
ভাল আছি ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো,
দিও তোমার মালাখানি বাউলের এই মনটারে..
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরমের মূল পথ ধরে
পুষে রাখে যেমন ঝিনুক
খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
ভিতরের নীল বন্দরে
ভালো আছি, ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ
দিও তোমার মালা খানি
বাউল এর এই মন টা রে …”
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, একজন জনপ্রিয় কবি ছিলেন। প্রেমিক মাত্রই জানেন তার লেখায় প্রেমের চিত্র আর অভিব্যাক্তি কত নিখুঁত ভাবে প্রকাশিত হতো। তবে সব কবিতা আর লেখা ছাপিয়ে তিনি মানুষের মনে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন কালজয়ী এই গানটি লিখে। শোনা যায় এটি প্রথমে তিনি গান হিসেবে ভেবে লেখেননি। প্রিয়তমা স্ত্রী এপার-ওপার দুই বাঙলার আরেক স্বনামধন্য লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে উদ্যেশ্য করেই চিঠিখানা লিখেছিলেন। যা পরে গান হিসেবে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে ছিলো।
কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আর লেখিকা/কবি তসলিমা নাসরিন ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন। একাধিক প্রেমের অভিযোগ আর অসংযত জীবন-যাপনের জন্যে বিয়েটা একসময় ভেঙে গিয়েছিলো। বিচ্ছেদের পর চার বছরের বেশি বাঁচতে পারেনি রুদ্র। ১৯৯১ ইং সে সকল প্রেম-মায়া-জাগতিক বন্ধন ত্যাগ করে চলে যান তার কাঙখিত আকাশের ঠিকানায়। যেখানের ঠিকানা ব্যাবহার করতেন তার কবিতায়-গানে।
রুদ্রের মৃত্যুর পর তার চিঠির জবাব দিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। যদিও খুব কম সংখ্যার পাঠকগন সেই চিঠির খবর জানেন। তার লেখা গল্পগ্রন্থ “দুঃখবতী মেয়ে”তে ছিলো সেই চিঠির জবাব। এই চিঠি নিয়ে কেউ গান তৈরি করেনি।চিঠিতে কি লেখা ছিলো?..
প্রিয় রুদ্র,
প্রযত্নে, আকাশ
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুরে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে – করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে – হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।
আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু’জন জন্মেছি দু’জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।
আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গারা খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতম করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?
শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে … তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।
আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোত্স্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।
ইতি,
সকাল
(পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?)
———————————–
রুদ্র নেই, অকাল মৃত্যু তাকে নির্বাসিত করেছে না ফেরার দ্বীপে। তসলিমা কি ভুলেছে রুদ্রকে? কেমন করে ভুলবে! তার কাছে এখনো আছে আকাশের ঠিকানা। এভাবেই কেউ চলে যায়, কেউ ভুলে যায়,কেউ হারিয়ে যায়,কেউ ভুলেও ভুলতে পারেনা….
* ছবি-নেট থেকে নেয়া।
২১টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
এরকম আর একটা পড়েছিলাম। রুদ্রর চিঠির উত্তর উনি দিয়েছিলেন। আগে তসলিমাকে কতো গালি দিয়েছিলো মানুষ। এখন দেখা যায় উনিই সঠিক।
ভালো লাগলো আপনার পরিবেশনা।
শুভকামনা!
সাবিনা ইয়াসমিন
তসলিমা নাসরিনকে মানুষ আগে গালি দিতো, এখনো দেয়, হয়তো আগামীতেও দিবে। লেখক তসলিমা আর ব্যাক্তি তসলিমাকে যারা এক করে দেখে, সমস্যা তাদের। বাক স্বাধীনতার স্বাদ সবার উপভোগ্য হয়না।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুভ কামনা 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
আসলে আমাদের দেশে বেশ কয়েক জনপ্রিয় রোমান্টিক কপল ছিলো তাদের বিচ্ছেদ কিংবা অকালে পরপারে চলে যাওয়া যাই হোক না কেন তাদের মধ্যে প্রেম বা ভালবাসা এক এবং অভিন্ন।দেহ বিচ্ছেদ হলেও ভালবসা বিচ্ছেদ হয়নি।স্বরণ করেছেন তাদেরই বিভিন্ন লেখায় কথার আড্ডয় গানে কিংবা কবিতায়।
এ গানটি আমাদের সময়কার হলেও গানটি এখনো বেশ জনপ্রিয়।খুব ভাল একটি পোষ্ট।যারা তসলিমা নাসরিনের এ চিঠিটি পড়তে পারেননি তারা পড়তে ও জানতে পারবেন এর অন্তনিহিত তাৎপর্য কি ছিলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ মমি ভাই। কত কিছু হারিয়ে যায়, কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা আর কিছু সুর কখনো হারায় না।
শুভ কামনা 🌹🌹
রুদ্র আমিন
কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রিয় কবি’দের মাঝে একজন তিনি। তিনি আছেন, থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
তিনি আছেন, তিনি থাকবেন। তার সৃষ্টি তাকে অমর করে রেখেছে।
ধন্যবাদ রুদ্র। শুভ কামনা 🌹🌹
নিতাই বাবু
শিরোনামঃ ”ভাল আছি, ভালো থেকো”
সুরকারঃ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
গীতিকারঃ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
মুভিঃ “তোমাকে চাই”
কন্ঠঃ এন্ড্রু কিশোর/কণকচাঁপা
একসময়ের সেই আলোচিত গানটি
এখানে দেখুন এবং শুনুন !
সাবিনা ইয়াসমিন
নব্বই দশকের এক ঈদের ব্যান্ড শো অনুষ্ঠানে প্রথম শুনেছিলাম এই গানটি। এরপর আমি বড় হয়েছি, যাদের মুখে মুখে গানটি ছড়িয়ে পরেছিলো তারা বৃদ্ধ হয়েছেন। কিন্ত এই গানটি মলিন হয়নি এতটুকু। পরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ অভিনীত একটি ছবিতে গানটি দেখেছিলাম।
ধন্যবাদ দাদা। দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্যে দুঃখিত। ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
মোস্তাফিজুর খাঁন
পোষ্ট কোড পেলে আকাশের ঠিকানায় আমিও চিঠি লিখার চেষ্টা করবো ।
💟💟 রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ 💟💟
সাবিনা ইয়াসমিন
আকাশের ঠিকানা সবারই জানা থাকে। তবে যতক্ষন না কেউ মাটির মায়ায় আচ্ছন্নতা কাটাতে পারে, ততক্ষন পর্যন্ত ঐ ঠিকানায় পোস্ট করেনা
তোমার সামনে অবিরত সবুজ প্রান্তর পরে আছে। সেই ঠিকানায় লেখো, আমরাও একটু পড়ে দেখি।
শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
“প্রেমিক মাত্রই জানেন তার লেখায় প্রেমের চিত্র আর অভিব্যক্তি কত নিখুঁতভাবে প্রকাশিত হতো।”
ইস যারা প্রেমিক না তাদের তো দেখছি করল্লা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
এ চিঠিটি নন্দিত হয়নি, তাই তা পৌঁছেনি যতদূর পৌঁছানোর কথা ছিল,
আপনার লেখায় পাঠকেরা প্রায় আড়ালে চলে যাওয়া চিঠিটি পড়ার সুযোগ পেল।
আপনার লেখা কৈ!
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রেমিক তার লেখায় যা পাবে, অপ্রেমিক তার থেকে কিঞ্চিৎ কম পাবে বলেই মালুম হয়। কি আর করা 😉
আপনি কি পেয়েছেন তাতো জানালেন না!!
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভালো লেখনী দিদি।
.
রুদ্র আজও আছেন স্মৃতিতে।
তসলিমার কাছে এখনো আছে আকাশের ঠিকানা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ প্রদীপ। গানটি আমার অত্যন্ত পছন্দের।
শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
গানটি আমার খুব প্রিয়। ভালোবাসারা এমন আবেগীই হয়। তবে সেই আবেগের মর্যাদা সম্মান সবাই দিতে পারেনা।
ভালো লেগেছে আপনার অন্যান্য লেখার মত গুছানো এই লেখাটিও।
শুভকামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভালোবাসার সম্মান সবাই দিতে পারেনা বলেই হয়তো ভালোবাসা এত দামী হয়।
আপনাকেও শুভেচ্ছা, শুভকামনা 🌹🌹
মোহাম্মদ দিদার
চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছে।
বেশ ভালো লাগলো
শাহরিন
জ্বি ছোট বেলায় এই গান অনেক শুনেছি। আমার বড় বোনের খুব পছন্দের গান ছিল এটা।
রেজওয়ান
খোলা চিঠিটা অসাধারণ আপি😇”ভাল আছি ভালো থেকো” আমার প্রিয় গানগুলোর মধ্যে একটা❤
জিসান শা ইকরাম
রুদ্রের এই গানটির কারনেই তার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম,
রুদ্রকে লেখা তাসলিমার এই চিঠি প্রথম পড়লাম আপনার কল্যাণে।
তারা দুজনই কবি/ লেখক ছিলেন। একারণে মনের কথা গুলো সফল ভাবে প্রকাশ করতে পেরেছিলেন।
তাসলিমার উচিৎ ছিলো এই চিঠিটি রুদ্র বেঁচে থাকাবস্থায় প্রকাশ করা, তিনি চিঠিটি লিখেছেন এমন সময় যখন রুদ্র এর উত্তর দিতে পারবেন না। তাসলিমা এটি ইচ্ছে করেই করেছেন। কারণ তিনি জানতেন রুদ্র এর উত্তর দিতে পারবেন। যেহেতু রুদ্র মারা যাবার পরে এই চিঠি প্রকাশ করেছেন, রুদ্রের প্রেমিক সম্পর্কে তাসলিমা যে সব বললেন তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। তাসলিমার প্রতি আমার এক অন্য রকমের শ্রদ্ধা বোধ ছিলো, রুদ্রর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে এই চিঠি প্রকাশে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বোধটি এখন আর নেই। এমনো তো হতে পারে তাসলিমারও একাধিক প্রেমিক ছিলো, রুদ্র তা জেনে ইচ্ছে করেই শিমুলের কথা তাসলিমাকে বলেছিলেন। এই চিঠি প্রকাশে আমার কাছে এমনই মনে হচ্ছে এখন।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
আকবর হোসেন রবিন
এই চিঠিটা আগেও পড়েছি। গান তো কতোবার শুনেছি তার হিসাব নেই। কিন্তু এই ঘটনাটা আমাকে বারবার আহত করে। আমার হৃদয়ে ভাংচুর করে। আবার কখনও পুরানো স্মৃতি মনে করে হাসি। আমি যখন ইন্টারে পড়ি, তখন ক্লাস নাইনে পড়ুয়া একটা মেয়ের সাথে প্রেম হয়েছিল। তখন আমাদের দুজনের কারো কাছেই মোবাইল ছিলোনা। সব কথা হতো চিঠির মাধ্যমে। ২০১৩-২০১৪ সালের ঘটনা। মনেহয়, এই যুগে চিঠি দিয়ে সর্বশেষ প্রেম করেছি আমরা। কষ্টের কথা হলো, এখন আমাদের দুজনের সাথেই মোবাইল আছে, কিন্তু দিন-সপ্তাহ-মাসে দূরে থাক, বছরে একবারও কথা হয়না।