
উত্তরপূর্ব ভারতের সেভেন সিষ্টার রাজ্যের ভারতের অন্যতম কনিষ্ঠ রাজ্য নাগাল্যান্ড, যার আয়তন ৬৩৬৬ বর্গমাইল। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা। পাথরের চাদর বিছানো আগোছালো ঠাস বুননের শহর কোহিমা। আর নাগারা ইতিহাসের অন্যতম দূর্ধর্ষ জাতি। তাই এই পাহাড়ি রাজ্যের প্রতি পর্যটকদের রয়েছে গা ছমছমে আকর্ষণ।
নাগাল্যান্ড রাজ্যে নাগা উপজাতির অন্তত ষোলটি প্রধান সম্প্রদায় বসবাস করে আঙ্গামি, আও, চাকেসাং, কোনিয়াক, কুকি, কাচারি, সুমি, চাং, লোথা, প্রচুরি, তাংগুল প্রভৃতি। এই প্রতিটি উপজাতির নিজের নিজের উৎসব রয়েছে। নাগাল্যান্ড সরকার এই উপজাতি গোষ্ঠীগুলির প্রধান প্রধান উৎসবকে একই সময়ে একই জায়গায় অনুষ্ঠিত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের এক তারিখ থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা থেকে ১২ কিমি দূরে কিসামা হেরিটেজ ভিলেজে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যা “হর্ণবিল উৎসব” নামে পরিচিত। ২০১৮ সালের হর্ণবিল ফেষ্টিভালের কিছু ছবি নিয়েই আজকের পোষ্ট।
(২) আসামের রাজধানী গৌহাটি রেল স্টেশন এটা। সিলেটের তামাবিল সিমান্ত দিয়ে বর্ডার পার হয়ে জীপ নিয়ে আমরা চলে এসেছিলাম গৌহাটিতে। এখান থেকে রাত ১১টার ট্রেনে চড়ি ডিমাপুরের উদ্দেশ্যে।
(৩) খুব ভোরে নেমে পড়ি ডিমাপুর স্টেশনে।
(৪) ডিমাপুর থেকে আবার জীপ নিয়ে ছুটে চলি নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার উদ্দেশ্যে। আর ঘন্টা চারেকের মধ্যেই আমরা পৌছে যাই এই পাহাড়ি জনপদের রাজধানীতে।
(৫) ঢুকে গেলাম নাগাল্যান্ডের জানালায়।
(৬) হর্ণবিল ফেষ্টিভালের প্রধান গেইট এটা। এখানে একটা মজার বিষয় হলো, ট্যাক্সিতে উঠে কোথাও গেলে ৪০০ টাকা লাগে। চারজন হোক বা একজন। ১ কিলোমিটার হোক বা ১০ কিলোমিটার। তো আমরা কোহিমা থাকে ১২ কিলোমিটার দূরের কিসামাতে এসে টিকিট নিয়ে ঢুকে হর্ণবিল ফেষ্টিভালের প্রধান গেইটের ভেতর।
(৭/৮) তারপর তো সরাসরি নাগাদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবে।
(৯/১০) নানা পোষাকে নানা উপজাতিদের নানা রকম পারফরমেন্সে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয় পর্যটকদের।
(১১) এটা ওদের মাছ ধরার কৌশল।
(১২) কোন একটা নৃত্য পরিবেশন করছে এই দলটি।
(১৩) ওদের জমি চাষের একটা উপস্থাপনা এটা, তবে মজার বিষয় হলো ওরা সব কাজেই গানরত থাকে।
(১৪/১৫) তুলা থেকে সুতা, আর সুতা থেকে কাপর বুননের আদিবাসী কৌশল দেখাচ্ছে এই দলটা।
(১৬/১৭) ওদের বাড়ি-ঘরগুলো দেখতে বেশ লাগে।
(১৮/১৯) বাড়ি ঘরগুলোর আসবাবে ওরা কাঠের মাঝে খোদাই করে ওদের ইতিহাসের ঐতিহ্য তুলে ধরে চমৎকার ভাবে।
(২০) বিশাল গাছে বসে থাকা অনেকগুলো হর্ণবিল পাখি।
(২১) কিসামার একটা চার্চ, সামনে দাঁড়ানো দেশী-বিদেশী পর্যটক।
(২২/২৩) সব শেষে আমি :-B
২২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আর একটু বাড়িয়ে লিখলে দারুণ একটি বিষয় হতো।
পড়া শুরু করতেই শেষ!
কামাল উদ্দিন
বড় ভাই, লেখার ব্যাপারে আমি ঠনঠন, সেটা তো আগেই বলেছি। আমি ছবি দিয়েই লেখার ব্যর্থ্যতা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি সব সময়।
মোহাম্মদ দিদার
দারুণ সব ছবির সাথে সুন্দর এবং অজানা কিছু তথ্য সংস্কৃতির সঙ্গে জানাসোনা হলো।
কামাল উদ্দিন
আজ থেকে ওদের ওখানে ১০ দিনের অনুষ্ঠান হয়তো শুরু হয়ে গেছে।
নিতাই বাবু
জলপাইগুড়ি বীরপাড়া বড় দিদির বাড়ি গিয়ে সেখানকার মানুষের কাছ থেকে নাগাল্যান্ডের আদিবাসীদের জীবনযাপন নিয়ে শুনেছি। এঁরা আসলেই একরকম দুর্ধর্ষ এবং অতি ভয়ংকর জাতি। শুনেছি একসময় এঁরা মানুষ হয়েও ওঁদের সহজাতি নয় এমন মানুষের মাংস খেতো। মানুষের রক্ত দিয়ে এঁরা উৎসব করতো। তবে সত্যমিথ্যা বাছাইকরণ নিজে সামনাসামনি গিয়ে করতে পারিনি। শুনেছি মাত্র। বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে নাগাল্যান্ডের লাইফস্টাইল ভিডিওগুলো দেখি। যা আপনার পোস্টের সাথে হুবুহু মেলানো।
কামাল উদ্দিন
হুমম, আমিও শুনেছি ওরা নাকি প্রতিপক্ষ গ্রামগুলোর মানুষদের হত্যা করে তাদের মাথা ঘরে সংরক্ষণ করে। যার ঘরে যতো বেশী মাথা তার বীরত্ব ততো বেশী বলে বিবেচিত হয়। আর ওখানে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না, এবং নিজের গ্রামকে নিরাপদ করতে উঁচু প্রাচির নির্মান করে রাখে, আর এভাবেই ওরা ক্রমান্বয়ে সভ্য জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যদিও ইদানিং তার অনেকটাই পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। ধন্যবাদ দাদা।
কামাল উদ্দিন
আমার পিসি ক্রাস করার আগে এই পোস্ট খানা দিয়েছিলাম বলে এই ছবিগুলো অক্ষত রয়ে গেছে দাদা।
নুর হোসেন
আমার খুব প্রিয় একটা প্লেস!
ফটোব্লগে আবার নতুন করে দেখলাম!
কামাল উদ্দিন
আমারও আবার কোন এক ডিসেম্বরে যাওয়ার ইচ্ছে আছে
মোঃ মজিবর রহমান
নাগাল্যান্ড দারুন ইতিহাস আর ঐতিহ্য মন্ডিত এলাকা। ছবি দারুন লাগঅল কামাল ভাই।
কামাল উদ্দিন
হুমম, আগে তো বাহিরের কারো ওখানে যাওয়ার অনুমতিই ছিলো না।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার প্রকাশ ও অসাধারণ ছবি।
ইশ যদি আমিও এমন ভ্রমণ করতে পারতাম।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।
মাহবুবুল আলম
আপনার প্রতিটি ভ্রমন কাহিনী সুন্দর ছবিযুক্ত। আপনার সাথে বিনে পয়সায় ঘুরে আসা যায়।
কামাল উদ্দিন
মাঝে মাঝে কিছু পয়সা খরচ কইরেন বড় ভাই 🙂
মনির হোসেন মমি
পৃথিবীর ভয়ংকর এক জাতিকে সোনেলায় সেয়ার করে আমাদের অজানা অদম্যকে আরো বেগবান করে দিলেন। ছবি দেখে মনে হচ্ছে এরা খুবই শান্ত কিন্তু এদের ব্যাকগ্রাউন্ড বড় ভয়ংকর। খুব ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
হুমম, ওদের ইতিহাস সত্যিই অনেক ভয়ঙ্কর, শুভ কামনা জানবেন ভাইজান।
মনির হোসেন মমি
ছবিগুলোতে দক্ষতার ছাপ পরিলক্ষিত। শুভ কামনা রইল।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা
এস.জেড বাবু
মনে হলো আপনার সাথে ঘুড়ছিলাম,
হটাৎ ভেঙ্গে গেল স্বপ্ন।
এবারের সেরা ছবি- ১৩
কামাল উদ্দিন
আপনার সাথে কোন একদিন হয়তো ঠিকই ঘোরাঘুরি হবে বাবু ভাই।
জিসান শা ইকরাম
এই ফেস্টিভেল এর কথা প্রথম শুনলাম। খুব ভালো বর্ননা দিলেন কিভাবে যাওয়া যায়।
ভ্রমন এবং ছবি ব্লগ চমৎকার হয়েছে।