
সরকারি ভাবে সৌদি আরব সম্রাজ্য মধ্যপ্রাচ্যের একটি সার্বভৌম আরব রাষ্ট্র যা ২১, ৫০, ০০০ বর্গ কিমি আয়তনের
এদেশটি এশিয়ার সব চেয়ে বড় আরব দেশ এবং আলজেরিয়ার পরে আরব বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।এ দেশেই রয়েছে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় এবং সেরা ধর্মীও স্থান মক্কা আর মদিনা শরীফ যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে প্রতিনিয় ভ্রণ করেন লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রান মুসলিম সম্প্রদায়।যেখানে মক্কা মদিনা ছাড়াও রয়েছে দর্শনীয় অনেক স্থান যার মধ্যে মদিনার পথে এই জিনের পাহাড়।চলুন কিছুটা জানার চেষ্টা করি বিস্ময়কর এই জিনের পাহাড়ের বৈশিষ্টগুলো।
মদিনা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মদিনা থেকে বের হয়ে কিছু খেজুর বাগান পার হলেই দেখা যাবে সেই পাহাড়ের অঞ্চল যাকে অনেকে জিনের পাহাড় বলেন তবে আরবরা এটাকে ওয়াদি অথাৎ পানি জমা হওয়া ছোট ছোট খাল বলে থাকেন।আর পাহাড়গুলো দেখতে অনেকটা ন্যাড়া সূচের মত ফলা ফলা মাটি যেন মনে হয় যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়বে কিন্তু না।এ রকম পাহাড় মক্কা মদিনা তায়েফ এর অন্য কোন এলাকায় সাধারনতঃ দেখতে পাওয়া যায় না।এ সব পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে বয়ে পেছে পিচ ঢালা পথ।আর এমন পথকে ঘিরেই লুকিয়ে আছে বাস্তবতার নিরিখে বিস্ময়কর তথ্য।
মাধ্যাকর্ষন সুত্রের মতে গাড়ি বা যেকোনো বস্তু তার নিচের দিকে প্রবাহিত হয়।কিন্তু এ পাহাড়ের একে বেকে পথে ঘটে
উল্টো ঘটনা।চলন্ত কিংবা বন্ধ অবস্থায় গাড়ী চলে উচু পথের দিকে অথাৎ মদিনা শরীফের দিকে।অথচ এ পাহাড়টি থেকে মদিনার পথে যাওয়ার সড়কটি উচুর দিকে ধাপিত।এ ছাড়াও আরেকটি বিস্ময়কর তথ্য হল এই সড়কের একে বারে শেষ প্রান্তে প্রায় ১০ কিলো মিটার সড়কে গাড়ি চলতে কোন তেল লাগেনা। ইজ্ঞিন বন্ধ অবস্থায়ও গাড়ি চলে ঘন্টায় সর্রোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার বেগে। এ পাহাড়ের উচুর দিকে শুধু গাড়ি চলা নয়,পানির বোতল কিংবা পানি ফেললে, জুতা রেখে দিলে তাও ঢালুর বিপরীত দিকে গড়াতে থাকে।
সেখানকার বাসিন্দাদের মুখে শুনা যায় এখানে কোনো জিন-টিন এর অস্তিত্ব নেই, এটা আসলে “আরদে মুকাদ্দাস” বা পবিত্র মাটি। এই পাহাড়ের উপর দিয়ে নাকি বিমানও যেতে পারে না। আরো জানা যায় যা কেবল হাদিস দ্বারা প্রমানীত,এই পাহাড়ের উপর উঠে নবী করিম (সা.) জিনদের ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তখন নাকি কিছু জিন দুষ্টুমি করে পালিয়ে যেতে চাইলে বয়স্করা তাদের পালানো রোধ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয় তাদের পথ উল্টে দিয়ে। তাই এখানে সবকিছু উল্টো চলে।
বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর বরাতে জানা যায় ২০০৯-২০১০ সালের দিকে সৌদি সরকার ওয়াদি আল বায়জায় একটি রাস্তা বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু রাস্তাটা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজ করার পর সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ দেখা যায় রাস্তা নির্মাণের যে সব যন্ত্রপাতিগুলো ব্যাবহৃত হত তা আস্তে আস্তে মদিনা শহরের দিকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে গড়িয়ে চলে যাচ্ছিল। যেনো অদৃশ্য কোনো শক্তি যন্ত্র পাতি গুলো উচু পথে মদিনার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পিচ ঢালাইয়ের ভারী রোলার গুলোও নাকি বন্ধ থাকা অবস্থায় আস্তে আস্তে ঢালুর দিকে না গিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এমন কান্ড স্বচোক্ষে দেখে কর্মরত শ্রমিকরা ভয় পেয়ে কাজ করা বন্ধ করে দিলে প্রস্তাবিত প্রায় ২০০ কিলোমিটার রাস্তাটি মাত্র ৪০কিলোমিটার নির্মান করা হয়। যেখানে রাস্তার কাজটি বন্ধ হয় সেখানকার চারদিকটা বিশাল বিশাল কালো পাহাড়ে আবদ্ধ ছিলো।সেই পাহাড়ের পাদদেশে গোল চত্বরের মতো করে আবার মদিনায় আসার ব্যাবস্থা করা হয়।
বিস্ময়কর পৃথিবীতে এ পাহাড়টি আরেকটি বিস্ময়কর স্থান যার অনেক প্রশ্নের উত্তরই এখনো সমাধান হয়নি।অনেকে বলেন এ পাহাড়ের পথে উচুর দিকে গাড়ী আপনা আপনি এগিয়ে যায় তাহলে এ পাহাড়ের মাটিতে বা পাথরে চুম্বকের বিশেষত্ব কিছু একটা আছে কিন্তু আমরাতো জানি যে চুম্বক কেবল লোহাকে টেনে নেয় কিন্তু এ পাহাড়ের উচুর দিকেতো ধাপিত হয় অন্যান্য বস্তুও যেমন পানি,বোতল,গাড়ীর চাকা,কিংবা শুষ্ক প্যাকেট সামগ্রীকও।
তথ্য ও ছবি
বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর.কম
উইকিপিয়া
roar.com
১৯টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আল্লাহর দুনিয়াতে কত শত রহস্য যে রয়ে গেছে যার রহস্য এখনো উদ্ধার হয়নি, যেমন জ্বীনের পাহারের সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা করেও এর রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি।
ধন্যবাদ ভাই খুব ভালো পোস্ট দিলেন।
মনির হোসেন মমি
জি ধন্যবাদ ভাইজান।
সঞ্জয় মালাকার
খুব ভালো লাগলো দাদা।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বিনের পাহাড় ! প্রথম দেখেছিলাম চ্যানেল আই তে, রোজার মাসে ইফতারের আগে একটা অনুষ্ঠান হয়, ওটাতে। তারপর দেখেছি ইউটিউবে। 🙂
দেখেছি আর ভেবেছি পৃথিবীতে কতো রহস্য এবং রহস্যময় জায়গা আছে, যা কল্পনারও বাইরে।
শুভ কামনা মমি ভাই। দারুন জিনিস নিয়ে লিখলেন। 🌹🌹
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বেশ ভালো লাগলো দাদা।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
তৌহিদ
অবশেষে এ বিষয়ে অনেক কিছু জানলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য ভাই।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইটি।
আরজু মুক্তা
রহস্যময় লিখা!শিখলাম,জানলাম।।আল্লাহর দুনিয়ায় কতোকিছু যে অদেখাই আছে
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শাহরিন
সুবাহানআল্লাহ। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
জানা হলো অনেককিছু, যা আগে এই জ্বিনের পাহাড় নিয়ে এতোকিছু জানা ছিল না। আপনার লেখা থেকে জানা হলো। ধন্যবাদ জানবেন শ্রদ্ধেয় দাদা।
জিসান শা ইকরাম
এ পাহাড় সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিল না।
বড় অদ্ভুত লাগল এই বিষয়টি যে এখানে মাধ্যাকর্ষণ সূত্র কাজ করেনা। সবকিছু উপরের দিকে এমনি এমনি গড়িয়ে চলে।
কখনো সৌদি আরব গেলে অবশ্যই এ পাহাড়ে যাবো দেখার জন্য।
এমন পোস্ট দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
এত বিস্তারিত জানা ছিল না।
কত কিছু যে এই দুনিয়ায় আল্লাহ আমাদের বিস্ময়ের জন্য রেখে দিয়েছেন
এটি তার একটি নমুনা মাত্র।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
রেহানা বীথি
কত বিচিত্রতায় ভরা এ পৃথিবী, ভাবলেই অবাক লাগে। চমৎকার পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাহবুবুল আলম
সুন্দর ভ্রমনবৃত্তান্ত। বিনে পয়সায় মদিনা ঘুরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ!