কলেজ থেকে বাসায় ফিরছে সাদিয়া। হটাতই পাশ থেকে কে যেন বলে উঠলো, “ সাদিয়া চা খায় বিস্কুট দিয়া ! :p ”
সাথে সাথে একদল ছেলের হাসি শুনতে পেলো সে। তাকিয়ে দেখে তাদের বাড়িওয়ালার ছেলেটা টং- এর দোকানের সামনে ফ্রেন্ডদের সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার নামের সাথে মিলিয়ে এই ছড়া বানাচ্ছে। ছেলেটার নাম আবির। সাদিয়াদের সাথেই পড়ে।
“ দেখেন আবির ভাইয়া বেশি ফাইজলামি করলে কিন্তু আন্টিকে গিয়ে বলে দিবো। ”
“ ওরে বাপরে !! এর মধ্যে আন্টিকে টানাটানির কি দরকার ?? ” মাকে অনেক ভয় পায় আবির। ^:^
“ আমাকে আর কখনো ওই ছড়া যেন শুনতে না হয়। ”
“ কেন এতই খারাপ লাগে ? ”
আর কিছু না বলে হনহন করে লম্বা চুলগুলো দোলাতে দোলাতে হেটে চলে গেলো সাদিয়া। বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রেখে সোজা ঝাপ দিলো বিছানাতে। শুয়ে শুয়ে ভাবছে আবিরের কথা !
এইখানে এসেছে বেশিদিন হয়নি সাদিয়াদের। এক মাসও হয়নি। বাড়িওয়ালা অনেক ভালো আর বিল্ডিং এর সবার কাছে তাদের ছেলেটা মানে আবির তো একটা সোনার ছেলে !! এমনকি তার মাও আবিরকে অনেক পছন্দ করেন। অবশ্য না করার কারণ নাই। ছেলেটা এমনিতে ভালোই। কিন্তু এই সাদিয়াকে পেলেই যেন তার ফাইজলামি করার ভূত চাপে !! ভাবছে আর রাগ হচ্ছে সাদিয়ার। তাকে পেলেই কেন এমন করে ছেলেটা !
ভাবছে এরপরে দেখা হলে জিজ্ঞেস করবে সরাসরি।
– আপনার সমস্যা কি ? আমাকে পেলেই এত ফাইজলামি করার শখ কেন জাগে ?
– কারণ আপনি যে আমার মন ছিনতাই করেছেন।
– মানে ? 😮
– মানে আমি আপনার প্রেমে পড়েছি।
– নাহ অসম্ভব। আপনি কারো প্রেমে পড়তে পারেন না। :@
– আমিও তাই জানতাম। কিন্তু তোমার লম্বা লম্বা চুল, মায়াবী চোখ, আর গোল গাল লালচে চেহারাটা আমায় বাধ্য করেছে।
– সত্যিই ?
– হা সত্যি !
বলেই হটাতই সাদিয়ার হাত ধরলো আবির !! “ তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না! ”
এইবার একটু থেমে দম নেয় সাদিয়া। কিছু না বলে আস্তে করে নিজের পায়ের জুতাটা খুলে ফেললো !
সন্তর্পণে এবার সে আবিরের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কেবল একটা কথাই বলতে পারলো, “ আমিও! ”
মায়ের প্রচন্ড চিৎকারে ঘুম ভেংগে গেলো সাদিয়ার। আবিরের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিল সে। :D)
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
এমন স্বপ্ন দেখা ভালোই।
আগামীকাল রাত ৮ টা ৪১ এর পুর্বে কিন্তু আপনি আর কোন পোষ্ট দিতে পারবেন না
এখানের মডুরা কিন্তু খুব খ্রাফ
আমার কত পোষ্ট ডিলেট করে দিছে এরা
নিজের অভিজ্ঞতা হতে বললাম
শুভ কামনা -{@
নীতেশ বড়ুয়া
মডু আমারও বেশ ক’টা পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছে, বেশী খ্রাফ মডু…
ছিঃহ্ মডু, তুমি এত্তো খ্রাফ!! 🙁
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
🙁
নীতেশ বড়ুয়া
;(
অন্তরা মিতু
উপসসস……… আরেকটু চলতো এমন সুখস্বপ্ন :p
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
আপনি দেখেন এমন সুখস্বপ্ন :p :D)
আবু খায়ের আনিছ
যাক বেশিদূর যায়নি তাহলে না জানি কি হইত………………….. :p 😀 :D) 😮 ( ফাজলামো করলাম)
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
:p কি আর হইত ?? :D)
নীতেশ বড়ুয়া
মনে হয় পড়েই যেতো :p বিছানা থেকে আর কি! :D)
আবু খায়ের আনিছ
শুধু কি বিছানা থেকে পড়ে যাওয়া আরো কত কি হইতে পারত। হাসপাতালের বেডে পযন্ত চলে যেতে পারত। :D) :D)
নীতেশ বড়ুয়া
বিছানার আগে জিভ দেখানো হইয়াছে বটে 😉
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
বিছানা থেকে পড়ে হাত পা ভাঙতে পারত, ফলে হাসপাতালে যাওয়া লাগতে হইতে পারত :D)
নীতেশ বড়ুয়া
:D) :D) :D)
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
:p
নীতেশ বড়ুয়া
‘পায়ের জুতা দেখেছো কিন্তু হাঁ বলা শোননি’ এ যে দেখি প্রবাদে নিয়ে গেলেন ফ্রাঙ্কো ভাই! :p :D)
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
আমি নিলাম কই ? ^:^ বানাইলেন তো আপনি :c 😀