পৃথিবীর সৃষ্টির সকল প্রাণীর মধ্যে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে, মুখে স্বাধীনতার কথা বলে অথচ সে কোনো না কোনো উপায়ে পরাধীন থাকতে ভালবাসে। সে ধর্মীয় হোক বা কোনো অজানা বিশ্বাসে হোক। ধর্মীয় অনুভূতি, স্রষ্টাকে বিশ্বাস বা অনুসন্ধান, বা অন্য কোনো গোপন উপাসনা। তবে এ কথাও ঠিক পাপ পূণ্যের হিসাবে না থাকলে তখন, অন্তত মানুষ আর মানুষ থাকে না। আর তার জন্মসূত্রে নিজের ধর্ম এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলেও সে আর মানুষ থাকেনা। অধর্ম থেকে রক্ষার জন্যই ধর্মের প্রয়োজন। আমাদের দেশের বা এই উপ মহাদেশের ধর্মের ব্যাখ্যা এবং প্রয়োগ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে। ইসলাম বা সনাতন ( হিন্দু ) ধর্মাবলম্বী মানুষই এই উপমহাদেশে বেশি। ধর্মের শান্তির বাণী যেন ধর্মীয় গ্রন্থে বন্দী হয়ে আছে। বাস্তবে এর প্রয়োগ বিপরিত মুখি। পবিত্র কুরআন শরীফের অবমাননা কোনো মুসলিম সহ্য করতে পারেনা। কুরআনের একটি পৃষ্ঠা আমরা মাটিতে পরে থাকলে সন্মানের সাথে উঠিয়ে ভাল স্থানে রেখে দেই, লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে কুরআন শরীফ অবমানানার জন্য এদেশে প্রচন্ড প্রতিবাদ হয়, অথচ ৫ মে হেফাজতে ইসলাম এর কর্মীদের দ্বারা হাজার হাজার কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়ার পরেও আমাদের দেশের কোনো ইসলামী সংগঠনের প্রতিবাদ দেখিনি। ইসলাম ধর্ম কি তাহলে আমাদের দেশের ইসলামী সংগঠন সমূহের হাতে বন্দী হয়ে গিয়েছে? য়ামাদের দেশের মত এত মসজিদ আর মাদ্রাসা কি ইসলামী দেশ সমুহে আছে? এমনকি সৌদি আরবে কি আছে? আমাদের দেশের মত ওয়াজ মাহফিল কি সৌদি আরবে হয়? শত শত পীর সাহেব আমাদের দেশে আছেন, কতজন পীর সাহেব সৌদি আরবে আছেন জানতে ইচ্ছে হয়। আমাদের নবী (দঃ) এর সময়ে জুম্মার নামাজের পরে মানুষের সামাজিক সমস্যা নিয়ে মসজিদেই আলোচনা হত, সমস্যার সমাধান হত। সামাজিক সমস্যাই তো দুনিয়াদারীর সমস্যা। আমাদের দেশেই কি এই ধরনের আলোচনা হয় মসজিদে? মসজিদ নির্মিত হচ্ছে ঘুষখোর, কালো টাকার মালিকদের টাকায়। সমাজের প্রভাবশালী কালো টাকার মালিকরা মসজিদের সামনের কাতারে নামাজ আদায় করে, তাদের দান অত্যন্ত আনন্দের সাথে গৃহিত হয়। এসব বিষয় সবাই জানে, জানে বলেই সমাজ থেকে অন্যায় দূর হয় না। মসজিদ সঠিক ভাবে মানুষকে আস্থায় আনতে পারছে না এর পরিচালকদের দ্বিমুখীতার কারনে। আমি এই ধরনের মসজিদ নির্মানের থেকেও অসুস্থকে সেবা করতে আগ্রহী বেশী। অসহায়কে কাছে টানতেই আগ্রহী বেশী। এটা আমার বিশ্বাস। স্রষ্টার সৃষ্টিকে সেবা করাও স্রষ্টার উপসনা করা। মানুষই শ্রেষ্ঠ সেবালয়।
আমি দেখেছি অতিরিক্ত ধর্মীয় গোড়ামী মানুষকে অসামাজিক করে তোলে। তাদের ধারনা শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও আপাদমস্তক ঢাকলেই বেহেস্ত পাবে। আর এতে অসহায় ও ক্ষুধার্তকে সাহায্য না করলেও চলবে। এই বর্তমানে আধুনিক যুগে মানুষের এতো বছরের পরিভ্রমণের পরেও তারা অলৌকিক অবাস্তব জিনিসে বিশ্বাস করে। করছে হাদিস ও শরিয়ত বিরোধী কুফরি কাজ। সেই ব্যাক্তি তা সম্পুর্ণ ধর্মের দোহাই দিয়েই করছে। মাজার সাজিয়ে বসে লাখলাখ টাকা আত্মসাৎ করছে। দুই কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত দুইটা মসজিদ এখন আমরা দেখতে পাই। আর সেই মসজিদ নির্মাণ করতে ভিক্ষার ঝুড়ি পেতে বসছে মোড়ে মোড়ে। ছোট ছোট বাচ্চাদের টুপি পাঞ্জাবী পরিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে পাঠাচ্ছে, যা পুরোটাই হাদিস বিরোধী। এ শুধু কিন্তু ইসলাম ধর্মেই না অন্যান্য ধর্মেও বিদ্যমান। এই সম্পর্কে পড়তে গিয়ে আমার উষ্টা খেয়ে পড়ার অবস্থা হয়েছে।
ভারতের সোমনাথ মন্দির সম্পর্কে পড়তে গিয়েও অবাক হয়েছি। এখানেও আমরা দেখি ধর্মের ব্যবসা। সোমনাথ মন্দিরের কথা পৃথিবীর সবাই জানে। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরের বিপুল ধনরত্ন একাদশ শতাব্দিতে লুন্ঠন করেছিলেন, গজনীর সুলতান মাহমুদ। সোমনাথ মস্দিরের সৌন্দর্যই শুধু সুলতানকে আকর্ষন করেনি, আকর্ষনের অন্য এক কারন ছিল এর অলৌকিকত্ব। সোমনাথ মন্দিরের অলৌকিকত্বের কথা যুগ যুগ ধরে দেশ থেকে দেশান্তর ছড়িয়ে পড়েছিল। মন্দিরের দেব মূর্তিটি কোনো বেদীতে বসানো ছিল না। মন্দিরের দেবতা শূণ্যে ভাসতেন। মন্দিরের মাঝখানে শূন্যে ভাসমান সোমনাথ দেবকে দর্শনের জন্য দূর দূরন্ত থেকে বহ কষ্ট করে ও হাজির হতেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তারা উপঢৌকন হিসেবে সাথে আনত অনেক ধনরত্ন। বিশ্বাস জনিত কারনে শিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষ মানত করে বিজ্ঞানের চিকিৎসাকে অস্বীকার করে মাথা নত করত এসব মন্দির মসজিদ ও মাজারে। কিন্তু সব ধর্মেই মানত সম্পূর্ন নিষেধ। মানত করে তারা কজনই আজীবন জীবিত ও সুস্থ থেকেছেন তা আমার জানা নেই। আমি জানি যে কোনো ধর্মেই অলৌকিকের আকর্ষন বড় আকর্ষন। চাক্ষুস চোখে সবাই এই অলৌকিক শক্তির প্রকাশ দেখতে চায়। তার উপর বিশ্বাস করে জাগতিক বাস্তবতা ভুলে স্বর্গ নরকের হিসেব করে। অনেকেই তার বিশ্বাস মতো মাজারে মন্দিরে ইচ্ছামতো তার সর্বস্ব দিতে চেষ্টা করে। তাই তো জমা পড়ে মন্দিরে মাজারে কুবেরের ধন! তেমনি সোমনাথ মন্দিরেও দীর্ঘদিন ধরে জমা পড়েছিল কুবেরের ধন। অর্থাত্ যতই নেও না এই মন্দিরের স্বর্ন ও টাকাকড়ি ফুরাবে না। তাই তাই শূন্যে ঝুলানো ভগবানের মূর্তি বা দেব মূর্তির অসাধারণত্ব সুলতান মাহমুদকে আকর্ষন করে। সুলতান মাহমুদ শুধু মন্দিরের ধনরত্ন নিয়েছ ক্ষ্যান্ত হননি, অনেকটা কৌতুহলের মন নিয়েই তিনি দেবমূর্তির ঝুলে থাকার কারন জানতে উৎসাহ প্রকাশ করেন। তার সাথে আসা বিজ্ঞানী, ধাতুবিদ ও বাস্তুকারদের নিয়ে মূর্তিটি পরীক্ষা করে দেখেন যে ওটা সম্পূর্নই লোহার তৈরি। বিশেষজ্ঞরা আরো মত প্রকাশ করেন যে সম্ভবত মন্দিরের দেয়ালের চারপাশে চুম্বক পাথর বসানো আছে। আর তা এমন করে বসানো হয়েছে যাতে লোহার দেবমূর্তিটি মাঝামাঝি এক জায়গায় এনে ছেড়ে দিলে বিভিন্ন প্রান্তের চুম্বক আকর্ষনে শূন্যে ভেসে থাকছে। সুলতান মাহমুদের নির্দেশে ভগবানের দেবমূর্তিটিকে আবার শূন্যে স্থাপন করা হলো। তারপর মন্দিরের দেয়ালে লাগানো পাথরগুলো আস্তে আস্তে খুলে ফেলতে বললেন। পাশের দেয়ালের পাথর একটি একটি করে খুলে ফেলতেই, খুলে এলো এক পাশের চুম্বক পাথর। ওমনি দেবমূর্তিটি শূন্যে থেকে মাটিতে পড়ে গেল। বোঝা গেলো দেবমূর্তির বদলে এক টুকরো লোহা রাখলেও তা ভেসে থাকত।
আমরা দেখেছি, ভারতে হোক বা অন্য দেশে হোক হাজার ক্ষুধার্থ মানুষকে রেখে অনেক ভক্ত তার বিশ্বাসে শিব লিঙ্গে দুধ ঢেলে মাটিতে ও গঙ্গায় ভাসাচ্ছে। কিন্তু কোনো দেবতা আদৌ বলেনি এমন করতে। অন্তত আমি কোথাও পড়ে পাইনি। মুসলিম ধর্মে কোথাও বলেনি ক্ষুধার্তকে রেখে এতো মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান করতে। আমি দেখেছি ব্রাক্ষণ কতোটা জাত বিচার করে চলে। আসলে এই ব্রাক্ষণ আর্য জাতী ছিল অত্যন্ত রুক্ষ ও নির্মম। তা আমরা বেদ পড়লেই জানতে পারি। এই ধর্মের গুরু যারা অধিকাংশই শয়তানের খালাত ভাই, মুসলিম ধর্ম ব্যবসায়ীরা খুলে বসেছে তাবিজের ব্যাবসা।
মসজিদ এবং মন্দির হোক আমাদের সত্যিকারের মানুষ হবার প্রধান কেন্দ্র, আমাদের আস্থার স্থান।
এই বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো আমি পরের পর্বে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
২১টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আপনার সাথে শতভাগ সহমত জানাচ্ছি আপু, অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কেকে যেহেতু কম জানি সেহেতু ওইদিকে না গিয়ে আমার ধর্ম ইসলাম নিয়ে কথা বলি, আমাদের রাসুলে কারিম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) (রঃ) মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিল পবিত্র কোরআন শরিফ উপহার দেন মুসলিম বিশ্বের জন্য যেখানে যা বলা আছে তাহা সত্য এবং মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপের ভালোর জন্যই বলা হয়েছে, যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহ্কে স্বরণ কর, এতে যেমন সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা যায় তেমনি শারীরিক ব্যায়ামও হয় আবার ওজু করা নামাজের আগে যা মানুষকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যই করা হয় আর এমনি অনেক কিছু আছে যা কোরান মানুষকে সুন্দর মন, শারীরিক সুস্থতা, সামাজিক বন্ধন সহ অনেক কিছুতেই সহায়তা দান করে কিন্তু আমাদের এই উপমহাদেশের বেশিরভাগ ধর্মগুরু যাদের আমরা মোল্লা, হুজুর ইত্যাদি বিশেষ্ণে ভুষিত করি তাদের অধিকাংস আমাদের কোরআনের ভুল উদ্ধৃতি দিয়ে বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করছে যুগ যুগ ধরে আর এতে আমাদের ধর্ম আজ বিকৃত, আমাদের উচিত নিজে নিজেকে শুদ্ধ করে এইসব বিকৃত মোল্লাদের বর্জন করা নতুবা ভবিষ্যৎ আমাদের খুবই অন্ধকার।
আপনার এই অসাধারণ পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
মৌনতা রিতু
ইন্জা ভাই পরবর্তি পর্বে লিখব এসব।
ভাল থাকবেন। অভির কি হল?
ইঞ্জা
অভির নতুন গল্প দিয়েছি, তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন, অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্ব পড়ার।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আমাদের সঠিক নির্দেশনা দিয়ে সত্য সুন্দরের পথে দাখিল
করবেন এ আশাবাদ রাখতে চাই।
মৌনতা রিতু
সেটাই তো সঠিক নির্দেশনা। আমি এসব ভন্ডামি দেখে মাঝে মাঝে বলি, কিছু কিছু বিচার আল্লাহ র সরাসরি দেখিনো উচিত। তাইলে অনেক রক্ষা হতো।
মিষ্টি জিন
সোমনাথ মন্দিরের ভাসমান মূর্তির ব্যাপারে জানতে পেরে বেশ মজা লাগছে। ঐ জায়গায় যদি আমি থাকতাম তাহলে আমিও বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করতাম। এ রকম আরো অনেক ঘটনা আছে যা লিখতে গেলে পুরো একটা পোষিটে হঁয়ে যাবে।
আমি নিজে মুসলিম তাই আমি আমার ধর্ম নিয়ে বলছি।আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড মুসলিম দেশ হচ্ছে ইন্দোন্শিয়া। দীর্ঘ ছয় বছর থেকেছিলাম অথচ একদিনের জন্যেও কোথাও কোন ওয়াজ মাহফিল দেখিনি। পীরের ও কোন সন্ধান পাইনি। ইসলাম সমন্ধে যা কিছু বয়ান দেয়া দরকার মসজিদের ইমাম তা নামাযের সময় বলে দিতেন।আমার দেখা মতে বেশীরভাগ ইন্দোনেশিয়ানরা নামায পডে। এবং ছেলে মেয়ে সবাই মসজিদে নামায পড়তে পারে।
ইরাকে বিভিন্ন নবী , সাহাবীদের মাজার আছে এবং সেই মাজারে কি হয় তা পোষ্ট লিখে সবাইকে জানাবো।
ধর্মের নামে কুসংস্কারে আমরা জড়িয়ে আছি। মনকে হিজাব না দিয়ে বাইরের হিজাব নিয়ে আমরা ব্যাস্ত।
কোন ধর্মই মারামারি ,হত্যাকে সাপোর্ট করেনা সব ধর্মেই শান্তির কথা বলাহয়েছ।
বেশী আর নাই বলি ঘাড়ের উপর মাথাতো আমার একটাই।
অনেক অনেক ভাললাগা রইলো পোষ্টে।
মৌনতা রিতু
ধর্মকে সবাই মেনে চলুক। কিন্তু এটাকে নিয়ে যেন ব্যবসা করার কেউ সুযোগ না পায়। এটাই কামনা।
নীরা সাদীয়া
একদম মনের কথা বলেছেন। এইযে পাঁচতলা, সাততলা মসজিদ নির্মান করছে, এখানে কতজন নামাজ পড়বে? যেখানে একটি ছোট্ট এলাকার জন্য একতলা একটি মসজিদ যথেষ্ট, সেখানে পাঁচ/সাতলা মসজিদ দিয়ে কি হবে? এতে করে যারা ফুটপতে,স্টেশনে ঘুমায়, তারা কি আশ্রয় পাবে? তারচেয়ে যাদের ভিটেমাটি নেই তাদেরকে এই টাকায় জমি দান করে তাতে অন্তত টিনের চালাঘর তুলে দিলে কি হতনা? তারা নিরাপদ আশ্রয় পেত না? কিন্তু না, লোকজনকে দেখাতে হবে তারা ধর্মের প্রতি কতটা অনুগত, তাই এসব ব্যবস্থা।
তাছাড়া লোকজনের নিকট থেকে মাইকিং করে হাত পেতে টাকা তুলছে, যে মসজিদের খরচ সরকার বরাদ্দ দিয়েছে সেখানে জনগননের টাকা নিয়ে কি করবে? ভাগ বাটোয়ারা করে খাবে দাবে। আর যদি জনগনের টাকাতেই ছাদ ঢালাই করে বহুতল মসজিদ তৈরি করে, তাহলে সরকারি টাকা কোথায় গেল? এর কোন জবাব আছে?
মৌনতা রিতু
এসবের উত্তর আসলে জানা আছে, কিন্তু করার নেই কিছু।
ওরা এসব করেই যাবে।
ফারহানা নুসরাত
সম্পূর্ণ স্বাধীন জীবন অনেক সময় জলের স্রোতে ভেসে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সামান্য পরাধীন জীবন আমার পছন্দ। জীবন সম্পর্কে ধর্মীয় নির্দেশনা মেনে চলাই ভাল থাকার জন্য যথেষ্ট মনে করি।
ইসলাম ধর্মের প্রতি আঘাত করে আজ পর্যন্ত কেউ হজম করতে পারেনি, আর ভবিষ্যতেও পারবেনা। দেরী করে এলেও জবাব একটা এসেই থাকে। সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন দিন। ধর্ম সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতার সুযোগটাই নিয়ে থাকে ধর্মীয় ব্যবসায়ীরা। সমাধান আমাদের হাতে। ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের নিতেই হবে। নইলে গোড়ামীর স্বীকার হতে হবে।
মৌনতা রিতু
এসবের পরিবর্তন হতে গিয়ে মানুষ বেশী ধর্মকে দুষছে। ধর্ম হলো পূর্ন জীবন ব্যবস্থা।
অপার্থিব
আপনি ঠিকই বলেছেন সৌদি আরবেও এত মসজিদ মাদ্রাসা নেই যতটা আমাদের দেশে আছে। আসলে সৌদিরা তেল বেচার অফুরন্ত টাকায় সালাফিজম বা ওহাবী মতবাদ রপ্তানী করতে এদেশে প্রচুর টাকা পাঠিয়েছে। জামায়াতীরা সেই টাকায় মসজিদ মাদ্রাসা এতিম খানা প্রতিষ্ঠা করে এদেশে ঐ ধারার মতবাদ জনপ্রিয় করেছে। প্রবীর ঘোষের অলৌকিক নয় লৌকিক বইটি না পড়ে থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। ঐ বইয়ে লেখক ভারতে বিভিন্ন জায়গায় তথাকথিত সাধু, পীরদের অলৌকিকতার নামে ভন্ডামীর যুক্তি সঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পড়লে মজা পাবেন। পোষ্টে কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়…
মৌনতা রিতু
দ্বিমতগুলো বললে খুবই খুশি হতাম।েঙ্গে দিতাম বা নিজে শুধরে নিতাম। এটাই তো ব্লগে আলোচনা হবে।
বইটা অবশ্যই খুঁজব আজ। ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
শান্ত-সুন্দরী মনের মতো একটা পোষ্ট নিয়ে এলে। স্যাল্যুট!
শোনো ভারতের পুরীতে জগন্নাথ দেবের মন্দিরে গেছি, কি ধরণের ভন্ড পান্ডা(তীর্থস্থানের পূজারীর অনুচর) যে আছে। পুজো দিতে গেলে সরাসরি মন্দিরে যাওয়া যায়না। পান্ডার সাহায্য নিতে হয়। একেকজন এমন এমন গা ছমছম করা কথা বলে, যেমন এই পুরোহিতের মাধ্যমে পুজো না দিয়ে গেলে অনেক রকমের বিপদ হবে, ইত্যাদি অনেককিছু। আমরা এমনিতেই পুজো দিতাম, আমার পিসামনির পরিচিত পুরোহিত ছিলো। পিসু আসলে গাড়ী পার্ক করতে গিয়েছিলো। ওরই মধ্যে বাপিকে ওরা একেকজন পান্ডা এসে ঘিরে ধরেছে। যাক পিসু এসে উদ্ধার করলো।
এমনই অনেক ঘটনা আছে দেখেছি। আমিও বলবো। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
ভালো থেকো। -{@
মৌনতা রিতু
পরের পর্বে এগুলোই দিব।
পাশে থেকো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ধুত্তোর আপু তুমি শেষ করে দিলে। 🙁
আবু খায়ের আনিছ
আমি অপেক্ষা করব পরের পর্বের, তারপর কিছু বলি ।
মৌনতা রিতু
ওকে। পরের পর্ব শুরু করি। 🙂
লীলাবতী
আমাদের দেশের ধর্ম ব্যাবসায়িরা নিজেদের সার্থে ধর্মকে বিকৃত করে ফেলেছে, যা অন্য দেশের ধর্ম থেকে আলাদা। অত্যন্ত বাস্তবসম্মত পোস্ট। কত ভাবনা আপনার মাঝে!
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, কাঁকন কন্যা। মিস করছি তোমাকে। থাক কোথায় ? রেগে যাব কিন্তু ! তবে ডুব দিয়ে যে পোষ্ট তুলে আন, তা কিন্তু চমৎকার।
ব্লগার সজীব
আপু, আপনার লেখা যতই পড়ছি ততই আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। দিনে দিনে একজন পারফেক্ট ব্লগারের মত লিখে চলেছেন। সমাজের অনেকের কাছেই আপনার এই লেখা ভাল লাগবেনা, সমালোচিত হবেন। কিন্তু এসব তো বাস্তব। ধর্ম আর আসল ধর্ম নেই এইসব ধর্মীয় ধান্ধাবাজদের কারনে। যতদুর জানি, পীর প্রথা সৌদি আরবে নেই, ওয়াজ মাহফিল সোউদি আরবে নেই। আমরা কি সৌদি আরবের চেয়ে বেশী মুসলমান হয়ে গেলাম? অথবা সৌদি মুসলিমরা কি ভুল করছে ওয়াজ মাহফিল না করে, পীর প্রথা চালু না করে?