ঠিক যেটা অনুমান করেছিলাম সেটাই হয়েছে। খবর পেয়েছি, জেনারেল আর তার দলবল এসে পড়েছে নদীর ওপাড়ে। এখন অপেক্ষা করছে সেখানে। সম্ভবত তার দলের কয়েকজনকে স্কাউটিং করতে পাঠিয়েছে!
রাত ৮টার দিকে মেসেজ পেয়েছি যে বুলবুলের মা আর ভাই নদী পার হলেও বড়ইতলা গ্রামে আসেনি। বরং প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত ঘেঁষে থাকা আরেকটা গ্রাম, সাতচরে গিয়েছে। ওই গ্রামে যাওয়ার কারণ অনুমান করতে পারলেও অবাক হয়েছি এই ভেবে যে সেখানে তারা থাকবে কোথায়! তাহলে কি সেখানেও বুলবুলের একটা সেফ হাউজ আছে!
অবশ্য ব্যাপারটা নিয়ে ভাবার বেশি সময় ছিল না। লোকটাকে তাদের উপর নজরদারি করতে বলেই আপাতত থেমে যেতে হয়েছে!
এদিকে আমাদের ইউনিটের অপারেশনাল ফোর্সও চলে এসেছে। তাদের নিয়ে আমরা চলে এসেছি গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে, সীমান্তের দিকে। বিজিবিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন কেউ সীমান্তের ওপাড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মেজর আকবর আর তার দল। তিনি অবশ্য আমাকে এখানে আশা করেননি। ওনার লোকেরা জেনারেল কে অনুসরণ করতে করতে এখানে এসে পৌঁছেছে।
মাঝখানের কিছু সময় দোটানায় ছিলাম যে সুন্দর, নিশ্চুপ এই গ্রামটাকে এভাবে ইচ্ছা করে একটা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে দিব নাকি আগেই কোন পদক্ষেপ নিয়ে ভুণ্ডুল করে দিব। মেজর আকবর আসার পরে সেই চিন্তা বাদ দিতে হয়েছে। কারণ যেভাবেই হোক এই জেনারেলকে ধরতে হবেই। তাকে ধরতে পারলে আমাদের দেশ তো বটেই, গোটা দক্ষিণ এশিয়া থেকেই ড্রাগের ছোবলের ৮০ শতাংশ কমে যাবে! এরকম একজন লোককে ধরার সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া হোক সেটা চাই না। তবে গ্রামবাসীর ক্যাজুয়ালিটি যেন কম হয় সেজন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ আর বিজিবি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাত প্রায় সাড়ে ১২টা বেজে গেছে! বড়ইতলা গ্রামে নিঝুম নিস্তব্ধ এক রাত নেমে এসেছে। এমন সময়ে নদীর ওপাশ থেকে মেসেজটা পেলাম,
“ জেনারেলের দলবল নৌকায় রওনা দিয়েছে! ”
মেসেজটা পেতেই সবাইকে সতর্ক করে দিলাম। যে কোন মূহুর্তেই আক্রমণ হবে গ্রামের উপর! গ্রামের ভেতর থেকেও খবর আসলো যে বুলবুলের লোকদের মধ্যেও নাকি চাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে!
পরের ৩০ মিনিট কাটলো টানটান উত্তেজনায়। কিছুই না ঘটায় এমনকি নৌকার ইঞ্জিনের শব্দ পর্যন্ত না পাওয়ায় যেই না উত্তেজনায় ভাটা পড়েছে এমন সময়েই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠলো গোটা গ্রাম।
– সেটা তো বুঝতেই পারছি। পয়লা বিস্ফোরণটাই ছিল রকেট লঞ্চারের। আপাতত সিয়েরা ইকো আর সিয়েরা মাইক কে পজিশন নিতে বলুন। আমরা এদিকে চার্লি আলফা আর চার্লি ব্র্যাভো পজিশন নিয়ে নেই। আরেকটু পরেই আমাদের খেল শুরু হবে। ওভার।
“ ঠিক আছে। ডান। ওভার অ্যান্ড আউট। ”
পুরা ফোর্সকে মূলত দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে যাতে দুইপাশ থেকে আক্রমণ করতে পারি। বাকি একপাশে নদী, আরেকপাশে বর্ডার। বর্ডারে ব্যাকআপ হিসেবে বিজিবি আছে। নদীর ওপাড়ে তৈরি আছে পুলিশ। আর নদীতেও টহল দিচ্ছে কোস্ট গার্ড। অর্থাৎ এই গ্রামে প্রবেশের পর কারো যেন পালিয়ে যাওয়ার কোন উপায় না থাকে সে ব্যবস্থাই করে রাখা হয়েছে। আমার সাথে থাকা চার্লি টিমটাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। প্রথমে চার্লি আলফা যারা অপারেশন চালাবে, আর চার্লি ব্র্যাভো ব্যাকআপ থাকবে। সিয়েরা টিম কেও একই ভাবে সাজানো হয়েছে।
এতক্ষণে বুঝলাম কেন নৌকার শব্দ পাওয়া যায়নি। কারণ জেনারেল আর তার দলবল নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে দাঁড় বেয়ে এসেছে, তাও একটু ঘুরপথে। আরেকটু হলেই আমরা যে জায়গায় এসেছি, গ্রামটার উত্তর দিকে, সেদিকেই এসে পড়ত। ড্রাগ মাফিয়ার জেনারেলকে কোনদিন সামনাসামনি দেখি নি আগে, তবে মেজর আকবর ছবি দেখিয়েছেন। খুবই সাধারণ একজন লোক, সবসময় ফরমাল শার্ট আর টাই পড়ে থাকে। দেখে কখনোই মনে হয় না লোকটা ড্রাগ মাফিয়ার প্রধান হয়ে পারে! আমাদের সাথে মেজর আকবরের দুইজন এজেন্ট আছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন যে জেনারেল স্বয়ং এসেছে এখানে।
গোলাগুলির শব্দ বেড়ে গেছে। প্রথমে একটু দিশেহারা মনে হলেও বুলবুল বাহিনীও এখন বেশ ভালোই জবাব দিচ্ছে। মেশিনগানের গুলির শব্দেই সেটা বুঝা যাচ্ছে। এখনই উপযুক্ত সময়। আর দেরি করা যাচ্ছে না।
“ চার্লি আলফা, মুভ অ্যান্ড অ্যাটাক অ্যাজ প্ল্যান এ ! ”
নির্দেশ দিতেই নড়ে উঠলো পুলিশের স্পেশাল ট্রেনিং প্রাপ্ত কমান্ডো ফোর্সের ২০ জন চৌকস সদস্য।
আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে …
প্রতিটা সেকেন্ড যেন এক একটা ঘণ্টা!
এগারোঃ
চার্লি আলফা যাওয়ার প্রায় দশ মিনিট হয়ে গেছে। এরই মধ্যে অন্যপাশ অর্থাৎ দক্ষিণ পাশ থেকে আক্রমণ চালিয়েছে সিয়েরা ইকো। তারপরেও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আসছে না। বরং চার্লি আলফা দলটা বেশ বেকায়দা অবস্থানে পড়ে গেছে, একটু আগেই দলটার কমান্ডারের মেসেজ পেয়েছি। তারমানে এখন আমাদের মুভ করতে হবে। এই গোলাগুলির মধ্যে কাজটা একটু কঠিনও বটে। ওয়াকিটকিতে মেজর আকবরকে মেসেজ দিলাম,
আমার সাথে থাকা দলটাকে মুভ করার নির্দেশ দিলাম। নির্দেশ পেতেই গর্জে উঠলো বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল অ্যাসাল্ট রাইফেল। সামনের রণক্ষেত্রে এগিয়ে গেলাম আমরা। ইতোমধ্যেই পুলিশের একজন স্নাইপার জেনারেলের রকেট লঞ্চার ম্যানকে উড়িয়ে দিয়েছে। আপাতত জেনারেলের লোকদের থেকে চাইনিজ রাইফেলের গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য বুলবুল বাহিনীর এত আধুনিক অস্ত্র নেই। যেই মেশিনগানটা গর্জন করছে সেটা বেশ পুরানো আমলের। অন্যসব অস্ত্র বলতে পিস্তল আর শটগান। আর সম্ভবত কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড। স্পষ্ট বুঝতে পারছি জেনারেলের বাহিনীর সামনে তাদের এই প্রতিরোধ বেশি হলে ঘণ্টা দুয়েক টিকে থাকবে। এরপরে আর পারবে না। তারমানে বুলবুলের পতন অবশ্যম্ভাবী!
আচ্ছা বুলবুল তো বিচক্ষণ লোক। তাহলে সে কেন এভাবে নিজেকে জেনারেলের থাবার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল!
জেনারেলের ক্ষমতা সে ভাল করেই জানে। তারপরেও কেন এভাবে মুখোমুখি লড়াইয়ে আসতে গেলো! তাহলে কি সে জেনারেলের বিদ্রোহ করে নিজেকে তার সমপর্যায়ে ভাবার মত অহংবোধের জন্য এই কাজ করেছে নাকি এর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে! নাকি এই গণ্ডগোলের মাঝে সে আবার চুপিসারে সটকে পড়বে! ব্যাপারটা ভাবতেই মনে পড়লো এই গ্রাম কে চারদিকে দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। কিভাবে পালাবে সে!
এবারও বেশিক্ষণ ভাবতে পারলাম না। গোলাগুলির মাঝে চলে এসেছি। মূহুর্তের জন্য অসতর্ক হলেই একেবারে সকল ভাবনা চিন্তার ঊর্ধ্বে চলে যেতে হবে। এত তাড়াতাড়ি, বিশেষ করে তিথীর হত্যাচেষ্টাকারী কে এটা না জেনেই ওখানে যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই। সেজন্য সতর্ক হয়ে গেলাম। আমরা এসেছি তিথীদের গ্রামের বাড়িটার এক কোণের দিক দিয়ে, বাড়িটা এখান থেকে প্রায় ৭০০ গজ সামনে আছে। এখান থেকেই দেখতে পাচ্ছি মেশিনগ্যানটা ফিট করা হয়েছে ছাদের উপরে। সামনে কিছু বালির বস্তা। তবে পাশ দিয়ে খালি। সাথের স্নাইপারকে রাইফেল তাক করার নির্দেশ দিলাম। মিনিটখানেক পড়েই মেশিনগানার ভূপাতিত হয়ে গেল।
আমাদের প্রথম টিমটা এই মেশিনগানারের জন্যই মূলত আটকা পড়েছিল। এখন তারা অনেকটা ফ্রি হয়ে গেছে। তাদেরকে আপাতত পিছিয়ে আমাদের কাছে আসার নির্দেশ দিলাম। সিয়েরা মাইক ইতোমধ্যেই বাড়ির পিছনে অবস্থান নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিলাম, জেনারেলের বাহিনী বুলবুলের বাহিনীকে পর্যদুস্ত করা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। একটু অবাক হলাম এই ভেবে যে জেনারেল কি এখনো বুঝতে পারছে না যে এখানে পুলিশ আর মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স আছে। নাকি ভয়ংকর ক্রোধ তাকে হিতাহিত জ্ঞানশুন্য করে দিয়েছে। শেষেরটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ এত বড় মাফিয়ার প্রধান, তার বিরোধিতা করছে তারই এককালের শিষ্য! ইগোতে মারাত্মক আঘাত লেগেছে, নাহলে নিজেই এভাবে চলে আসত না। কখনো না।
প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেল। সম্ভবত আবারো রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা হয়েছে। বিনকিউলারে এবার দেখলাম তিথীদের বাড়ির সামনের দেয়ালটা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর বেশি সময় নেই। একটু আগেই মেজর আকবর জানিয়েছেন জেনারেলের বাহিনী আগে বুলবুলকে শেষ করুক, তারপরে আমাদের খেল শুরু হবে। যদিও বুলবুলকে জেনারেলের হাতে মরতে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না তাও নিমরাজি হতে হয়েছে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই তিথীদের বাড়ির দখল চলে গেল। তার একটু পরেই দেখলাম দুইজন লোক টেনে হিচড়ে বের করছে। লোকটা বুলবুল! গোলাগুলি থেমে গেছে কিছুক্ষণ আগেই। পুরা বাড়ি ও চারপাশে জেনারেলের বাহিনী সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
বুলবুলকে বের করার পরেই জেনারেলের লোকজনের মধ্যে হুল্লোড় শোনা গেল। বিনকিউলারে দেখতে পাচ্ছি হাঁটু গেড়ে বসে আছে বুলবুল। তার সামনে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে আসছে ফরমাল শার্ট আর টাই পরিহিত লোকটা। চেহারা না দেখেও অনুমান করতে পারছি।
জেনারেল !!!
এমন সময়েই ওয়াকিটকিতে মেসেজ আসলো …
“ সিয়েরা কলিং চার্লি! ওভার। ”
– দিস ইজ চার্লি। ওভার।
“ নাটক দেখতে পাচ্ছেন? ওভার। ”
– জ্বি। আক্রমণ কখন হবে? ওভার।
“ একটু ধৈর্য্য ধরেন। তারা কথা বলুক একটু। শুনে নেই কি বলে? আর আপনার এক্স গার্লফ্রেন্ডের ব্যাপারে কিছু বলে কিনা দেখা যাক! ওভার। ”
– কিন্তু শুনব কি করে? ওভার।
“ হাহা। আমাদের এজেন্টরা আগেই মাইক্রোফন ফিট করে রেখেছে। আমি ওয়াকিটকিতে কানেক্ট করছি। আপনিও শুনেন। সংলাপ না শুনলে নাটকের মজা পাবেন না … ”
একটু পরেই শুনতে পেলাম গুরুগম্ভীর একটা গলা …
“ কি ভেবেছিলে তুমি? আমাকে টেক্কা দিবে? এই কয়টা লোক আর মুহিতের ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে? ”
তারমানে জেনারেলের গলা এটা। আর লোকটা আমাদের ভাড়াটে বাহিনী মনে করেছে। মুহিত বাহিনী রাজশাহীর সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। বুলবুলের সাথে বেশ ভাল খাতির আছে মুহিতের। সেজন্যই জেনারেল হয়তো আমাদের সেই বাহিনী ভেবেছে।
“ কখনোই আমি ভাবিনি আপনাকে টেক্কা দিব। আপনি আমার গুরু। গুরুকে শিষ্য কখনো টেক্কা দেয় না। বরং সবসময় সাথে করে নিয়ে যেতে চায়। ”
বুলবুলের জবাবটা শুনতেই বুঝে গেলাম কেন সে এই গ্রামে বসে জেনারেলের প্রতিরোধ করেছে ! অপরাধী হলেও তার প্রতি একটা কৃতজ্ঞতা অনুভব করলাম।
– আমাকে সাথে নিয়ে যাবে মানে? কোথায় নিয়ে যাবে?
ভীষণ রকমের অবাক হলো জেনারেল। ঠিকমত আনন্দটা ফুটে উঠছে না কণ্ঠে। বরং অন্যরকম একটা আতঙ্ক ভর করেছে সেখানে। বুঝতে পারছে রাগের বশে কোন একটা মারাত্মক একটা ভুল করে ফেলেছে!
“ আপনি যাদের মুহিত বাহিনী মনে করেছেন তারা পুলিশের অ্যান্টি ড্রাগস অ্যান্ড স্মাগলার (এডিএসইউ) এর কমান্ডো ফোর্স। ”
– অসম্ভব! তোমার পিছনে দুনিয়ার কোন পুলিশ ফোর্স লেগে থাকতে পারে না।
“ না এ যাবৎ পারে নি। কিন্তু এবার পেরেছে। কারণ যে অফিসার পেরেছে তার ভালোবাসা কে আপনি হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সে আপনাকে কোন কিছুর বিনিময়ে ছাড় দিবে না। আমাকে সন্দেহ করেছিল দেখে আমার অবস্থাটা তো দেখতেই পাচ্ছেন! ”
– কি ? ওই মেয়েকে আমি হত্যার নির্দেশ দেই নাই। সেটা তোমার লোকের কাজ।
“ হাসালেন জেনারেল। দুনিয়ার সবাই জানে, আপনিও জানেন, বুলবুল মরে যাবে কিন্তু কোনদিন তার বোনের ক্ষতি হতে দিবে না। ”
তারমানে কি দাঁড়াচ্ছে ?
বুলবুল আর জেনারেল কেউই তিথীকে খুন করার চেষ্টা করেনি। তাহলে আসলে করেছিল টা কে?
এমন সময়েই মেজর আকবরের গলা পেলাম,
“ রেডি ফর অ্যাটাক। নাটক শেষ। খেল শুরু। ওভার। ”
ভাবনাটা আপাতত স্থগিত করে দিলাম। মেজরের জবাব দেওয়ার আগেই স্নাইপারের কাঁধে হাত দিলাম। লোকটা এতক্ষণ রকেট লঞ্চারধারীর দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছিল। এবার ট্রিগার টিপে দিল। বিনকিউলারে স্পষ্ট দেখলাম রকেটলঞ্চারধারীকে পড়ে যেতে। এবার আমি জবাব দিলাম,
“ উই আর গোয়িং। রেডি ফর ফাইনাল চার্জ। অল দা বেস্ট। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের হবে। ওভার অ্যান্ড আউট। ”
হাতে পুলিশের অ্যাসাল্ট রাইফেল নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। বুলবুলকে এখনো হত্যা করতে পারেনি জেনারেল। প্রচণ্ড ক্রোধে ফুঁসছে সে। বুঝে গেছে তার সময় এখন ফুরিয়ে এসেছে!
৮টি মন্তব্য
ইঞ্জা
বাহ দারুণ প্যাঁচ দিলেন দেখছি, তাহলে কে তিথীর উপর আক্রমনটা করেছিলো, অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।
ইল দা বেস্ট।
ইঞ্জা
অল★
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
পরের পর্বেই উত্তর আসছে \|/
চাটিগাঁ থেকে বাহার
টান টান উত্তেজনার এই দৃশ্যপট আমার খুবিই ভালো লাগে।
চলুক……. -{@
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
ধন্যবাদ …
আপনাদের জন্যই তো চলছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
তার মানে আরও একজন আছে যে তিথীকে মারার চেষ্টা করছে।
আবারও অপেক্ষা। 🙁
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
কিছু অপেক্ষা মধুর হয়, আপু -{@
মেহেরী তাজ
পরের পর্ব চলে আসছে। সেটাও পড়ে নেই।