গল্পের নামঃ মতিন মিয়া (০৩)
—
আর রাফি
মতিন মিয়ার যুক্তি উদঘাটন করা যেন আমার নেশায় পরিনত হয়েছে। সবসময় কেন জানি তার কাছে গিয়ে তার যুক্তি উদঘাটন করতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা এসব না ভেবে যাই তার কাছে, নতুন কিছু যদি পাওয়া যায়। এইতো মতিন মিয়া বসে আকাশে তাকায় আছেন। কিন্তু আটকাশে কি দেখেন উনি? এইযে মতিন মিয়া উপরে কি? কই কিছু না তো, কেন কি হইছে সাজু ভাই? তাহলে উপরে তাকায় আছেন কেন? কেন উপরে তাকায় থাকলে কি মানহানীর কেজ হবে নাকি? আরে না তা তো বলি নি মতিন মিয়া। তো কি বলেছেন সাজু ভাই? আচ্ছা ঠিক আছে বাদ দেন মতিন মিয়া।
—
আচ্ছা মতিন মিয়া আপনার কি মনে হয়না আপনি অন্যদের থেকে একটু আলাদা রকম? হ্যাঁ, হবে না কেন? আমি তো জানি আমি সবার মতোন না। আচ্ছা সাজু ভাই আপনি কি আমার মতোন? নাতো, আমি কেন আপনার মতোন হতে যাবো? তাহলে আমি কেন সবার মতো হতে যাবো? তাও ঠিক বলেছেন মতিন মিয়া। আচ্ছা মতিন মিয়া আপনার বউ কথায় থাকে? কেন, আমার বউকে দিয়ে আপনার কি কাজ? ( নাহ এই লোকের মুখে কিছু আটকায় না। নিজের বউকে নিয়ে কি কথা বলে)। কি ভাবছেন সাজু ভাই,আমার কিছু আটকায় না এটাই তো? কিন্তু আপনি কিভাবে বুজলেন? আকাশে তাকায়, হাহাহা”!
—
যদিও তার কথা আমি বুজলাম না তারপরও কোন প্রশ্ন করলাম না। কারন তার কোন কথাটাই বা আমি বুঝেছি। আচ্ছা মতিন মিয়া আপনার বয়স কত? কেন আমাকে দেখে কি ২ বছরের শিশু বা ১৮০ বছরের বুড়ো মনে হয়? না তো, তা কেন হবে। তাহলে বলছেন কেন? আপনারি আসে পাশে হবে, আমার বয়স। আচ্ছা মতিন মিয়া আপনি অস্বাভাবিক ভাবে কথা বলেন কেন? আপনি অস্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করেন কেন? কই আমি তো কিছু বলিনি। আমি তো শুধু আপনার বয়স জিজ্ঞেস করছি। আপনার বাবাকে বলিয়েন তো বাবা তোমার বয়স কত? কি বলে শুনিয়েন।
—
মতিন মিয়ার রহস্য হয়তো আদৌও কেউ ভাঙ্গতে পারবে কিনা জানিনা। কিন্তু মানুষটার মাঝে কিছু একটা আছে। আচ্ছা মতিন মিয়া আপনার সন্তান নাই? আছে তো। তাহলে আপনি তাদের সাথে দেখা করেন না কেন? কে বলছে দেখা করিনা,করি তো। কই আমি তো কখনো দেখলাম না। কেন বাচ্চার সাথে দেখা করবো কিনা তা কি বাংলাদেশ সরকার আপনার কাছে জবাবদিহি করতে বলছে? না তা না,কিন্তু পরে না চোখে মাঝে মাঝে। তাহলে বাতাস কেন আমাদের চোখে পরে না,সবসময় তো আমাদের আসে পাশেই থাকে ভাই। কিন্তু বাতাস তো অদৃশ্য মতিন মিয়া। আমার বাচ্চার প্রতি আমার আদর, মায়া এগুলো বুঝি দৃশ্যমান তাই না সাজু ভাই?
—
আচ্ছা মতিন মিয়া, এখন বলেন আকাশে কি দেখছিলেন? আকাশে পাখি দেখছিলাম। আকাশে পাখি দেখার কি আছে? আর আকাশে তো কোন পাখিও আমি দেখতেছিনা। আমার বাচ্চার সাথে দেখা করার কি আছে। আর এখন আমার বাচ্চাও তো আমার সাথে নাই। মতিন উঠে সামনে যায়। যেতে যেতে বলে, যদি পারতাম ওইখানে যেতে।( কিন্তু মতিন মিয়া কোথায় যাওয়ার কথা বললেন?)
—
জানিনা মতিন মিয়ার কত রহস্য আমাকে তাড়া করবে। কিন্তু আমি যেন মতিনের রহস্যে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আমি যেন মতিন রহস্য নেশায় আসক্ত। যাই হোক আজ যাই। আবার আসবো তার কাছে। নতুন কোন রহস্য শুনতে।
চলবে——
৮টি মন্তব্য
🎖প্রহেলিকা🎖
চলুক। ইন্টারেস্টিং। মতিন মিয়ার ভক্ত হয়ে উঠেছি।
রাফি আরাফাত
অনুপ্রাণিত ভাই!!!
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার নীতিমালা একবার পড়ে নিয়েন।
পড়া হয়ে গেলে আবার পড়ার প্রয়োজন নেই।
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ
শামীম চৌধুরী
মতিন মিয়া রহস্যময়। খুব ভালো লাগলো। এগিয়ে যান।
রাফি আরাফাত
অসংখ্য ধন্যবাদ
মেহেরী তাজ
যদিও ২য় টা এখন ও পড়িনি। পড়ে নিবো।।
লেখা চলুক।
রাফি আরাফাত
ধন্যবাদ