দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরীতে রডের পরিবর্তে আমাদের দেশের সুশিক্ষিত কন্টাক্টরগণ নিজেরা পকেট ভরতে দেশকে দিচ্ছেন আছোড়া বাঁশ আর সরকার পাচ্ছে আছোড়া তিরস্কার জনতা হতে।
এই যদি হয় দেশের অবস্থা তবে সরকার সহায় না অসহায়! যে সরকার এখান থেকে উত্তীর্ণ হতে পারেনা সেসরকার কিভাবে দেশের উন্নতি করবে সকল বাঁধা ডিঙ্গিয়ে!
এই দৃশ্যটি রাজশাহী মেডিক্যালের। এখানে থাকবে ডাক্তার, নার্স, ভবিষ্যতের ডাক্তার ও রোগীরা, ভাবা যায় কত বিপদ দেশের! গত ২০১২ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল আমিন উদ্বোধন করেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক হাজার শয্যার ভবনটি।
রডের বদলে বাঁশ: চুয়াডাঙ্গার ঠিকাদার ঢাকায় গ্রেপ্তার – bdnews24.com
আড়াই কোটি টাকার নির্মাণাধীন সরকারি ভবনে রডের বদলে বাঁশ!
দেশের কি অবকাঠমর উন্নতি এক্সপ্তাহের বৃষ্টিতে সব শেষ। বুঝা যাচ্ছে উন্নতি কত দূরে। রাস্তার চেহারায় ।
নাম দেখানো গ্রেপ্তারে কোন যায় আসে না। তাতখনিক কঠিন হতে কঠিনতর শাস্তি লাগবে কেউ জাতে আর এই অন্যায় করার সাহসতো দুরের কথা কল্পনা বা চিন্তাতে না আনতে পারে। এই সরকারের নিকট কি আশা করা যাবে? আসলে এই বাঁশ খাচ্ছে সরকার এখন না বুঝলেও বুঝবে পরে। নেতারা কি বুঝবে, খেসারত দেবে ভুগতভুগি সমর্থকগোষ্ঠী। যাদের ঘরবাড়ী নিয়ে আবার আন্দোলন করার সুযোগ পাবে।
১৪টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
দিতে থাকেন মজিবর দাদা, দেখি আমরা কদ্দুর সয়ে যেতে পারি! তবে মনে রাখবেন নানা, যারা বাঁশ দিচ্ছে, তাদের কপালেও আইক্কাওয়ালা বাঁশ তৈরি হয়ে আছে ।
মোঃ মজিবর রহমান
লজ্জা নায় জতই দেন অরা হজম করবে তবুও মাঝে মাঝে দরকার।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হোক প্রতিবাদ আমরা সবাই সবার।খুব ভাল পোষ্ট -{@
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের প্রতিবাদ সরকারের কাজের বিরুদ্দে দলের বিরুদে নয়।
সঞ্জয় কুমার
ইঞ্জিনিয়ারিং এ যেভাবে রডের বদলে বাঁশ দেয়া হচ্ছে তাতে মনে হয় RCC (Reinforced Cement Concrete)এর বদলে BCC ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন একটা বই লেখা প্রয়োজন ।
মোঃ মজিবর রহমান
ভালই বলেছেন আপনি।
শুন্য শুন্যালয়
আমাদের কপাল ভালো যে রডের পরিবর্তে বাঁশ দিচ্ছে। কিছু না দিয়ে সিমেন্ট তুলে দিলে কিংবা পলিথিন গুজে দিলেও কিছুই বলার ছিলোনা। ছিলো কী? কিছু বলার নাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত আর কি বলার আছে আমাদের।
ছাইরাছ হেলাল
বাঁশ কিন্তু খারাপ কিছু না, যদি জায়গামতো দেয়া যায়।
মোঃ মজিবর রহমান
বাঁশ খারাপ হবে কেন? বাঁশ না হলে কি চলে!
কবরে বাঁশ,
নিরমানে বাঁশ
কথার বাঁশ
গুতায় বাঁশ আরো কতভাবে দেওয়া যায়।
অলিভার
আমাদের সমস্যা হল দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির অভাব। এখন তো পুলিশে ধরাটাও কেউ গোনায় ধরতে চায় না (অবশ্যই কথাটা সবার জন্যে সত্য নয়), কারণ তাদের কিছু কাগুজে নোট দিয়ে খুশি করতে পারলেই লোহার কারাগার থেকে মুক্তি মিলে যাচ্ছে। এই ব্যাপার গুলিতে কঠিন নজরদারির প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নয়তো সামনে অনেক খারাপ সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্যে।
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের সমস্যা হল দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির অভাব। ১০০% সহমত বার এখানেই বড় সমস্যা।
ইঞ্জা
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পোষ্টটা খুব ভালো হয়েছে ভাই, দুঃখজনক ভাবে সত্য, ইতর কন্ট্রাক্টররা যা করছে তার বিচার কঠিন হলেই তবে নিস্তার মিলতো এইসব থেকে।
মোঃ মজিবর রহমান
ইতর কন্ট্রাক্টররা যা করছে তার বিচার কঠিন হলেই তবে নিস্তার মিলতো এইসব থেকে। সহমত ভাই।