হাতে লাল গোলাপের তোড়া।
এক দৌড়ে ছুটেছিল রাস্তায়,
নীল পদ্মের সাজে পাঞ্জাবি
পকেটে আছে শেষ চিরকুট;
কিছুক্ষণ আগেই দিয়েছিল তাকে,
মন মানে ‘নি; তাই ছুটেছিল
কালো পিচে ঢাকা রাস্তায়
উদ্ভ্রান্ত ও উন্মাদনার খেয়ালে,
আবেগে ভেজা চোখ দেখেছিল
ও ‘পাড়ে লাল শাড়ীর দুলুনি
মৃদু অথচ শক্ত পায়ে চলায়,
নীল পদ্মে রাঙা পাঞ্জাবী
লাল হয়ে পিচ হয়েছে লাল-
যান্ত্রিক দানবের কর্কশ ধাক্কায়।
শুধু বাতাস শুনেছিল শেষ চিৎকারঃ
“ফিরে এসো”
লাল শাড়ীটি কাল জাম রঙে ভেসেছিলো হাহাকারেঃ
“ফিরে এসো”…
৩৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আর তো ফিরে আসবে না
বছরের প্রথম পোষ্টেই হাহাকার!
ধুর।
শুভ কামনা।
ভোরের শিশির
😀
এটা ঠিক হাহাকার না, সময় থাকতে ভুল শোধরানো বা কাউকে ফিরিয়ে আনার জন্য কালক্ষেপণ না করাটাই ভালো বুঝিয়েছি 😛
সোনেলায় আমার প্রথম পোস্টও এইরকম নেতিবাচক ছিলো আর এই বছরও শুরু এইভাবে!!! হুয়াট আ কুঞ্চিদেঞ্চ :p
ছাইরাছ হেলাল
বছর শুরুতে দারুণ এক বিয়োগান্তক লেখা দিয়ে শুরু করেছেন।
তবে এ ফিরে আসাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
লেখা চাইতে চাইতে কলম ব্যথা হয়ে গেলেও হাল ছাড়িনি।
ভোরের শিশির
তবে???
আর আমি যে আপনার ফিলিপাইন ভ্রমণ নিয়ে কতো কিছু চাইলাম, রুপকথা চাইলাম তা যে আনলেন না??? :@
সময় সব কিছুতেই আঁচড় লাগায় ভাইয়া 😀
আবু খায়ের আনিছ
দাদা, এইটা ত গান হতে পারে। গান লিখলেন নাকি কবিতা?
ভোরের শিশির
আমি গান গাইতে জানি না, সুরের জ্ঞান নেই, নেই তাল জ্ঞান। তাই গান কি না জানি না 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
বছরের শুরুতেই হা হা কা কার কেনরে ভাই?
যে আসার আসবে নইলে নতুন করে শুরু করুন।
ভোরের শিশির
হা হা করে হাসার জন্য শুরুটা হা হা কারে 😀
হ্যাপী নিউ ইয়ার ভাইয়া 😀
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাপি নতুন বছরের জন্য।
-{@ -{@ -{@ -{@
ভোরের শিশির
😀 ধন্যবাদ ভাইয়া 😀 -{@
শুন্য শুন্যালয়
নীলপদ্ম ডেকেছিল তারে, “ফিরে এলো সে”, কেমন আসা কে জানে। সে ডাকলো নীলপদ্মরে, “ফিরে গেলো সে”। কারোই আর ফিরে আসা হয়না।
এমন হাহাকারের লেখা দেয়া ঠিক না 🙁
লাল গোলাপের তোড়াটার কি হলো?
ভোরের শিশির
লাল গোলাপ হাতেই ধরা ছিলো শেষ পর্যন্ত… সিনেমায় দেখায় গোলাপ ছিটকে যায় এমন পরিস্থিতিতে। কিন্তু আমার মনে হয় এমন মুহুর্তেও ব্যক্তি গোলাপ ছাড়বে না বরং আরো শক্ত করে ধরে থাকবে (নার্ভ রিয়েক্ট করে শিথিল না করে বরং কিঁচুনি দিয়ে সংকুচিত হবে) 😛
হা হা করে হাসার জন্য হাহাকারে দিয়েই শুরু :p
শুন্য শুন্যালয়
হাহাকারের তাইলে এই রহস্য!! 🙂
সে ফিরে এসেছে। তেমন কিছুনা, পা একটা ভেঙ্গেছে।
ভোরের শিশির
কে জানে… কত কিছুই তো অজানা থেকে যায় হাহাকারে 🙂
নাসির সারওয়ার
এ ক্যামন আগমনী বার্তা! কেউ ফিরে আসেনা। আসেনি কখনো, আসবেওনা কোনদিন। সহজ সরল কথা দাদাভাই।
মনটা খারাপ ক্যান? কারো কারো মন খারাপ করার অধিকার নাই।
ভোরের শিশির
আপনার প্রথম লাইনের কথাগুলোর উত্তর একটা পোস্ট দিয়েই জানাবো একদিন 😀
মন খারাপ না কিন্তু ঘোরে ছিলাম। ১ তারিখ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আজ সকাল ৯টার ডিকে ঘুমিয়েছি… এইজন্যেই ঘোরের মধ্যে এমন পোস্ট 😛
হাহাহহা… আমাদের মন খারাপের অধিকার নেই। কান্নাটুকু আছে আয়নায় লাগানো রঙীন প্রলেপের মতো 😀
অপার্থিব
এই “যান্ত্রিক দানব” গুলো যে প্রতিদিন কত গল্পের অকাল প্রয়াণ ডেকে আনছে কে জানে ?
ভোরের শিশির
আপনার মন্তব্য বরাবরই ব্যতিক্রম হয়।
দারুণ একটা জায়গায় দৃষ্টিপাত করেছেন 😀 … এই ‘যান্ত্রিক দানব’ চালকদের জীবনটাও যে কতোতা অমানবিক হয় কে জানে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
অনিকেত নন্দিনী
বছরের শুরুতেই যন্ত্রদানবের চাপা দেওয়ার কাহিনী কইয়া দিলেন তো ভয় ধরাইয়া!
:@
ভোরের শিশির
এহহ্! আপনি কামব্যাক পোস্ট দিয়াই আম্রে রাম’দাওয়ের ডর দেহাইলেন তো আমিও দেহাইলাম আর কি :D)
অনিকেত নন্দিনী
রামদাও দিয়া কোপাইয়া টুকরা টুকরা করলেও আলিবাবার দর্জি মুস্তাফারে আইন্যা সেলাই করার ব্যবস্থা থাকে, মাগার যন্ত্রদানব চাপা দিয়া হালুয়া বানাইলে কী ব্যবস্থা হপে? ;(
ভোরের শিশির
কি আর হপে? চারুকলার সামনে সন্ধ্যে বেলায় আলু, মুরগীর চপের সাথে আপনার হালুয়া বেচুম :D)
অরুনি মায়া
“ওপারের ডাক যদি আসে
শেষ খেয়া হয় পাড়ি দিতে
মরণ আমায় কোনদিনও
পারবেনা কভু কেড়ে নিতে ”
গানটি মনে পড়ে গেল |
আমি চলে যাব না ফেরার দেশে
তবুও রয়ে যার সেই দিগন্তে যেখানে অরুনির মায়া এসে মেশে |
ভোরের শিশির
রয়ে যায়, থেকে যায় অমলিন
মায়ায় জড়ানো স্মৃতির মন্দিরে… 😀
ব্লগার সজীব
ভেবেছিলাম আমাকে ফিরে আসতে বলছেন।এসে দেখি রক্তাক্ত ঘটনা।ভালো লেগেছে খুব।
ভোরের শিশির
রক্তাক্ত ঘটনা তো হবেই!!!
গুরু শিষ্যি দুজনেই কলমে কুলুপ এঁটেছেন :@
ব্লগার সজীব
গুরু শিষ্য কাহারা ভাইয়া? ^:^
ভোরের শিশির
দুষ্টের শিরোমণি তাজা ভূত আর তার সাগরেদ সজু বাইয়া 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
নীল পদ্মে রাঙা পাঞ্জাবী
লাল হয়ে পিচ হয়েছে লাল-
যান্ত্রিক দানবের কর্কশ ধাক্কায়।
কেয়া বাত হে! মুগ্ধ হইলাম। :c
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। তবে শেষ লাইনটি বাংলায় হলে শুনতে আরো ভাল লাগতো 😀
সোনেলার সাথে থাকবেন। -{@
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
বাংলাতেই তো লিখলাম :p
অবশ্যই থাকবো।
ইলিয়াস মাসুদ
এই যান্ত্রিক দানবের তোড়ে কত প্রান যে হয়েছে নিঃশেষ …….
ভাল লাগলো
ভোরের শিশির
মানসিক অস্থিরতায় কত যে প্রাণ যায়!!!
হন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। -{@
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ*
মৌনতা রিতু
ফিরে আসে বার বার কতো রুপে,কখনও বাতাসের স্পর্শে,কখনও চাঁদের আলোয়,কখনও নদির কলকাকলিতে।সে যে পাশেই থাকে।
ভোরের শিশির
সব সময়েই থাকে… 😀
ধন্যবাদ আপু 😀