
কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে মিডিয়া থেকে বাইরে ভোট নিয়ে রণক্ষেত্র ব্যাপার চলছে—কেন চলছে? কি কারনে চলছে? সবাই জানেন?
ভোট”কি? কেন? কিভাবে?
আমরা কেন ভোট দিচ্ছি ?প্রার্থীকে জিতিয়ে কি পাচ্ছি? এবিপি আনন্দে “এক ঘন্টা” র সুমন বনাম বুদ্ধিজীবিদের দাঁত কষাকষি —স্পিকারের সামনে চেয়ার বেঞ্চি ছোঁড়াছোঁড়ি–?
কতকগুলি লজিক্যাল দিক ভেবে দেখুন—
১)ভোট দেওয়া আমাদের অধিকার ! ভোট দিচ্ছি আমাদের জনগনের সুবিধার জন্য / উন্নয়নের জন্য /উন্নয়ন হচ্ছে না বলা যাবে না কিন্তু কাদা ছোঁড়াছোঁড়া বন্ধ রেখে মোদি ও মমতা মিলেমিশে উন্নয়নটা হোক/আমার মনে হয় উন্নয়নটা আরো জোরালো হবে –তাই নয় কি?
“বিদ্যাসাগরের”মূর্তি ভাঙা খুবই লজ্জাজনক বললেও বা দুকলম ছি ছি ছিৎকার দেওয়া ভুল / এটা “আন্তর্জাতিক নীচ লজ্জা দিবস ” পালন করা উচিত /হয়তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে গান কবিতা সম্মান সবকিছুই ত্যাগ করতেন/
এখনকার বুদ্ধিজীবিরা কি ত্যাগ করছেন বোঝা যাচ্ছে না! মূর্তি বানাচ্ছেন না কিভাবে জুড়বেন তাঁর চেষ্টায় আছেন— কিছুই বোঝা যাচ্ছে না /
বিদ্যাসাগর ” র মূর্তি কে ভাঙলো কোন দল? সেটাই কি বড়? ভাঙা হল এর মতো নিদারুন ঘৃণার কাজ আর কি হতে পারে /
২) ভোট জনগন দিচ্ছে? ভুগছেও জনগন? কাদা বালি লোহা ছুঁড়ছে ও পাবলিক?
উপরের লোকেদের মানে নেতারা শুধু দল বদলাচ্ছেন মাত্র? চেয়ার অনেকটাই উপরে থাকে সেখানে আঁচড় লাগানোর ক্ষমতা কারোর নেই/
৩) বিদ্যাসাগর সারাজীবনটাই আমাদের জন্য ত্যাগ স্বিকার করেছেন /অবিলম্বে যে ভেঙেছে তাঁর চরম শাস্তি বাঞ্ছনীয় / আপনি বিজেপি করুন বা তৃণমূল করুন বিদ্যাসাগর সবার আমার তোমার ভাই বোনেদের এই বাংলার —উনাকে নিয়ে রাজনীতি না করা ই ভালো /বাঙলা র রক্ত শরীরে বইলে বা তাঁর গন্ধ থাকলে বিদ্যাসাগর কে ভালোবাসেন নি এরকম বাঙালী থাকতে পারে না ,হতে পারে না!
৪) মমতা -মোদি ইঁট পাটকেল মারামারি বন্ধ হোক! মিডিয়ার মশলা দিতে অনেক খবর ই আছে ! পাটকেল” দুটো মারলো ইঁট চারটে পড়ল জয় রাম বলে ইঁট ভাঙলো —সেগুলো একটু কম রিয়াকশানে রাখা মঙ্গল– হিংসাত্মক প্রচার আগুন জ্বালায় মাত্র /নেভায় না —–
৫) উন্নয়ন সবাই করুক মিলেমিশে—-চোর ও ভয়ে করুক আর চৌকিদার” ও দায়িত্বে করুক? একজন চৌকিদার ই হাঁড়ির খবর ভালো জানবে একটা স্মার্ট“চোরের ” থেকেও?
৬) বিদ্যাসাগর র মূর্তি ঠিক করা হোক — অপ্রয়োজনীয় প্রচার বন্ধ হোক/ নেতারা “পাঁঠা” না খাসি খাচ্ছে না দেখানো ভালো / বৈশাখী র খাসি রান্না শোভনবাবু খাচ্ছেন না ফেলছেন —- সেগুলো ট্রাফিকে” এনে না ছড়ালেই মঙ্গল–!
৭) সর্বপরি রাজ্যে অনেক অনেক উন্নতির আইন পাশ হোক , অনেক যোজনা পাশ হোক ,ধর্ষন রেপ খুন বন্ধ হোক ,গ্রামে গ্রামে আরো বেশী উন্নয়ন কলকারখানা চাষজমি জলসেচ বিদ্যালয় হাসপাতাল গড়ে উঠুক
রবি ঠাকুরের জন্মমাসে সবাই হাতে হাত রেখে ভোট দিতে যাই লালসুতো বেঁধে আগামী ভবিষ্যতের নেতা অভিবাদন জানাই চলুন/রাজনীতি ” এটাই তৃনমূল বিজেপী কংগ্রেস সবাই মোরা “ভাই ভাই”
চলুন
সবাই মৈত্রীর গান গাই— এক পরিবারের তিন সদস্য –তৃণমূল,বিজেপি কংগ্রেস–? সবাই মোরা ভাই ভাই
এক ই দেশে র মাটিতে লালিত
এক ই রক্তে গড়া শরীর চালাই—”
৮) তীর বর্ষা লুকিয়ে কোলাকুলি করি / রাজীব গান্ধী ইন্দিরা গান্ধী ” —ভারতের গর্ব— এদের নামে কলঙ্ক লেপে মোদীজি নিজেই পাঁকে পড়ে গেছেন–এখন উঠেছেন—তাও পাঁক ছোঁড়া বন্ধ হয় নি —???
একজন ভোটার হিসেবে সুন্দর সুস্থ সমাজ ই আমাদের মমতা দি র কাছে কাম্য /দোষারূপ নয়???
——————
অরুনিমা মন্ডল দাস
কলকাতা, ভারত।
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাংগা কোন অবস্থাতেই উচিৎ না।
বাংলাদেশে ভারতের ভোট দেখি একই ধরনের।
নিয়মিত লেখো।
রাফি আরাফাত
শিরোনামটাই ভালো লাগছে। গল্পের কথা না হয় বুজে নেন.। ধন্যবাদ
তৌহিদ
এশিয়ার সাউথ রিজিওনের দেশগুলিতে ভোটাভুটির ক্ষেত্রে একইরকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। গত কিছুদিন ধরে মিডিয়া সরব বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচন নিয়ে। আপনাকে ধন্যবাদ দিদিভাই সমসাময়িক এমন একটি বিষয় নিয়ে সোনেলায় লিখেছেন বলে। বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভাঙার বিষয়টি আমিও মেনে নিতে পারছিনা।
অভিনন্দন জানবেন।
মনির হোসেন মমি
চমৎকার একটি প্রতিবাদী লেখা। খুবই ভাল লাগল।