আকালের অকালে শীত-নিদ্রা শেষে
কুবি এসেছেন, গরম-গোছল সেরে;
ভাবখানা এমন
ফাটিয়ে ফেলবেন,ফাটবেন-ও, দিগ্বিদিক,
সাই-সাই করে শন-শন গতিতে,
মূলে কিচ্ছু না, ফাকা-ফাকি আওয়াজ মাত্র
দেখিয়েছেন ঢের এমন ঢং আগেও।
হামবড়া ভাব নিয়ে বিলোল উষ্ণতায়
চকচকা টাকে্র ঝিলিক ছুটিয়ে, বর্ধিষ্ণু মেদ-ভূরিতে
হাত বুলিয়ে ফাঁদবেন মহা কোন অলিক আজগুবি গপ্পো
অচল/অসার,
ফেঁদেছেন আগেও গোট-গোটা এমন কয়েক,
মূলে কিন্তু কিচ্ছুটি না।
ঘোষণা দিয়ে ছিলেন উঁচু-মোটা-গলায় মোটা-রগ ফুলিয়ে
এখন-ও দেন অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ সুরে, কুবি তিনি হবেন-ই;
তা হয়েছেন বটে (……সুখ মনে মনে, কাঁথা রাখেন বগলে),
বেঢপ আকৃতির তাতো দেখতেই পাচ্ছি।
এমন ও হতে পারে বাড়াতে চান না কাকদের কষ্ট এই কালে!
তাই ক্ষীণ কণ্ঠে আওয়াজ তুলছেন, ‘পেজেন ছার’ (প্রেজেন্ট স্যার)।
রুদ্ধশ্বাস-রুক্ষশ্বাসে অপেক্ষার প্রহর শেষে ভাবছি,
কখন কুবি সাহেব ফিকে দেবেন থান ইট সম ভারি
একখানি অ-ঝানু-কুসুম-কোমল-অমূল্য কোবতে,
নিজ চাঁদি সামলে,
যার মুলো দেখে নিজেই নিজের পানে হাঁটছেন
অনাদি কাল থেকে, অনেক কাল ধরে।
ফিকে দেয়া ইট-কোবতে বুকে ধারণ করে
টুকরো গুলো ছড়িয়ে দেব নিজেদের মাঝে,
পেলব শরীরে কোবতের পরশে, সোনেলার
সবাই কা কা ধ্বনি তুলে, কা কা ধ্বনিতে
কাক মিছিল-ছিজিলে সরবে সরব হবে।
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কুবি তো কোবতের বিশাল বিশাল ফাঁকাওয়াজ মেরেই উধাও,
কই পাই এই নিরুদ্দেশ কুবিকে? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তিনি এখন হট যোগে আছেন,
অচিরেই ফিরে আসবেন!
রিতু জাহান
কই গেলো সে সেই মহান কুবি? আমারেও কন তারে খুঁজে আনি।
আমি তো কুবি নই তাই আমার ডর নাই।
আমি লিখি তেমন সেমন।
গুরুজী ঝেড়ে তবে কাঁশি চলেন। না, কা কা শব্দে নয়।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কুবিরা একটু আড়াল-আবডাল নিয়ে চলেন/বলেন/লেখেন!
তাই চিন্তািইয়েন না, সহসাই ভালোবাসা নিয়ে তশরিফ রাখবেন আমাদের মাঝে!
আমরা তাঁর সহবতে অশেষ নেকি হাসিল করবো,
সেজন্য অপেক্ষার ট্যাবলেট সাথে রাখতেই হবে।
নাসির সারওয়ার
আকৃতি যাইই হোক, কুবি বলে কথা। আর তাদের নিয়ে এই মশকরা ঠিক না। কুবিদেরও কস্ট হয় যাহা আপনার নাও হতে পারে।
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ/জেষ্ঠ লেখাদের একটি, আপনি বিজ্ঞ বর্ষীয়ান হিসাবে মন দিয়ে পড়েছেন
বলেই এত্ত সুন্দর করে বলতে পেরেছেন/পারবেন-ও।
তবে, “আর তাদের নিয়ে এই মশকরা ঠিক না।” এইটুকু আপনার সদয় অনুমতি নিয়ে প্রকাশ্যে ‘আর তাদের নিয়ে এই এত্ত ভালুবাসা ঠিক না।’ এভাবেই পড়তে চাই, আপনিও এটি-ই বলেছেন, ঐ যে আড়াল/আবডালের কারণে এভাবে বলেছেন তা সম্যক ভাবেই বুঝতে পেরেছি। দেখুন আপনাদের ভালুবাসা পেয়েই আমরাও সেই কুবির ভালুবাসার লেখা অঙ্গে ধারণ করতে চাইছি,
আমাদের সে কুবিকে আপনি চিনবেন না, চেনার কথাও না, সে আস্ত-মস্ত ভালুবাসার খনি।
দেখুন কুবিরা গ্রহান্তরের বাসিন্দা!! তাদের সুখ-সুখ দুঃখ আমাদের মত না, সেইখানে শুধুই আনুন্দ আর আনুন্দ!!
নীলাঞ্জনা নীলা
হে কবি আপনি কবিতায় কি বলতে চান?
নিজের কোনো কথা দিয়ে কি সাজিয়ে নিতে চান একেকটি বাক্য?
ভুল করেও ও কথা ভাবতে যাবেন না যেনো। তাহলেই কষ্ট আপনাকে পিষবে অজগরের মতো।
হে কবি শুনুন,
আপনি যা করতে পারেন, তা হলো একটা গল্প লিখুন।
“কিভাবে মাথার চুলেরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলো!” \|/
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, ফাইন বলেছেন-তো!! এই না হলে আপনি আপনি-ই!
একদম মনে কথাটি-ই বলেছেন, চুলা-চুলি বিষয়ে একটি লেখা লেখা যেতেই পারে,
অবশ্য তার আগে ‘আমি কেন ফোকলা হইলাম রে’ বে”একটি সঙ্গীত রচনা করে আমাদের
শোনানোর ব্যাবস্থা করতেই পারেন!!
লেখা না দেয়ার হরেক বাহানা দেখতে পাচ্ছি!
নীলাঞ্জনা নীলা
দিলাম তো লেখা! উফ এত্তো জ্বালান কেন? ^:^
আপনিই লিখে ফেলুন ফোকলা দাঁতের সঙ্গীত। তা আপনার দাঁত-ও পড়ে গেছে? হায় হায়রে!
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত দেরি হয় কেন লেখা দিতে!!
জ্বালাতন করতে ও পেতে মন্দ লাগে না!!
আমি তো অনেক কিছুই হারিয়ে পেলেছি, আপনি তা জানেন।
দাঁত সেখানে অতি সামান্য মাত্র!!
জিসান শা ইকরাম
আমাদের সোনেলার কোনো কবি সোনাকে নিয়ে লিখলে কিন্তু খবর আছে।
তীব্র আন্দুলন করা হপে বইল্যা দিলাম,
ছাইরাছ হেলাল
কার এত্ত বড় সাহস আমাদের কুবিকে নিয়ে ভালুবাসার (মশকরা) কথা বলে!!
কবি-সোনাকে নিয়ে লারেচারে এমন কিছুই সহ্য করা হপে না!
মোঃ মজিবর রহমান
কবি সাব কবিদের কবি হতে দেন, জালায়েন না। তাইলে কিন্তু আমার মত অধম পাঠক কবিতা হতে বঞ্চিত হবে। এই ভার আপনারে নিতে হবে।
কবি মশায় আসুক তাঁর অন্তর নিঃসৃত কবিতা নিয়ে পড়ুক সোনেলাবাসী, মন দিয়া। দূর হতে বহুদুর, হৃদয়ে ঝড় তুলুক। জাগ্রত হোক কবি।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে কবিতা নিয়েই আসবেন, আসুন আসুন।
মোঃ মজিবর রহমান
অধম পাঠগক পড়তে চাই।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই, আমিও পড়তে চাই।