“আমি যাত্রা দেখতে যাব”। ব্যাস, দিলাম থামিয়ে সবার রাতের খাবার যা আমি আগেই অনুমান করেছিলাম। আমারতো অনেক বুদ্ধি ছিল ছোটবেলা, তাই খাবারের প্রায় শেষের দিকেই তুললাম কথাটা। বাবা মুচকি হাসি রেখে উঠে গেলেন। মা তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। ভাই বোনদের মাঝে নিজেকে জোকারের মতো মনে হোলেও আমি অনড় আমার চাহিদা নিয়ে। আর এটাতো আমাদের মহল্লার মানুষেরা মহল্লাতেই আয়োজন করছে প্রতি বছর শীতের সময়। সমস্যা বাঁধলো আমাকে নিয়ে যাবেটা কে। সবে মাত্র হাই স্কুলে ওঠা মানুষটাকে মা একা ছাড়বেন না রাতে। বড় ভাইটা দয়া করে এক ঘন্টার জন্য যেতে রাজি হলেন। মায়ের আদেশে নিজেকে একটা বস্তার মতো বানিয়ে নিলাম সোয়েটার, মাফলার, টুপি ওসব দিয়ে। তখনকার শীত মনে হয় একটু বেশী বেশী শীত ছিলো।
খোলা মাঠে কিছু চৌকির উপরে শামিয়ানা টানিয়ে দেয়া যেটা হোল স্টেজ। চৌকিগুলোর একপাশে বাঁশ পুতে একটা রাস্তার মতন নির্দেশনা করা যা সাজুগুজু রূম আর স্টেজের যোগাযোগ সাঁকোর মতো। ঠিক তার পাশেই চৌকি গুলোর আরেক পাশে বসেছে কয়েকজন যন্ত্রী হারমনিয়াম, ঢোল, বিউগল, আরো কত কি নিয়ে। সব চাইতে আকর্ষণীয় ছিলো হ্যাজাক লাইটের আলো। বিদ্যুৎ এর সুবাতাস তখনো বয়নি ওখানে। তবে হ্যাজাকের সাদা আলোটা ক্যামন যেন পূর্ণিমার আলোর কথা বলছে মনে হলো। সব মিলিয়ে আমি বেশ উৎসাহ নিয়ে শুরুর অপেক্ষা যা বেশ কয়েক দিনের স্বপ্নের ফসল হবে।
একসময় বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ পাল্টে গেলো। হ্যা, এই সেই শুভক্ষণ। তিনজন শিল্পী আসলেন মঞ্চে। কী সুন্দর রকমারি পোষাক, সাথে হরেক রকম অলংকার। মনে হলে কোন রূপকথার দেশে এলাম । তারা মঞ্চের একপাশে একসাথে দাড়িয়ে শুরু করলেন গান। একদিকে শেষ করে আবার অন্য আরেক দিক। আরে, এতো গান না! তারা তো প্রার্থনা করছেন! “পরথমে বন্দনা করি …”(একটু ভিন্ন উচ্চারণ)। সূরের সাথে আকাশ বাতাস চন্দ্র সূর্য কি নেই তাতে। চারদিকে ঘুরে চার রকমের প্রার্থনা। ছোট হৃদয়ে অনেক বড় ধাক্কা, একটা যাত্রাপালার ভালো কামনার কত আকুতি! কি জেনো গেথে গেলো মনে। নিজের একটা প্রার্থনার রূপ থাকলে তো ভালো হতো। “ওর নাম বিবেক”। বিবেক আবার ক্যামন নাম! বড় চুল দাড়িওয়ালা একজন কি যেন গাইছে। এটা করিস না, ওটা করলে এই পরিণতি। এও তো সেই প্রার্থনার ই সুর। “ থাকি আরো কিছু সময়”। ভাইয়াটা হয়তো বুঝে গেছে যে আমি আর এই জগতে নাই।
একসময় রাজা মহা ক্ষিপ্ত হয়ে জোরেশোরে হাঁক দিলেন, তারই পুত্র কিনা গরীবের মেয়ে আলোকে বিয়ে করবে –
একসময় আলোকে আনা হোল দরবারে। ওমা, এ দেখি আমাদের মহল্লার শহিদ ভাই। মেয়ে সাজে চেনাই যায়না। আরো কয়েকটা নারী চরিত্রে পুরুষেরাই অভিনয় করেছে। কখন যে ভোরের আলো ফুটতে শুরু হোল। আহা, আরো একটু যদি বড় হোতো কাহিনীটা। বাসায় ফেরার পথে নিজের প্রার্থনার পংতি আঁকা হয়ে গেলো নিজের মত করে। সেই যে শুরু, আজও থামেনি দু’ বেলার প্রার্থনারা।
দূর শহরে দুটি বন্ধু থাকে। সুখ দুঃখের কথা হয় প্রতি নিয়ত। ওদের মন খারাপের একদিন, পাঠিয়ে দিলাম কিছু প্রার্থনার কথা রেকর্ড করে। ওরা নাকি এখনো শোনে মাঝে মাঝে। আজ দিলাম সোনেলাকে।
অনুরোধঃ এই গানটার কথা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার মতো কিছু নেই।
অলঙ্করণঃ ভিডিওটা আমার এক ছবিকার বন্ধূ তার নিজের সৃষ্টি দিয়ে বানিয়েছে।
৪৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
যাত্রা দেখতে গিয়ে ঝুমুর ঝুমুর নাচ না নিয়ে এসে নিয়ে এলেন প্রার্থনা?
এইডা কিছু হইলো?
নাসির সারওয়ার
হায়রে মোর কপাল, পরথমের মন্তব্যটাই এই! না জানি আরো কি আসছে!!
তখনকার সময়তো অভিনেত্রীই পাওয়া যেতোনা নারী চরিত্রে পাঠ করার। তা ঝুমুর ঝুমুর নাচ হবে ক্যামনে!!!
প্রার্থনা আমার একটা উটভট মেডিটেশন।
জিসান শা ইকরাম
পুরুষ শিল্পী দিয়ে নারী চরিত্রের অভিনয় আমার দেখারও সৌভাগ্য হয়েছিল
দু এক সময় নায়িকার গোঁফ ও দেখা যেতো 🙂
আপনি যে চাল্লু জিনিস তা ভাত খাবার শেষ সময় ইচ্ছে ব্যক্ত করে বুঝিয়ে দিলেন।
গানটি ঐ সময়ে শোনা হয়নি
তবে ঐ দিন গুলোর কথা মনে করিয়ে দিল
লেখার ষ্টাইল পছন্দ হৈসে।
নাসির সারওয়ার
কতো মানুষযে যাত্রা দেখেনাই, ভেবে মনটা খারাপ লাগে।
ছোট বেলার বুদ্ধিটা যদি এখনো থাকতো!!
আমি জানি আপনিও প্রার্থনা করেন, আপনার মায়ারা ভালো থাকুক আশায়। কিছু কথা, কিছু দিন ইচ্ছে হলেও আমরা ভুলিনা।
লেখার কথা আর কি বলবো বলুন। আপনাদের কাছ থেকে শেখার অদম্য চেষ্টা চলছে। কিন্তু লাভ হচ্ছেনা। মগজের দোষ দিয়া আর কি লাভ বলেন! নিউরনরা মরে যাচ্ছে দিনে দিনে…
অরুনি মায়া
আপনি গান গেতে জানেন দেখছি | গানের কথা গুলো সুন্দর |
যাত্রা কখনো দেখা হয়নি তবে পুতুল নাচ দেখেছি |
গায়ক যখন হয়েছেন কবিও হয়ে যাবেন শিঘ্রই 🙂
নাসির সারওয়ার
ভুল জানেন। উহা গান নয়। ছয় তাঁরের টুং টাং আর গ্যা গ্যা শব্দ।
যাত্রা মনে হয় হারিয়ে গেছে, নইলে আপনাকে দেখতে বলতাম একবার।
বড় হোলেই নির্ঘাত কবি হয়ে যাবো যা আমি চাইনা ।।
অরুনি মায়া
গান কিন্তু চমৎকার ছিল | অবশ্য বিখ্যাত ব্যক্তি রা নিজের প্রশংসা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন ,এটা আলাদা কথা
নাসির সারওয়ার
আমি বিখ্যাত ব্যক্তি! কি যে শান্তি, আহা! বলেন, আরো বলেন।
প্রশংসা শুনতে কার না ভালো!
অরুনি মায়া
আহা যেমন সুন্দর গান তেমন সুন্দর কন্ঠ | কবিতার হাত অসাধারণ | এমন পাবলিক দেশের ভবিষ্যৎ | এত এত গুন এই মুহূর্তে আর কিছু মনে আসছেনা
নাসির সারওয়ার
পরানডা জুড়াইয়া গেলো। আপনি যে কি ভালো মানুষ, কেমতে যে কই। ইসস, আর একটু আগে বাড়ান। বড়ই আনন্দ হইতাচে।
ছাইরাছ হেলাল
যাত্রা আমাদের আদি গ্রামীণ ঐতিহ্য, বিনোদন বলতে ঐ একটি ই। সময়ের বিবর্তনে হারিয়েছি অনেক।
শুধু সম্বল এখন সুখ স্মৃতি রোমন্থন। তাও আপনি ভাগ্যবান,আপনি তা দেখার অনুমতি পেয়েছেন।
আমরা কিন্তু তা পাইনি।
আলোচনা করার মত কিছু আছে কী নেই এ বিষয়টি এখন আর আপনার মতামতের তোয়াক্কায় নেই।
অতএব গপ-সপ চলিবে।
নাসির সারওয়ার
ইনফরমেটিক মন্তব্যের জন্য অনেকগুলো ধন্যবাদ আপনাকে। কখনো যদি সুযোগ হয়, দেখে নেবেন একবার। আর আমাকেও জানাবেন কষ্ট হলেও। আমি সোনেলার একজন লেখিকার জন্য টিকেট কিনবো।
আসলে গানটার কথা আর ভিডিওটা ভালো। কথা কওয়া ছবি দিয়ে গানটাকে আরো মধূ মাখিয়ে দিয়েছে আমার ছবিকার বন্ধু। আরতো কোনো কিছুই থাকলো না গপ-সপের। এই আর কি!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন দিন বদলাইছে, সে সত্যিকারের আমেজ আর পাওয়া হবে না।
তবে আপনি চাইলে অবিরাম নৃত্যবাজ প্রিন্সেসেসদের ঝুপুর ঝুপুর নাচনা দেখতে পারবেন।
একটু সাহসী হলে হবে।
এখানে অনেক লিখিয়েরা আছে, একজনের জন্য টিকেট কেটে নিজের পৃষ্ঠ বাঁচাতে পারবেন না।
বিকল্প ভাবুন,বাঁচতে চাইলে।
নাসির সারওয়ার
এই নৃত্যবাজ প্রিন্সেসেসদের ঝাপুর ঝুপুরের জন্য গ্রামীণ একটা ঐতিহ্য সম্বন্ধে অনেকেরই জানা হোলনা।
আমার ঘাড়ে একটাই মাথা, সাহসী হবার চেয়ে ওটা জায়গা মতোই থাকুক।
আর একবার ধন্যবাদ। কোন বিকল্প নেই, তাই টিকেটর আলাপ এখানেই ইতি।
তানজির খান
এই ইচ্ছে টা জীবনে পূরণ হল না আর। অথচ আমার স্কুল মাঠে শীত ছুয়ে যাত্রা আসতো। কি আর বলব ঝুমুর ঝুমুর ব্যাপারটার কারনে কোনোদিন সাহস করে কারো কাছে বলতে পারি নাই আমি যাত্রা দেখতে চাই। বললে নির্ঘাত কারবালা প্রান্তরে নির্বাসিত হয়ে হত। দারুণ ভাল লাগল পোস্ট। ইউটিউব থেকে প্রার্থনাও শুনলাম। শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
আমি যখনকার কথা বলেছি তখন ঝুমুর ঝুমুর ব্যাপারটা ছিলনা। সেদিক থেকে আমি হয়তো আপনার চাইতে একটু এগিয়ে ছিলাম। প্রার্থনা শোনার জন্য ধন্যবাদ।
দীপংকর চন্দ
অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা!
বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের ওপর লিখিত বইপুস্তকের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা!! তাও নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব রয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই! আমাদের অনন্য এই শিল্পমাধ্যম সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির বড়ো একটা উৎস এখনও কিছু মানুষের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান। সুতরাং এ সম্পর্কে লেখা উচিত অবশ্যই।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
নাসির সারওয়ার
আপনার ইতিহাস প্রীতি অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা হতে পারে। ইতিহাসতো কিছু সামনের দিক নির্দেশনাওতো করে।
মনটা ভারী ভারী লাগে, যাত্রাপালাটা আমাদের সংস্কৃতি থেকে আস্তে আস্তে বিলুপের পথে দেখে।
আপনার জন্য একরাশ শুভেচ্ছা থাকলো। ভালো থাকুন। ইতিহাস লিখতে থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার অনুরোধ আধা রাখলাম, প্রথমে গানটি নিয়েই কথা বলবো। সুন্দর, শান্ত ভোকাল আর গিটারের সুরে মনে শান্ত একটা ভাব চলে এলো। আপনার ছবিকার বন্ধুটি খুব সুন্দর একটি ভিডিও বানিয়েছে। গানটির সাথে ছবিগুলো অন্য এক প্রার্থনার আবেশ এনে দিল। এত সুন্দর কন্ঠ একবার শোনানোর নিয়ম নেই। আরো আরো শোনাতে হবে।
সেই হাই স্কুলের অনুভূতি, সময়টা অনেক ভয়ংকর, স্মৃতিগুলো তরতাজা থাকে সবসময়ই। আপনি তো দেখছি সেই পিচ্চি বেলা থেকেই অনেক বুদ্ধিমান। যাত্রা দেখার অভিজ্ঞতার চাইতে লেখায় আপনার সেই সময়ের অনুভূতিগুলোর গাঢ়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে বেশি। হ্যাজাক লাইটের আলোতে পূর্নিমার আলো, সেই সময়ের শীতে বেশি ঠান্ডা, আর অন্য জগতে চলে যাওয়া সাথে ফিরিয়ে আনা বিবেক। বুঝতে পারলাম লেখায় কেন প্রার্থনা এসেছে। কবিতা দেবেন কিনা জানিনা, তবে লেখার হাত আপনার অসাধারন ভাইয়া, আপনি প্লিজ স্বিকার করে নিন।
নাসির সারওয়ার
# সেনাপতি
* আদেশ করুন মরালাশ
# যাও, পন্ডিতকে খবর দাও। এই মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য নিয়া আসো
* আপনার আদেশ আমার ছিঁড়া ক্ষেতা (শিরোধার্য) , শীতের রাতে তাইই গরম।
আমার না বোঝানো কথা আপনি বুঝিয়ে দিলেন, এতো আমার চরম পাওয়া। ছবিকার বন্ধুটি কথা বলা ছবি দিয়ে প্রার্থনাকে আরো সামনেই নিয়ে এসেছে।
আর গান কোথায় পেলেন! ওটাতো আমার মেডিটেশন। বিষণ্ণ ক্ষনে বেশ কাজে দেয় গীটারটা।
আপনাদের উঁচু মানের লেখা নকল করার বৃথা চেষ্টা করছি। কবিতা ভয় কাটাতে পারছিনা, পাছে ওপাড় থেকে রবি ঠাকুর যদি ঈর্ষা করে!
আপনার কথাগুলো আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকলো।।
ওনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
রবি ঠাকুরের সাথে আমার টক হয়েছে, উনি নাকি খুব বোর ফিল করছেন, একটু ঈর্ষিত হইতে চায়। পালটা কবিতা আধেক নাকি লিখেই রেখেছে। আপনি এপাড়ের বন্দোবস্ত করুন জাহাপনা। 🙂
নাসির সারওয়ার
এই আশ্বাসের সাথে সাথেই বীজ বপন শেষ। কবিতার চারা হলেই মসনদে হাজির করবো রানীমাতা!
নীতেশ বড়ুয়া
গানটা পরে শুনছি আগে যাত্রা দেখা নিয়ে বলি-
আমারো ছোটবেলায় পাড়ায় এমন করে হতো। তবে আমরা বলতাম ‘নাটক’। এই নাটকে আপনার যাত্রার মতোই বিবেক ও অন্যান্য চরিত্র। যাত্রার আধুনিক মনে হয় গীতনাট্য! বাইরে যা অপেরা!!
আপনাকে এতোদিনেও বুঝিনি আপনি এতো মজা করে লিখতে জানেন!!! কেন যে নিয়মিত লিখেন না!!!
ছোটবেলায় ফিরে গেলাম… 😀
নাসির সারওয়ার
যাত্রা আর নাটককে এক করা ঠিক হবেনা। তবে যাত্রা থেকেই নাটক এসেছে, এসেছে সিনেমা। গীতিনাট্যও যাত্রার পরের ভার্সন যার সাথে অনেক মিল। যাত্রা মুলত মৌলিক গানে ভরা। যে পালায় যত বেশি গান সে যাত্রাপালা ততো বেশি উপভোগ্য। গান দিয়েই গল্পের কথা বেশি বলা হয়ে থাকে।
যাত্রা এবং অপেরা একি ধাঁচের। ইটালিতে এই অপেরা তাদের সংস্কৃতির বড় একটা পুঁজি। গানে গানে জীবনের কথা বলে। এইজন্যই যাত্রা বা অপেরা দলের নাম থাকে, “এই অপেরা” বা “সেই অপেরা”।
যাঁরা যাত্রাপালা দেখেননি, তাঁরা বীরত্বব্যঞ্জক অট্টহাসি ও বিবেকের গান মিস করেছেন, যা আমি বোঝাতে অক্ষম।
ছাইরাছ হেলাল সাহেব এখানে আমাদের সাহায্য করতে পারেন।
নীতেশ বড়ুয়া
অতি অবশ্যই যাত্রা আর নাটক এক নয়, আমি আমার দেখা নাটক বলতে গীতিনাট্যটাই বুঝিয়েছি যা যাত্রার ক্ষুদে সংস্করণ :p
গাঁয়ে সরাসরি যাত্রা দেখা হয় নি এটা সত্যি তবে আগে বিটিভিতে দেখাতো তা দেখেছি 😀
আপনার গানটাও সুন্দর হয়েছে নাসির ভাইয়া 😀 :c
নাসির সারওয়ার
ধন্যবাদ আপনাকে গানটা শোনার জন্য। তবে প্রার্থনাই বলি ওটাকে।
নীতেশ বড়ুয়া
আর এদিকে আপনার কবিতার জন্য যে আমরা প্রার্থনা করেই যাচ্ছি তা কি খেয়ালে আছে???? :@ :@
ছাইরাছ হেলাল
লুক্কায়িত প্রতিভা উন্মোচনের জন্য সামান্য ধন্যবাদ দিতেই হচ্ছে।
গান ও ভিডিও অদ্ভুদ সংযোজন আমাদের অন্য মাত্রায় নিয়ে গেল।
বেশ ক’বার শুনতেই হয়েছে।
নাসির সারওয়ার
এই প্রতিভাওয়ালা অনেক কষ্ট (!) করে একটা ফোনের বোতাম চেপে এই ধার করা কথাগুলো টেপ করেছে। আর যা দেখেছেন, তা অন্য আরেকজনের সৃষ্টি।
তবে সময় নিয়ে শুনেছেন, এইতো আমার প্রাপ্তি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বিঃদ্রঃ আপনার নামটা নীতেশ বড়ুয়ার প্রতি মন্তব্যে লিখেছিলাম কিছু জানার পিয়াসে।
নীতেশ বড়ুয়া
উনি জানাবেন!!!! :D)
অন্তরা মিতু
আক্ষেপ আগেও ছিল, এখন আরো বেশী হচ্ছে কখনো সামনা সামনি যাত্রা দেখিনি বলে….. অনেক ধন্যবাদ অভিজ্ঞতাটি একজন “কোনোদিন দেখেনি” মানুষের কাছে সঞ্চারিত করার জন্য…. -{@
নাসির সারওয়ার
তাহলেতো ভালো কাজ করিনি লিখে। আমাদের আদি ঐতিহ্য যা আজ বিলিন হবের পথে। দেখেন যদি সুযোগ হয় কখনো।
শুভেচ্ছা রইলো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
গানটা শুনলাম। কেনো যেনো ক্ষনিকের জন্য হলেও এক অজানা জগতে চলে গিয়েছিলাম। মানুষ আসলে সম্পূর্ণ একা!
বিশ্বাস করি, চিন্তা-চেতনায় সৎ থেকে গভীরভাবে প্রার্থনা করলে প্রাপ্তি আসে।
নাসির সারওয়ার
পোস্টটা তাহলে কিছু দিয়েছে দেখছি! এতসবের মাঝেও একা! বেশ বলেছেন। প্রার্থনা মনে হয় শুদ্ধ করার প্রথম ধাপ।
ভালো থাকুন।
আবু খায়ের আনিছ
যাত্রা দেখেছিলাম সেই দশ বছর বয়সে তারপর আর দেখা হয়নি। সাধারণত এখন যাত্রার নামে যা চলে তা দেখার উপযোগীও না।
যাত্রা না দেখলেও মঞ্চ নাটক দেখেছি অনেক। নজরুল জন্ম জয়ন্তীতে আমার বাড়ির পাশেই মেলা হয় আর মেলার সময় প্রতিদিন নাটক মঞ্চায়ন হয়। কখনো মিস করতাম না আগে,প্রতি বছর দেখা হত। ইদানিং ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে যাওয়া হয় না।
নাসির সারওয়ার
ঐতিহ্যের ঝোলা নিয়ে অভিজ্ঞতায় আপনি এগিয়ে আছেন অনেকের চেয়ে। সব শিল্পকর্মই কিছুনা কিছু দেয় আমরা যদি তা নিতে পারি।
শুভকামনা রইলো।
আবু খায়ের আনিছ
কি যে বলেন, সেই দিনের ছেলে আমি, বয়সও দেখার ক্ষেত্রে এবং অভিজ্ঞতায় একটা ফ্যাক্টর হয় নাকি।
নাসির সারওয়ার
বয়সের সাথে অভিজ্ঞতার কোন সম্পর্ক নেই। আপনি যা দেখেছেন, আমি তা নাও দেখতে পারি। সে ক্ষেত্রে আপনি আমার কাছ থেকে এগিয়েই থাকবেন।
ভালো থাকুন, পড়তে এবং লিখতে থাকুন।
স্বপ্ন
আপনার লেখার উপস্থাপনা তো অতি সুন্দর ভাইয়া।আমি যাত্রা দেখিনি কোনদিন।যাত্রা দেশে এখনো কি আছে আমার জানা নেই।আমাকে জানান মরালাশ :p (y) -{@
নাসির সারওয়ার
সেননাপতি
জাহানারাপা (জাহ হা পনা)
যাও, সপ্নের দেশে দেখে আসো পরবর্তী আকর্ষণ কবে আসছে।
আমি এক্ষণই ছিঁড়া ক্ষেতা নিয়ে যাত্রা শুরু করি জাহ হা পনা!
নাসির সারওয়ার
সেননাপতি
জাহানারাপা (জাহ হা পনা)
যাও, সপ্নের দেশে দেখে আসো পরবর্তী আকর্ষণ কবে আসছে।
আমি এক্ষণই ছিঁড়া ক্ষেতা নিয়ে যাত্রা শুরু করি জাহ হা পনা!
লীলাবতী
ভাইয়া আপনি কিন্তু খুবই আকর্ষনীয় ভাবে লেখা উপস্থাপন করতে পারেন।খুবই দুষ্ট ছিলেন দেখা যাচ্ছে 🙂
নাসির সারওয়ার
রাফ খাতায় যাহা ইচ্ছে তাহা লেখা যায়।
কি বলেন, ছিলাম মানে! আমিতো একটুও বদলাইনি।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
নাসির সারওয়ার
রাফ খাতায় যাহা ইচ্ছে তাহা লেখা যায়।
কি বলেন, ছিলাম মানে! আমিতো একটুও বদলাইনি।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
অনিকেত নন্দিনী
এইটা রাফখাতা? তাইলে পাকাখাতা কোনটা? 😮
লেখায় দারুণ টান আছে। উপস্থাপন শৈলীও অতীব মনোহর। লেখা পড়ে কত্তোকিছু মনে পড়ে গেলো!
আহহারে আমার পিচ্চিবেলার দিনগুলি! ;(
নাসির সারওয়ার
আমি যহন এই হানে (সোনেলা) আসি, আমারে বড় বড় লিখিয়ানরা কইছে এইডা রাফখাতা। যাহা মুঞ্চায় তাহাই লেহন যায়। এহন আপ্নেই কন, আমি পাকাখাতা পামু কই!!
কি যে কন টিচার, তয় গেদা কালের অনেক কথাই খুইইইইইব মনে আইয়া যায়। আবার যদি যাওন যাইওতো!!!!
অনিকেত নন্দিনী
রাফখাতায় যদি চাহিবামাত্রই সকল কিছু পাওয়া যায় তাহলে পাকা খাতার দরকার পড়ে বলে মনে হয়না। 😀
বড়বড় লিখিয়েরা কইলে তো সারছেই। আমি তো চুনোপুঁটি। 🙁
টাইম মেশিন যে কবে আবিষ্কার হইবো! তাইলেই হুটহাট গ্যান্দাবেলায় ফিরা যাওন যাইতো।
নাসির সারওয়ার
বুজতে পেরেছি, আরো ভালো লিখতে হবে। ।। আমার টিচার আছেনতো এখন, শিখে নিবো দিনেদিনে…।
এইডা কি কন! আপনি যদি চুনোপুঁটি হন, আমি তাইলে কি! আমগোরে তো চোক্ষ্যেই দেহন যাইবো না!
টাইম মেশিন এর আইডিয়াটা আবার মনে কইরা দিলেন!!!