
আবুল অনেক চেষ্টার পর মফিজের মোবাইলে লাইন পেল।মন মেজাজ বেশ বিগরে আছে মফিজের উপর।অনেক দিন হয়ে গেল চ্যানেলটিতে নতুন কোন প্রোগ্রাম নেই। চ্যানেলের দর্শক শুভাকাঙ্খিরা বেশ চিন্তিত।অভিযোগ অনুযোগ জানিয়ে অসংখ্য ই-মেইল এসেছে মফিজের অফিসিয়াল মেইল বক্সে। সাক্ষাৎকারটি পুনরায় শুরু করার অনুরোধও এসেছে অসংখ্য বার।তাই বেশ কয়েক দিন যাবৎ আবুল মফিজকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন কিন্তু ফোনে রিং টোন বাজলেও মফিজ ফোন রিসিভ করছেন না।আজ যখন পেয়েই গেল তখন টক ঝাল যা আছে কপালে।
-হ্যালো…
-কিরে অচিন দেশের রাজা বাদশা হয়ে গেলি নাকি?
-কে বলছেন?
-লে হালুয়া!এখন চিনতেই পারছিস না!
-না ভাই…আমারতো ফোন সীম সবিই নতুন -তাই হয়তো নম্বরটি সেইফ করা নেই।
-আরে শালা! তোর সব অঙ্গ প্রতঙ্গ নতুন কইরা লাগাইলেওতো আমার কথার শব্দ শুনেইতো তুই বুঝেছিস আমি কে? কারন বাল্যকালের বন্ধুদের ভুলা এতোটা সহজ নয়।
-ওআচ্ছা আবুলরে…?
-হ …চিনছস তাইলে!
-কেমন আছো বন্ধু?
-ভাল নেই। তোর সাথে কথা বলার দরকার ছিলো কোথায় আচিস বল?
-চলে আয় আমার বাসায়।
আবুলের মাথা নষ্ট।কয়দিন আগে চ্যানেলটির উপর ক্যাসিনো সার্চ হয়।এ সব ঝামেলায় চ্যানেলটি বন্ধ থাকে বেশ কয়েক মাস।এদিকে চ্যানেলটির মালিক আবুলের পিতা এখন ক্যাসিনোর ঝামেলায় দৌড়ের উপরে।
আবুল রাস্তায় এসে একটি খালি রিক্সাওয়ালাকে ডাক দিল।বিপরীতমুখী চলা রিক্সার গতিপথকে অনেকটা সিনেমা স্টাইল হোন্ডার মত ঘুরিয়ে হঠাৎ কষে ব্রেক করলেন আবুলের সামনে।আবুল অবাক হয়ে চেয়ে রইলেন।রিক্সাওয়ালা হর্ণ এর আওয়াজের সাথে সাথে বললেন- স্যার কই যাইবেন?
-ঐতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে একটু সামনে…।
-কি কইলেন স্যার!ঢাহা বিদ্যালয় আবার কোনডা?
-আরে ঐতো ঢাকা ভার্সিটি…
-ও হেইডা কইবেনতো! উডেন।
রিক্সায় উঠে আবুল মনে মনে খুব বিষ্ময় প্রকাশ করলেন।মানুষ আজকাল কতটা ফাষ্ট বাংলায় বললে চিনে না ইংরেজীতে সহজেই বুঝে যায়।আর হবেই না কেন!হাসিনা সরকার মোবাইলের যে বাজার ফ্রি(অনেকটা) মিলাইছে তাতেতো সদ্য ভুমিষ্ঠ শিশুটির কাছেও মোবাইল থাকার কথা।
ব্যাস্ত নগরী জন ঝট জ্যামে অতিষ্ট জনগণ।ধীর গতিতে চলা তার রিক্সার গতি পথ বার বার বদলাতে হচ্ছে।একবার এদিকতো আরেকবার ঐদিকে মোড় ঘুরিয়ে যেতে হচ্ছে।অবশেষে রাজু ভাষ্কর্যের দিকে দিক পরিবর্তন করেও ভাষ্কর্যের এড়িয়া হতে অনেকটা দূরেই আবুলকে রিক্সা হতে নামতে হল।রোড ট্রাফিকদের রাস্তা বন্ধের বাধার মুখে মোড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিরক্ত রিক্সাওয়ালা।
-স্যার এহানেই নামেন।
-কেন?আমিতো আরো ভিতরে যাব।
-যাওয়া যাবে না, দেহেন না এদিকেও রাস্তা বন্ধ।আমি আর ঘুরিয়ে যেতে পারবো না।এক খেপে যদি দিন পারুইয়া যায় তাহলে আর পেটে ভাত ঝুটবে না।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আবুল নেমে গেলেন রাজু ভাষ্কর্যের কাছা।কাছি। ঝামেলার ভাড়া মিটিয়ে হেটেই রাজু ভাষ্কর্যের নিকট দিয়ে যাচ্ছেন।রাজু ভাষ্কর্যের আস পাশ সহ অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীদের ভীর।ছাত্র ছাত্রী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্কৃতি সংগঠন গুলোর পদ চারণায় শ্লোগানে মুখরিত পুরো ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় চত্বর।আবুল যদিও এর কারন পত্রিকা টিভিতে দেখেছেন কিন্তু বাস্তবে আজই প্রথম।পকেট হতে মোবাইলটি বের করে কখনো ছবি তুলছেন কখনো বা ভিডিও করছেন।বুয়েট শিক্ষার্থী আরবারের ছাত্রলীগ দ্বারা নিসংশ ভাবে হত্যার প্রতিবাদে ব্যানার ফেস্টুনে সয়লাব পুরো ভার্সিটি চত্বর।আন্দোলনরত ছাত্রদের অনেকের দাবী প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে দলীও সন্ত্রাসী ক্ষমতা অপব্যাবহারের রাজনীতি বন্ধ হউক।অন্য দিকে ভিকটিম ছাত্রলীগও আবরার হত্যার বিচারের দাবীতে রাজ পথে প্রতিবাদ করছেন।প্রতিবাদে তাদের দেখে আবুল অনেকটা অবাক হলেন।আসলেই আমরা বাঙ্গালী আজও মানুষ হতে পারিনি-আমিই ভিক্টিম আমিই আবার প্রতিবাদী।বুয়েটের দেয়ালে দেয়ালে চলছে প্রতিবাদী দেয়াল চিত্র। হাটার মাঝে ভিডিও ছবি তুলতে তুলতে এক সময় প্রতিবাদ স্থল পেরিয়ে অন্য আরেকটি রিক্সায় উঠে সোজা পথে চলে গেলেন মফিজের বাসায়।
মফিজ বর্তমান সময়ে অনেক উচু মাপের একজন সেলিব্রেটি মাঝে মাঝে তার বদ অভ্যাসের কৃতকর্মে শশুড়বাড়ী হতে ঘুরে আসতে হয়।সেদিনও এক টকশোতে সরকার বিরোধী বেফাস কিছু কথা বলায় চা পানের দাওয়াত দিয়েছিলো নিকটস্থ থানায়। সেদিন হতে এবং ডিসি এসপিদের বিভিন্ন নারী কেলেঙ্ককারী, ক্যাসিনোর সাপ লুডুর খেলা, দূর্ণীতি দমনে দূর্দান্ত অপারসনে রাগব বোয়ালদের আতংক কখন কার উপর এসে পড়ে সেই ভয়ে মফিজ কিছুটা সতর্কে পা ফেলছেন।কিন্তু বন্ধু আবুল এর অনুরোধ সে ফেলতে পারল না।আবুল আসছেন- তাকে রেডি হয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে তার স্টুডিওতে হয়তো যেতে হতে পারে।ঠিক সেই সময় কলিং বেজে উঠল। দরজা খুলে আবুলকে স্বাগত জানালো মফিজ।মফিজ খুব ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন।দ্রুত আবুলের সামনে সোফায় এসে বসলেন।
-কি খবর বল?
– খবরতো তোর কাছে। দেখা সাক্ষাৎ নেই ফোন করলেও পাই না।এ দিকে আমার বিপদের উপর বিপদ গেল।
– দেশের যেই অবস্থা তাতে একটু সাধানেই থাকা ভাল।ক্যাসিনো জ্বরেতো সব কাপঁছে।
-কিছুই হবে না…কয়দিন ধুমধাম তারপর সব কিছুই নিউটেল হয়ে যাবে। ফখরুলের আমলে দেখস নাই? কই সে সব এখন আর কোন খবরে আছে?যাগগে- চল আমার স্টুডিওতে সব রেডি তুই গেলেই সরাসরি লাইভ টেলিকাষ্ট শুরু করব।
-কছ কি!সরাসরি?
-হ দোস্ত একটু সহযোগীতা কর নতুবা আমার অবস্থা কাহিল।বাবাটাও এখন ক্যাসিনো ঝামেলায় বাড়ী হারা আর আমিও যদি কিছু একটা না করি তবে কেমনে হয়।
-তোর বাবা আসলেই ক্যাসিনোর সাথে জড়িত?
-ধুর! বাবা কি সেই মানুষ নাকি!
-দুনিয়ার বেবাক সন্তানের কাছে বাবা তার দুধে দোয়াই হয়।ক্যাসিনো কছ আর সামাজিক অবক্ষয় কছ বাবা/চাচা/খালুদের হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার খবরটা যদি সন্তানেরা রাখতো তবে এ সমাজে অপরাধ অনেকটাই কমে যেত।
-তোর এ বকবকানী রাখতো এখন চল….।
ক্যামেরা লাইট এ্যাকসান।
সুপ্রিয় দর্শক আবারো শুরু হচ্ছে সমসাময়িক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক একটি অনুষ্ঠান “একজন মফিজ এর সমসাময়িক সাক্ষাৎকার” এর চতুর্থ পর্ব। তবে আজকেরের পর্বটি আবারো লাইভে হচ্ছে।দর্শক মন্ডলী আপনারা প্রশ্ন রাখতে পারেন সমসায়ীক যে কোন বিষয়ের উপর। তাহলে শুরু করছি আজকের লাইভ টেলিকাষ্ট সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্টান “একজন মফিজ এর সমসাময়িক সাক্ষাৎকার”
-মফিজ সাহেব,কেমন আছেন?
-জি ভাল আছি-মন্দের ভাল।
-মন্দের ভাল, কথাটি ঠিক বুঝতে পারলাম না।একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
-না বুঝার কিছুই না- এ দেশে এ মুহুর্তে কেউ বলতে পারবে না যে সে একশ ভাগ ভাল আছেন।আমি সেদিকটাই ইঙ্গিত করেছি।
-ও আচ্ছা-ওপর পাশ হতে রিং টোনের শব্দ আসছে মনে হয় কোন দর্শক আমাদের ফোন করছেন। আমরা দর্শকের ফোনটি রিসিভ করে শুনি দর্শকের মনে কি প্রশ্ন আছে।–হ্যালো দর্শক।জি জি আমরা শুনতে পাচ্ছি আপনি শুনতে পাচ্ছেনতো?(অপর প্রান্ত হতে উত্তর এলো-জি শুনতে পাচ্ছি) আপনি আপনার টিভি সেটের ভলিয়মটা কমিয়ে প্রশ্ন রাখতে পারে আমাদের আজকের অতিথী মফিজ সাহেব এর কাছে।জি প্রশ্ন করুন।
-আসসালামুআলাইকুম মফিজ ভাই ভাল আছেন?
-ওয়াআলাইকুমসালাম জি ভাল আছি। প্রশ্ন করুন।
-আমি ওমুক তমুক থেকে বলছি…এইতো কয়দিন আগে ঘটে গেল বুয়েটের ছাত্র আবরারের নিশংস হত্যাকান্ড। এ হত্যা কান্ডটিকে আপনি কি ভাবে দেখছেন?এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই এর প্রতিবাদের সাথে আরেকটি সূর বা দাবী উঠেছে শিক্ষাঙ্গণে ছাত্র রাজনীতির বন্ধের এর পক্ষে বিপক্ষে আপনি কি কিছু বলবেন।মেনন সাহেবতো সরাসরি এর বিপক্ষে কথা বলছেন।
-ধন্যবাদ প্রিয় দর্শক।সমসায়িক খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। আগে জেনে নেই আপনি কি ছাত্র রাজনীতির পক্ষে না বিপক্ষে?
-জি আমি অনেকটা পক্ষে।
-খুব ভাল কথা।আমিও আপনার পক্ষে হলেও এখানে একটু দ্বিমত আছে আর তা হল- শুধু ছাত্র রাজনীতি নয় দলীও লেজুর ভিত্তিক অপছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।শুধু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে নেতাশুণ্য জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দেশ এক মহা সংকটে পড়ে যাবে।দেশ স্বাধীনে ভার্সিটির অসংখ্য ছাত্ররা পাকিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে বিদ্রোহ করেছিল-’৬৯ এ গণ আন্দোলনে তোফায়েল সাহেবের মত ছাত্র নেতাদের হুংকারেই কেপেঁছিল পাক সরকার।এরপর স্বৈরাচার এরশাদের পতনও কিন্তু এই ছাত্ররাই করেছিলো।হয়তো বলতে পারেন তখনকার ছাত্র-রাজনীতি আর এখনকার ছাত্র রাজনীতির মাঝে বিশাল নীতিগত পার্থক্য লক্ষণীয়।এর মধ্যে বুয়েট তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষনা করেছেন।
৯০ এর আগে শিক্ষাঙ্গণগুলোতে যে ছাত্র রাজনীতী হত তাহল ছাত্রদের কল্যায়ণে,শিক্ষাঙ্গণে ছাত্রদের মৌলিক দাবীগুলো পূরণে শিক্ষাঙ্গণ কর্তৃপক্ষকে চাপে রাখত।দলীও যোগাযোগও ছিলো তবে আজকের মত রাজনীতিবিদদের সাথে এতোটা ব্যাপক ও দহরম মহরম যোগাযোগ ছিলো না।বিএনপির আমলেও বিএনপি জামাত ছাত্রদের মাঝে লোভ লালসার একটি ক্ষেত্র তৈরী করে দেশের শিক্ষা ব্যাবসায় কর্পোরেট রাজনিতী ঢুকিয়ে দেয়। এরপর হতেই ছাত্র রাজনীতি বিতর্কীত হতে থাকে। প্রশ্ন করতে পারেন কেন এমনটি হয়? ছাত্ররা কেন নষ্ঠ রাজনীতির রাজনীতিবিদের সাথে নীবির যোগাযোগ রাখবেন বা রাখছেন- এর উত্তরও আছে। আপনি যদি লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন…এ দেশের প্রতিটি অঙ্গ পতঙ্গে সুবিদাবাদী রাজনীতিবিদরা মাকড়শাঁ জালের মত এমন ভাবে জাল বুণে রেখেছেন আপনি যেখানেই যাবেন, যে কোন কিছু করতে যাবেন সব খানেই রাজনীতির গন্ধ পাবেন।আপনাকে সেই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে রাজনীতিবিদদের আর্শীবাদ লাগবেই।আমি নিশ্চিৎ আপনি একটি সেক্টরও খুজে পাবেন না যেখানে অ-রাজনৈতীক বলে কোন কথা আছে।
সু-চতুর রাজনীতিবিদরা কৌশলে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গণগুলোকে রাজনৈতীক প্রভাব প্রতিপত্ত্বের আখড়া বানিয়ে ফেলেছেন।আবার দেখেন শিক্ষাঙ্গণ গুলোতে শুধু ছাত্ররাই রাজনীতি করেন না- শিক্ষকরাও রাজনীতির ঐ সব তথাকথিত রাজনীতির সাথে জড়িত তাও আবার খুব কৌশলে।সাদা লাল নীল বিভিন্ন রংয়ের ছলে-যার প্রার্থীতা,ভোটার সব দলীও নির্দেশেই হয়।কি দরকার আছে এমন রংয়ের বাহারে থেকে রাজনীতি করার-ওপেন হতে কি শরম লাগে! তাহলে এ সব ছল চাতুরী শিক্ষকের কাছ হতে কি শিক্ষা আমরা আশা করব বলেন? তেমনি কি বা আশা করতে পারি মেরুদন্ডহীন বুয়েটের ভিসির কাছ থেকে?আবরারের জানাজায় পর্যন্ত তিনি আসেননি।তার শিক্ষাঙ্গণে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। সবিই তিনি এবং শিক্ষরা জানতেন তবুও তারা ছাত্রদের কখনো বাধা দেননি।এর মুলে ছিলো রাজনৈতীক বৃহৎ শক্তি।
আজকে যে বুয়েটের আবরার হত্যা কান্ড নিয়ে এতোটা প্রতিবাদে ফেলে পড়ছি তা কি এক দিনের ঘটনায় বা এই এক আবরার হত্যাই? কখনোই না, এক আবরার হত্যার অন্তরালে লুকিয়ে আছে হাজারো নির্যাতীত নিষ্পেষিত সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের লোমহর্ষকর ঘটনা। দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোর মতন হলে সিট আছে কিন্তু একজন অরাজনৈতিক সাধারন ছাত্রকে দেবার অনুমতি নেই।শিক্ষাঙ্গণে উন্নয়ণমুলক কর্মকান্ডের টেন্ডার ট্রপে অসংখ্য ভাল মানের কন্টেক্টর আছে কিন্তু টাকা ছাড়া(চাদা) খালি হাতে তাকে কাজ দেয়ার পারমিশন নেই।আর পারমিশন থাকবেই বা কি করে আর ছাত্র নেতাদের এ সব ক্ষেত্রে সৎ থাকার উপায় বা কি! নিউজেই পেলাম একজন ছাত্রনেতাকে তার পদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয় রাজনৈতীক উপরের মহলকে তাহলে এখানে নীতির কথা আর উলুর বনে মুক্তা ছড়ানো সমান কথা।
আপনি যদি আবরার হত্যার ভিডিওটা দেখে থাকেন তবে বুঝতে পেরেছেন ছাত্ররা কতটা ভয়ংকর কতটা পাষান্ড।টর্চার শেলে তারা অবাধ্য ছাত্রদের কতটা নির্মম ভাবেই না অত্যাচার করে।এদেরকে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ করার চিন্তা করলে তা কখনোই সম্ভব নয় তার জন্য সব চেয়ে বেশী প্রয়োজন এ দেশের প্রতিটি রাজনৈতীক দলগুলোর শিক্ষাঙ্গণে তাদের সেবা ও শিক্ষার মান উন্নয়ণমুলক রাজনৈতিক থিম।দল ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকার জন্য যেন ছাত্রদের ঢাল হিসাবে ব্যবাহার করা না হয়।আমি ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নই কারন আজকের ছাত্ররাই আগামীকালের ভবিষৎ দেশ কর্তা।ছাত্ররাজনীতি হতে তুলে নিতে হবে রাজনৈতিক অপ ক্ষমতার প্রভাব, টেন্ডারবাজী, সিট দখলের চেষ্টা মোট কথা ছাত্ররাজনীতিতে থাকতে হবে সঠিক দিক নির্দেশনা ও নীতিগত স্প্রিহা।সর্বোশেষ বুয়েটের আন্দোলনরত ছাত্ররা শপথ নিয়েছেন-শিক্ষাঙ্গণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখে দেবার। দেখা যাক কত দুর কি হয়।
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কথা বললে কত কথাই বলা যায়।বলে কোন লাভ নেই আর বললেও কোন কাজে আসবে বলে মনে হয় না।চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী।দেশটা ভরে গেছে টাকার নেশাখোর আর পেশীযুক্ত রাজনীতিতে- এ থেকে সহজে পরিত্রাণ পাবার নয়।আমরা সকলে জানি এবং মানি বর্তমানে শিক্ষাঙ্গণে ছাত্র রাজনীতির নামে কি হচ্ছে কারা করছেন কেন করছেন ? সব জেনেও বলতে মানা শুনতে মানা দেখতে মানা যার নাম বাকহীন স্বাধীনতা এ বঙ্গমাতা।
সূপ্রিয় দর্শক, আবারো আসছি তবে ছোট্র একটা বিরতীর পর….সাথে থাকবে ক্যাসিনো সহ সামাজিক অবক্ষয়ের চমকপ্রদ কিছু ঘটনা- সঙ্গেই থাকুন।
গত পর্বটি পড়তে চাইলে ক্লিক করুণ
২৯টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
আমার মেধাবী ছেলে আবরার ফাহাদ সব পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। একশত নম্বরের মধ্যে সে সব পরীক্ষায় শতভাগ নম্বর পেয়েছে। বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের মেধাবী ছাত্র ফাহাদের তার কোন শত্রু ছিল না। কিন্তু কি কারণে আমার নিরপরাধ ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। আমি কিছুই চাই না, তোমরা শুধু আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও।’ ঠিক এই ভাবে কথাগুলো বলছিলেন নিহত ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। বুকফাটা কান্না আর আহাজারির মধ্যে বার বার সন্তানের কথা বলছিলেন মা রোকেয়া খাতুন। এ সময় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মনির হোসেন মমি
হুম ধন্যবাদ দাদা। আমিও শুনেছি তখন নীরবে অন্তরে হাহাকার জেগে উঠেছিল।
নিতাই বাবু
আমার এই মন্তব্যের লেখার মাঝেই আবরার’র মায়ে আহাজারির একটা ছবির লিংক দিয়েছিলাম, দাদা। ছবি আপলোড হয়েছিল ঠিক! কিন্তু ১০/১৫ মিনিট পর দেখি আমার দেওয়া ছবির লিংক কাটা। মানে, লেখা আছে ছবি নেই। কেন যে এমন হলো…!!!
মনির হোসেন মমি
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
নিতাই বাবু
ব্লগ মন্তব্য বক্সে ছবি আপলোডে যদি ব্লগের কোনপ্রকার সমস্যা হয়, তাহলে অন্তত মন্তব্যের বক্সে ছবি আপলোড করবো না। তা আমি আপনার মাধ্যমেই জানতে চাই, দাদা। যেহেতু আপনি এই সোনেলার পুরানো একজন সম্মানিত ব্লগার/লেখক।
মনির হোসেন মমি
মনে হয় না দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু আন্ধার আন্ধার লাগে!
পরিত্রাণের উপায় জানি না।
আল্লাহ আল্লাহ বলো মমিন।
মনির হোসেন মমি
এছাড়া আর উপায় কি…দয়ালই জানেন কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়। ধন্যবাদ ভাইজান।
সাবিনা ইয়াসমিন
তোর সব অঙ্গ প্রতঙ্গ নতুন কইরা লাগাইলেওতো আমার কথার শব্দ শুনেইতো তুই বুঝেছিস আমি কে? কারন বাল্যকালের বন্ধুদের ভুলা এতোটা সহজ নয়।,,,, কথাটি মনে ধরেছে। আসলেই কিছু কন্ঠ ভোলা যায়না।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এসেছেন লেখায়। সব দেখে শুনে একটা কথাই মনে আসে, আমরা এখনো বাক স্বাধীনতা লাভ করতে পারিনি। 🙁
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ আফা।বন্ধুটি এখন Rtv তে আছে।
নীরা সাদীয়া
সমসাময়িক বিষয়গুলো উঠে এসেছে। বিষয়গুলো আমাদেরকে ভাবিয়েছে। তবে ঢাকার যে বর্ননা দিলেন, ঢাকা শহর চিনলে তা পড়ে আনন্দ পেতাম। কিন্তু তেমন কিছু চিনি না, তাই বিদেশের বর্ননার মত লেগেছে কিছুটা 🤣
মনির হোসেন মমি
কন কি আপনি যে আমাগো মা চাচিগো মতন কথা কইলেন! এ যুগে এখনো ঢাকা শহর চিনেন না! অবশ্য আরো অনেকেই চেনেন না ।দেশতো আর দেশ নাই সর্বোত্রই বিদেশ হইয়া গেছে।এখন প্রয়োজনীয় সব কিছুই স্ব স্ব স্থানে পাওয়া যায় তাই অনেকের ঢাকা আসার প্রয়োজন পড়ে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভিন
আমিও কিছু চিনি না জানি না ঢাকা শহরের 😭😭
মনির হোসেন মমি
তাই! না জানাই ভাল এখানের প্রতিটি ইটের রন্দ্রে রন্দ্রে অগণিত মানুষের দীর্ঘশ্বাসের হাহাকার। নেই সবুজ অরণ্য নেই শান বাধানো পুকুরঘাট নেই জীবনের সজীবতা।ব্যাস্ততায় কে আপণ কে পর চেনা বড় দায়। অসংখ্য ধনবাদ আপু।
ইঞ্জা
চমৎকার এক সাৎক্ষাতকার পড়লাম, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্বটি বেশ লাগলো ভাই।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার এবং দুর্দান্ত প্রকাশ,,, বর্তমান পরিস্থিতিতে উপযুক্ত লেখা,,, মফিজ আবুলের কথোপকথন
ভালো লেগেছে,,,,
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
প্রদীপ চক্রবর্তী
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সমসাময়িক লেখনী দাদা।
আমরা বাক্ স্বাধীনতা লাভ করতে পারি নাই এখনো নির্বাক!
এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি।
তৌহিদ
গল্পে গল্পে সমসাময়িক অনেকে কথাই উঠে এসেছে। দেশের চলমান অস্থিরতা মফিজের ধারাবাহিক লেখায় এভাবে ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কর্ম নয়। আবরার হত্যার বিচার চাই, ক্যাসিনো কান্ডে জড়িতদের শাস্তি চাই। সমস্যা হচ্ছে রাজনীতিবিদরা সবাই একই সুরে কথা বলছেননা। যার যার সুবিধেমত বলছেন। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
লেখা ভালো লেগেছে ভাই।
মনির হোসেন মমি
সব শিয়ালের এক রা
ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সমসাময়িক পরিবেশ পরিস্থিতির উপর ভারসাম্যপূর্ণ লেখা ভালো লেগেছে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
সমাজের বাস্তবতা আপনি বরাবরই ফুটিয়ে তোলেন লেখায়,
এই লেখাও তার ব্যাতিক্রম নয়।
শুভ কামনা মনির ভাই।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
আরজু মুক্তা
সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে ভালো লিখলেন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।