দুষ্মন্তের চোখে ফাঁকি ছুঁড়ে
দেখা হয়েছিল/করেছিল তার/সে শকুন্তলার সাথে!!
বল্কল মনোহারিণী;
তৃতীয় চতুর্থের (প্রিয়ংবদা, অনসূয়া) আনাগোনায়
কিঞ্চিত কৃত্রিম কুপিত হয়ে
চোখ গেলে দেয়ার ভয়ে দূরে পালালো তারা;
সময় বহিয়া যায় রূপে-রসে, মধু আলাপে,
পরিশ্রান্ত তৃপ্ততায় তপোবন-বিরুদ্ধ-ভাবে!
অটুট-সতর্কতায়, সৌহৃদ্য সাতিশয় রমণীয়তায়;
স্মরণ-বিস্মরণের হা-হুতাশ পেছনে ফেলে
নিমগ্ন সোনা-আনন্দধারাজল আচ্ছন্নতায়
বাতাবি লেবুর সুবাস ছড়িয়ে;
পাহাড়ি মেঘের উপত্যকায় রোদে গা-ধরে
আবার দেখা হয়েছিল এই-তো সেদিন, বহু শতাব্দী পরে,
গালে টোল ফেলে অসংকোচ-দুরন্ত-দুর্দান্ত-ডাইনী,
যেমন ছিল আগেও, সুস্বাদু-সুবাসিত,
বিষ্ময়-বিমুগ্ধ রূপ-রস-গন্ধ স্পর্শে
বার বার অনেক বার মতি-প্রাপ্তিতে;
নিষিদ্ধ রাত/দিনের প্রেম-প্রবল-জলোচ্ছ্বাসের অতিথি-সূর্য;
এখনও আছে উদ্ভ্রান্ত এক বৈদ্যুতিকতা প্রতিটি মুহূর্তে
ঠিক আগের-ই মত।
২৬টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
এজন্যই তো বলি গুরুজি। কেমন হরে আমার দুষ্মন্ত রাজা নিয়ে কবিতা লিখে ফেললেন!
“কোনো এক তপ্তদিনে তাকে ছুঁয়ে আসার তীব্র ইচ্ছায় দাঁড়িয়ে থাকব বলে ছুটে গিয়েছিলাম তারই চেনা শহরে,
নিত্য তার জীবন পথে, তাকে ঘিরে থাকে অস্ত্রশস্ত্র, কবচ-অলঙ্কারে একদল সিপাহী।
এ পূণ্য তপবনে তার যোদ্ধাবেশ মনায় না।
আমার স্নানের ঘাটের কল্কলের প্রান্ত থেকে ঝরে পড়া জলের ধারায় চিহ্নিত পথে
হাঁটুগেড়ে মাথা নুইয়ে আজও পথচেয়ে বসে আছি ঈঙ্গুদীভাঙ্গা মসৃণ পাথর খন্ডের গোড়ায়।
বলেছিলে,’অপেক্ষায় থেকো আসব
তোমার সঙ্গে একা দেখা হবে।’
কথা দেয়া বা না দেয়া,
কথা রাখা না রাখার মাঝে
মান অভিমানের মাঝে
আজও সে পথ আমার অপলোক চেয়ে থাকে।”
দিলাম কিন্তু জুড়ে। তবে আপনি কি লিখেছেন তা ভোলানোর জন্য না। আপনার কবিতার পাশে এমন ছাইপাশ কিছুই না।
ভাল থাকবেন কবি। গোস্তাকি মাপ।
ছাইরাছ হেলাল
আপ্নের রাজা!! আগে কইবেন না!
কিন্তু হালায় তো ভাগোয়াট দেছে, অবশ্য সে আছে ম্যালা প্যারার মধ্যে।
শকুন্তলা কী সব কম্ম করে বেড়াচ্ছে! অবশ্য গভীর গুপনে!
জুড়ুন জুড়ুন!! জড়াজুরি সবার কম্ম না।আমারা ব্লগবাসিরা শুধুই হাপুস নয়নে দেখি আরা দেখি!!
আর ভাবি কবে শিখমু এমন সূচীকর্ম!!
ধ্যাৎ কিসের মধ্যে কী!!
মৌনতা রিতু
ধুর! ওসব কর্ম টর্ম কিছু না। সূঁচিকর্মে জোড়া দিতে গেলে কর্মসম্ম দেখলে চলতো নাকি! আজ হয়ে যাক প্রিয়ংবদাকে নিয়ে। নাকি রাধা!
ছাইরাছ হেলাল
হোক, হয়ে যাক, হতেই পারে!
এ যে দেখছি আমার মানুষদের নিয়ে টানাটানি।
আপনি আগে বাড়ুন, প্লিগ!!
মৌনতা রিতু
আগে গুরু পিছনে শিষ্য । চির সত্যবাণী।
ছাইরাছ হেলাল
এখন যা দেখছি তাতে আপনাকেই ‘গুরু’ মানতে হবে;
আরে বাবা শুরু তো করুন।
ইঞ্জা
এমন কবিতা পড়লেই দাঁত কপাটি লেগে যায়, এতো কঠিন কেন লিখেন হে কবি?
(3
ছাইরাছ হেলাল
আলবৎ কঠিন!
আমিও ভাবি এত্ত কঠিন ল্যাহা ঠিক না, ক্যা যে ল্যাহে,আর কেমতে ল্যাহে কিনারা করতে পারি না।
আমার-ই দাঁত-দন্ত হাপিস হয়ে গ্যাছে!
ভালুবাসা ভাই।
ইঞ্জা
খুঁইজ্জা মাথা ঠুকার ইমো পাইনা ভাইজান। ^:^
ভালুবাসা অনেক। (3
ছাইরাছ হেলাল
ইমো না পাইলেও সমস্যা নেই ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
গালে টোল ফেলে অসংকোচ-দুরন্ত-দুর্দান্ত-ডাইনী,
যেমন ছিল আগেও, সুস্বাদু-সুবাসিত,
বিষ্ময়-বিমুগ্ধ রূপ-রস-গন্ধ স্পর্শে
বার বার অনেক বার মতি-প্রাপ্তিতে;
আমিও পেতে চাই দুরন্ত – দুর্দান্ত – ডাইনী মাজা ভেঙ্গে গেলে বুঝবেন।
ছাইরাছ হেলাল
কবজ ধারণ করা আছে, ভয় নাই।
লাগলে জায়গায় দাঁড়াইয়া/বসে আওয়াজ দিলেই হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
কবজ নিতে হবে দেখছি।
ছাইরাছ হেলাল
দক্ষিণা রেডি রাখুন।
শুন্য শুন্যালয়
এমন গালে টোল ফেলা কিউট ডাইনীর কথা আগে শুনিনি। আপনি তো একই আছেন, সেই শকুন্তলা, অনুসয়া, ডাইনীদের নিয়ে, একই ভাবে চোরাই দেখা, চোর চোর মন নিয়ে।
উদ্ভ্রান্ত বৈদ্যুতিকতা, আপনার এমন পাঞ্চ শব্দাবলীরই ভক্ত ছিলাম একসময়, আছিও।
ছাইরাছ হেলাল
গালে টোল কেন আরও অনেক কিছু থাকলেও এ-সব ডাইনীরা আপনার কাছে বেল পাবে না,
তাই অমুখো হয় না।
অরা আমার খুপই আপন, দ্যাগা দেয় নাই, দেবেও না, তাও বলা আছে।
মনের আর দোষ কী ভাই, ডাকাত হওয়ার তরিকা কেউ ধরাইয়া দেই না।
আমি নিজে স্বয়ং সবসময়-ই আপ্নের ভক্ত!!
জিসান শা ইকরাম
একজন খাঁটি মুসলমান হইয়া হিন্দুদের নিয়ে এত লিখলে গুনাহ হপে 🙂
কেমন করে লেখেন রে ভাই এত সুন্দর, অতি সুন্দর!
ছাইরাছ হেলাল
গুনার কিন্তু অন্নেক দাম, খাঁটি সোনার হলে তো কথাই নাই।
রূপা বা তামা হলেও সোনায় সোহাগা হয়ে যাবে।
গুরু ধরেন (গরু না) আপনিও লেইখ্যা ফালা ফালা করতে পারবেন।
জিসান শা ইকরাম
গুরু উপায় বলে না ……… জনম দুখী কপাল পোড়া আমার………… গান হপে
ছাইরাছ হেলাল
এই তো হবে হবে ভাব আসতেছে,
তবে খুব সাবধান!
তৌহিদ ইসলাম
এত কঠিন শব্দ দিয়ে লেখা কবিতা যে গাম্ভীর্যপূর্ণ হবে তা বলাই বাহুল্য। দাঁত ভেঙে গেল 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আরে না, হাতিয়ে দেখুন ঠিকই আছে দাঁত।
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখা পড়ে মনে হচ্ছে রাজকুমার ফার্দিনান্দও চলে আসবে যে কোনো সময়। অবশ্য মিরান্ডাও সাথে থাকবে।
সবাই বলে ফেলেছে, আমি আর কী বলবো!
তাই ইতি সমাপ্তং! 😀
ছাইরাছ হেলাল
যেই আসুক বা না আসুক আপনি না আসলে
সোনেলা বড়ই আনচান করে!!
সবার কথা জানিনে, আপনাকে তো কিছু বলতেই হবে!
নীলাঞ্জনা নীলা
এ আপনি কি বললেন!!! :অ
কিন্তু দুঃখিত এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুই কইতে পারলাম না। তয় একখান ধন্যবাদ রাইখ্যা যাইতাছি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দান্তিক ধন্যবাদই আমাদের পথের দিশা হয়ে থাকবে।