‘সোনেলা’ আমার অনলাইন সময়ে সাহিত্য+আড্ডার জন্য প্রিয় জায়গা। নিজের একাকীত্বের সময়টুকু এই সোনেলার সাথে কাটিয়েছি বেশ ক’টা মাস। ঘুরে ফিরে নানান পোস্টে বারেবারে বলেছি কেন ও কি করে এই সোনেলায় সবার মাঝে সময় কাটানো তাই নতুন করে কিছুই বলছি না। তবে ইদানীং সোনেলায় আমার পদচারণা সীমিত হয়ে এসেছে বেশ কিছু কারণে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনলাইনের সময়টুকুর প্রায় ৮০ ভাগ সময় কেটে যাচ্ছে ভাল লাগা এবং দায়িত্ববোধের কারণে অন্য একটি স্বেচ্ছাশ্রমের কাজের জন্য। অনেকটাই ঘুমের সময় পাল্টে ফেলে এবং ব্যক্তি সময় ছোট করেই। সোনেলায় সবার পোস্টে তো যাওয়া হচ্ছেই না বরং প্রিয় যে কয়জন ব্লগার এখানে আছেন তাঁদের পোস্টেও অতোটা সময় নিয়ে বসতে পারছি না।
ইচ্ছে ছিল সোনেলায় আমার ভাবনায় সেরা পোস্টের তালিকা করার, প্রতি মাসে আমার ভাল লাগার পোস্টগুলো নিয়ে পোস্ট দেওয়ার। কিন্তু মনোযোগ অন্যখানে দিতে গিয়ে এখানে পুরো মনোযোগের সাথে তা করতেও পারছি না। তবুও চোখ বন্ধ করে ভাবলেই গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত পোস্টের মধ্যে কয়েকটি পোস্টের কথা আমার ভাবনায় চলে আসে। এদের মধ্যে মানবিক বোধের জায়গা থেকে ঘটনানুক্রমিক দু’টি ছোট গল্প “এটি কোন গল্প নয়, না গল্প অথবা অন্য কিছু“, রহস্যে ভরা অতি-প্রাকৃত ক্ষমতা নিয়ে বড় গল্পের সিরিজ “অনূসুয়া- অ্যান আনসলভড মিস্ট্রি (১, ২, ৩, ৪ ও ৫ )” বারেবারেই পড়তে ইচ্ছে করে। এর বাইরে আরো অনেক পোস্ট এসেছে যা কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটার নাম নেবো ভাবলেই সবগুলো নিতে ইচ্ছে করে। শুধু এখানে আলাদা করে একটি ছোট গল্পের সিরিজ আর বড় গল্পের সিরিজের নাম নিলাম বলে এই না যে আমি বাকিদের লেখাকে খারাপ বলছি। আলাদা করে নাম নিলাম কারণ এই এক মাস পরে এসেও এই দু’টিই সবার আগে আমার মাথায় খেলে।
২০১৫তে সোনেলায় কাটানো সময়গুলো হতে কিছু পোস্টদাতাকে আলাদাভাবে উল্লেখ করতেই হয়, তবে সাথে আমার ব্যক্তি অনুভূতির দু’একটি লাইন যেখানে সমআলো ও লোচন দুই’ই রাখছি।
১। অরুনি মায়াঃ গল্প এবং কবিতা দুই’কেই এক করে লিখে ফেলা কঠিন। কবিতার ভাবনাকে গল্প আকারে লিখে সাথে আবার কবিতাকেও প্রকাশ করেন একই সাথে। এমন করে সবাই পারেন না। আপনার কবিতার জায়গাগুলোতে প্রায় সময়েই ভালবাসা চলে আসে। ভালবাসা ছাড়া কিছুই লেখা যায় না। বিদ্রোহ হতে শুরু করে জনমানুষের জন্য সব কথাতেই থাকে ভালবাসা। কিন্তু আপনার লেখায় নর-নারীর ভালবাসা উঠে আসে বেশ ভিন্নভাবেই। কখনই তা অন্য অনেকের মতো আমি-তুমি ধরনের নয় বরং নানান পরিবেশ দিয়েই সেই ভালবাসা প্রকাশ করেন। এইজন্যে আপনার এই রকমের পোস্ট পড়ার পরে একই রকমের মন্তব্য করা হয় প্রায়ই। তবে, ইদানীং আপনার লেখায় পুনরাবৃত্তির ব্যাপারটি চলে এসেছে। একই কবিতায় একই লাইন হুবহু বা একটি/দু’টি শব্দের পরিবর্তন এনে একই মানে ঠিক রেখে বারেবারে উল্লেখ করাটা পাঠকের মনে বিরতি নিয়ে আসে। মূলতও কবিতায় পুনরাবৃত্তি না আনাটাই উচিত, যদিও এটা বেশ কঠিন কিন্তু একই লাইন বারেবারে থাকাটাও ঠেকে যায়। আশা করছি আপনি আবার আপনার স্বরুপে ফিরবেন। আপনার লেখা “গাঁয়ের বধু” আমি বেশ অনেকের কাছেই ভালবাসা প্রকাশের উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছি। আমার দৃষ্টিতে এটিই আপনার সেরা লেখা।
২। রিমি রুম্মানঃ আপনার একান্ত অনুভূতি নিয়ে লিখে রাখা পোস্টগুলো আমার কাছে মনে হয় আক্ষরিক অর্থেই ব্যক্তি ব্লগের কথা। আপনার স্মৃতিতে জেগে থাকা বা ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা এমনভাবে এখানে লিখে রাখছেন যা যেই পড়ুক ভাবাবে তাকে। বেশ কিছু পোস্টে মানুষের ‘বিবেক’ হয়ে প্রশ্ন রেখেছেন সবার কাছে যার উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। আপনার পরবর্তী প্রজন্ম আপনার এই স্মৃতির স্রোতা হলে ভাগ্যবান হবেন নিশ্চিত।
৩। মরুভূমির জলদস্যুঃ আপনার বুক রিভিউ ও এপিগ্রাম নিয়ে লেখা প্রতিটি পোস্টই মনে রাখার মতো তাই আলাদা করে নাম নেওয়া কিছুই নেই। সোনেলায় আপনি এই বিভাগে অনন্য। এছাড়া আপনার ছবি ব্লগে ছবিতে আমাদের ভ্রমণ করাচ্ছেন, অংক নিয়ে রঙ্গ উপস্থাপন করে আমার মাথার চুল যা আছে তাও ছিঁড়ে ফেলছেন অবলীলায় ^:^ :p এইসব বিভাগে আপনিই সেরা 😀
৪। ফাঁকিবাজ ব্লগারঃ সোনেলার দুইজন প্রাচীন ও আদি ব্লগার জিসান শা ইকরাম এবং ছাইরাছ হেলাল। ইনাদের মধ্যে জিসান শা ইকরাম হচ্ছেন চরম ফাঁকিবাজ পোস্ট দাতা। ২০১৫তে বলতে গেলে তেমন পোস্ট দেননি; উল্টো অন্যদেরকে নিয়মিত পোস্ট দেওয়ার মতো কাজে লিপ্ত ছিলেন জোরেসোরেই। :@ ছাইরাছ হেলাল নিয়মিতই কবিতা লিখে পোস্ট করছেন, তবে ফাঁকিবাজ কেন? ফাঁকিবাজ কারণ উনি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট লিখেন একেবারেই “সারাংশের সারমর্ম’ লিখে ফেলার মতো করে। উনার ‘রুপকথা’ কবিতাগুলোও ইদানীং বন্ধ রেখেছেন।
৫। মারজানা ফেরদৌস রুবাঃ মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই লিখেছেন বেশী। প্রায় ১ বছর ১ মাস ৬ দিন হলো সোনেলায়, উনি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেই যাচ্ছেন অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন পোস্ট এলে আমার তেমন মন্তব্য করা হয় না যার কারণ একটাই- সেখানে কিছু বলার মতোন জ্ঞান ও যোগ্যতা নেই আমার। তাই উনারা য৭। তই লিখেন ততই চুপ করে পড়ার ইচ্ছে জাগে বেশী।
৬। ফাতেমা জোহরাঃ ১ বছর ১১দিনের ৩৭টি পোস্তের প্রায় সবগুলোই উনি বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বীরাঙ্গনা ও স্বাধীনতার বিভিন্ন সময় নিয়ে পোস্ট করেছেন, তবে রেফারেন্স সহ যেভাবে পোস্টগুলো এনেছেন তাতে বলতেই হয় উনার পোস্টগুলো একসময় দেশের ইতিহাসের অনেক কাজে আসবে রেফারেন্সের জন্যই।
৭। মেহেরী তাজঃ সেন্স অফ হিউমারের মুখপাত্র এই তাজ। নিষ্পাপ দুষ্ট বুদ্ধি আর রসবোধের জন্য সোনেলার সকলের কাছে জায়গা করে নিয়েছেন, নিচ্ছেন। যদিও বেশ কিছুদিন হতে ব্যক্তি সমস্যায় অনুপস্থিত সোনেলায় তবুও উনার পোস্ট মানেই হাসি আর মিষ্টি-দুষ্ট আলাপচারিতায় মেতে ওঠার জায়গা। মাঝে মধ্যে দু’একটা ভিন্ন লেখা পোস্ট করে উনার মেধার ও উদ্ভাবনী চিন্তার পরিচয় দিয়ে অবাক করেছেন আমাদের।
৮। ব্লগার সজীবঃ নানান উপাধিতে ভূষিত আমাদের সজু বাইয়া। যদিও সবার পিচ্চি বলেই পরিচিত তবুও উনি হচ্ছেন স্বস্বীকৃত ও অনুমোদিত একমাত্র শিষ্য যাকে মেহেরী তাজ একমাত্র শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। রম্য লিখতে সবাই পারেন না, অত্যন্ত কঠিন আর এই কঠিন কাজ অবলীলায় শুরু হতেই করে যাচ্ছেন সজু বাইয়া। ইদানীং দু একটি রম্য পোস্ট ও মন্তব্যে উনার প্রাজ্ঞতা দেখে অবাক হতে হয়েছে আমাদের।
৯। অপার্থিবঃ একেবারেই স্বতন্ত্র ঘরানার। উনার বিজ্ঞতা উনার মন্তব্যেই প্রকাশ পায়, কিন্তু পোস্ট করেছেন একেবারেই কম, যা করেছেন তা প্রতিটিই অনেক বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে, বলা চলে অনলাইনের স্বত্বা নিয়ে উনার লেখাগুলো চিন্তাকর্ষক। আশা করছি ২০১৬ তে উনি পোস্ট বেশী দিয়ে আমাদের তৃপ্ত করবেন।
১০। আবু খায়ের আনিছঃ সোনেলায় আলোচনায় এসেছেন উনার ‘লাশ’ নিয়ে। এরপরে রম্য লেখা কাল্পনিক সাক্ষাৎকার দিয়ে সবার পেটে হাত দিয়ে হাসিয়েছেন বটে। উনি লিখেন, লিখছেন। আশা করছি ২০১৬তে এসে আরো একজন পূর্ণ লিখিয়েকে পাবো আমরা।
১১। মনির হোসেন মমিঃ সোনেলার প্রথম মিলনমেলা ২০১৪ তে উনার সাথে দেখা হয়। মাটির মানুষ, লিখে যাচ্ছেন। উনার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পোস্টগুলো নিয়েই উনি মা ও মাটির মানুষ।
১২। নীলাঞ্জনা নীলাঃ সোনেলার আরো এক প্রাচীন সদস্য। উনি উনার বলাকা সিরিজের ভেলায় ভেসে ভাসাচ্ছেন সবাইকে নিয়মিতই। সম্প্রতি উনি সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে সোনেলায় উপস্থিতি নেই। উনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
*ফিরে আসাঃ সোনেলায় অনেকেই ফিরে আসছেন আবার অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। তবে ফিরে এসে আবার ঝাঁকিয়ে বসেছেন সোনেলার একমাত্র সন্ত্রাসী অনিকেত নন্দিনী। যার দাপুটে পদচারণায় সোনেলা মুখর ছিলো তাকে আদর করে লীলাবতী অনিকেত সন্ত্রাসী উপাধিতে ভূষিত করেছেন। (ভয়ে ভয়ে লিখছি, না জানি আবার কবে আমার উপর হামলা করেন :p )
১-১২ জন ব্লগারের নাম যাদের নিলাম উপরে উনাদেরকে ক্রমানুসার করেছি মেধার বিচার করে নয় বরং সরব উপস্থিতি ও উপস্থাপনার বিবেচনায়। আরো বেশ কজন আছেন যাদের নাম আমি এখন নিচ্ছি না কিন্তু ২০১৬ শেষে নিশ্চিত উনাদের নাম আমি উল্লেখ করবো।
দুইজনের নাম আমি কিছুতেই কোন তালিকাতেই রাখবো না তাঁরা হচ্ছেন শুন্য শুন্যালয় এবং লীলাবতী। এই দু’জন ছাড়া সোনেলা কোনদিনই পুর্ণতা পাবে না। কিছুতেই না। উনারা উনাদের নামেই স্বয়ং সম্পূর্ণ।
এইবার আসি সমালোচনায়। সোনেলাকে এই অবস্থানে আসতে নানান চড়াই উৎরাই পার হতে হচ্ছে। যারা এই কাজ করছেন তাদের ধিক্কার নয় বরং আহ্বান করলাম শুদ্ধ মনে লেখার মাধ্যমে সোনেলায় জায়গা নিতে চাইলে নিতে আসুন নচেৎ তফাতে যান।
যা বলতে এই পোস্টের শুরু তা হচ্ছে আমি সময় দিতে পারছি না। ধারণা করছি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে আরো বেশ ক’জনার মতো স্বেচ্ছাশ্রমে যে কাজে সময় দিচ্ছি তা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়ে যাবে। এরপরেই পূর্ণ মনোযোগের সাথে সোনেলায় মেতে উঠবো বলে বিশ্বাস রাখছি নিজের উপরেই, ততোদিন আমার অনিয়মিত উপস্থিতি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
শুরুতেই মাত্র গুটি’কয়েক পোস্টের নাম নিয়ে শেষ করে দিলাম বলে সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ। -{@
৫৫টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
রে রে রে রে রে! :@
আমারে সন্ত্রাসী বলে? পিচ্চি তাজ, বন্দুকটা দাও দেখি! আর লীলাবতী, ছবির সেই রামদাটা কই? এইবার ভোরের শিশিরের খবরই আছে!!
গেলাম কবে যে ফিরে আসবো? 😮
ছিলাম সবসময়ই। পেশাগত ব্যস্ততায় সময় পাইনি। 😀
ভোরের শিশির
আবার ডর দেহায়!!!!!! যামুগা কিন্তুক রামদাও বাইরে করলে ;(
অনিকেত নন্দিনী
ডর দেহাই নাই, হাচা কইছি। :p
রামদাও বাইর করলে যাওনের সুযোগ দিমু? কচুকাটা কইরা থুমুনা? :@
ফাঁকিবাজ কোথাকার! খালি পলানোর ধান্দা, তাইনা? এইসব ফাঁকিজুঁকি ধান্দা ছাইড়া নিয়মিত লেখা দিতে হইবো। কথা না শুনলেই রামদাও আর বন্দুক, বুঝা গেছে? -:-
ভোরের শিশির
নি
য়
মি
ত
দিলাম লেইক্কা 😀 :D)
অনিকেত নন্দিনী
:@ :@ :@ :@
তবে রে!!!!!
:@ :@ :@ :@
দিলাম চাপা দিয়া!
:@ :@ :@ :@
ভোরের শিশির
চা পাতি দিলে চলপে অনিকেত আপু 😀
:D)
আবু খায়ের আনিছ
দাদা, ঠিকই বলেছেন,শুন্য শুন্যালয় এবং লীলাবতী এই দুইজন আপন মহিমায় উজ্জল। প্রিয় সব লেখকদের নাম দেখে ভালোই লাগছে। সবার লেখাই কম বেশি পড়া হয়, কিন্তু কিছু মানুষ থাকে যাদের লেখা মিস হেয়ে গেলেও পরে পড়ে নিতে নয়। জিসান ভাইয়া, অরুনী মায়া, এবং আমাদের প্রিয় নীতেশ দা, সেই সাথে সজু আরো কয়েকজন ত আছেই।
অপার্থিব ভাইয়ার সাথে ত আমার অবার একটু যুক্তিতর্ক বেশি হয়েছে। যদিও তর্ককরার উদ্দেশ্য জ্ঞানীর জ্ঞান থেকে কিছু ছিনিয়ে নেওয়া। সর্বপরি সোনেলার সবাই পরিবারের মত একে অপরকে লেখনীর মায়া জালে আবদ্ধ করে রেখেছে।
সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছ, ভালোবাসা, এবং অভিনন্দন। -{@ -{@ -{@ -{@
ভোরের শিশির
অপার্থিব অল্প কথায় গুছিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করে থাকেন। বেশ ভাল লাগে সেগুলো।
আরো কতজন যে আছেন এই সোনেলায় প্রিয় তালিকায়!
শুভেচ্ছা আপনাকেও 😀 -{@
অপার্থিব
নিজেকে কোন “জ্ঞানী” মনে করি না কিন্ত যে কোন যুক্তি, তর্ক, আলোচনাকে সব সময় স্বাগত জানাই। কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে পৃথিবীর সব মানুষকে যে একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই। কাজেই যুক্তি আলোচনা হতেই পারে।
আবু খায়ের আনিছ
অবশ্যই অপার্থিব ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিবেন। -{@
অরুনি মায়া
অনেক ধন্যবাদ শিশির দা | আপনি সব সময়ই আমার লেখাগুলো বেশ যত্ন সহকারে পড়েন এটা আমি বুঝি | সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি | আসলে আমি কবিতা তেমন কিছুই বুঝিনা এটা আমি বরাবরই বলে থাকি | আপনি আর শুন্যাপু আমাকে বিভিন্ন সময়ে নানান পরামর্শ দিয়ে থাকেন এটা আমার ভাল লাগে, লেখার ভুল ত্রুটিগুলো বুঝতে পারি | আসলে লেখায় সমালোচনা থাকা উচিত এটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি | 🙂
তবে পুনরাবৃত্তির ব্যাপার টা ঠিক বুঝতে পারছিনা ,যদি আমার কোন কবিতার কিছু লাইন উল্লেখ করে বলতেন তবে বুঝতে পারতাম 🙂
ভোরের শিশির
পুনরাবৃত্তিঃ
আপনার ‘আমি নই একা’ কবিতা প্রতি অনুচ্ছেদের ১ম লাইন- আজ আমি নই একা/নই আমি আজ একা/একা আমি নই আজ/নই আজ একা আমি/আমিতো আজ একা নই/একা নই আমি আজ। আপনার কবিতায় অন্ত্যমিল বেশ লক্ষ্যণীয়। সাধারণত অন্ত্যমিলের কবিতায় অনুচ্ছেদ্গুলো আপনি দুই লাইনেই শেষ করেন। চাইলেই তিন লাইনের অনুচ্ছেদে প্রথম লাইনের অন্ত্যমিল শেষ লাইনে দেখাতে পারেন বা চার বা ততোধিক লাইনেও।
এছাড়া সাধু ও চলিত শব্দরূপের মিশ্রণঃ
আপনার ‘কথা রাখিও বন্ধু’ কবিতায় সাধু ও চলিত শব্দরূপের মিশ্রণ বেশ লক্ষ্যনীয়। যেমন রেখ-রাখিও, খুঁড়ে-খুঁড়িয়া, ছেড়ে-ছাড়িয়া ইত্যাদি। রেখ,ছেড়ে ইত্যাদি চলিত শব্দ আপনি একই লাইনে সাধু শব্দের মধ্যে রেখেছেন এবং অন্ত্যমিল ঘটানোর জন্যই এমন মিশ্রণ করেছেন বুঝেছি আপনার কবিতায় যা ঠিক নয়।
হয়তো বলতে পারেন এইসব আবার এখানে বলছি কেন? উত্তর হচ্ছে- সাধু চলিত শব্দের মিশ্রণ নিয়ে আপনাকে আগেও বলেছি। আর শব্দের পুনরাবৃত্তি ধরিয়ে দিলেও কিছু হবে না যদি আপনি নিজে থেকে উপলব্দি করতে না পারেন যে শব্দের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। কেননা, কবিতায় শব্দ তৈরী হয় নিজ-ভাবনা হতে, অন্যে বলে দিলেও তা পরিবর্তণ হয় না।
আপনি কবিতা নিয়ে জানতে চেয়েছেন, নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কবিতা নিয়ে আভিধানিক তেমন নিয়ম নেই তবে বিজ্ঞজনেরা কবিতা নিয়ে কিছু গাইডলাইন দিয়েছেন।
নেটে অনেকের অনেক এমন গাইডলাইন পেতে পারেন তবে আমার কাছে সবচাইতে সহজবোধ্য আর গ্রহণযোগ্য গাইডলাইনটির লিংক দিলাম এখানেঃ
https://www.facebook.com/notes/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE/%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-/10151726482910694
মনে রাখবেন নিয়ম মেনে কবিতা লিখতে গেলে তা কবিতা না হয়ে শব্দ অংক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। 😛
অরুনি মায়া
আপনার সামনে ফাঁকিবাজি চলবেনা সেটা আগেই বুঝেছি | হ্যাঁ এটা অবশ্য ঠিক আমার প্রায় সব কবিতাই দুই লাইনের অনুচ্ছেদে শেষ হয় | তবে দুই একটা তিন চার লাইনের অনুচ্ছেদও আছে | আমি ইদানিং সেই চেষ্টাই করছি ,তবে ঠিকমত হয়ে উঠছেনা | দেখা যাক কতদূর কি করতে পারি | 🙂
ধন্যবাদ শিশির দা মূল্যবান সাজেশনের জন্য 🙂 (y)
অরুনি মায়া
লিংক টা কাজ করছেনা শিশির দা
ভোরের শিশির
আমি বলেছি ‘সাধারণত’, সবগুলো নয় :p
ফাঁকিবাজি না, হয়তো খেয়াল করতে পারেন না বা অনভ্যস্ততার জন্য হচ্ছে।
লিংক এখন কাজ করবে, প্রাইভেসী দেওয়া ছিল :p
অরুনি মায়া
আসলে লেখার জগতে আমি নতুন তো তাই এইসব ভুল মেনে নিতে হবে কষ্ট করে 🙂
ভোরের শিশির
কবিতার জগতে সবাই নতুন, কারণ প্রতিবার লিখতে হয় নতুন করে :p
শুন্য শুন্যালয়
ভুলে লিঙ্কে ক্লিক করছিলাম, তারপর থেকেই আমার দাঁত কেমন জানি নড়তাছে। ওরে আমি আর জিন্দেগীতে কবিতা লেখার ট্রাই করুম না। ;(
ভোরের শিশির
:D) তুমি নিজেই আস্ত কবিতা শুন্যাপু 😀 :D)
অরুনি মায়া
ভালোয় ভালোয় আমার ছন্দগুলো ফেরত দিয়ে যাও শুন্যাপু কোথাকার 🙁
ভোরের শিশির
শূন্যের ছন্দ নেই, মায়াতে আছে 😉
মরুভূমির জলদস্যু
এই রকম বিশ্লেষণ ধর্মী লেখার যোগ্যতা দেখে আমি সব সময়ই কষ্ট পাই। অন্যের এই ধরণের লেখার ক্ষমতা আছে তার জন্যে না, বরং আমার এই রকম চমৎকার কিছু লেখার ক্ষমতা নেই সেই জন্য কষ্ট পাই। (-3
ভোরের শিশির
আরো কত কিছুই যে বলার ইচ্ছে ছিলো! কিন্তু সময় স্বল্পতা আর মনোযোগের অভাবের কারণেই তেমন করে গুছিয়ে লিখতে পারিনি।
আপনার যা আছে তা আমাদের অনেকেরই নেই। আপনি যা লিখে সেটার কিছুই আমি পারি না 😀
দিল ভাইংগেন না প্লিচ, ভাঙা দিলে কবিতা হয় বটে কিন্তু অংক রঙ্গ হবে না 😛
ছাইরাছ হেলাল
আবার ও স্বরূপে নীতেশ!! ছড়ি, ভোরের শিশির।
এত স্বব্যস্ততার ব্যতিব্যস্ততার মধ্যেও আপনি ও আপনারা যে শ্রম দিলেন তা অভাবিত,
অতএব ফেব্রুয়ারী যেন অতি চঞ্চল পায়ে হানা দেয় সে অপেক্ষায় রইলাম।
একটি কথা আপনার মত বলতে চাই আমাদের আমাদের মত থাকতে দিন, দিল দরাজ করুণ, সাথেই থাকব, সব সময়।
আমাদের বিচ্যুতির উর্ধ্বে উঠে আমারা আমাদের হই।
আসা ও যাওয়ার নিয়ম স্বাভাবিক হলেও কিছু অনুপস্থিতি নস্টালজিক করে ফেলে, যে এড়ানো কঠিন।
কত কিছুই ত লিখতে চাই, পারছি কৈ!!
ভোরের শিশির
আপনে ফাঁকিবাজের সম্রাট ^:^
জিসান শা ইকরাম
ভিন্ন ধরনের পোষ্টটি ভালোই লাগলো।
ভালো লাগা পোষ্ট এবং প্রিয় ব্লগার নির্বাচন সঠিক আছে
ফাঁকিবাজির কারন নিশ্চয়ই আছে…… এত এত মানসম্পন্ন লেখক/ব্লগারের লেখার সামনে নিজের অমানসম্পন্ন লেখা যত কম আসে ততই ভালো 🙂 আসল কাহিনী এবার প্রকাশ করে দিলাম।
শুভ কাজে ব্যস্ত থাকা ভালো
সোনেলার জন্য খুব বেশি সময় দিতে হয়না দিনে
পোষ্ট কম এখানে…… দিনে ৩০ মিনিট বরাদ্ধ রাখলেই চলে।
শুভ কামনা -{@
ভোরের শিশির
আধাঘন্তার জন্য আসলে দেখা যায় আটকে গিয়েছি মন্তব্য-জবাবের আড্ডায় 😛
আপনি আসলে অনেক বেশী ভাল লিখেন তাই কম কম প্রকাশ করছেনা আমাদের সামনে… -:-
নাসির সারওয়ার
খুব ভালো কড়চা। আপনি যাদের কথা বললেন তারা অনেক উঁচু মানের লিখিয়ে (অবশ্যই আপনি সহ)। আমি অনেক ভালো সময় কাটাই সোনেলাতে (যতটুকু পারি)।
অনেক শুভেচ্ছা।
ভোরের শিশির
আপনার কবিতা এই বছর না পেলে আপনাকে খরচ করতে আরেকটা পোস্ট দেবো ^:^ :@
শুন্য শুন্যালয়
হৈহুল্লোড়, দাঁত বের করা আড্ডাবাজি ছাড়াও তোর দুইটা তীক্ষ্ণ চোখ আছে, তা আমরা আগে থেকেই জানি। বিশ্লেষণ করবার এই গুণ মনোযোগ, আর লেখালেখির প্রতি অনেক ভালবাসা ছাড়া সম্ভব না। ইচ্ছে করছে তোর এই পোস্টে প্রত্যেকের লেখা সম্পর্কে যেভাবে বলেছিস আমিও আলাদা করে প্রতিমন্তব্য করি, সময়ে কুলোবে না বলেই মনেহয়। একটু ব্যস্ততা যাচ্ছে, তোর ফেব্রুয়ারী আর আমার শেষ হতে এপ্রিল লেগে যেতে পারে।
* শুরুতেই যেই কটি লেখার কথা বলেছিস, তা এক বাক্যে সবার মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। দীপংকর চন্দের গল্প দুটো ভীষন ভাবে নাড়া দিয়েছিল, সাথে তার রূপকথা নয় চুপকথা কবিতাটিও। দীপংকর দা কে দেখছিনা অবশ্য কিছুদিন, আবার আগের মত ফিরে আসুন সে কামনা করছি। অনুসূয়া সিরিয়ালটিও বেশ থ্রিলিং টাইপের ছিল।
* মায়া আপুর লেখা নিয়ে যেভাবে বলেছিস, তা অতি শুভাকাঙ্ক্ষীরাই এমন করে বলবে। লেখার সমালোচনা, ভুল শুদ্ধ নিয়ে না বললে কেউই অনেকদূর যেতে পারেনা। আমিও আমার লেখায় এমন চাই। অতি প্রশংসা করে আমার মাথাটাই বিগড়ে দিসনা ^:^
* রিমি আপুর লেখায় সম্পর্ক ঘিরে যে আবেগ থাকে, তা আর কেউ প্রকাশ করতে পারে বলে আমার মনে হয়না।
* আমাকে আর লীলাবতী কে নিয়ে যা বলেছিস তা তোর অতি ভালবাসার ফল। সোনেলার প্রত্যেকটা ব্লগারই ব্লগের প্রাণ। কাউকে ছাড়া সোনেলা স্বয়ংসম্পুর্ন নয়। প্রত্যেকেই সোনেলায় নিজেদের লেখার একটা ফরম্যাট গড়ে দিয়েছেন, যা পড়ার তৃপ্তির জন্য তোর আমার সোনেলায় আসা।
যেভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ লিখলি তাতে তোকে নিয়েই আবার বিশ্লেষণের দরকার। তোর দীর্ঘ অনুপস্থিতিতি মানবোনা, কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত আসবি। চমৎকার এই পোস্টটি নিয়ে কিছু নয়, আমার অনেক কথাই বলার ছিল, বলবোও ফাঁকেফুঁকে এসে। হাইট কত জানিনা তোর, তাই ধন্যবাদ আপাতত মুলতবী রাখলাম।
ভোরের শিশির
‘রূপকথা নয় চুপকথা’ কবিটাটি নভেম্বর মাসের শেষ দিকে পোস্ট করেছিলেন বলে উল্লেখ করিনি। সোনেলায় ২০১৫তে যেসব কবিতা এসেছে তাদের তালিকায় একেবারে উওপরের দিকেই থাকবে উনার এই কবিতাটি।
তুমি ও লীলাপু হচ্ছো স্বয়ংসম্পূর্ণ। তোমাদের লেখা কোন নির্দিষ্ট ফর্মেটের নয়, তোমাদের নিয়ে লিখতে গেলে পোস্ট-বাই-পোস্ট নিয়ে লিখতে হবে এবং এতেও তোমাদের স্বরূপ দেখানো সম্ভব নয়।
আমার উচ্চতা ৫’৯” 😀 ধন্যবাদ না দিয়ে জম্পেশ একখানা পোস্ট দাও। আর বিশ্লেষণ করে সেভাবে পোস্টটি লিখতে পারিনি সময়াভাবে 🙁
তোমাদের অনিয়মিত উপস্থিতিতে ফাঁকা লাগে খুব… ;(
শুন্য শুন্যালয়
পোস্ট কবে দিতে পারবো ঠিক নেই 🙁 তবে সোনেলা থেকে থেকে খোঁচায়, উঁকি না দিয়ে যেন পারিই না।
যেভাবে লিখেছিস, সেটাও নিয়মিত আর ধারালো চোখ ছাড়া লেখা যায়না। তুই একটু নিয়মিত আয়। সময় পেলেই আসার চেষ্টা করবো।
ভোরের শিশির
গতকাল ফাঁকি মেরেছি। কালকের মধ্যে সেই কাজ শেষ না করলে বকা শুনতে হবে। নিজের অক্ষরজ্ঞান ও ভাষাজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্যই বেশী সময় দিতে হচ্ছে ।
আমার চোখ ধারালো নয়, একেবারেই কোমল :p
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা ঠিকাছে হরিণ চোখ তোর যা :p
বানানের ভুল নিয়ে সিরিয়াল পোস্ট দেবার ইচ্ছা লালন করছি অনেকদিন থেকে, নিজের যাতে ভুলগুলো কমে। দেখা যাক কবে তাহার মর্জি হয়।
কাজকর্মে ফাঁকি দেস ক্যান? অইটা আমার ডিপার্টমেন্ট। যা কাজ কর।
ভোরের শিশির
দেখতেই তো অপেক্ষা করছি! শীঘ্রই পোস্টটি সোনেলা ডাকঘরে পোস্ট করে দাও। আমার উপকারে আসবে 😀
মন না বসলে কিছুতেই সেই কাজ নিয়ে নাড়াচাড়া করি না 🙁
তোমার ডিপার্টমেন্টের সুপারভাইজার আমি তো :p
শুন্য শুন্যালয়
ফাঁকিবাজি ডিপার্টমেন্টে কিন্তু ফাঁকিবাজি চলবেনা আর বেতন টেতন নাই 😀
ডাকঘরে পোস্ট দেবার আগে আমি নিজেই কিছুদিন পোস্ট হইতাছি। দেখা হইবে আবার, বাইচ্চা থাকলে। 😀
ভোরের শিশির
বেতন টেতন লাগতো না। তোমার বাসায় ডাল ভর্তার ভাত পাইলেই চলবে 😀
দ্রুত পোস্ট হও তবে 😀 বাঁইচা থাকুম ততোদিন 😀 \|/
অপার্থিব
ব্লগে কতটা মনযোগী হলে এরকম বিশ্লেষনী পোষ্ট দেওয়া যায় সেটাই ভাবছি। আপনি নিঃসন্দেহে দারুন একটা কাজ করেছেন। আমি একবছর আগে এখানে সদস্য হলেও নিয়মিত আছি মাত্র আড়াই মাস। এই আড়াই মাসে এখানে পোষ্ট করে এবং অন্যদের লেখা পড়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বেশ ভাল লেগেছে। অল্প দিনেই যা মনে হয়েছে তা হল এখানে একটা ফ্যামিলি এনভায়রনমেন্ট বেশ ভাল কাজ করে যেটা সাধারণত অন্য ব্লগে বিরল। নিজেকে কোন জ্ঞানী বা বিজ্ঞ বলে মনে করি না। কোন পোষ্ট পড়লে বা ভাল লাগলে তৎক্ষণাৎ যা মনে আসে সেটাই সাধারণত বলার ভঙ্গীতে লিখে ফেলি। তবুও প্রশংসাকে অনুপ্রেরনা হিসেবে নিলাম। আর আমার একটু আকটু লেখা লেখি মূলত অবসর সময়ে শখের বশে। লেখালেখির বাইরেও অবসর সময়ে করার মত আরো কিছু শখ আছে। সেগুলোতেও কিছু সময় দিতে হয়। তবুও চেষ্টা করবো নিয়মিত লেখার। ধন্যবাদ।
ভোরের শিশির
আপনার মন্তব্যে আপনার দক্ষতা ফুটে উঠে। আপনার একটি শখ একটু আধট লেখা লেখি করা, অন্য শখ নিয়ে জানালে আরো ভাল লাগবে 😀
মনোযোগ দিয়ে অন্যের সম্পর্কে কিছু বলতে পারাটাই সবচাইতে সহজ কাজ মনে হয়… :p
একটু আধটু সময়ের নিয়মিত পোস্ট দেখতে চাই 😀
দীপংকর চন্দ
মাঝে মাঝে অস্বস্তিবোধ আচ্ছন্ন করে আচমকা!
তেমন একটা পরিস্থিতিই যে এমুহূর্তে!
অস্বস্তি নিয়ে কিছু লেখা কষ্টকর!!
তবু লিখতে হয়, তবু লেখা হয়!!
জীবনের সঞ্চয় যেটুকু অভিজ্ঞতা, তাতে জেনেছি, চলার প্রতিটি পথে কিছু না কিছু অর্জন হয় প্রতিনিয়ত!!
সোনেলায় যাত্রা শুরু থেকে আপনাদের আন্তরিকতায়, অকৃত্রিম ভালোবাসায় যেভাবে সিক্ত হয়েছি, পাওয়া হিসেবে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক অনেক বেশি সেটা!
কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা নীতেশ দা আপনার প্রতি এবং আপনার মাধ্যমে সকলের প্রতি।
আর শুভকামনা, সে তো থাকছেই। অনিঃশেষ।
সকলেই ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
ভোরের শিশির
অস্থিরতা কেটে শব্দের বুনন শুরু হোক আবারো।
আশা করছি দ্রুতই সোনেলায় আপনার উপস্তিতি নিয়মিত পাবো।
শুভেচ্ছা জানবেন দাদা। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
পোস্ট মরডেম ভালই সংগে ব্লগার দারুন এনেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ মজিবর ভাইয়া 😀
২০১৬তে আপনাদেরকে নিয়েও এইভাবে লিখতে চাই… 😀
মোঃ মজিবর রহমান
অপেক্ষায় রইলাম আপ না ঢ়
ভোরের শিশির
আমিও আপনাদের 😀
ব্লগার সজীব
আপনি এত মনযোগী পাঠক তা আমি ভাবতেই পারিনি। ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত লেখার মাঝে ‘ এটি কোন গল্প নয়, না গল্প অথবা অন্য কিছু’ , “অনূসুয়া- অ্যান আনসলভড মিস্ট্রি (১, ২, ৩, ৪ ও ৫ )” আসলেই সেরা লেখা ছিলো। এমন বিশ্লেষনী পোষ্ট সোনেলায় তেমন নেই। আপনি যে সমস্ত ব্লগারকে নিয়ে লিখলেন, আমারটা বাদ দিয়ে অত্যন্ত সঠিক ভাবেই উপস্থাপন করেছেন সবাইকে। আমি আসলে এর মাঝে থাকার মত কোন যোগ্যতাই অর্জন করিনি। আপনার লেখায় একজনের নাম বাদ পড়েছে, তিনি হচ্ছেন ”ভোরের শিশির”, আশাকরি তার নামটা যুক্ত করে দিবেন আপনার লেখায়।
আমার সম্পর্কে যা লিখলেন, পড়ে তো আমিই লজ্জা পেয়েছি।অন্য সবাই হাসবেন আমাকে এমন ভাবে তুলে ধরায়,জানি আমি।
এমন পোষ্ট আরো চাই ভাইয়া।
ভোরের শিশির
“সোনেলায় জমে ওঠা বলতে লীলাবতী আর শুন্য শুন্যালয়।
আর সেই জমে যাওয়ার জন্য যে আঠা দরকার অর্থাৎ রসবোধ তা মেহেরী তাজ ও ব্লগার সজীবের”
-এর বাইরে আমাকে কেউ কিছু বললেও যুক্তি দিয়ে খন্ডাবো তা, অযুক্তি দিয়ে মারবো তাকে…ব্যসসস…
আপনাদের দুজনকে অনেক মিস করি, মিস করি শুন্যাপু আর লীলাপুর সেই নিয়মিত আনাগোনা…
ভোরের শিশিরের নাম? আমি আজ, এখনো বলছি ভোরের শিশির ব্লগিং বুঝি না। যা ভোরের শিশির বুঝে না তা নিয়ে ট্যাগড হওয়ার যোগ্যতা ভোরের শিশিরের নেই সজু বাইয়া…
তবে হ্যাঁ, হয়তো কোনদিন ভোরের শিশির তার মনের দ্বার খুলে এখানে কিছু বলবে, সেদিন হয়তো তার সোনেলা জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানা হবে সবার…
এমন পোস্টের জন্য যে আপনাদের সবাইকে চাই সজু বাইয়া 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
নীতেশ দা, লিখাটা পোস্ট করার পরই পড়েছি, কিন্তু মন্তব্য করার সুযোগ হয় নি। তার কারন প্রথমত প্রচণ্ড দৌড়ের উপর আছি। মা হাসপাতালে, অফিস থেকে বাসায় ফিরে খাবার রেডি করে হাসপাতাল আবার সকালে বাসায় ফিরে রেডি হয়ে অফিস এই চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। আজ একটু ফুসরত পেয়ে লিখতে বসলাম।
আমার আজকের নির্ধারিত পোস্টের লেখা রেডিই আছে। ধারাবাহিক এ লিখা অন্তত চার সপ্তাহ এগিয়ে রাখি, যাতে সমস্যাজনিত কারনে মিস না হয়। কিন্তু ইদানীং ব্যস্ততার কারনে সহ ব্লগারদের পোস্টে মন্তব্য করা হয়ে উঠছে না।
আপনি যে পড়েন, পোস্ট নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ এ লিখা থেকেই বুঝা যায়। প্রায় জনের লিখা নিয়ে এমন বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা চাট্টিখানি কথা নয়।
আমার লিখার বিষয়বস্তুও যে আপনার নজর এড়ায়নি, বুঝতে পারলাম।
অশেষ ধন্যবাদ।
ভোরের শিশির
রুবাপু, পড়ার কাজ তেমন কথিন কিছুই নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন কিছু সেটা পড়ার পর তা ন্যে কথা বলা আমার জন্য অনেক কঠিন……
আবার আমার জন্য সহজ হয় কিছু পড়ার পর তা পর্যবেক্ষণ করা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছুতেই আমার বলা হয় না, কারণ অনেক জানার বাকি। তবে মন থেকে যেসব পোস্টে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যে কথা বলা হয় তখন কিছু বলার সুযোগ ছাড়ি না…
একটা সময় আসবে যখন এইসব পোস্ট রেফারেন্স হিসেব উল্লেখ হবে যা আপনারা লিখছেন…
সাধুবাদ আপনাদের, এর চাইতে বেশী কিছু বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে 😀
লীলাবতী
আমি আর শুন্যাপু কোন তালিকাতেই নাই? না না না এটি কিছুতেই মানবো না ;(
এমন ভাবে আলাদা রাখলে সবাই আমাদের মনে মনে ভেংচি দেবে, ভেংচি দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ -{@
ভোরের শিশির
বাবা, মা, ভাই বোন এবং খুব প্রিয়জনকে কখনোই যেমন ভালবাসি কতটুকু তা বিচার করতে নেই তেমনই সোনেলায় আপয়ান্দের দুজনকে কোন তালিকাতেই নিতে নেই 😀
ভেংচি দিয়ে একটা পোস্ট দিন তো, কত্তদিন আপনার উৎসাহ আর উচ্ছ্বাসের পোস্ট পাই না!! 🙁 ;(
লীলাবতী
আচ্ছা আচ্ছা বুঝেছি আমরা হচ্ছি তালিকার বাইরে থাকা দুজন 🙂 কি যে লিখব তাই তো ভেবে পাচ্ছিনা। আমাদের সজু পন্ডিত তো আমার সব আইডিয়া নিয়ে গিয়েছে।
দেখা যাক 🙂
ভোরের শিশির
ঝরা পাতা-৫, মডুদের কাছে অভিযোগের তীর, আড্ডাবাজির পোস্ট কত্ত কি আছে আপনার!!
সজু বাইয়া আইডিয়া নিয়ে আবার ধার দিয়ে ফেরত দিয়েছে যাতে আপনি নতুন করে ধার দিতে পারেন 😀
লীলাবতী
দেখা যাক 🙂
ভোরের শিশির
ইয়েচ, দেখার জন্যেই তো বলছি… \|/