
প্রথম বার যখন পানাম নগরে গিয়েছিলাম তখন সেটা ছিল অরক্ষিত পরিত্যক্ত একটা ভুতুরে নগরী। ইতিউতি কিছু লোকজন তুলনা মূলক ভাবে ভালো বাড়িগুলোতে বসবাস করতো, গরু বাধতো বা খড়ের গাদা স্থাপন করতো। এবার অনেক দিন পর গেলাম। টিকেট কাটতে হলো, তবু ভালো লাগলো যে, এই প্রাচীন ইতিহাসকে রক্ষা করার চেষ্টাটা এখন করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনারগাঁতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর হল পানাম নগর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর -প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। তো আসুন ঢুকে পড়ি প্রাচীন এই নগরীতে……..
(২) টিকেট কেটে ঢোকার পরই এখানকার ইতিহাস লেখা বইটার সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকটা ছবি তুলে ফেললাম।
(৩/৪) এটা নগরী চিরে চলে যাওয়া পানাম সড়ক। আর সড়কের দুপাশে সারি সারি আবাসিক একতলা ও দ্বিতল বাড়িতে ভরপুর পানাম নগর।
(৫/৬) আলোক স্বল্পতায় ছবিগুলো ভালো তোলা যায়নি।
(৭/৮) ভাঙ্গাচোরা এই বাড়িগুলো শত বছর ধরে টিকে আছে, আর কতটা সময় টিকতে পারবে কে জানে?
(৯) একটা বাড়ির পেছনের দিক থেকে তোলা ছবি।
(১০) প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে এমন কূপ।
(১১) কম করে হলেও চারটি লক্ষ্মী পেঁচা মরে পড়ে থাকতে দেখেছি ওখানে। আমার বিশ্বাস কেউ ওদের হত্যা করেছে।
(১২) কাশীনাথ-ভবন এর নাম ফলক বলছে এই ভবনের বয়স ১২০ বছর। আমার পোষ্টের প্রথম ছবিটা কাশীনাথ ভবনের।
(১৩) এটা একটা নাচ ঘরের অভ্যন্তরের ছবি।
(১৪) সজনে ডালে বসে থাকা একটা কাজল পাখি বা বাদামী কসাই।
(১৫) এমন বেশ কিছু বসার আসন রয়েছে যা পর্যটকদের বসার জন্য নতুন ভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
(১৬) একটা পুকুরের পাড়ে বসে খাওয়া দাওয়াটা সেরে নিলাম।
(১৭) পুকুরের পাশের বিশাল গাছটা অচেনা, সুতরাং এর ফলকে চেনার তো কোন উপায়ই নাই।
(১৮) সেই গাছে বসে ক্ষণে ক্ষণে ঢেকে উঠছিল একটা চিল।
(১৯) একজন বিদেশী দেখলাম খুব মনোযোগ দিয়ে ছবি তুলছে।
(২০) এই পুলটাও সম্ভবত ঐ সময়কারই। এটা পানাম নগরে ঢোকার বিপরিত পাশে অবস্থিত।
ভ্রমণ ট্যাগ লাগালেও এটা মূলত একটা ছবি ব্লগ, কেউ অন্য কিছু মনে করলে হতাশ হবেন।
২৯টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
পানাম নগর আমার বাসা হতে ঘন্টা খানেক লাগে যেতে।একবার গিয়েছিলাম ।চমৎকার সব পুরাতন ঐতিহাসিক বিল্ডিংগুলো কালের সাক্ষী হয়ে আছেন। পোষ্টে আবারো জানলাম পানাম নগরী। অসংখ্য ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আপনি কোথায় থাকেন মমি ভাই?
মনির হোসেন মমি
আমিতো ঢাকা হতে কাচপুর ব্রীজের আগে চিটাগাংরোড সিদ্ধিরগঞ্জ এর বাসিন্দা। এদিকে এলে নক কইরেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
১১ নাম্বার ছবিটা দেখে কষ্ট লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটি ভ্রমণ কাহিনীর জন্য
কামাল উদ্দিন
আমার মনে হয়েছে কেউ ওদের বিষ প্রয়োগ বা অন্য কোনও ভাবে হত্যা করেছে।
আরজু মুক্তা
আমি ঘুরেছি। আসলে ঐতিহাসিক কোন জায়গা ঘুরতে গেলে সেই সময়ের কথা মনে করতে হয়। তাহলে, ভালো লাগাটা।বোঝা যায়।
কামাল উদ্দিন
হুমম, ঠিক বলেছেন আপু। শত বছর আগের মানুষজন এখানে কিভাবে জীবন যাপন করতো এসব ভাবলে একটা অন্য রকম ভালোলাগা মনের ভেতর এসে যায়……..শুভ কামনা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আফসোস, আমি এখনো পানাম নগরী দেখতে যাইনি। এই শীতে যাওয়ার প্লান আছে। ধন্যবাদ ভাই ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহটা বাড়িয়ে দিলেন।
শুভ কামনা 🌹🌹
কামাল উদ্দিন
চলে যান, তবে আমি বলবো এই ডিসেম্বরে না যাওয়াই ভালো। এখন বাচ্চাদের স্কুল ছুটি, তাই খুব ভীর হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সুপায়ন বড়ুয়া
জানা ও হলো
দেখা ও হলো
আর ও জানার
আশা বাড়লো !
শুভ কামনা
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও আন্তরিক শুভ কামনা রইল দাদা।
ইসিয়াক
খুবই ভালো লাগলো।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই, কেমন আছেন আপনি?
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার সব ছবি ও লেখা, বেশ ভালো লাগলো দাদা, তবে ১১ নাম্বার ছবিটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
কামাল উদ্দিন
১১ নং ছবিটার জন্য আমাদের দুঃখ প্রকাশ করে কি লাভ বলুন? যারা হত্যাকান্ডটা ঘটিয়েছে তাদেরই তো দুঃখ প্রকাশ আর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ
সঞ্জয় মালাকার
ঠিক বলেছেন দাদা, তবুও দুঃখ হয়, সে তো একটা নিরহ প্রাণী।
ধন্যবাদ দাদা শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
১৩ নম্বর ছবির ঐ নাচ ঘরের স্মৃতি-ই শুধু মনে আছে, আর কিছু মনে নেই।
৮৫ সনে দেখে ছিলাম।
কামাল উদ্দিন
আমি প্রথম গিয়েছিলাম সম্ভবত ২০০৮ সালে, শুভেচ্ছা জানবেন বড় ভাই।
নুরহোসেন
চমৎকার তথ্যের সাথে ভালো একটা ভ্রমনের রসদ দিলেন,
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন নুর ভাই
নুরহোসেন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুরাইয়া পারভিন
আফসোস কোথাও যাওয়া হয়ে উঠেনি
চমৎকার উপস্থাপন দুর্দান্ত ফটোগ্রাফী।
১১ হুতুম পেঁচার মৃত্যু মর্মান্তিক
কামাল উদ্দিন
ইচ্ছে থাকলে কম বেশী যাওয়া হয় আপু, আমার প্রতিটা পোষ্টে উপস্থিত হয়ে উৎসাহ যোগানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদ
নতুন করে পানাম নগরীকে চিনলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আচ্ছা কি হবে যদি একদিন এসব ভেঙে পড়ে যায়? সংরক্ষণ করা উচিত সেভাবেই তাই না?
লক্ষীপেঁচার ছবি দেখে কস্ট পেলাম।
কামাল উদ্দিন
এমন ইতিহাসগুলো সংরক্ষণ করলে ভবিষ্যত প্রজন্মরা অতীতের মানুষদের জানার জন্য একটা সেতু পেয়ে যাবে। বলা যায় অতীত ভবিষ্যতের সেতু বন্ধন। শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সব দেখলাম আপনার লেখায়। পাখি মরা বেদনা দিল। দারুন ছবি
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন মজিবর ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন।
কামাল উদ্দিন
আপনিও ভালো থাকুন, সব সময়।