এক বাটি রোদে স্নান সেরে উঠলো পাখিটা! ছোট্ট আদুরে শ্যামল পাতার ছায়ায় দাঁড়ালো। আলতো হাওয়ায় প্রশাখা দোলানো পত্র-পল্লবের ফাঁক গলে দূরের কুণ্ডলি পাকানো সফেদ মেঘে ওর দৃষ্টি! তারপর দোলালো সোনালী ঝালর মাখানো ল্যাজ। হালকা ঝাপটালো বর্ণালী ডানার রোদ্দুর ধোয়া পালক।
গোলাপী ক্যানভাসে ধূসর সুতোয় বোনা সরু গলা উঁচিয়ে একরাশ মধুর মধুরতা মিশিয়ে গাইলো কু-উ-উ-উ-। মনের মরমে এসে বিঁধলো আমার সে গান!
কতখানি বিশাল সামুদ্রিক প্রাণ সে ধরে রাখে তার ছোট্ট দেহে! অথচ মানুষ! হয় তো অনেকেই থলথলে নধর দেহে সংকুচিত প্রাণের চিহ্ন নিয়ে অবরুদ্ধ সীমাবদ্ধতার দেয়ালে! এ যেন কুপমুণ্ডকতায় পলায়নপর জীবন-বোধ!
আমিও কি সেই মানুষ!?
হয়তো…!
৯/৯/২০১৫ ইং, বুধবার।
ছবি সংগ্রহ ঃ গুগল
২০টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
স্যার এতো বেশী ভালো লাগছে আপনাকে ব্লগে দেখে। সু-স্বাগতম আমাদের সোনেলা নীড়ে। আপনার মতো একজন কবি ব্লগে লিখবেন না, তা তো হয়না। আপনাকে রোজ আসতে হবেনা, সপ্তাহে একটি দিন হলেও আসবেন স্যার। আমার অনুরোধ রইলো।
আপনার কবিতায় মন্তব্য করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। শুধু এটুকু জানি আমার প্রিয় কবিদের তালিকায় আপনি আছেন।
রায়হান সেলিম
চমৎকার লিখতে পারো তো তুমি। তোমার লেখা আমার ভালোলাগে! তোমার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে! সেটাই ঠিক।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্যার আপনি আজ পর্যন্ত আমার কোনো লেখারই সমালোচনা করেননি।
এই যে বললেন ব্লগে মন্তব্য কঠিন, আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। এভাবেই মাঝে-মধ্যে আসবেন। কেমন?
শুন্য শুন্যালয়
আপনি আমাদের প্রিয় রায়হান স্যার? 🙂 আপনার কথা এতো এতো শুনেছি নীলাপুর কাছে যে একদমই কাছের মানুষ মনে হচ্ছে। খুব আনন্দ হচ্ছে আপনাকে দেখে। সোনেলায় আমাদের ক্ষুদে ঘরে আপনাকে স্বাগতম স্যার। আমরা সবাই আপনাকে কিন্তু স্যার বলেই ডাকবো, আপনার আপত্তি না থাকলে। -{@
লেখা নিয়ে পরে মন্তব্য করবো কএকবার পড়ে তারপর। 🙂
রায়হান সেলিম
ভালোলাগার ধরণটাই কিন্তু আলাদা। কখনো-সখনো অসামান্যও মুখ থুবড়ে পড়ে! সামান্য পড়ে নেয় বোধের কাজল! আপনাদের অপরিমেয় মন্তব্য আমাকে প্রাণিত করবে!
ইলিয়াস মাসুদ
আপনি আমাদের প্রিয় রায়হান স্যার,আপনার আমরা সবাই আগেই ভক্ত,আপনাকে সত্যি সত্যি এখানে দেখব একটুও ভাবিনি,শুন্যাপুর কথাই বলছি আপনাকে আমরা স্যার-ই বলবো কিন্তু,শিখতে চাই আপনার থেকে অনেক অনেক-
কবিতার প্রথম লাইন-ই আমাকে কি যে আপ্লুত করেছে বলে প্রকাশ করি সে সাধ্য আমার নেই, আমি কবিতার পোকা,আর সে কবিতা যদি হয় এক বাটি রোদে স্নান সেরে উঠলো পাখিটা! তবে চোখ সরাতে পারলেও আমার মন গেঁথে থাকবে ওই লাইনে এ আমি নিশ্চিত।
অনেক অনেক ভাল থাকুন স্যার এমন কামনা
রায়হান সেলিম
খুব সহজে খুশি হবার জন্য বিশাল একটা মন চাই! চোরকাঁটা বেঁধা পরিবেশে ক’জন-ই বা তা পারে! আপনি পারেন বলে অচেনা পাহাড়-নদী-সমুদ্র…নিরন্তর ডাকে আপনাকে! সযত্নে থাক সুরভিত মনের ফুল আপনাকে ঘিরে!
প্রহেলিকা
দুদিন আগেই আপনার সম্পর্কে শুনেছি, গতিময় একটি কবিতাও পড়েছিলাম। অতঃপর আজ আপনার সাথে দেখা। দেখা পেয়ে আনন্দিত বোধ করছি।
সোনেলায় স্বাগতম, আপনার লেখার সাথে যেদিন পরিচিত হয়েছি সেদিনই আপনার অভাব অনুভব হয়েছিল, যা আজ পূর্ণতা পেলো। লিখবেন নিয়মিত এই আশা রাখছি।
শুভকামনা নিরন্তর।
রায়হান সেলিম
চমৎকার লিখতে পারো তো তুমি। তোমার লেখা আমার ভালোলাগে ! তোমার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে ! সেটাই ঠিক।
রায়হান সেলিম
আমি দুঃখিত। ভুলবশত ভুল হয়ে যাওয়ায়। নীলাকে লিখতে গিয়ে আপনার এখানে লিখে ফেলেছি। ব্লগ আমি মোটেও বুঝিনা। এই যে ভুল হয়ে গেলো, কিছু মনে রাখবেন না যেনো। আপনার ভালোলাগার আবিষ্টতা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।
ব্লগার সজীব
সোনেলায় স্বাগতম -{@ সোনেলায় আসার পুর্বে অন্য কোন লেখক এত পরিচিতি পেয়েছেন বলে আমার জানা নেই। আপনি কোন লেখা না লিখেই সোনেলায় জনপ্রিয়। আর এটি করে দিয়েছেন আপনার প্রিয় ছাত্রী, আমাদের নীলাদি।
ছোট্ট দেহে পাখি আন্দোলিত কমে মানুষকে, আর মানুষ তার বিশাল থলথলে দেহে বিরক্তি উৎপাদন করে মানুষের মনে, ভীতির কারণ হয়।
অত্যন্ত ভাল লেগেছে আপনার এই লেখা। নিয়মিত লিখবেন স্যার।
রায়হান সেলিম
আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ। নীলা একটু বেশীই আবেগী। আর তাই আমাকে নিয়ে এতোটা বেশী বলেছে। ভাষা দিয়ে সব বলা যায়না। অব্যক্ত অনুভূতির সীমারেখায় দিগন্তের যে অস্পষ্ট আভাস, সেটাই তো না বলা লহর !!
মিষ্টি জিন
সোনেলায় স্বাগতম স্যার -{@
নীলা আপুর কাঁছে আপনার কঁথা অনেক শুনেছি।
খুব ভাল লেগেছে কবিতা।
রায়হান সেলিম
নীলা একটু বেশী বেশীই বলে আমায় নিয়ে। তার এই হৃদ্যতাই আমায় নিয়ে এসেছে আপনাদের মতো নক্ষত্রদের কাছে।
শুন্য শুন্যালয়
আমরা সবাই তেমন মানুষ, সহজ জীবনটাকে অযথাই জটিল করি। যে কথা সহজ ভাবে কাউকে আবেগ দিতে পারে, তা আমাদের অতিরঞ্জিত বোধে কারো মনেই দাগ কাটেনা।
এক বাটি রোদ্দুরে স্নান। কি মিষ্টি একটা লাইন। কিছুটা সময়ের ভাগ আমরা চাইতেই পারি এমন লেখা পেলে।
রায়হান সেলিম
ভালোলাগা এক ধরণের আবিষ্টতা! জাগতিক যাপনের একটু বাইরে তরল তপোবনে নিশি যাপন! কিছুটা বিস্ময় আর অনেকটা মাধুর্যে আপ্লুত যে অনুভব, তা ছুঁয়ে দিক আমাদের সকলকেই !
মৌনতা রিতু
স্যার, প্রথমেই সালাম জানাই।
স্যার, আপনার কথা অনেক শুনেছি।
কবিতা পড়লাম স্যার। আমি তো কবিতার পাগল। আমি এই কবিতা ভালবাসতে শিখেছি, আমারই এক দিদিমনির কাছেই।
স্যার আমাদের ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন, এই কামনা করি।
রায়হান সেলিম
যা কিছু সুন্দর তাই তো কবিতা! নদীকে জড়িয়ে শিল্পের মধুরিমা! জীবন-নিসর্গে অবারিত শিশির ছোঁয়া আর অনেকটা ক্ষরণ; সুকুমার বৃত্তহীনতায় দেহাতীত বোধের কারু – সব-ই তো কাব্যসুন্দরী ! এ যেন আরক্ত লজ্জায় ঘাসের কুয়াশা !
আবু খায়ের আনিছ
স্বাগতম স্যার আপনাকে। নীলা দিদির লেখায় আপনার কথা পড়েছি। গতকাল আমি বলছিলাম স্যার লেখালেখি এখনো করেন কিনা। সত্যিই অনেক ভালো লাগছে আপনাকে সোনেলায় পেয়ে। আমরা আরো একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে পেলাম সোনেলা পরিবারে। অনেক অনেক শুভ কামনা। আজ এই পর্যন্তই পোষ্ট নিয়ে মন্তব্য পরে করা যাবে, শুধু এই টুকু বলবো, পড়লাম আর কিছু উপলব্দি করলাম।
রায়হান সেলিম
ভালোবাসায় যে এতো ভালোবাসা জানতাম না! ভালোবাসা অফুরন্ত! ভালোলাগা বোধের জন্ম হওয়াটাও একটি নান্দনিক ব্যাপার!
আপনার তা আছে! ধন্যবাদ!