
মাহবুবুল আলম
দীর্ঘ দিন থেকে আমি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ব্লগে লেখালেখি করছি।চার বছর আগে বিভিন্ন ব্লগ সাইটগুলো সার্চ করতে গিয়ে ‘সোনেলা’র সাথে পরিচয়।বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর সোনেলা ব্লগ সাইটটি আমার বেশ ভাল লেগে যায়। সেই সুবাধে ১৯/০৬/২০১৫ তারিখে নিবন্ধন করে সোনেলায় লেখা শরু করি। তখন সোনেলার কারো সাথে আমার তেমন পরিচয় ছিল না।এভাবে বেশ কিছুদিন লেখালেখির পর কাজের ঝামেলায় (মৌলিক কাজ) প্রায় সকল ব্লগেই লেখা বন্ধ করে দিই।২১/১০/২০১৬ তারিখের পর থেকে সোনেলায় আর লেখা হয়ে ওঠেনি।
কাজের ঝামেলা কিছুটা কমে আসলে, এ বছর ২০/০৩/২০১৯ থেকে আবার সোনেলায় একটা পোস্ট দিয়ে দীর্ঘ বিরতির অবসান ঘটাই। এরই মধ্যে আবার লেখালেখির সুবাধে সোনেলা ব্লগের বেশ কয়েকজন কর্তাব্যক্তির সাথে আমার একটা ভার্চূয়াল সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এঁদের মধ্যে-জিসান ইকরাম মো: শামসুল, তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ভাই, ম্যাডাম সাবিনা ইয়াসমিন, ছাইরাস হেলাল, নিতাই বাবু, ইঞ্জাসহ কয়েকজনের সাথে বন্ধৃত্বর্পর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এঁদের মধ্যে সর্বাগ্রে যার নাম উল্লেখ করতে হয় তিনি হলেন খুবই হাসি-খুশি মজার মানুষ এবং চিরতরুণ জিসান ভাইয়ের নাম বলতে হয়। সত্যি কথা বলতে গেলে তার কারণেই বর্তমানে আমি সোনেলাতে থিতু হয়েছি।এবং সময় পেলে লেখা প্রকাশ করছি। আর একজন হলেন, প্রিয়দর্শিনী ম্যাডাম সাবিনা ইয়াসমিন।তিনি অনেক সময় জোর করে লেখা লেখিয়ে নেন।
এরই মাঝে, একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে। সেটি হলো-‘সোনেল‘য় হেমন্ত উৎসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। হেমন্ত উৎসবকে ঘিরে আয়োজিত হেমন্ত বন্দনা প্রতিযোগিতায় আমার একটি লেখা দিয়ে দেয়। এখানে বলে রাখা ভাল যে, লেখাটা আমি প্রতিযোগিতার জন্য লিখিনি।আর সত্যি বলতে কী, এখন আমার প্রতিযোগিতার বয়সও নেই। তবু সোনালা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে সন্মান জানিয়ে আমি কিছু বলিনি। ফলাফল ঘোষণার পর দেখলাম প্রতিযোগিতায় আমার লেখাটিই প্রথম স্থান লাভ করেছে। এতে আমার কোনো উচ্ছ্বাস বা আবেগ কাজ করেনি। আমার মনে হয়েছে, প্রথম স্থানটি কোনো নবীণ লেখক দখল করতে পারলে আরও ভাল হতো। তারপরও সোনেলার এ আয়োজনকে আমি সাধুবাদ ও স্বাগত জানাই।
সোনেলার সাথে কাজ করতে যেয়ে আমার মনে হয়েছে, এ ব্লগের প্রতিটি কর্তাব্যক্তি নিজেদের উজার করে দিয়ে ব্লগটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল লেখক ও পাঠকের সমাবেশ ঘটেছে। যারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে অলাভজনক এ ব্লগটিকে দিন দিন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী হয়েও জিসান ভাই প্রধান মডারেটর হিসেবে অনন্য অবদান রেখে চলেছেন।তার সাথে একঝাঁক তরুণতুর্কী সহকর্মী ব্লগটির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যা অনেকটা ‘নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র সামিল। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের শিল্প-সাহিত্যের প্রতি এত ঝোক সাধারণত পরিলক্ষিত হয় না।
এখানে যাদের নাম উল্লেখ করলাম-তাদের সাথে কোনোদিনই আমার সামনাসামনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা স্বাক্ষাত হয়নি, তবু মনে হয় তারা যেন আমার কত দিনের চেনা, তাদের সাথে কত দিনের প্রাণের মহার্ঘ্য সম্পর্ক।তাই সময় পেলেই আমি কাজের ফাঁকে সোনালায় ঢুকে লগইন করি। পারলে লেখা দিই না হলে অন্যের লেখা পড়ে নিজকে আরও সমৃদ্ধ করার সুযোগটি কখনো হাতছাড়া করি না। তবে সময়ের অভাবে সকল সময় সকল লেখায় মন্তব্য করতে পারছি যা অনেকটাই আমার দীনতার পর্যায়ে পড়ে। এ জন্য সবার কাঝে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বিশেষ করে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি সোনেলার সকল মডারেটর, লেখক, ও সহযোদ্ধাদের কাছে।
লেখা আর দীর্ঘ করতে চাই না। পরিশেষে একটি কথা বলেই শেষ করতে চাই। যতদিন জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস চালু থাকবে ততদিন যেন সোনেলার সাথে থাকতে পারি পরম করুণাময়ের কাছে এটুকুই প্রার্থনা করছি।
সবার জন্য নিরন্তর শুভেচ্ছা!!
৩১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আপনি সোনেলাকে নিয়ে যেভাবে লিখলেন, তাতে এতই আবেগাপ্লুত হলাম যে আপনার লেখা নিয়ে এই মুহুর্তে কিছু লিখতে পারছি না।
আপনার লেখা সম্পর্কে পরে মন্তব্য দেব।
মাহবুবুল আলম
জিসান শা ইকরাম
জিসান শা ইকরাম!
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। হাসিখুশি থাকবেন, আর আমাদেরকেও হাসিখুশি রাখবেন!
ইঞ্জা
সোনেলাকে ভালোবেসে যা লিখেছেন তার জন্য কৃতার্থ হলাম, ভালোবাসা জানবেন ভাই। 😍
মাহবুবুল আলম
ভাই ইঞ্জা!
আপনাদের সবার জন্য একরাশ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা!!
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই।
নিতাই বাবু
সোনেলা ব্লগ নিয়ে আপনি যেভাবে ভালোবেসে লিখলেন, এতে সোনেলা উঠোনের সকলের প্রতিই আপনার এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই
আপনার প্রতি সবিনয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সোনেলা উঠোনের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন সবসময়।
মাহবুবুল আলম
আপনাদের মতো আমিও সোনেলাকে অনেক ভালবাসি! পাশে আছি পাশে থাকবেন।
অনন্য অর্ণব
জ্ঞানার্জনের যদি বয়স না থাকে তাহলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কি নির্দিষ্ট কোন বয়স থাকা উচিত,,,হা হা হা 😀 আমি ব্লগে একদম ই নতুন। প্রথম থেকেই ভাবতাম আপনি হয়তো এডমিন প্যানেলের মেম্বার। তবে যাই হোক সাহিত্যের ভালো ফসল রাজবাড়িতে ফলুক আর দরিদ্রের আঙিনায় ফলুক সেটা অবশ্যই সমান সমাদৃত।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
মাহবুবুল আলম
প্রতিযোগিতার একটা বয়েস থাকে। আরো বয়স হলে বিষয়টা বুঝবেন! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুরাইয়া পারভিন
অভিনন্দন রইলো। আর সোনেলার প্রতি এমন ভালোবাসা সবারই হোক। আমিও থাকবো ইনশাআল্লাহ
মাহবুবুল আলম
সুরাইয়া পারভিন!
একরাশ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। অনেক ানেক ভাল থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
কিন্তু আমার কাছে আশ্চর্য্য লাগে আমি কেন এই ব্লগের খবর আগে জানলাম না! বিশেষ করে সামহোয়্যারইন ব্লগে ইদানিং যে খরগ হস্ত হয়েছিল সরকার এই সময়টায় আমি হণ্যে হয়ে ব্লগ খুঁজেছিলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
কামাল ভাই আমি ছোট্ট ব্লগার কিন্তু সামহোয়াইন আমি কোনদিনও পোস্ট দিইনি। আমি বিডি২৪ব্লগেই পড়ছি। এবং ঐখান থেকেই ২০১১ সালে শাহবাগ আন্দলনে কি কারণে বন্ধ হই। ব্লগ ক্রতিপক্ষ বলে ব্লগ সাইটএ কিছু ক্রুটি আছে তাই মেরামতের জন্য বন্ধ। ঐ স্পময় খুজতে খুজতে সোনেলায় আগমন এখন আছি থাকবই ইন শাল্লাহ।
কামাল উদ্দিন
কয়েকদিন আগে পরিচিত কোন এক ফেজবুক বন্ধু সোনেলার লিঙ্ক দেওয়ায়ই এখানে আমার আগমন
মাহবুবুল আলম
আমিও সামহোয়ার ইন ব্লগে দীর্ঘদিন লেখেছি। ব্লগটিকে খুব মিস করছি। আমিও থাকবো আপনারাও সবাই সোনেলার সাথে থাকবেন!
অনেক ধন্যবাদ!
কামাল উদ্দিন
সামু তো এখন ওপেন, ওখানে আপনার আইডি কি মাহবুব ভাই? আমি ওখানে সাদা মনের মানুষ হিসাবে আছি (যদিও বাস্তবে একেবারেই বিপরিত) 😀
মনির হোসেন মমি
কামাল ভাই আপনার হয়তো খেয়াল নেই একবার আমি বলেছিলাম।জলছবিতে থাকার সময়। যাক এখনতো আছেন। ফল দেরীতে খেলেই ভাল হয় মিষ্টি হয়।
কামাল উদ্দিন
তাহলে ওটা আমি ভুলে গিয়েছি মমি ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলায় সোনেলায় সোনেলায় যারা আসে তারাই প্রেমে পড়।
সোনেলার ভালবাসায় ভক্তিসহ সঙ্গে রই।
আপনার মুল্যবান লেখাটি খুব ভাল লাগ্ল বড় ভাইয়া।
মাহবুবুল আলম
সোনেলায় যারা আসে তারাই প্রেমে পড়ে১ একদম! ঠিক বলেছেন!
শুভেচ্ছা জানবেন!
তৌহিদ
আপনার লেখা পড়ে আপ্লুত হলাম ভাই।সোনেলাকে কতোটা আপন করেছেন আপনার লেখাই তার প্রমান। আসলে জিসান ভাইকে যতই দেখি ততই অবাক হই। একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ শত ব্যস্ততার ফাঁকেও কি করে সাহিত্যানুরাগী হতে পারে? তার দিক দির্দেশনায় সোনেলা এগিয়ে চলেছে আপন গতিতে।
হেমন্ত বন্দনা উৎসবের আইডিয়া আমার মাথা থেকে আসলেও সোনেলার সকল এডমিন, মডারেটর এবং বিচারকগন অনেক পরিশ্রম করেছেন। আর এর পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান কিন্তু লেখক এবং পাঠকদের। তাদের জন্যইতো এতো কিছু সম্ভব হয়েছে। আপনি আপনার লেখকীয় যোগ্যতায় প্রথম হয়েছেন। অভিনন্দন জানবেন।
সোনেলা বিশ্বাস করে সাহিত্যচর্চায় ছোট বড় বলে কোন বিষয় নেই। সাম্যতাই সোনেলার অন্যতম দৃষ্টান্ত।
ভালো থাকবেন ভাই।
পোস্টটি স্টিকি করার অনুরোধ করছি।
মাহবুবুল আলম
আয়োজনটা বেশ ভাল ছিল। সে জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ভাল থাকবেন। সোনেলায় একটা জিনিস বেশ লক্ষ্য করছি, সোনেলায় সবাই আধুনিকমনষ্ক মানুষ। এখানে আঁতেল ও সবজান্তা তেমন নেই বললেই চলে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো!
মোঃ মজিবর রহমান
শীতের আমেজে আরও একটি প্রতিযোগিতা হোক। এই আবেদন রইল। আমি পাঠক পরব ।
মাহবুবুল আলম
উত্তম প্রস্তাব!
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ বড় ভাইয়া
এস.জেড বাবু
সোনেলার রত্ন ভান্ডারের মধ্যমণি আপনি।
চমৎকার ব্যাতিক্রমি সব লিখায় মন ভরে উঠে।
আপাতত তিনজন মানুষের পিছনের লিখাগুলি পড়ার খুব ইচ্ছে মনে কাজ করে, সময় পেলে পুরুনো দিনের লিখায় সময় দিবো- ছাইরাছ হেলাল ভাই, বন্যা লিপি আপু এবং অবশ্যই আপনি।
কেন যেন খুব ইচ্ছে হয়। মনে হয় পড়বো আর শিখবো- তারচে বেশি জানবো।
আপনার জন্য এবং সোনেলার জন্য শুভকামনা সবসময়।
মাহবুবুল আলম
ধন্যবাদ শুভ ও কল্যাণময় হোক আপনার জীবন। অনেক অনেক ভাল থাকবেন।
মনির হোসেন মমি
সোনেলা সব সময়ই যোগ্যদের সন্মান দিয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে হেমন্ত বন্দনায় আপনার লেখাটির বেলায়ও তাই হয়েছে। সোনেলায় নিঃসন্দেহে আপনার লেখার মান অন্যান্য লেখকের চেয়ে অনেক উচুতে। জ্ঞানের তথ্যে ভরে দিয়ে সোনেলাকে আপনি সম্মৃদ্ধি করেছেন। আপনারা আছেন বলেই সোনেলা এখনো তাঁর গৌরভ ধরে রেখেছে। আশা রাখি পাশেই থাকবেন।
শুভ ব্লগিং।
মাহবুবুল আলম
‘সোনেলা সব সময়ই যোগ্যদের সন্মান দিয়ে থাকে’ কথাটা ঠিক বলেছেন।
যতদিন জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস চালু থাকবে ততদিন যেন সোনেলার সাথে থাকতে চাই!
মাহবুবুল আলম
প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন!
সুপায়ন বড়ুয়া
নতুন পাঠক হিসেবে
আমার ও হলো জানা
সোনেলাকে, আপনাদেরকে
আপনার লেখনির মাধ্যমে
ধন্যবাদ !