আজ একটু দেরি করেই বিছানা ছাড়লো অমলেশ। সুর্যদেব উঠার আগেই বিছানা ছাড়ার অভ্যাস। খালি পেটে পানি পান ছাড়া এককাপ চা, মেপে মেপে বিশ ক্যালোরি। এর মাঝেই দেখা মেলে সুর্যদেবের। পূর্ব আকাশে তাকিয়ে ভক্তিভরে প্রণাম করে দিন শুরু হয় তার। আজ বড্ড লেট হয়ে গেলো তার। আধবোঝা চোখেই বালিশের পাশে হাত দিলো সে। ম্যাচবক্স টা আছে কিন্তু সিগেরেট নেই।সুর্যদেব কে প্রণাম না করায় বোধহয় আজ প্রথম এমন ঘটনা ঘটল কাজের লোক শিবশংকর ছুটি নিয়েছে আজ দুই দিন, মানে দাড়ায় আজও চা খাওয়া হবেনা। বেটার নাম শিবশংকর হলেও সারাদিন রামনাম কেনো ঝপে ভেবে পায়না অমলেশ। রাম কে কোনো কাজের দেবতা মনে হয়না অমলেশের। যে তার স্ত্রী কে রক্ষা করতে পারেনা সে কি করে দেবতা হয়? তার থেকে মনসা কাজের দেবী। ছলে বলে কৌশলে পূজা আদায় করে নিয়েছিলো সে। নীল বর্ণের কৃষ্ণের মৌশলকাল নিয়েও সন্দেহ হয় অমলেশের।একজন রাখালের দেবতা হয়ে যাওয়া। তার থেকে মুসলমানদের গ্রহণযোগ্য মনে হয় অমলেশের। দেবতার বালাই নাই। আল্লাহ এক। মুহাম্মদ (সা:) তার নবী ও রাসূল। এক বাক্যে বিশ্বাসী। যদিও শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। সারকথা একটাই আল্লাহ এক। সর্বক্ষমতার অধিকারী এজ আল্লাহ। এসব ভাবতে ভাবতে বিছানা ছাড়ে অমলেশ। এক বালতি গরম পানিতে হিসাব করে তুলসী পাতা দিয়ে স্নান সেরে নিতে হবে তার। আজ যেহেতু শনিবার হিসেব মত সাত টা পাতা। জল গরম করার আগে ডেগ নিয়মশুদ্ধ করে নিতে হবে মন্ত্র পড়ে। মন্ত্রটা এরকম
সুর্যং সাক্ষি
জ্বলেং অগ্নি
জলে চ তুলসি নাস্তি
জ্বলেং প্রশান্তি।
স্নান শেষ করে একটা কলা, অর্ধেক আপেল আর এক টুকরা পাউরুটি দিয়ে নাস্তা করলো সে। হাতের গ্লাভস, রিভলভার আর ভাজ করা যায় এমন মুখোশ টা পকেটে নিলো সে। ব্যাগে ভোজালিটা আছে কিনা পরিক্ষা করে নিলো একবার। ভোজালির করা খুন গুলো সাধারণত নিরাপদ হয়। বুলেটের খোসার উপর পরিক্ষা করে অস্ত্র চেনা আর কতটুকু দুরত্ব থেকে গুলি করা হয়েছে এসব তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে গোয়েন্দাসংস্থা গুলাএগিয়ে যায় খুনি ধরতে। আর ভোজালির করা খুন একদম জঞ্জাটমুক্ত। খঞ্জর এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও ক্ষেত্রবিশেষ ঝামেল করে। সূচ এখানে আরো একধাপ এগিয়ে। সমস্যা হয় স্পাইনাল কর্ড নিয়ে।
ভোজালি দিয়ে সুপারির পিছন থেকে আঘাত হানলে বিনা বাধায় কার্য সমাধা হয়। তবুও বাইচান্সের লাইসেন্স নাই।এসব কাজে সূচালো আর নিজ হাতে বানিয়ে নেওয়া ভোজালি টাই ভালো লাগে তার। কামারের দোকানে তিনন মাস কাজ শিখেছ অমলেশ। এরপর সরঞ্জাম যোগার করে বাসায় বসে বানিয়েছে এই ভোজালি। অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নেয়া যেত, কিন্তু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেসে।
আজকের সুপারি টা বেশ শক্ত মাল। রাজনৈতিক ক্ষমতাই শুধু নয়, আন্ডারওয়ার্ল্ড এর একজন মাফিয়াও বটে। খুব বড় মাফিয়া না হলেও তার নির্দেশেই ঢাকার অর্ধেক অংশ চলে। যদিও তার উপরের মাথাটা কে তা খুজে পায়নি অমলেশ।
২১টি মন্তব্য
শুভ্র রফিক
দারুণ উপস্থাপন করেছেন।
রুহুল
ধন্যবাদ দিয়ে ছোটো করতে চাচ্ছিনা। পরবর্তী পর্ব গুলো পড়বেন আশা করছি।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম -{@
এই গল্প কি এখানেই শেষ করে দিলেন? নাকি আরো পার্ট আছে?
লেখুন আরো, অন্যদের লেখাও পড়ুন।
শুভ কামনা।
রুহুল
🙂
না এখানেই শেষ নয়। এটা শুরু ছিলো। হ্যা আমি লেখার থেকে পাঠ বেশী পছন্দ করি।
জিসান শা ইকরাম
এখানে পরবর্তী পোষ্ট দেয়ার পূর্বে নীতিমালা ( https://sonelablog.com/tac/ ) সময় করে পড়ে নিবেন।
শুভ কামনা।
আবু খায়ের আনিছ
গল্পের শেষ কোথায়?
স্বাগতম সোনেলায়।
রুহুল
ধন্যবাদ আপনাকে। গল্পের শেষ খুজছি আমিও। ডায়রীতে পাচ পর্ব লিখেছি। দীর্ঘায়ত করার ইচ্ছা রয়েছে।
আবু খায়ের আনিছ
অপেক্ষায় থাকলাম।
রুহুল
জিসাব ভাইয়া পড়েছি। কিন্তু আপনার ঐখানে রিপ্লাই হচ্ছেনা কেনো বোধগম্য নয়।
অনিকেত নন্দিনী
সোনেলায় স্বাগতম -{@
এই গল্পের পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
রুহুল
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনিকেত নন্দিনী
ঝুড়ি ভরিয়া ধন্যবাদ কুড়াইলুম। 😀
শুন্য শুন্যালয়
বাহ্ শুরুটা তো চমৎকার হয়েছে, কিন্তু এখানেই শেষ না হলে, পর্ব ১ এমন লিখে দিলে ভালো হয়। নইলে সবাই এসে এই কথা জিজ্ঞেস করবে। দেবতার কথা ভেবে হাত গেলো সুপারীতে। 🙂 পরের পর্বের জন্য আগ্রহ বাড়লো।
স্বাগতম সোনেলায় আপনাকে। সহ্যাতীত হলেও একজন সুখী মানুষের দেখা পেলাম 🙂
-{@
রুহুল
পরের পর্ব গুলো তে ঠিক করে দিয়েছি। এমন মন্তব্য পেয়ে নিজেকে অখুশি বলতে পারছিনা। আমি সত্যিকারে সুখী . ধন্যবাদ আপনাক্র।
মোঃ মজিবর রহমান
স্বাগতম ভাই।
সুন্দর লাগলো।
পরের অপেক্ষায় রইলাম।
রুহুল
ধন্যবাদ
ব্লগার সজীব
স্বাগতম সোনেলায় -{@ ভালো লিখেছেন আপনি। শিরোনাম সংশোধন করে পর্ব-১ দিলে ভাল হয়। আমার ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি 🙂
রুহুল
অবশ্যই
অরুনি মায়া
সোনেলায় স্বাগত জানাচ্ছি আপনাকে -{@
দেবতাদের স্মরণ করে সুপারিতে যাওয়া!
মনে হচ্ছে গল্পে বৈচিত্র্য আছে |
আর শিরোনামের ব্যাপারে আমি অন্যদের সাথে একমত | পর্ব সংখ্যা দিয়ে দিলে বুঝতে সুবিধা হবে 🙂
রুহুল
নিশ্চয়ই . ধন্যবাদ আপনাকে।
হতভাগ্য কবি
পাখা হাতের খাসা লেখা, চলুক -{@