বিরহী সকাল
ঘুমোয় এবার পাশ ফিরে ফিরে, শিলা পাহাড়ের ওপাশে।
বিপন্ন কুয়াশারা ছুঁয়ে যায় এবেলা ওবেলায় অবেলায় ও,
ওপারে সাঁওতালী সুরের উথাল পাথাল ঢেউ;
টলটলে গ্লাসে ভাসা সূর্যের সোনালী উষ্ণতা আমাকে ভরকে দেয়
হে আমার নিঃসঙ্গতা আমাকে জড়িয়ে নাও।
দীর্ণ কর খাঁজ কেটে কেটে, ঝুঁকে পড়ে ঘরে যেন আর না ফিরি
সবুজের গন্ধ শুঁকে শুঁকে,
ঐ উঁচু শিলার গা ঘেঁষে দাড়িয়ে আছি
ডাঁই করে রাখা ক্ষয়ে যাওয়া স্মৃতি হাতে;
মৃত্যু,অভিবাদন তোমায় এক সমুদ্র কুহক এড়িয়ে,
৪৫টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
উপচে পড়া বিরহ, মৃত্যুর সমতুল্য। এতো বিষণ্ণতায় না-ফেরার অভিমানী শব্দগুলো, বিরহী আবেগের ডানায় ভেসে ভেসে পৌঁছে যাক যথাস্থানে।
কঠিন কবিতায় মন্তব্য ঠিক হলো কিনা, জানিনা। কবি বলবেন।
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্যের ঠিক বেঠিকের কিছু নেই, যা মনে হয়েছে তাই তো বলছেন,
আমার চাওয়া পাওয়া বা না পাওয়া নিয়েই জীবন, আর এভাবেই এক সময় আমাদের সমাপ্তি।
ব্লগার সজীব
নিঃসঙ্গতাকে জড়িয়ে নিতে চাওয়া,মৃত্যুকে অভিবাদন করা,এ কিসের আলামত ভাইয়া?কবিতা কেনু ভাল মত বুঝিনা!!!!!
ছাইরাছ হেলাল
নিবির নিঃশব্দতা আমারা প্রত্যেকে বহন করি। বুঝে বা না বুঝে।
একমাত্র সত্য মৃত্যু তাকে উপেক্ষা করা ঠিক না,
ভালোবাসা সে ও পেতে পারে।
অরুনি মায়া
নি:সঙ্গতা সে তো আমাদের চিরসঙ্গী |
মানুষ পৃথিবীতে আসে একা, যাবার বেলায়ও প্রাণের সঙ্গী একা অন্ধকার ঘরে শুইয়ে রেখে আসে | দু:খ কষ্ট মানুষের চিরন্তন | মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করা ভাল তবে মৃত্যুকে আহবান করা অপরাধ | আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন |
কবি মন দ্রুত শান্তি ফিরে পাক ,অন্তর থেকে সেই দোওয়াই রইল | 🙂 -{@ (3
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন দোয়া করেছেন তখন আর আমায় কে পায়!!
আহবান ঠিক না, এটা চির সত্যের উপলব্ধি। মনে মনে নিজেকে মনে করাচ্ছি।
আসলে জীবনভীড়ে আমাদের একাকীত্ব আমরা ভুলে যাই, একা এসেছি একা যাব তা মনেই রাখি না।
না না, অশান্তি আমাকে ছুঁতে পারার কিছু নেই।
মোঃ মজিবর রহমান
এত বিরহী শব্দমালা কবির হৃদয়ে এখনই বাসা বাধল!
এই শুকন রস হীন বাক্যময় আবার মৃত্যু,অভিবাদন তোমায় এক সমুদ্র কুহক এড়িয়ে,
আসলে বাস্তব থেকেই উপলধ্বী।
দারুন।
ছাইরাছ হেলাল
বিরহ থেকেই তো প্রায় সব কিছুর সৃষ্টি, এড়ানো যায় না।
আর কঠিন বাস্তবতা আমাদের সাথেই থাকে।
ভাল থাকবেন আপনি।
মোঃ মজিবর রহমান
আছি আপনাদের দোয়া আর আলাহ পাকের ইচ্ছায়।
আপনিও ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আলহামদুলিল্লাহ।
নাসির সারওয়ার
খুব সুন্দর হরপে ছাপা কবিতা। দেখতে খুবই দেখার মত।
সবই বুজলাম তবে, “হে আমার নিঃসঙ্গতা আমাকে জড়িয়ে নাও” বুজিনাই। নিঃসঙ্গতাকে ডাকতে হবে ক্যানো, ওতো সবার সাথেই আছে চিরসাথী হয়ে।
খুবই উঁচু মানের কবিতা মনে হচ্ছে। ভালো খুবই ভালো। আপনিও ভালো থাকুন। কবিতার যেনো হাত পা না ভেঙ্গে যায় খেয়াল রাখবেন। তাহলে আমাদের মত কবিতা পিপাসুদের গলা শুঁকিয়ে কাস্ট হতে পারে। তখন সব দায়ভার কিন্তু আপনার চোয়ালেই যাবে।
কবিতার সাথেই থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, এই তো দাগী কবির মত কথা।
চিরসাথী হয়ে আছে বলে নেড়েচেড়ে দেখা যাবে না বা ডাকাডাকি করা যাবে তা কি করে হয়!!
চির আপন বলেই সম্পর্কটা চিরকালীন, তাই মহব্বতের ডাক, আর আপনি জানেন অল্পেতে থেমে যেতে তো পারি ও না।
আপনি বুজুর্গ মানুষ, আপনার গলা মাসাল্লা শুঁকনো প্রুফ, সমস্যা হবে না।
দায় তো নিয়েই আছি ভার সহ,
আপনি ও দু’এক পিস ফিক মাড়ুন, কুড়াই কিছু তরতাজা ফুল, ভুল ভেবে হলেও।
নাসির সারওয়ার
দাগী কথাটার ব্যাবহারটা সঠিক হলো কিনা বুজলামনা। থাক, বুজুর্গ মানুষের সময় কই অতো ভাবার।
আপনার কথায় যুক্তি তক্ক আছে। ওদেরও তো ঘুম আসে। ডাকুন, নাড়াচাড়া করে সজাগ রাখুন। অল্পতে থামার পাত্র কি সবার মানায়!
আহা, আপনি দেখছি অংক শেখাচ্ছেন! তরতাজা ফুল ফোটেনা। কুরিতেই ঝরে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
দাগীর পরিবর্তে ঘাগু ও বলা যেতে পারে। ও কিছু না। এবার তো দেখছি ইশারায় ই কাফি!!
আঁক শেখানো বা শেখা খুব সহজ কাজ নয় বলেই জানতাম।
আহা, ঝরে গেলে তো হবে না, আগায় মাথায় জল ঢালুন,
দেখবেন সুড়সুড় করে বেড়িয়ে আসছে।
জিসান শা ইকরাম
সবকিছু পাশ কাটিয়ে মৃত্যু আসবেই
মৃত্যু চিন্তা ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই এক মাত্র সত্যটি মাথায় রাখতেই হয়।
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
বিরহী সকাল ফেরারী হতেই,ফিরে এলো নীল আকাশ ছুঁয়ে
একদল পারিযায়ী পাখি।
তাদের অপেক্ষায় সারাটি বিকাল সেজেছে সোনালী উষ্ণতায়।
হাত বাড়াতেই, মনে পড়ে যায়
ঠিক এমন একটি বিকালে, দু’কাপ চায়ের আসরে
জড়িয়ে ছিলো কিছু সুখময় গোলাপী প্রহর।
আপনার নিঃসঙ্গ পংক্তির বিপরিতে কিছু সুখময় ক’লাইন লিখে দিলাম।
শুভেচ্ছা নিবেন। আপনার লেখা যথেষ্ট ভালো হয়েছে… 😀
ছাইরাছ হেলাল
মনে পড়ে যায়
ঠিক এমন একটি দুপুর, পিজার আসরে
জড়িয়ে ছিলো কিছু সুখময় গোলাপী সময় হৃদয়ের একুল ওকুলে।
ধুর, আগে বলবেন না!! এটাই লিখে দিতাম।
আমার শেখার অনেক বাকী!!
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
শিখার পথটা বেশ লম্বা। জানিনা এ পথটা কখনও আমি পাড়ি দিতে পারব কিনা। ;?
আপনি বেশ লিখেন।শব্দ চয়ন প্রশংসা করার মতন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি শেখার সে পথ পাড়ি দিয়েই ফেলেছেন।
আপনিও বেশ লেখেন।
ভোরের শিশির
আমি ইদানীং কবিতা-বিরহে ভুগছি তাই কবিতায় কিছুতেই ঢুকতে পারছি না… এইজন্যেই আমার মন্তব্যঃ
মাথার উপ্রে দিয়া গেলো ;?
ছাইরাছ হেলাল
উপ্রে দিয়া যায় না অন্য কোন দিক দিয়ে যায় সে তো টের পাচ্ছি।
ভোরের শিশির
কুনদিক দিয়া গেলু হেলাল ভাইয়া!! 😮
ছাইরাছ হেলাল
তা এখুনি বলা যাবে না।
ভোরের শিশির
সে কি!!! তাহলে আমার কি হপে!!! তবে কি আমি এক বিরহী সকালে সমুদ্র কুহকে যাবো হারিয়ে!!!! 🙁 🙁
ছাইরাছ হেলাল
হারিয়ে যাওয়া খুব কঠিন কাজ, এটির চেষ্টা না করাই ভাল।
ভোরের শিশির
সমুদ্রের কুহক ডাকে, হারাতে আমি সাঁওতালী সুরে
সবুজের গন্ধ শুঁকে শুঁকে
কোন এক বিরহী সকালে।
ভাবি; ঘরে যেন আর না ফিরি,
সবুজে ভাসা সূর্যের সোনালী উষ্ণতায় ডুবে
ক্ষয়ে যাওয়া স্মৃতি হাতে
দীর্ণ নিঃসঙ্গতায় অভিবাদনে
কোন এক কুহক সমুদ্রে।
আপনার কবিতার দফারফা করে দিলাম। স্যরি :p
মরুভূমির জলদস্যু
শিলা পাহাড়টা কোথায়?
ছাইরাছ হেলাল
মনে!!!
মরুভূমির জলদস্যু
দ্বিতীয় লাইনেই তো বললেন “শিলা পাহাড়ের ওপাশে” !
ছাইরাছ হেলাল
কাল্পনিক অভেদ্য দেয়াল বোঝাতে এ কথাটি বলা হয়েছে।
অনিকেত নন্দিনী
একান্ত অনুভূতির প্রতি লাইনে রাগ বেহাগের বিরহী সুর শুনতে পেলাম যেনো! সাঁওতালী সুরের ঢেউও যেনো ছুঁয়ে দিয়ে গেলো।
এই শীতের সকালে সূর্যের সোনালি উষ্ণতায় খুশি না হয়ে ভড়কে যাচ্ছেন কেনো? 🙁
অ.ট. শিলা! কবি কি নতুন কারো সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে চাচ্ছেন? ;?
ছাইরাছ হেলাল
বেহাগের বিরহী সুর একটু না হলে যেন জমেই না,
আবার সাঁওতালী মূর্ছনাও হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে।
ভয় একটু করতেই হয়।
নাহ্, নূতন কাউকে পরিচয় করাচ্ছি না, তবে নন্দিনী উপাখ্যানে আছি আপাতত।
অনিকেত নন্দিনী
হায় রে! বলেন কী?
মেহজাবিন আর কে কে ছিলো সবার নামও তো মনে নাই। এই বিশাল তালিকা থেকে নন্দিনী সবাইকে পেছনে ফেলে উতরে গেলো কেমন করে? ভাবনায় পড়ে গেলুম। ;?
ছাইরাছ হেলাল
সেখানে নন্দিনী বহাল তবিয়তে ছিল, আছেও। একটু লক্ষ্য করুন।
অনিকেত নন্দিনী
এইডা কী কইলেন! 😮
ভাবতেই আছি। ;?
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আপনার কবিতা/ লেখা গুলো আমার কাছে অংকের মত লাগে!
দুচার দিন অংক না করলে যেমন পরে আর সূত্র গুলা মনে পড়ে না আমার কাছে আপনার লেখা গুলাও অনেক টা তাই! কিছুদিন আপনার লেখা না পড়লে আর আপনার লেখার মধ্যে ঢুকতে পারি না! 🙁
একটু সময় দিন ভাইয়া!
ভোরের শিশির
তাজাপু, আমার তো মাঝে মাঝে এমনই হয় যে উনার লেখা নিয়মিতো পড়লেও কিছু কিছুই বুঝিই না… 🙁
ছাইরাছ হেলাল
তাই বুঝি!!
ভোরের শিশির
ইয়েচ :p
ছাইরাছ হেলাল
আমার যা লেখা তা এখন, হ্যাঁ এখনকার আপনার জন্য কোন ব্যাপার ই না।
সময় কোন ঘটনা না, আপনি ইদানিং যা লিখতে শুরু করেছেন কথা নূতন করে বলতে চাই ই না।
চালু রাখুন।
শুন্য শুন্যালয়
এক সমুদ্র কুহক এড়িয়ে আরেক সমুদ্র কুহকে জড়াতে চাইছেন, বেশ তো!!
বহুদূর থেকে খাঁ খাঁ রোদ্দুরে সবুজের কেমন এক গন্ধ এসে লাগে, আবার বৃষ্টিতে শ্যাঁওলা মাখানো এক গন্ধ। চাইলেই যদি ইন্দ্রিয়গুলোর দ্বার বন্ধ করে দেয়া যেত!!
ছাইরাছ হেলাল
নাহ, কোন কিছুই আসলে বন্ধ করা যায় না, করা ঠিক ও না।
রোদ্দুরের সবুজ যেমন চাই, বৃষ্টির শ্যাওলা ও চাই।
কুহক একটু লাগেই তা যদি হয় কুহকের কুহক।
শুভ মালাকার
কবি হৃদয়ের প্রবল বিষন্নতা পতীয়মান!
“হে আমার নিঃসঙ্গতা আমাকে জড়িয়ে নাও।”
অত্যন্ত মর্ম স্পর্শি এ কবিতা জীবনের প্রকৃত বাস্তবতা “কালের” সঙ্গ উপলব্দি করায়।
শুভ কামনা রইল -{@
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই এ লেখাটি প্রবলতর বিষণ্নতা বহন করছে।
এমন বাস্তবতা আমরা বহন করি ই।
ধন্যবাদ আপনাকে।