমৎকার উপস্থাপন। সত্যিই শীত থেকে কেউ মুক্তি চায়। আর কেউ চায় উপভোগ করতে।
সাদিয়া শারমীন
ধন্যবাদ আপু। ভালোবাসা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
গ্রামের বাড়িতে আর শহুরে বাসা বাড়িতে পিঠার স্বাদ ভিন্ন কিন্তু ভালোবাসা বা আনন্দ অভিন্ন। আমরা যারা শহরে থাকি ,যাদের ঘরে বানানোর লোক নেই বা ব্যাচেলর তারা বাধ্য হয় বাইরের টা কিনে খেতে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি। সেখানে শুধু ভোজন টাই মুখ্য বিষয়। কথায় আছে না কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। শীত কারো কাছে উপভোগ্য কারো কাছে কষ্টের। শুভ কামনা রইলো
সাদিয়া শারমীন
আপনার জন্যও শুভ কামনাও ভালবাসা।
ফয়জুল মহী
চমৎকার
জিসান শা ইকরাম
শহুরে জীবনের শীত এমনই আপু,
‘ শীত কষ্টের না হয়ে আনন্দের ঋতূ হয়ে ধরা দিক। ‘
ভাল লিখেছেন একান্ত অনুভুতিতে।
নিতাই বাবু
মনের কথা একান্ত অনুভূতিতে প্রকাশ করলেন। খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ অজস্র।
ছাইরাছ হেলাল
শীতের দারুণ উপস্থাপন।
প্রকৃতি নিয়মের বেড়াজালে শীত নিয়ে আসে,
সাথে আনন্দ বা কষ্ট, তবুও শীত আসে শীতের মত করে,
পিঠে-পুলির হাতছানিতে।
ছবিটি যেখান থেকেই নেন না কেন, অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী।
সাদিয়া শারমীন
আন্তরিক ধন্যবাদ। ছবি টি নিয়েছিকোন এক শীতের ভোরে ধানমন্ডি লেক থেকে।
ইসিয়াক
চমৎকার লেখনী ।
সাবিনা ইয়াসমিন
” শীতের আমেজ উপভোগ করে এক শ্রেণী।আরেক শ্রেণী অপেক্ষায় থাকে শীত মুক্তির।” এই দৃশ্য সব খানেই দেখা যায়। বিশেষ করে ভোর বেলায় পথে বের হলে শীতে জুবুথুবু হয়ে বসে কাজের অপেক্ষায় থাকা মানুষ গুলোকে দেখলে বেশি কষ্ট হয়। আবার বাহারী শীত পোশাকে ঘুরে বেড়ানো ফুলের মতো শিশুদের দেখলে মনে হয়, প্রতি বছর শীত আসুক।
একান্ত অনুভূতির সুন্দর বহিঃপ্রকাশ দেখলাম। ভালো লাগলো।
শুভ কামনা 🌹🌹
সাদিয়া শারমীন
আপনাকেও ধন্যবাদ আরভালবাসা।
আরজু মুক্তা
শহুরে শীত, লেপ কাথা, কম্বল নিয়ে ঘুম। কাজ তুমি দূরে থাকো।
সাদিয়া শারমীন
আসলেই তাই।