গত ২০১৭ এর নভেম্বরে নিজের কাজের জন্য দুটো জাপানী এক্সাভেটর আর একটি ছোট রোলার কেনার জন্য গিয়েছিলাম চীনের সাংহাই। সাংহাই শহর দেখাও ছিল অন্যতম আগ্রহের তালিকায়।
আমার পরিচিত অনেকেই চাইনিজ খাবার খেতে পারেন না। আমার এসবে সমস্যা হয়নি কোনো দেশেই। আমি শিখে গিয়েছিলাম কিভাবে চাইনিজ খাবার আমার পছন্দ মত অর্ডার করতে হয়।
সেলস ম্যানেজার টিনা ওয়াং আর ওর স্বামী সারাক্ষণই সাথে ছিল ওদের গাড়ি নিয়ে। চারদিন ছিলাম সাংহাই। এয়ারপোর্ট থেকে পিক আপ এবং ড্রপ সহ চারদিন ই সার্বক্ষণিক একটা গাড়ি, তিন বেলা খাবার আর হোটেলে থাকার বিল ওরাই দিয়েছে। বলতে গেলে বিনা খরচেই সাংহাই থেকে আসলাম ৪ দিন।
প্রথম দিন লাঞ্চে বসে দারুণ এক অভিজ্ঞতা। রাইস, ভেজিটেবল, ফিস ছিল আইটেম। রাইসের পাত্র মোটা বাঁশ দিয়ে বানানো 🙂 , ভেজিটেবল এর পাত্রটিও বাঁশের একটি পাত্রে বসানো। ভেজিটেবল এত টেস্টি ছিল যে এখনো বলতে গেলে তার স্বাদ মুখে লেগে আছে।
আমার খাওয়া দেখে টিনা হাসতে হাসতে বললো ” হাই ইকরাম তুমি কি জানো ভেজিটেবলে কি কি দেয়া আছে? ” সব গুলোই বলতে পারলাম একটা আইটেম বাদে। কাঠি দিয়ে আলাদা করে বললাম যে এটি চিনতে পারছি না, তবে খুবই টেস্টি। মুখে হাসি নিয়ে টিনা বললো ” ওটি বাঁশ ” 🙂 কিছুটা থমকে গিয়ে অট্টহাসি দিয়ে ওদের বাংলায় বললাম ” শেষ পর্যন্ত তোমরা আমাকে বাঁশ দিলা?! ” বাংলায় কি বললাম বুঝিয়ে দেয়ার পরে ওরা দুজনও অট্টহাসি।
উই-চ্যাটে গতকাল টিনা বললো আমাকে ” ইকরাম আবার আসো সাংহাই, তোমাকে আবার বাঁশ দেবো ” 🙂
শিখে গেছে ওরা বাঁশ দেয়া……
#চায়না_ভ্রমন_সাংহাই_বাঁশ_আর_বাঁশ
৪টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
ভাগ্যভালো ভাইয়া, বাঁশে গিরা ছিলো না। তাইলে কি যে হইতো! হুম, ভাইয়া কুড়িগ্রামের মানুষদের দেখি বাঁশ খায়। প্রথমে বাঁশের যে কচি মাথাটা ওঠে ওটাকে ওরা মাটির হাড়ি দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে তা বাড়তে না পারে। ওটাকেই ওরা সিঁদল দিয়ে রান্না করে খায়।
ইশ! এমন ফ্রি ফ্রি ঘোরা আর খাওয়া পাইলে এ গেবন মোর হাসতে হাসতেই কেটে যেতো।
মোঃ মজিবর রহমান
বাঁশ খাইলেন আবার বাঁশ দেওয়া শিখাইলেন!!!
হ্যাঁ ভাই, শুনেছি এবং পড়েছি চীনারা প্রাক্রিতিকভাবে চলতে খেতে পছন্দ করে।
ভ্রন পরে ভাললাগা রইল।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভাইরে যে খাবার দেখালেন তাতে জিবে জল এসে গেল……তাই কোন একবার আমিও যেতে চাই।বাশ খাওয়া এবং দেয়া \|/ \|/
ইঞ্জা
আমারো অভিজ্ঞতা আছে এমন সব সুস্বাদু চায়নিজ খাবার খাওয়ার আর বাঁশ তো ওদের খুব প্রিয়, কিন্তু ওদের সিম রান্না আমি কখনোই খেতে পারিনি, পুরাই কাঁচা।