গতকাল অন্ন নিয়ে আলাপ করেছিলাম আর আজ শুরু করি বস্ত্র আর বাকি গুলো নিয়ে।
বস্ত্রঃ
বস্ত্র বা কাপড় নিয়ে অবশ্য বেশি কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা কিন্তু আমাদের দেশের গরীব জনগোষ্ঠী খেতে পাড়ুক আর না পাড়ুক একটা কাপড় সেইটা ফাটা ছেঁড়া হোকনা কেন কষ্ট করে তা পড়তে বাধ্য হয়, কারণ আমরা তো আর আদিম যুগে নেই, এই সভ্য যুগে মানুষ যদি ঘাস লতা পাতা পরিধান করতো তাহলে আমরা সভ্য মানুষরা তাদের পাগল সাব্যস্ত করতাম আর এই ভয়ে হলেও গরীব জনগোষ্ঠী লজ্জা ঢাকার জন্য কাপড় পরিধান করতে বাধ্য হয় আর এই বস্ত্র বর্তমানে আমাদের দেশে প্রস্তুত হলেও তার দাম আকাশ ছোঁয়া শুধুমাত্র সরকার আর প্রস্তুতকারিদের অতি লোভের কারণে এই বস্ত্র আজ গরীবদের ক্রয় করার সাধ আর সাধ্যের বাইরে, যেমন ধরুন সরকার দেশে বিক্রির উৎপাদিত বস্ত্রের উপর ভ্যাট, টেক্স ধরে বিধায় ১০০ টাকার কাপড় ১৩৮ টাকা হয়, এরপর একি কাপড় উৎপাদনকারি পাইকারদের কাছে ২০০ টাকায় বিক্রি করে, আবার পাইকাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে উচ্চ লাভ রেখে বিক্রি করে আবার সেই খুচরা বিক্রেতা আরো লাভ রেখে তা বিক্রি করে আর এইভাবেই চক্রাকারে এই কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি হতে হতে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় দাঁড়ায় যা গরীবের কাপড়ের বিনিময়ে পেটে লাথি মারার মতোই অবস্থা আর শীতের কাপড় তো আরো মহা অর্ঘ, গরম কাপড়ের অভাবে শীতে এদের কত অমানবিক অবস্থায় থাকতে হয় তা সচক্ষে না দেখলে বুঝবেন না।
এমতাবস্থায় আমার মতামত হলো, সরকারের উচিত এই গরীব জনগোষ্ঠীকে সহজ ও সল্প মূল্যে কাপড় বা বস্ত্রের ব্যবস্থা করা, অথবা প্রতি বছর দুইবার এদের বিনা মূল্যে কাপড় বিতরণ করা, শীতের কাপড় যাহা ব্যবহৃত হয়েছে আগে (বিদেশ থেকে আমদানিকৃত) সরকার নিজেই আমদানি করে গরীবদের শীতের আগেই বিতরণ করতে পারেন, তদ্রুপভাবে পুরাতন কাপড় আমদানি করে সরকার এদের কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।
এছাড়া আমরা যাদের এই কষ্ট গুলো নেই তারা খেয়াল করে দেখুন প্রতি বছর আমাদের ঘরে প্রতিবছর বেশ কিছু কাপড় আমরা পরিধান না করে ফেলে রাখি আবার অনেকে এইসব কাপড় দিয়ে ঘর ঝাড় দেওয়ার, ঘর ধোয়ার সহ ইত্যাদি কাজে অযথায় ব্যবহার করে থাকি কিন্তু চিন্তা করে দেখুন এগুলোর অভাবেই আমাদের দেশের অনেক মানুষ গা ঢাকার জন্য কাপড় পাচ্ছে না, সতরাং আসুন না আমরা প্রতি বছর এইসব কাপড় জমিয়ে সামাজিক ব্যবস্থার মাধ্যমে গরীব দুখিদের মাঝে বিলায়, তদ্রুপ ভাবে গরম কাপড়েরও ব্যবস্থা করি।
কি পারিনা আমরা, পারবেনা সরকার?
________ ক্রমশ
ছবিঃ Google.
৩২টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
খুব বাস্তবতা সম্মত লেখা। সবাই যদি এমন সুচিন্তা করতো!
ইঞ্জা
আমরা শুরু করিনা, বাকিরা দেখে শিখবে। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ইঞ্জা আশা নিয়েই চলতে হবে। তারপর এই আশা আরেকজনকে দিয়ে নিজেকে চলেও যেতে হবে।
কিন্তু স্বপ্ন-পূরণ, মনে হয় না।
ভালো লিখছেন ধারাবাহিক এই রচনা।
ইঞ্জা
আমরা একজন যদি এগিয়ে যায় বাকিরা যে লাইন ধরবেনা তা কি আশা করা যায়না আপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
আমরা ততোদিনই বাঁচি, যতোদিন আশা থাকে। মানে হলো আশা নিয়েই পথ চলি।
ইঞ্জা
ঠিক বলেছেন আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
মানুষ সবই পারে ইচ্ছা নায় তাই………………।
ইঞ্জা
এই জন্যই বলছি আগে নিজে বাড়ুন বাকিরা ফোলো করবে, কি করবেনা?
মোঃ মজিবর রহমান
কে যাবে দুর্নাম ও মার খেয়ে!!!!
ইঞ্জা
কারো কাছে যাওয়ার দরকার কি ভাই, নিজে নিজেই করিনা।
রিমি রুম্মান
কত ছোট চাওয়া, তবুও হয় না পাওয়া…
তবুও আশার কথা যে, ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট দিয়ে কাপড় চোপড় কালেকশন করে বস্ত্রহীন মানুষের মাঝে বিতরন করছে।
ইঞ্জা
আপনারা যারা বিদেশে থাকেন তারাও চেষ্টা করুন না কিছু করার।
শুন্য শুন্যালয়
এখানে আমার কিছু কথা আছে ভাইয়া। আসলেই কী সব গরীবরা তাদের অবস্থার পরিবর্তন চায়? ভিখারির মৃত্যুর পরে তাদের বাড়িতে এত টাকা কেন পাওয়া যায়? দুস্থদের গরম কাপড়, কম্বল দেয়া কত রকম ভাবেই এখন অনেকেই সাহায্য করছে। এরা তা কাজেই লাগায় না। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো তাস খেলা, মদের পেছনে যেই টাকার অপচয় করে তা মধ্যবিত্তরাও করেনা। আমি সব নিম্নবিত্তদের কথা বলছিনা, তবে এটা সত্যি তারা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন চায়না।
ভ্যাট, ট্যাক্স যাই-ই বলুন ভাইয়া, এদেশের মুনাফালোভিদের চক্রান্তে সরকারের কোন নিয়মই ফলপ্রসু হবেনা, যদি না তার তদারকি না হয়।
ভালো একটি সিরিজ শুরু করেছেন ভাইয়া।
ইঞ্জা
আপু, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষকে দিয়ে সবাইকে যাচাই করা যায়না কিন্তু দেশকে এগয়ে নিতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করা উচিত সাথে সাথে নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতনও হওয়া উচিত।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শোষিত জনতার লেখাটি তাদের উপকার।সুন্দর -{@
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
ভেবে দেখার মত,
কম করে হলে কিছু প্রচেষ্টা কিন্তু চালু আছে,
আপনার ভাবনার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
আর সেইসব চেষ্টা যদি ঘরে ঘরে করা যায় তাহলে চিন্তা করুন কি হতে পারে।
মিষ্টি জিন
গনসচেতনতা মুলক পোষ্ট.. সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করি কিছু করার জন্য।
ইঞ্জা
এই তো চাই পার্টনার আর এই দেখে কিছু কিছু মানুষ যে আপনাকে অনুসরণ করবেনা তাতো নয়।
ক্রিস্টাল শামীম
আমাদের যা আছে তা নিয়ে যদি গরিবদের পাশেদাঁড়াই তাতেই হবে সরকারের দরকার হবেনা কিন্তু আমরা তা করিনা। কারণ আমরা নিজেকে সুখী রাখতে এতটাই মাতাল হয়েপরি যে রাস্তার মানুষটার দিকে তাকাতেই পারিনা। ধন্যবাদ আপনার শুভচিন্তার জন্য ।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ
লীলাবতী
আমরা আমাদের ব্যবহার্য পোষাক গরীবকে দিতে পারি। ভাল একটি সিরিজ পোষ্ট।
ইঞ্জা
শুধু অনুধাবন করাটা বেশী জরুরী।
ধন্যবাদ আপু। 🙂
মৌনতা রিতু
একটা কবিতা মনে পড়ছে।
স্বাধীনতা,
তোমরা কেমন আছেন বাহে ?
পিন্দনতে কালা শাড়ি,
মনে হয় কালের কাফন !
দুঃখ হয় বাহে, বুক ফাটি কান্দন বিড়ায়
কহন তো বাহে, ছাওয়াডা কি এই জন্তে যুদ্ধ করছে?
টাকা পয়সা কামাইল ওমরা
ছওয়াডা কেবল হামার মইল
কনতো বাহে এইগুলো জ্বালা
কার পরানে সয়।
তকেতো কং মাক্স নেলিন কি এত্তে হবার নয় ?
অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট ভাই। মিস্ করে গেছিলাম, এখন দেখলাম।
ভাল লাগল।
ইঞ্জা
বেশ কঠিন প্রশ্ন এই কবিতায় যা মন ছুঁয়ে গেল আপু, আমি অনুরোধ রাখলাম এই কবিতাটি কালেক্টেড করে ফেইসবুকে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপু অসাধারণ এই কমেন্টের জন্য।
মৌনতা রিতু
অনেক কিছু পারিনা, থাকে কিছু অপরগতা। আপনি চাইলে আপনার ইনবক্সে দিয়ে দিব।
ইঞ্জা
দিন প্লিজ সাথে লেখকের নাম সহ।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
মানবতা নাই ডিজিটাল মানুষের মধ্যে।
তবুও সবার কথা বইলা কি লাভ।
আমি আছি ছোট একটা ইিউম্যান ওয়েলফেয়ার গ্রুপের সাথে
ইঞ্জা
অভিনন্দন ভাই, সবার উচিত সমাজের জন্য কিছুনা কিছু করা।
আবু খায়ের আনিছ
পোষাক নিয়ে তেমন কোন অভিযোগ নেই মানুষের মনে, সুতরাং এই বিষয়টার আগে পূর্বের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ বেশি।
ইঞ্জা
যতই অভিযোগ কম থাক এরপরেও এ মৌলিক অধিকার।
ধন্যবাদ