
গ্রাম ছেড়ে শহরে থাকা এক বন্ধু রোজার ঈদের আগের দিন সপরিবারে বেড়াতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল। পরদিন পবিত্র ঈদের নামাজ শেষে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। খুঁজছিল সালাম নামের ছোটবেলার এক বন্ধুকে। কিন্তু সালাম তাঁর খোঁজার আগেই ঈদের নামাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যায়। তাই আর শহুরে বন্ধু সালামকে খুঁজে পেল না। না পেয়ে গ্রামের কিছু মানুষের কাছ থেকে বন্ধুর খবর নিলেন। কী সুখে আছে, আর কেমন আছে। গ্রামের অনেকেই বলছে সালাম এখন অনেক ভালো আছে। সুখে আছে। ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। সময় সময় মসজিদে জিকিরও করে ও খুব ধার্মিক লোক। ওর এক ছেলে বিদেশে। মেয়েটাকেও ভালো সংসারে বিয়ে দিয়েছে। ও এখন নিজের জমিজমা নিয়েই সে ব্যস্ত থাকে। সুযোগ পেলে পরেরটাও করে। সালাম এখন রাজার হালেই দিন কাটাচ্ছে। এখন সালামের কোনও ঝামেলাই নেই। দেনা নেই। বাড়িতে থাকা ঘরদোরও ভালো। গ্রামের অনেকের ধারনা সালামের কাছে ভালো নগদ ক্যাশ ক্যাপিটালও আছে।
লোকমুখে বন্ধু সালামের বর্তমান অবস্থা জেনে শহুরে বন্ধুটি এখন অন্যকিছু ভাবতে শুরু করেছে। ভাবনা হলো সালামের কাছ থেকে কিছু টাকাকড়ি খসানোর ভাবনা। শহুরে বন্ধুটি ছিল লোভী। পরকে ঠকানোর চিন্তাই বেশি মাথায় থাকে। শহর থেকে মাঝে মাঝে গ্রামে এসে অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক ধান্ধাবাজিও করেছে। কাউকে চাকরি দিবে। কাউকে বিদেশ পাঠাবে। কাউকে বাড়ি কিনে দিবে। আসলে সবই ছিল ধান্ধা। এমন ধান্ধাবাজি করার জন্যই শহুরে বন্ধুটি খুশি মনে সোজা বন্ধুর বাড়ির দিকে রওনা হলো। বন্ধুর বাড়ি যাওয়া পথেই দেখা হয়ে যায় ছোটবেলার বন্ধু সালামের সাথে। সালাম তখন নিজের জমিতে বোরোধানের বীজ ফেলার কাজ করছিলো। মাথায় গামছা বাধা। হাতে গরু তাড়ানোর চিকন সাইজের একটা লাঠি। পরনের লুঙ্গি গোঁজা। বাম হাতে লাঙলের হাতল ধরা। সামনে দুটি বিশালাকার হালের বলদ গুটি গুটি পায়ে লাঙল টেনে এগুচ্ছে। সালামও লাঙল ধরে হ্যায় হুশ করে হালের বলদের সাথে হাঁটছে।
অনেকদিন পর গ্রামের বন্ধুর সাথে দেখা। তাও আবার ঈদের দিন। শহুরে বন্ধুর গায়ে নতুন জামাপ্যান্ট। পায়ে দামী চামড়ার জুতা। মাথায় টুপি। হাতে দামী ঘড়ি। আরেক হাতে বেনসন সিগারেটের প্যাকেট। শহুরে বন্ধু সালাম সালাম করে ডাক দিতেই রাস্তার দিকে সালামের চোখ গেলো। সালাম প্রথমে চিনতে পারছিল না। পরে লাঙল ছেড়ে সামনে এসে শহুরে বন্ধুর মুখের দিকে তাকাচ্ছে। দুই একবার তাকাতেই সালাম চিনতে পেরেছে লোকটি ছোটবেলার খেলার সাথি বন্ধু কালাম। গ্রামের মানুষ সালাম, জন্মের পর থেকেই গ্রামেই তাঁর বসবাস। সালাম সরল মনের মানুষ। সরল, তবে হালের বলদের মতো বোকা নয়! বুদ্ধি আছে। সহজে কেউ ঠকাতে পারবে না। এক কথায় চালাকও বলা চলে। কিন্তু শহুরে বন্ধুটি মনে করেছিল সালাম সেই আগের মতন হাবাগোবাই আছে। কালাম এই ভেবেই সালামের কাছে যাওয়া। কিন্তু সালাম যে আগের মতো হাবাগোবা নেই, তা ছিল কালামের জানা ছিল না। জানলে আর ধান্ধাবাজির নিয়ত করে সালামের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করতো না। বাড়িতে থেকেই টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখে সময় কাটিয়ে দিতো। তা না করে এসেই যখন পরেছে, ধান্ধাবাজি করার কিছু-না-কিছু চেষ্টা তো করতে হয়। এই ভেবে আবারও জিজ্ঞেস করলো, কি রে সালাম, ‘আমাকে চিনতে পারছিস না? আরে আমি কামাল। ঐযে একসাথে কতো দৌড়াদৌড়ি করেছি, আমরা! এখন চিনতে পেরেছিস?’
সালাম সরল মনে আরে কালাম তুই বলেই, শহুরে বন্ধুটিকে জাপটে ধরল। সালামের গায়ে মাখা ছিল কাদা মাটি। জাপটে ধরতেই সালামের গায়ের মাটিতে শহুরে বন্ধুটির গায়ের জামায় মাটি লেগে যায়। শহুরে বন্ধুটি মন খারাপ করে বলল, ‘হয়েছে হয়েছে, দিলি তো নতুন জামাটা নষ্ট করে। এখন বল কেমন আছিস?’ কালামের কথা শুনে সালামের সরল মনটা মুহূর্তেই গড়ল হয়ে গেল। মনে মনে খুব রাগও হলো। তবুও নিজের রাগ নিজের মনের ভেতর লুকিয়ে রেখে বলল, ‘কেমন আর থাকি বল! গ্রামে থেকে এখনো নিজের কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছি না। পরের উপর ভর করেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। সালামের মুখে এমন কথা শুনে শহুরে বন্ধুটি অবাক হয়ে গেল! বলে কি সালাম! মানুষে বলল, ও খুব ভালো অবস্থায় আছে। আমি এসেছি এই লোভে। কিছু ধান্ধাবাজি করার আশায়। এখন ও বলছে পরের উপর ভর করে চলছে! তাহলে এতগুলো মানুষ কি ভুল বললো? ভাবছে শহুরে বন্ধু কালাম!
এরপর দুইজন গিয়ে বসলো এক গাছ তলায়। গাছ তলায় বসে দুইজনে সুখ-দুখের গল্প করছিলো। কে কেমন আছে, তা নিয়ে। সালাম শহুরে বন্ধু কালামের কাছে জানতে চাইলো, ‘বিয়েসাদী করেছিস কিনা?’ কালাম বলল, ‘হ্যা বন্ধু, করেছি। অনেকদিন প্রেমের সাথে লড়াই করে প্রেম যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি। এরপর বিয়েসাদী করে ঘর-সংসার শুরু করেছি, এই বছর পাঁচেক হলো। বর্তমানে আমাদের ঘরে দুইজন নতুন অতিথিও চিরস্থায়ী হয়ে বসবাস করছে। তো তোর অবস্থা কী?’ শহুরে বন্ধু কালামের কথায় সালাম বলল, ‘আমি বন্ধু তোর মতো প্রেমের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হইনি। পারিবারিক আলোচনার মাধ্যমে বিয়েসাদী করে বর্তমানে দুর্মূল্যের বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছি। তারপরও অনেক কষ্টেসৃষ্টে ধারদেনা করে বড় ছেলেটাকে বিদেশ পাঠিছি। ছোট মেয়েটাকেও বিয়ে দিয়েছি। ওরা এখন সুখেই আছে। ভালো আছে।’ কালাম আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘তো, বর্তমানে ক্যাশ ক্যাপিটাল কেমন আছে রে?’
কালামের কথা শুনে সালাম একটু ভাবতে লাগলো! ব্যাপারটা কী? ও আমার ক্যাশ ক্যাপিটালের খবর নিতে চায় কেন? নিশ্চয়ই ওর মতলব খারাপ! এমনিতেই গ্রামের মানুষের কাছ থেকে আগে-পরে অনেক ধান্ধাবাজি করেছে। এখন এসেছে আমার সাথে ধান্ধাবাজি করতে? কিন্তু তার হবে না, এই সুযোগ অন্তত আমি ও কে দিচ্ছি না। একটু চুপ করে থেকে সালাম বলল, ‘না রে বন্ধু, ক্যাশ ক্যাপিটাল পাবো কোথায়? বর্তমানে দুই জনের সংসার সামাল দিতেই আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। বড় আশা করে ছেলেটাকে বিদেশ পাঠিয়েছি ধারদেনা করে। ছেলেটা বিদেশ যাবার পর থেকে একটি কানা কুড়িও দেশে পাঠায়নি। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছি বড় সংসারে। এখন মেয়ের সংসার আমারই চালাতে হচ্ছে। জামাই বাবাজী বেশি সুবিধার না। শুধু নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়। তাহলে তু-ই বল, ক্যামনে ক্যাশ ক্যাপিটাল থাকবে? পরের জমি চাষাবাদ করে আর ক’টাকাই রোজগার হয়? তুই তো বর্তমানে ভালোই আছিস। শহরে থাকিস। ব্যবসা বানিজ্য করিস। মোটা অংকের টাকা ব্যাংকে ভরিস। তোর আর ভাবনা কী! মরছি শুধু আমিই! এই দেখ, আজ ঈদের দিনেও পরের জমিতে কাজ করতে হচ্ছে। ঘরে খাবার নেই। খবর পেয়েছি মেয়েটার ঘরেও আজ দুইদিন ধরে চুলা জ্বলে না। ওর জন্য কিছু না পাঠালে, ও-ও না খেয়ে থাকবে। এখন তু-ই বল, আমি কি সুখে আছি?’
সালামের কথা শুনে কালাম এখন একেবারে বোবা হয়ে গেল! কালাম মনে মনে বলে, লোকে বললো কি, আর ও বলে কি? সালামের কথা কিছুতেই কালাম বিশ্বাস করতে পারছিল না। কালাম বলছে, ‘আমি তোর এখানে আসার আগে গ্রামের মানুষের কাছ থেকে শুনে এসেছি, তুই বর্তমানে ভালো অবস্থায় আছিস। শুনে খুবই ভালো লেগেছে। তারপর ভাবলাম তোর সাথে দেখা করি। দেখা করলাম। কোলাকুলি করলাম। পরনের নতুন জামাটাও নষ্ট করলাম। আসার আগে ভাবলাম তোর কাছ থেকে হাজার পাঁচেক টাকা ধার নিয়ে ঈদের ছুটির দিনগুলো আনন্দে কাটাবো। আর এখন তুই বলছিস তোর অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়!’
কালামের কথা শুনে সালাম মনে মনে হাসতে লাগলো। তারপর বললো, ‘শুন কালাম, তুই আমার ছোটবেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তোদের বাড়িতে গিয়ে কতো খেয়েছি। তুইও আমাদের বাড়ি এসেছিলি, খেয়েছিলি। আমি কি তোর সাথে মিথ্যা বলতে পারি? গ্রামের যাঁরা তোর কাছে আমার তথ্য দিয়েছে, এঁরা সবাই আমার শত্রু। আমার টাকাকড়ি নেই বলে কেউ আমাকে দেখতে পারে না। সবাই আমার পিছনে আঠার মতো লেগে আছে। তুই তো জানিস আমি সেই ছোটবেলা থেকেই বাপদাদার রেখে যাওয়া চাষের জমির সাথেই যুদ্ধ করে চলছি। আগে যা ছিল, বর্তমানে প্রায় সব জমি বিক্রি করে ছেলেটাকে বিদেশ পাঠিয়েছি। কিন্তু ছেলেটা আজ পর্যন্ত একটা কানাকড়িও পাঠায়নি। বর্তমানে কোনও দিন খাই, কোনও দিন আবার তিনবেলার মধ্যে দুইবেলাই না খেয়ে থাকি। যদি পারিস আমাকে কিছু টাকা ধার দিয়ে যা। আমি যেভাবেই পারি সামনের মাসে তোকে দিয়ে দিবো।’
সালামের কথা শুনে কালাম এখন মনে মনে বলে, ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।’ বড় আশা করে এসে শহুরে চালাক বন্ধু ধরা খেলো গ্রামের হাবাগোবা বন্ধুর কাছে। কালাম এখন সালামকে বলছে, বন্ধু, আমি তোর চেয়েও বড় বিপদে আছি। কামাই কামাই রোজগার যা-ই করি, তা দিয়ে বাসা ভাড়াও হয় না। তার উপর আবার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। আমি আরও তোর কাছে এসেছি কিছু টাকা ধার নেওয়ার জন্য। আর তুই এখন উল্টো আমার কাছেই হাত পেতে বসলি! তো থাক বন্ধু ভালো থাকিস। আমি এখন চলি! আবার সামনের ঈদ-উল-আজহায় গ্রামে আসলে দেখা হবে।’ সালাম শহুরে বন্ধু কালামকে বললো, ‘তো খালি মুখেই চলে যাবি? চল বাড়ি গিয়ে দুইজনে দু’মুঠো পান্তাভাত খাই গে। এরপর যাস! সালামের কথা শুনে কালাম মনে মনে বলে শালার বন্ধু আমার। ঈদের দিন নাকি পান্তাভাত খায়! কেন যে এই ফকিরের সাথে দেখা করতে আসলাম! মনে মনে এই বলেই কালাম বললো, ‘না থাক বন্ধু, আবার আরেকদিন এসে খাবো। আজ তাহলে আসি!’
এমন সময় দুইজনের সামনে একটা টেক্সি এসে থামলো। টেক্সি থেকে একটা মেয়ে নেমে সালামকে সালাম করে বললো, ‘আব্বু তুমি এই ঈদের দিনেও লাঙল গরু নিয়ে জমিতে নেমেছ? অন্তত আজকের দিনটা বাড়িতে থাকলে কি হতো না?’ মেয়ের কথায় সালাম জবাব দিল, হতো মা। তবে নিজের কাজ তো নিজেকেই করতে হবে। তাই আমি ঈদের নামাজ শেষ করেই গরু লাঙল নিয়ে জমিতে চলে এসেছি। এভাবেই কাজ করে তোদের মানুষ করেছি। বিয়ে দিয়েছি। তোর ভাইকে আমেরিকা পাঠিয়েছি। বাড়িতে দালান-কোঠা তৈরি করেছি। যদি কাজ না করে মানুষের সাথে বাটপারি করতাম, তাহলে কি এসব হতো? হতো না। যদিও হতো, তা হতো ক্ষনিকের জন্য। আর এখন যাকিছু আছে, তা হচ্ছে সবসময়ের জন্য। বে-হালালি টাকা পয়সার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই আমি জীবনে কারোর সাথে বাটপারি করিনি। বে-হালালি টাকাপয়সা উপার্জন করিনি বলেই, আজ আমি মহা সুখে আছি। এরপর মেয়েকে বলল, ‘যা, এখন বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নে।’ জন্মদাতা পিতা সালামের কথায় মেয়ে গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে গেল।
কালাম তখনও সালামের পাশেই দাড়িয়ে দাড়িয়ে বাপ-বেটির কথাবার্তা শুনছিলো। এই দৃশ্য আর এসব কথাবার্তা শুনে শহুরে বন্ধু কালাম সালামের কানের সামনে মুখ নিয়ে বললো, ‘বন্ধু আমি শুনেছি তুই খুব ধার্মিক। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। তাহলে তুই যে আমার সাথে এমন মিথ্যা বললি, এতে তোর গুনাহ হবে না বন্ধু? তুই আমার সাথে কী করে এমন মিথ্যা কথা বলতে পারলি?’ সালাম বললো, ‘তুই অসৎ বুদ্ধি নিয়ে ক্যামনে আমার সাথে বাটপারি করতে আসলি? তাই আমি তোর সাথে মিথ্যা কথা বলেছি। অসৎ মানুষের সাথে মিথ্যা কথা বললে কি গুনাহ হয়, বন্ধু?’ এরপর আর কোনও কথা না বলে শহুরে বন্ধু আস্তে করে নিজের লেজ গুটিয়ে চলে গেল।
১৮টি মন্তব্য
তৌহিদ
এখন সমাজে আসলে এই অবস্থাই চলছে দাদা। অনেকেই নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে তা সে যে কোন ভাবেই হোক তবুও সাহায্য করার মানসিকতার লোক খুব কমই আছে। একে অন্যকে ঠকিয়ে বাটপারি করে নিজেদের উন্নতি করছে ঠিকই তিবু মন তাদের কলুষতায় ভরা।
গল্পে গল্পে দারুণ শিক্ষণীয় বিষয়ে লিখলেন। বোঝার আছে অনেক কিছু। লেখা ভালো লেগেছে দাদা।
নিতাই বাবু
কিছু কিছু চেনাজানা বাটপারদের এভাবেই শিক্ষা দিতে হয় দাদা। নাহয় এঁরা আরও সুযোগ খুঁঁজে বেড়ায়।
জিসান শা ইকরাম
অসৎ সংগ ত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ,
তাহলে আর মিথ্যে বলতে হয়না।
উপস্থাপনা ভাল লেগেছে দাদা
শুভ কামনা।
নিতাই বাবু
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেলো, সত্যই বলেছেন দাদা, অসৎ মানুষের সাথে মিথ্যে বলায় পাপ নেই।
অসাধারণ গল্পে অনুপ্রেরিত হলাম দাদা।
নিতাই বাবু
কিছু কিছু বাটপারদের সাথে এমনই করতে হয়।
ধন্যবাদ দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন দাদা
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনার লেখায় সমাজের বাস্তব চিত্র খুঁটে উঠেছে।
নিতাই বাবু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথে শুভেচ্ছা শুভকামনাও।
মনির হোসেন মমি
মিথ্যে বললে অবশ্যই গুনাহ হয় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিথ্যে বলাটাও জায়েজ আছে তবে গল্পের এমন পরিস্থিতিতে জায়েজ নেই। তাহলে মানুষ আর অমানুষের মাঝে পার্থক্য রইল কোথায়- পারলে সহযোগীতা কর নতুবা সাফ জানিয়ে দাও দিচ্ছি না। গল্পটি গল্পের খাতিরে বাটপার মিথ্যেবাদীকে সায়েস্তা করতে ঠিক আছে। এক্ষেত্রে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
অনেক সময় সত্য বললে বিপদ ঘটে। মিথ্যে বললে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্তত কিছু চেনা জানা বাটপাদের থেকে বাঁতে হলে মিথ্যে অভিনয় করে সরে থাকতে হয়। তবে গল্পের সালাম কিন্তু স্বীকার করেছে, সে যে মিথ্যে বলেছে। এবং কেন বলেছে, তাও জানিয়ে দিয়েছে। এতে করে হয়তো বাটপার কালামের কিছু হুশ হয়েছে বলে বলে মনে করি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
হুম পারফেক্ট সচেনতা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের এমন কঠিন বিপদে পড়তে হয় বৈকি।
অবোধ্য সময়ের এই বাস্তবতা। অবস্থা বুঝে সামলে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
নিতাই বাবু
সাথের কিছু মানুষের এমন বাটপারি পরিকল্পনার মধ্যে সময় সময় নিজেরও পড়তে হয় দাদা। তখন মিথ্যে কথা বলেই ওঁদের বিদায় করতে হয়।
আরজু মুক্তা
বাস্তবতা আর বাটপারি। এভাবেই চলে কিছু মানুষ।
নিতাই বাবু
কাছের মানুষগুলো সময় সময় এমন বাটপারি করে থাকে বা করতে আসে। তখন মিথ্যে বলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। সত্য বললেও যাবে না। গেলেও পরবর্তীতে ওঁরা যেকোনো সময় বিপদে ফেলতে চাইবে।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
প্রকৃতি কিন্তু তার শাস্তি দিতে কখনো ক্ষমা করে না,অসততা সৃষ্টির শরু হতেই হার মানছে।
নিতাই বাবু
বাস্তব কথা! সত্য কথা! সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।