জামালপুর জেলার অষ্টগ্রামের ছেলে সোহান। শৈশব থেকেই মেধাবী। স্কুল ও কলেজে সকলের কাছে সোহানের ভালোবাসা,আদর ও স্নেহ ছিলো অপরিসীম। বাবা একজন কৃষক। নিজেদের যতটুকু জমি-জমা আছে তাতেই কৃষি কাজে ব্যাস্ত থাকেন সোহানের বাবা। সোহান ও তার বোনকে নিয়ে জলিল শেখের সংসার। পাড়া গাঁয়ের স্কুলে লেখা-পড়া শেষ করে এস,এস,সিতে জিপিএ-৫ পেয়ে গ্রামের কলেজেই ভর্তি হয়। পাশের গ্রামের কবিতার সাথে সোহানের কলেজে পরিচয় হয়। কবিতা দেখতে সুন্দরী ও বুদ্ধীমতি। প্রথম বর্ষে সোহানের সাথে কবিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কলেজ ছুটির পর পড়ার বাহানা দিয়ে কবিতা প্রায়ই সোহানকে সঙ্গ দেয়। মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরায় কবিতাকে প্রায়ই ওর বড় ভাইয়ের রোষানলে পড়তে হয়। তা নিয়ে কবিতার কোন আক্ষেপ বা কষ্ট নেই। সোহানকে পেয়ে কবিতা সব হারাতে পারে। সোহানও কবিতার ভালোবাসকে মর্যাদা দিয়ে প্রেমকে শ্রদ্ধাভরে লালন করে। ছুটির দিনে দুজনই গ্রামের মেঠো পথে ঘুরে বেড়াতো। মধুময় প্রেমে জীবনকে আরো সুন্দর ভাবে পেতে চায় সোহান। কবিতার বাবা একজন ব্যবসায়ী। ওদের সম্পর্ক কোনভাবেই মেনে নেবে না ওর বাবা। সেটা বুঝতে পেরে ভালোবাসার কাছে হার মানতে চায় না সোহান। তাই ওর স্বপ্ন ও উচ্চ আকাংখা ছিলো, যে কোন মূল্যে কবিতাকে সোহানের জীবনে চাই-ই চাই। এভাবে দুটি বছর পার করলো। সোহান এবারো জিপিএ-৫ পেয়ে এইচ,এস,সি পরীক্ষায় পাশ করলো । জলিল শেখ ছেলেকে কলেজ পর্যন্ত পড়াতে হিমশিম খেয়ে যায়। তারপরও বাবা চায় তার ছেলে যেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কিছু একটা করে।
উচ্চশিক্ষার জন্য সোহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সফলতার সাথে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে অর্থনীতিতে লেখাপড়া শুরু করে। বাবার উপর যেন খরচের চাপ না পড়ে তার জন্য সোহান ঢাকায় দুটি টিউশনি করে। দুইজন ছাত্র পড়িয়ে মাস শেষে যা পায় তা দিয়ে সোহানের ভালোভাবেই চলে যায়। উপরোন্ত কিছু টাকা মাসে বাবাকেও পাঠায়। জলিল শেখ কোন ভাবেই ছেলের এত পরিশ্রম সহ্য করতে পারেন না। ছেলের মা’কে বলেন যত কষ্টই হোক সে কষ্ট করবে। কিন্তু সোহান যেন শরীরের উপর অত্যাচার না করে। মনোযোগ দিয়ে যেন লেখা পড়া চালিয়ে যায়। প্রায়ই সোহানের সাথে কবিতার কথা হয়। কখনো মোবাইলে আবারো কখনো ভাইবারে। কবিতার কথা মনে হলে সোহান সব হারিয়ে ফেলে। প্রতিষ্ঠিত হয়ে কবিতাকে ঘরে তুলতে হবে। এ ভাবনা সোহানকে তাড়িয়ে বেড়ায়। ঈদ ছাড়া সোহান খুব একটা বাড়িতে আসে না। ছুটিগুলি টিউশনিতে কাজে লাগায়। সোহানের অদম্য ইচ্ছা শক্তি একদিন প্রতিফলিত হবে এমন ধারনা কবিতা বরবারই বুকে লালন করে বেঁচে আছে।
দেখেতে দেখতে সোহান বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে। প্রস্তুতি নিচ্ছে বিসিএস এর জন্য। ৩৮ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেও সোহানের চাকুরী হলো না। সোহান হতাশাগ্রস্ত। সে বাড়ি ফিরে যায়। কারো সঙ্গে কথা বলে না। চুপ করে ঘরে শুয়ে বসে দিন পার করে। কবিতার সাথেও খুব একটা কথা বলতে চায় না। মানসিকভাবে সোহান ভেঙ্গে পড়ে। একদিন কবিতা সোহানের বাসায় এসে কথা বলে। কবিতা ঠান্ডা মাথায় বলে বি,সি,এসই জীবনের সব না। তুমি মেধাবী। যে কোন কর্পোরেট অফিসে চাকুরী খুঁজলে তুমি পাবেই। আস্তে আস্তে কবিতা ভালোবাসা দিয়ে সোহানকে মানসিকভাবে শক্ত করে তুলে। সাহস দেয়। তার পাশে সারাজীবন থাকার আশ্বাস দেয়। ভালোবাসা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে সোহান আবারো ঢাকায় আসে চাকুরীর খোঁজে। বেশ কয়েকটি কর্পোরেট অফিসে সিভি জমা দেয়। টিউশনির জমানো টাকা হাতে ছিলো। সেটা দিয়েই চলছে।
সোহান যে মেসে থাকে সেখানে বেশ কয়েকজন শেয়ার রাইডার ‘পাঠাও’ বাইক চালায়। দিন শেষে হাজার ১৫০০ টাকা আয় করে। একদিন সোহাান ভাবে ওদের সাথে আমিও শেয়ার রাইডিং এর ব্যবসা করি। আর ফাঁকে ফাঁকে জব খুঁজি। কবিতাকে সোহান সব খুলে বলে। কবিতা সম্মতি দেয়। হাতে যে টাকা ছিলো তা দিয়ে একটি সেকেন্ডহ্যান্ড বাইক নেয়। শেয়ার রাইডার পাঠাও-তে নিবন্ধন করে। উদ্যম গতিতে বাইক নিয়ে ছুটে আর স্বপ্ন দেখে চাকুরীটা হলে কবিতাকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে আসেব। সংসার করবে। কবিতার কোল জুড়ে ফুঁটফুঁটে সন্তান আসবে। ইত্যাদি ইত্যদি।
এরই মধ্যে কবিতার বাবা বিয়ের জন্য ছেলে দেখছেন। পাশের বাড়ির ছেলে শোভন গ্রামের বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী। কবিতাকে খুব পছন্দ করে। একদিন কবিতার বাবার সাথে শোভনের বাবা কথা বলেন যে, কবিতাকে তার পুত্রবধূ করে নিতে চায়। কবিতার বাবাও শোভনকে পছন্দ করে। প্রায়ই শোভন কবিতাদের বাসায় আসে। কিন্তু কবিতা খুব একটা কথা বলে না। কবিতা তার বাবাকে জানিয়ে দেয় বিয়ে করতে হলে সোহানকেই করবে। অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। প্রয়োজনে গলায় দড়ি দিয়ে মরবে। বাবা কবিতার কথা শুনে বিয়ের জন্য আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন । সোহানের সঙ্গে কবিতা সব খুলে বলে। শুনে সোহান বলে আর মাত্র কয়েকটা দিন। চাকুরীটা হলো বলে। পরে তোমাকে বউ করে নিয়ে আসবো আশায় বুক বেঁধে চাপা কান্না করে কবিতা। দিন গুনতে থাকে কখন তার স্বপ্ন পূরন হবে।
সোহান রাত-দিন পরিশ্রম করে। অন্যদের চেয়ে তার আয় বেশী। সময়কে মূল্য দিয়ে দূর্বার গতিতে ছুটছে। শেয়ার রাইডিং ব্যবসায় ভালো আয় থাকায় চাকুরীর মোহটা সোহানের মাথা থেকে আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। ভাবছে আরেকটা বাইক কিনে বেতনে একজন চালক রাখবে। দিন দিন সোহান দুরস্ত ব্যবসায়ী হয়ে উঠছে। কবিতাও সোহনকে বুদ্ধি দিচ্ছে। দুজনের পরিকল্পনার শেষ নেই। এরই মধ্যে ভবিষ্যত স্বপ্নে বিভোর দুজন।
শেয়ার রাইডিং ব্যবসার যাত্রী নারী ও পুরুষ। মাঝে মাঝে সোহানকে নারী যাত্রী নিয়েও রাইড করতে হয়। তাতে সোহানের কোন লজ্জা বা আপত্তি নেই। সতীর্থদের সাথে আলাপ-চারিতায় সোহান বলে মেয়ে যাত্রীরা ভীতু। ব্রেক কষলেই জড়িয়ে ধরে। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসি তামাশাও হয়। কবিতা প্রায়ই ফোনে বলে আহারে আমি যদি তোমার পিছনে বসে ঢাকা শহর ঘুরতে পারতাম। কতই না মজা করতাম। সোহান বলে হবে হবে। কবিতা জানতে চায় চাকুরীর কি অবস্থা। সোহান সোজা-সাপ্টা উত্তর দেয় চাকুরীর ভাবনা এখন মাথায় নেই। আমি বিয়ের পর অন্য ব্যবসায় যাবো। নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবো। তুমি শুধু আমার পাশে থেকো।
শেয়ার রাইডিং ব্যবসায় সোহান এমনভাবে জড়িয়েছে যে কবিতার খোজ রাখার সময়টুকু পায় না। সারাদিন বাইকে থাকায় ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে মোবাইল বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। কবিতার সাথেও কথা কম হয়। মাঝে মাঝে কবিতা ভাবে সেহান তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে নাতো? নানান প্রশ্ন কবিতার মাথায় আসে। কবিতার সন্দেহ বাড়তে থাকে। এরই মাঝে শোভন কবিতাকে সরাসরি বিয়ের কথা বলে। কবিতা সুন্দর করে শোভনকে বুঝিয়ে বলে সে সোহানকে ভালোবাসে এবং তাকেই বিয়ে করবে।
সোহান নিজেকে অল্প দিনে শেয়ার রাইডিং ব্যবসায় গুছিয়ে নিয়েছে। বেশ ভালো আয় করছে। এখন তার ৫টি বাইক ভাড়ায় চলে। মাসে প্রায়ই ১ লাখ টাকা আয়। কবিতাকে নিয়ে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করবে। ব্যবসায় কবিতাকে জড়াবে। দুজনে মিলে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করবে। বাবা মা ও ছোট বোনকে তাদের সাথে রাখবে। সব পরিকল্পনা সাজিয়ে কবিতাকে সারপ্রাইজ দেবে। এই ভাবনায় দ্রুত গতিতে সোহান চলছে।
শোভনকে ঢাকা ইসলামপুর কাপড়ের বাজারে প্রায়ই আসতে হয়। শোভন গাবতলী বাস টার্মিনালে নামার পর দেখে সোহান তার বাইকের পিছনে সুন্দরী এক মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে। সামনে জ্যাম থাকায় সোহান বাইক থামিয়ে দাঁড়ায়। এরই মাঝে শোভন তার মোবাইলের ক্যামেরায় বেশ কিছু ছবি নেয়। গ্রামের বাড়িতে এসে কবিতাকে সব খুলে বলে। কবিতা বিশ্বাস করে না। পরে বলে তার কাছে ছবি আছে। কবিতার ছবি দেখতে চায়। শোভন ছবি দেখায়। কবিতা ছবি দেখে চুপ হয়ে যায়। শোভনকে বিদায় করে কবিতা ফোন দেয়। সোহান ফোন রিসিভ না করায় কবিতার সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। কবিতা এখন কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। বেশ কয়েকবার ফোন দেবার পরও যখন সোহান ধরছে না তখন কবিতা শোভনের রং মাখানো সব কথা বিশ্বাস করে। রাতে বাসায় ফিরে সোহান ফোন ব্যাক করলে কবিতা বলে সারাদিন ফোন কেন করেনি? সোহান বলে যাত্রী নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় ফোন ধরার সুযোগ হয়নি। কবিতা কথা না বাড়িয়ে আগামীকাল বাড়িতে আসতে বলে। সোহান বাড়ি আসে।
বাড়িতে পৌছে সোহান কবিতার সাথে দেখা করে। কবিতা ছবি দেখিয়ে জানতে চায় মেয়েটি কে? সোহান যতই বলে তার যাত্রী ততই কবিতা অশ্রাব্য ভাষায় সোহানকে গালি-গালাজ করে। সোহানের সাথে বাক-বিতন্ডা শেষে মিথ্যুক,প্রতারক,চরিত্রহীন বলে কবিতা চলে যায়। সোহান জ্ঞান হারা হয়ে নিজ বড়িতে না যেয়ে ঢাকায় চলে আসে। তিনদিন বাইক না চালিয়ে কবিতাকে বুঝাতে চায় আসলে সে যা ভাবছে তা ঠিক নয়। কবিতা কোন কথাই শুনতে বা বলতে রাজি না। সোহান জীবনে বড় আঘাত পেয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। এদিকে কবিতাও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক সপ্তাহ সোহান ঘরে বসে সময় কাটায়। নান চিন্তা সোহানের মাথায় আছে। সে বুঝতে পারছে না কিভাবে কবিতাকে বুঝাবে।
সাতদিন পর সোহান বাইক নিয়ে বের হয়। শাহবাগ থেকে একজন যাত্রী নিয়ে রওনা হয় কচুক্ষেতে। কবিতার কথাগুলি বার বার কানে ভেসে আসে। কবিতা অবিশ্বাস করায় নিজেকে সামলাতে পারছে না। এমন সময় যাত্রী চিৎকার করে বলে ভাই সামনে ট্রাক। যাত্রী বাইক থেকে নামতে পারলেও সোহানের কোন খেয়াল ছিলো না সামনে কি ঘটতে যাচ্ছে। এরই মাঝে যন্ত্রদানবটি সোহানের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিমিষেই শেষ করে দেয়। সোহানের নিথর দেহটি পড়ে থাকে বিজয়নগরীর ফোয়ারার সামনে। পুলিশ এসে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। পোষ্ট মর্টেমের সময় সোহানের পকেটে থাকা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
তাতে লেখা ছিলো-
কবিতা বহু আগেই আত্মহত্যার জন্য নিজেকে তৈরী করেছিলাম। পারিনি তোমার ভালোবাসাকে মর্যাদা দেবো বলে। তুমি যখন মাথায় হাত বুলিয়ে বললে তোমার ভালোবাসার কসম হতাশা না হয়ে সামনে দিকে অগ্রসর হও। তখন থেকেই তোমাকে বুকে ধারন করে নতুন ভাবে পথ চলা শিখি। মিরপুরের বেনারসী পল্লী থেকে তোমাকে নিয়ে বিয়ের শাড়ি কিনবো বলে তোমার ডাকে বাড়ি ছুটে যাই। আমি ভাবতে পারিনি তুমি আমাকে অবিশ্বাস করবে।
সেই মেয়েটি ছিলো আমার বাইকের একজন যাত্রী। শুধু আমি একা নই। ঢাকা শহরে যারাই শেয়ার রাইডিং ব্যবসা করেন তারা নারী-পুরুষকে যাত্রী করে ছুটে বেড়ায় যার যার গন্তব্যে পৌছে দেবার জন্য। মেয়েটির মা মৃত্যু শয্যায় ছিলো। মেয়েটি খুলনা থেকে সেদিনই আসে মৃতযাত্রী মায়ের পাশে থাকতে। আমি মেয়েটিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পৌছার পর জানতে পারে ওর মা মারা গেছেন। আমি বাইকের ভাড়া না নিয়েই মেয়েটিকে সান্তনা দিয়ে চলে আসি। তুমি জানতেই চাইলে না মেয়েটি কে?
আমাদের যার যার অবস্থান থেকে যদি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে না পারি তবে আমাদের ভবিষ্যত স্বপ্নই থেকে যাবে। যেমন তোমার আমার পরিকল্পনা স্বপ্নই রয়ে গেলে।
নিজেকে বদলাতে যেদিন পারবে সেদিন আমাকে তুমি পাবে না।
লেখাটি পড়ে শেষের দিকে সত্যিই আবেগময় হয়ে উঠলাম ভাইজান। শুধুমাত্র আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারনেই শত বাধাবিপত্তি জীবনে চলে আসে। সবারই নিজেদের চিন্তা ভাবনাগুলোর সফলতা বিফলতা আগুপিছু ভাবা উচিত।
এমনই করে কতো সোহান না তার স্বপ্ন চুরমার হতে দেখছে, এইভাবেই না কতো সোহান নিজেকে বিষর্জন দিয়ে তার ভালোবাসা, তার আত্মত্যাগের পরিচয় দিচ্ছে তা আমরা কয়জনই বা জানে?
লেখাটি মন ছুঁয়ে গেলো ভাই।
আমি চাই আমাদের নিজের সৎ চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটুক। কিন্তু তা আর ঘটতে দেখি না। আপনার লেখা পড়ে সত্যি আবেগপীড়িত হয়ে উঠলাম। এক সোহানার কাহিনী পড়ে সমাজের আর দশজন সোহানাকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। ওঁরাও সোহানার মতো।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয়।
দাদা, আমি আজ বিশেষ জরুরি কাজে ঢাকা গিয়েছিলাম। গুলিস্তান যখন আসি, তখন কিছু হোন্ডা দেখে আপনার কথা মনে পড়ে গেল। মনে মনে ভাবতে লাগলাম, ‘যদি দাদার একটা ফোন নম্বর থাকতো, তাহলে দেখা হতো, কথা হতো, আড্ডাও হতো। কিন্তু হায়! ফোন নম্বর যে নেই!
শেষ দিকে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
বিশ্বাসটা হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি, এটি না থাকলে ভালোবাসাও থাকেনা।
কিছু মানুষ থাকেই যারা নিজেরা যা ভাবে, এটিই চুড়ান্ত হিসেবে ধরে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
ভালো থাকুক সোহানরা,
আর কোনো সোহানের যেন এমন পরিনতি না হয়।
শেস তোক চোখে পানি আসে ছাপ্সা চোখে পড়েছি, রিডিং চস্মায় পোরি ও লিখি সেই চস্মা অফিসেই রেখে আসি। বাসের চাপায় নস্ট হবে বলে।
আসলেই এই কবিতারা স্বপন দেখে সত্যি, ভালবাসে তাও সত্যি কিন্তু বিপদের সত্য বুঝতে পারেনা, সেটা আর বেশি কস্টের শামিম ভাই।
আসলেই নিজেই মাঝে মাঝে খই হারায় কাকে ক বলব!!! ভাল লাগা রেখে গেলাম।
২৫টি মন্তব্য
তৌহিদ
লেখাটি পড়ে শেষের দিকে সত্যিই আবেগময় হয়ে উঠলাম ভাইজান। শুধুমাত্র আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারনেই শত বাধাবিপত্তি জীবনে চলে আসে। সবারই নিজেদের চিন্তা ভাবনাগুলোর সফলতা বিফলতা আগুপিছু ভাবা উচিত।
সোহানরা ভালো থাকুক সবসময় এটাই কাম্য। গল্প ভালো লেগেছে ভাইজান।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ ভাইজান।
নীরা সাদীয়া
অবিশ্বাস দানা বেধে উঠেছিল। তার নির্মম পরিনতি।
৩৯ বিসিএস শুধু ডাক্তারদের নিয়োগ ছিলো। সোহান পড়তো ঢাবিতে। যাই হোক, গল্প তো গল্পই। গল্পটা একটা শিক্ষা হয়ে রইলো পাঠকদের জন্য।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ আপু। অজানাকে জানানোর জন্য।
ইঞ্জা
এমনই করে কতো সোহান না তার স্বপ্ন চুরমার হতে দেখছে, এইভাবেই না কতো সোহান নিজেকে বিষর্জন দিয়ে তার ভালোবাসা, তার আত্মত্যাগের পরিচয় দিচ্ছে তা আমরা কয়জনই বা জানে?
লেখাটি মন ছুঁয়ে গেলো ভাই।
শামীম চৌধুরী
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান। আপনি আমার প্রেরনা।
ইঞ্জা
আমি আপনার ভক্ত। 😊
নিতাই বাবু
আমি চাই আমাদের নিজের সৎ চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটুক। কিন্তু তা আর ঘটতে দেখি না। আপনার লেখা পড়ে সত্যি আবেগপীড়িত হয়ে উঠলাম। এক সোহানার কাহিনী পড়ে সমাজের আর দশজন সোহানাকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। ওঁরাও সোহানার মতো।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয়।
শামীম চৌধুরী
আমি কৃতার্থ দাদাভাই। সব সময় আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
নিতাই বাবু
দাদা, আমি আজ বিশেষ জরুরি কাজে ঢাকা গিয়েছিলাম। গুলিস্তান যখন আসি, তখন কিছু হোন্ডা দেখে আপনার কথা মনে পড়ে গেল। মনে মনে ভাবতে লাগলাম, ‘যদি দাদার একটা ফোন নম্বর থাকতো, তাহলে দেখা হতো, কথা হতো, আড্ডাও হতো। কিন্তু হায়! ফোন নম্বর যে নেই!
জিসান শা ইকরাম
শেষ দিকে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
বিশ্বাসটা হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি, এটি না থাকলে ভালোবাসাও থাকেনা।
কিছু মানুষ থাকেই যারা নিজেরা যা ভাবে, এটিই চুড়ান্ত হিসেবে ধরে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
ভালো থাকুক সোহানরা,
আর কোনো সোহানের যেন এমন পরিনতি না হয়।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ভালোবাসা প্রেম কেন এত ঠনকো জিসান ভাই?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি গল্প লিখছেন দেখে ভালই লাগল।
আরও লিখুন।
শামীম চৌধুরী
চেষ্টা করা আর কি হেলাল ভাই।
আরজু মুক্তা
অসাধারন গল্প। মন কেড়ে নিলো।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ আপু।
মনির হোসেন মমি
লেখাটি মানুষকে সচেতন করবে। চমৎকার লেখা। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো না গেলে সামাজিক অবক্ষয় কমবে না।
শামীম চৌধুরী
কথা সত্য বলেছেন।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শামীম চৌধুরী
সবাইকে ধন্যবাদ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
গল্পটি সমাজের বর্তমান চিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। পড়ে ভালো লেগেছে।
আরো গল্প লিখুন।
শামীম চৌধুরী
চেষ্টা করবো।
মোঃ মজিবর রহমান
শেস করতে পারিনিন সবার আসব ভাই
শামীম চৌধুরী
শেষ করার পর আপনার অনুভুতির অপেক্ষায় রইলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
শেস তোক চোখে পানি আসে ছাপ্সা চোখে পড়েছি, রিডিং চস্মায় পোরি ও লিখি সেই চস্মা অফিসেই রেখে আসি। বাসের চাপায় নস্ট হবে বলে।
আসলেই এই কবিতারা স্বপন দেখে সত্যি, ভালবাসে তাও সত্যি কিন্তু বিপদের সত্য বুঝতে পারেনা, সেটা আর বেশি কস্টের শামিম ভাই।
আসলেই নিজেই মাঝে মাঝে খই হারায় কাকে ক বলব!!! ভাল লাগা রেখে গেলাম।