দরজায় তুমুল করাঘাত, জিসু দরজা খোলো, খোলো বলছি।শব্দে একলাফে বিছানায় উঠে বসা। এ কোথায় আমি? অপরিচিত শয়ন কক্ষ।দরজা খুলে খুলে কাউকে না দেখা।বুঝেছি স্বপ্নে এমন ডাকাডাকি। বাইরে কুয়াশা।নদীর মাঝে থাকায় কুয়াশায় দৃষ্টি সীমা দশ ফুটের বেশী হবেনা।জলে কম্পন।
আচ্ছা কুয়াশা কেন নাম এর? কু+আশা? এত অসাধারন একটি প্রাকৃতিক অবস্থার নাম এমন হবে কেন? কুয়াশা ভেদ করে ভোরে ভোর হয় কারো কারো। আমারো।
একের ভিতর তিন লাগেজ সমেত সিএনজির সামনে।স্যার মিটারে যা উঠবে এরপর খুশি হয়ে কিছু দিয়েন।ঘটনা কি? এই কি ঢাকা শহর? দিনের শুরুটা দন্ত বিকশিত অবস্থায় 😀
সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত শুধু একজনের জন্যই।দিন দিন প্রতিদিন। মাম পানির বোতল হতে জল যায় স্বচ্ছ গ্লাসে। ইচ্ছে মত রঙ দেয় সে আজ যেন লাল রঙের আধিক্য একটু বেশী।
রিক্সায় দোয়েল চত্বর টিএসসি হয়ে কলাবাগান। দোয়েল চত্ত্বর টিএসসি সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে মেট্রো রেলের। ঢাকায় অবশেষে মেট্রো রেল 🙂 ভাইবারে অনেকের মেসেজ।উত্তর সেন্ড হয়না, মেজাজ খারাপ।নাসিরের ফোনের সাথে সাথে মনে পরে গেলো, কিছুদিন আগে সিএনজির উপরের রেক্সিন ছিরে ছো মেরে নিপুন ছিনতাইকারীর হাতে চলে যায় নাসিরের মোবাইল। সাথে থাকা ল্যাপটপের ফিতা আঁকড়ে থাকি। ডলফিন গলিতে পাওয়া যাবে ল্যাপির ব্যাটারী। সাধের গোলাপি পিচ্চি ল্যাপিতে কত স্মৃতি। ব্যাটারী পাওয়া যাবে বিকেল পাঁচটায়। তখন সময় দুই। টিভিতে দেখি ফেইসবুক, ভাইবার,হোয়াটসএপ বন্ধ। রাজাকার নেতা মুজাহিদ আর সাকার ফাঁসির রায় বহাল। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে \|/
আজ একটু হাঁটি। কলাবাগান থেকে হেঁটে হেঁটে আছাদ গেটের আড়ং।কাধে ল্যাপির শুন্য ব্যাগ। আদম হাওয়াকে নিষেধ করা হয়েছিল গন্ধম না খেতে।আল্লাহ্র নিষেধই অমান্য কারীদের উত্তম পুরুষ আমি।প্রিয় কয়েকজনের নিষেধ অমান্য করে হাঁটতে হাঁটতে সিগ্রেট টানতে খারাপ লাগেনি। ক্ষুধায় পেট চোচো……… খাবার বিল আটশত টাকা একার!! সামান্য ভাবান্তর, গরীবের অর্থ দীনতার কথা মনে পরে গেলো। আর ধুর…… এসব ভাবলে চলবে নাকি?
আবার পদব্রজে যাত্রা। আজকে পদ যুগল ব্যবহার দিবস মনে হয়। ব্যাটারী লাগিয়ে মুগ্ধ আমি। দেশে এমন কম্পিউটার সার্ভিস সেন্টার!! কলাবাগান হতে হেঁটে হেঁটে ধানমন্ডি ৯ এ ইবনে সিনা (এখানে চিকিৎসা কেন? মেজাজ খারাপ আমার)। অপেক্ষা করছি আত্মীয় রোগীর। যে কোন অপেক্ষার সময় আমি কাছা কাছি কোন বেসরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপেক্ষা করি। মাগনা এসিতে চেয়ারে বসে থাকি ধুলোবালি মুক্ত পরিবেশে। ইবনে সিনার এসি ভালো না। গরম আর অপেক্ষমান দের কথায় মাথা ধরে যায়। সিড়ি বেয়ে দোতলায়, একটু ভীড় কম। কি করা যায় একা একা? স্নেহের ধনের ফোন এসে আমাকে উদ্ধার করে 🙂
রাত দশটায় রুমে ফিরে দিনলিপি লেখা শুরু।
এমন লেখা প্রকাশ করে খারাপ লাগছে, পাঠককে পড়তে বাধ্য করছি আমি।
৭৩টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
বেশ বেশ, মাথার কিছু চুল মনে হয় বেঁচে গেলো এযাত্রায়। মাঝে মাঝে আপনার লেখাতো আমার মাথার উপর দিয়ে চুল নিয়ে চলে যায়। দিনলিপিতো এমনই হবার কথা।
দেশে এখন কি না পাওয়া যাচ্ছে। উড়াল পাতাল রেলও হবে দেখছি। বদলাচ্ছে দেশ, সেতো অনেক ভালো কথা। সাথে আমরা, মানুষরা কি বদলাচ্ছি? মনে হয় আমরা তা পারিনা। শুধু এডাপ্ট করে নেই কিছুর সাথে যা একান্তোই নিজের জন্য, সময়ের প্রয়োজনে।
জিসান শা ইকরাম
আমার লেখায় মাথার চুল গজিয়ে যায়,পড়ে যাবার সম্ভাবনা নেই।
বদলে যাচ্ছে দেশের অবকাঠামো
মানুষ আছে যথাস্থানে বা আরো পিছিয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।
অরুনি মায়া
দিন লিপি ভাল হয়েছে |
নাসির ভাইয়ের মোবাইলের জন্য দু:খ প্রকাশ করছি
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে।
দুঃখ প্রকাশ করার সাথে সাথে যাদের দুইটা মোবাইল,তারা যদি নাসিরকে একটা মোবাইল গিফট করতো তাহলে নাসিরের দুঃখ কমে যেতো 🙂
নাসির সারওয়ার
মোবাইলটা কিন্তু এখনো পাই নাই। আমি এখনো দুস্ক নিয়াই চলছি!
জিসান শা ইকরাম
যার দুইটা মোবাইল তিনি এই জবাব আর পড়েন না
নামের সার্থকতা প্রমাণ করলেই পারেন তিনি 🙂
নাসির সারওয়ার
পড়াইতে বাধ্য করার ব্যাবস্থা নেয়া হোক।
এডমিনদের সাহায্যে কোথায় লিখবো বলেন!
জিসান শা ইকরাম
সরব কবি এখন নিরব
কিছু করার নেই………
ভিডিও কিন্তু রেডি 🙂
নাসির সারওয়ার
আপনারা ভিডিও বানাতেও পারেন!
ভিডিওটার ব্যাপ্তি দেখে আমি ধপাস!!!!!!
জিসান শা ইকরাম
প্রশংসা করিয়া লজ্জা দিবেন না :p
নাসির সারওয়ার
সোনেলাকে দিয়ে দিলাম আপনার সৃষ্ট ভিডিওটা
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ সোনেলাকে দিয়ে দেয়ার জন্য -{@
অরুনি মায়া
এখানে কি আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে ? আমি কিন্তু মোবাইল দিতে পারবোনা বাবা আগেই বলে দিলাম | আমার নামের দোহাই দিয়ে এইভাবে মোবাইলের দিকে নজর দেওয়া ঠিক হবেনা | যাদের তিন টা ল্যাপটপ আছে তারা দ্বিতীয় বার বিবেচনা করে দেখতে পারে! 🙁
জিসান শা ইকরাম
আপনাকে নিয়ে কোন কথা হচ্ছেনা,
কথা হচ্ছে জাপান থেকে একটি আইফোন গিফট এসেছে বাংলাদেশের একজনের কাছে, তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে।
তিনি আপনি নাও তো হতে পারেন।
অরুনি মায়া
মন তো মানছেনা | বলছে ঐটা আমারি আই ফোন 🙁
আবু খায়ের আনিছ
সকাল আটটায় মিরপুর থেকে কলাবাগান, সেখান থেকে পায়ে হেটে নীলক্ষেত। বই কিনা হয়না মাসখানে। কিনব কিনব করে কিনা হচ্ছিল না তাই এক রকম জেদ করেই আজকে চলে গেলাম। আট-দশটা বই কিনে নিয়ে আবার কলাবাগান ফিরতে ফিরতে দেড়টা। ওভার ব্রিজের নিচে ফরহাদের দোকানে দাড়িয়ে চা খাইতে খাইতে শুনলাম আপিল খারিজ হয়ে গেছে। মনে ভাবলাম মনে হয় হরতাল এর কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশ। খানিক বাদেই রুমমেট ফোন করে বলল আরেক রুমমেট এর দাদা মারা গেছে। বললাম আমার ত কাল ক্লাস আছে তাছাড়া চাচা ভাইটার কাছে যেতে হবে এক কাজ কর তুই রেডি হয়ে থাক আমি আসছি। বাসায় এসে ওরে সবার প্রতিনিদি বানিয়ে কুষ্টিয়া পাঠাইলাম। ল্যাপটপে বসেই দেখলাম প্রথম আলো পত্রিকার নিউজগুলো দেখছিলাম আজকের। প্রথম লেখায় সুন্দর করে লেখা দেড়টা থেকে আড়াইটা পযন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এখন ফেইজবুক,ভাইবার,হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ। রাত সাড়ে এগারটার দিকে বসলাম সবার লেখাগুলো পড়তে হবে এই ইচ্ছা নিয়ে। এখন ভোর পাচঁটা বাজে। কাল হরতাল ছুটি পেয়ে গেছি, তাই রাতটাও নিঘুম কাটিয়ে দিলাম।
ভাইয়া আমার দিনলিপি লিখে ফেললাম আপনারটা পড়ে। হা হা হা
জিসান শা ইকরাম
তোমার দিনলিপিটাও ভালো হয়েছে।
ফেইজবুক,ভাইবার,হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দিয়ে সরকার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে।
আবু খায়ের আনিছ
রাজনীতিক ইস্যু নিয়ে কথা বলতে আর ইচ্ছা করে না, তারচেয়ে চুপ করে আছি এটাই ভালো।
জিসান শা ইকরাম
আমিও বাদ দিয়েছি রাজনীতি নিয়ে লেখা।
শুন্য শুন্যালয়
বুঝিত, অবুঝিত জগাখিচুড়ি লেখা, এই বুঝি আপনার দিনলিপি!! সাতসকালে এমন লেখা পড়াতে বাধ্য করা খুব খারাপ। মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখেছেন, তাতে আবার সিগারেটের ধোঁয়া ছড়িয়েছেন, বিশ্রি।
এবার আমি মনের মাধুরী মিশিয়ে মন্তব্য দিমু। আপনি পড়তে বাধ্য।
দরজা খুলে কাউকে দেখছেন না, এইটা স্বপ্ন নাকি? আমার তো মনে হয় নদীর জল থেকে ভূত-পেত্নী কিছু একটা উঠে এসেছে। জল থেকে দূরে থাকুন। ইহা আপনার মস্তিস্কে ইদানিং কবি নামক সংক্রামক রোগের আভাস দিতেছে, নইলে কুয়াশা, কু+আশা, বাপ্রে!
মামের পানিতে লাল রঙ ক্যাম্নে আসলো, ওয়াশার পানি নাকি? নাকি ইহা আপনার জিব্রু ভাষা? (হিব্রু থেকে জিব্রু)
আপনি যেইহারে রিক্সা, সিএনজিতে বসে মোবাইল টেপেন, তাতে এখনো ছোঁ খাওয়ার অভিজ্ঞতা কেন হয়নি, এটা ভেবে আমি উৎকণ্ঠিত, মনে পড়ে গেলো আপনার সেই লম্বা হাতের সাইজের কথা। কানেকশান নাইতো ভাউ?
খাবার বিল আটশো টাকা? হে হে, তা ভুড়ির সাইজ মতো ফিল আপ হতে এটুকু খরচ তো হবেই। গরীবের জন্য আল্লাহ্ আছে, তাদের দীনতার কথা এত ভাবলে চলে!!
মাগনা এসি খাওয়ার বুদ্ধি কিন্তু বেশ, ভুল করে কেউ ইঞ্জেকশান পুশ না করলেই হয়।
এরপর কি ১৯ নভেম্বর? জয় মা কালী। পপুলার মানুষগুলোর এমন দিনলিপি পড়তে বেশ লাগে আর তাতে যদি এমনি করে হাত গলে পড়া মিষ্টি রস থাকে।
চালু থাকবে গুরু।
নীতেশ বড়ুয়া
কুহক আশা=কুয়াশা নয় কি? :p
শুন্যাপু তোমার জন্য আমিও এসে গেছি \|/
শুন্য শুন্যালয়
ইয়ে দাদাভাই। চিকেন রান্না করছিলাম, এখন আইসা পড়ছি তোর ডাকে ডাকে। যা সব বাদ, আয় আড্ডা দেই।
নীতেশ বড়ুয়া
ইয়ে ইয়ে \|/
শুন্য শুন্যালয়
এইবার এদিক আয়, দেখি তোর কান কই? তোর এত্তো সাহস, আমারে কি বলছিস? আমি এখুনু Tangled movie র রূপাঞ্জলের মতো সুন্দ্রী, বুঝলি? 😀
নীতেশ বড়ুয়া
তুমি Tangled বলো আর Rectangle যাই বলো গাব্দুগুব্দু হেডমাস্টার তো :D)
শুন্য শুন্যালয়
Rectangle হা হা হা, তাও ভালো বাংলা ৫ বলিস নাই। গাব্দুগুব্দু হেডমাস্টারের কাছে মাইর খাইছিলি মনে হয় কোনকালে। :p
নীতেশ বড়ুয়া
বাংলার ৫ কেন হবা! :@
মাইর খাই নাই, তয় ‘চাচা চৌধুরী’র গোলগাপ্পা গাব্দুগুব্দু গিন্নি বেলন হাতে যেভাবে শত্রু তাড়ায় সেভাবে তাড়ানি দেখেছি… তুমিও তাই :D)
শুন্য শুন্যালয়
:@ ছবি দিয়া ব্লগ ভরায় ফেলুম কিন্তু। এরপর বেলুন হাতে জিজ্ঞেস করুম, এইবার ক, আমি কেমুন।
নীতেশ বড়ুয়া
আসল ছবি আইলে কমু শুন্যের মতো আর নকল ছবি আইলে কমু সজু বাইয়ার পাত্রী দেখার মতো শুন্যালয় দেখা :D)
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, ভালো কথা, এই সজু গেলো কই? বিয়া করতে নাকি, অই ২ নাম্বার লাল্টু ডারে?
আর তুই বিয়া করবি নারে?
নীতেশ বড়ুয়া
২ নাম্বার নাকি ২০০ কে জানে, তয় সন্দহ আছে কিসু একটা অইছে তাঁর ;?
হামি বিয়া করতাম লায়, বিয়া দেখতাম সবের… \|/
শুন্য শুন্যালয়
কেনু??? শোন ডড়াইস না, বিবাহিত রাও ভালো কুক হয়। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
কুক হতে ডড়ে না বীর…
আমি রান্না শিখছি মাত্র। কুক হয়ে গেলে চিন্তা ভাবনা করুমনে, অকা। :D)
জিসান শা ইকরাম
@শুন্য, স্বপ্নে কে জানি দরজা ধাক্কাচ্ছিল খুব। একেবারে সত্যির মতই।জলে থাকা ভুত পেত্নীর কথা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। কবি আমি? ইহা বলিয়া কবিদের লজ্জা দিয়েন না।উিড়িতে পারিলেই যদি পাখি হইত তবে মশাও একটি পাখি 🙂
কুয়াশা নামটা হলো কেন জানতে মঞ্চায়।
লাল রঙের মহিমা তারাই বুঝবে যাদের মাঝে মুগ্ধতা থাকে।জিফ্রু ভাষা তো অবশ্যই।
সিনজি থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিজ্ঞতা আছে। এবং ২১ দিন পরে উহা আবার উদ্ধারের বর্নাঢ্য এক ইতিহাস আছে ম্যাডাম। কোন একদিন উহা প্রকাশ করা হইবে। লম্বা হাতের ব্যবহার দেখিতে পাইবেন আশাকরি।
খাবার বিলের কথা আর না বলি।সামান্য কিছু খেতেই এত বিল, আর জামু না ঐ খাবার খাইতে।
মাগনা এসি খাওয়ার এই পদ্ধতি এপলাই করা উচিৎ সবার। অপেক্ষার সময় গুলো বিরক্তকর হয় না।
রেগুলার এমন পোষ্ট দিয়ে সবাইকে পেইন দিতে চাইনা।
তবে মাঝে মাঝে দেবো নিশ্চিত।
শুন্য শুন্যালয়
কবি শব্দের মধ্যেই ভেজাল আছে, বাংলা ক আর ইংরেজি বি, তাই উহা নিয়ে এত জল্পনা নাই করি। লেখা না লেখা কথা নয়, ভেতরে একটা কবি মন ঘুরঘুর করছে, সেটা টের পাওয়া যায়।
মুগ্ধতা থাকলে লাল রঙ বুঝবে, ওরে বাবা, চেষ্টা করতে মন চায়।
কোনদিন প্রকাশ করিবেন আপনার লম্বা হাতের ব্যবহার? প্রকাশ করিব লিস্টে এখন কয় নাম্বার সিরিয়াল চলিতেছে ভাউ?
পেইন মিষ্টি হইলে উহা খেতেই চাই নিয়মিত, মাঝে মাঝে দিলেও চলিবে, ব্যস্ত মানুষ বলে কথা। লেখারা আস্তে আস্তে মাত্রা ছাড়াচ্ছে, কি যাদু কে জানে !
জিসান শা ইকরাম
আমার এই সব অলেখায় এমন প্রশংসা করলে কিন্তু লেখকরা ক্ষেপে যাবে আপনার উপর।
এমন লেখায় এমন মন্তব্য করলে,আপনার লেখায় কেমন করে মন্তব্য করবো তা ভেবেই বেদিশা আমি।
লাল রঙের ব্যবহারে আপনিও অত্যন্ত পারদর্শি আপনার বিভিন্ন পোষ্ট তার উদহারন। যেমন আজকের বারান্দা 🙂
প্রকাশ করার লিষ্ট নিয়ে একটি পোষ্ট দেব ভাবছি।এই ওয়াদাও অবশ্য একটি প্রকাশ বিষয়ক আশ্বাস।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
সোনেলায় লেখক কই? কেউ ক্ষেপবেনা। লেখক, কবি শব্দে ট্যাক্স বসেছে।
যা লিখি তা আপনাদের কাছ থেকেই ধার দেনা কিংবা সম্প্রদানে নিয়ে নেয়া। বিনিময় প্রথায় বিশ্বাসি না। আজ থেকেই শুরু করতে যাচ্ছি, আপনার প্রকাশ করিবো লিস্ট। লাল রঙ নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করি, উহা মেরুন বর্ন ধারন করিতেছে।
ম্যানিলার পোস্ট কই?
নীতেশ বড়ুয়া
ঝর্ণার পোস্ট কই? ;?
শুন্য শুন্যালয়
তোরে না জিগাইলাম ঝর্নার পোস্টে কি লিখুম। কস না ক্যা?
নীতেশ বড়ুয়া
ঝর্ণা কি আমি দেখছি যে কমু :@
ঝর্ণার লতায়, পাতায়, ঢালে আর শাখা-প্রশাখায় তোমার ভাবনা কই কই গেছে আর কোন কোন হৃদয়ে দোলা দিছে হেইডা কও :p
জিসান শা ইকরাম
লেখক,কবি শব্দে ট্যাক্স কে বসাইলো? আপনি নাকি?
ম্যানিলার পোষ্ট ও অপেক্ষমান তালিকায় আছে 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
শিরোনাম পড়ার সাথে সাথেই খুব ইচ্ছে করছিলো আপনাকে বলি কিছু একটা লিখে দিতে ‘বর্বর আর বিষধর জ্ঞানপাপী সাপ রাজাকার মুজাহিদ আর সাকা’র ফাঁসী রায় বহাল থাকা নিয়ে…
অনেকদিন পর আমি টিভি ছেড়েছি, তাও আবার শুধুই নিউজ চ্যানেল চলছে। প্রায় বছখানেক আমি টিভি ও পত্রিকা হতে দূরে আছি। আজ (১৮-১১-২০১৫) অনেকদিন পর কি মনে করে নিউজ চ্যানেল ছাড়তেই মুগ্ধ হয়েই দেখছি।
দেখতে দেখতে না খেয়েই ঘুম এক সময়। এখন আবার ঘুম থেকে উঠে সেই নিউজ চ্যানেল দেখা হচ্ছে আর সাথে প্রিয় খাবার নুডলস রান্না।
অবাক লাগে যে মাধ্যমগুলো এতো বছর যাদের বিরুদ্ধাচরণ করেনি সেই মাধ্যমগুলো এখন উঠেপড়ে লেগেছে নিজেদের এয়ারটাইম দিয়ে এদের মুখোশের অন্তরালের সব বিদ্যে জাহির করা নিয়ে! অথচ ‘মাধ্যম’গুলো হবার কথা গণ মানুষের মুখের ভাষার প্রতিচ্ছবি!…
যাই হোক, ইবনেসিনা হাসপাতাল নিয়ে বলেছেন। কেন অমন খারাপ ধারণা তা জানি না তবে ‘ইবনে সিনা’ সম্পর্কে অধুনা চলচ্চিত্র ‘The Physician (2013সালে)’ ইবনে সিনা যে আধুনিক এবং প্রথম জ্ঞানী ও প্রসিদ্ধ Physician ছিলেন তা দেখিয়েছে। এবং তাঁর স্থাপিত হাসপাতালেই আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া শুরু। হয়তো বর্তমানে তা অন্য চেহারা নিয়েছে, জানি না।
আজ ১৮-১১-২০১৫ঃ কুয়াশাচ্ছন্ন (নাকি ধূলাশা-ঢাকায় কুয়াশার চাদরের চাইতে বেশী ধূলোর চাদর বাতাসে) দিনের শেষ প্রান্তে এসে ব্যক্তিগতভাবে একটি আশার আলো দেখতে পেলাম, জানি না সেই আলোয় আবার আলোকিত হওয়া হবে কি না শেষ পর্যন্ত। তবে ‘কুয়াশা’ এমন নাম হবে কেন তা আগে ভাবিনি সত্যি ;?
জিসান শা ইকরাম
বাংলাদেশে ইবনে সিনা হচ্ছে জামায়াত ইসলামীর একটি প্রতিষ্ঠান
একারনে এমন ভাবনা।
জামায়াত এর কোন প্রতিষ্ঠানে আমি কোন অর্থ ব্যয় করে তাদের অর্থ বৃদ্ধি করিনা।
গনমাধ্যম গুলো অবস্থা পাল্টালে সাথে সাথে এদের চরিত্র পাল্টাবে
এরা টাকার জন্য সব করে
এর সাথে জনমানুষের কোন স্বার্থের চিন্তা নেই।
নীতেশ আশার আলোয় আলোকিত হোক 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
জামায়াত যে আরো কত গভীরে তাদের নষ্ট শিখড় গেঁড়ে ফেলেছে কে জানে!
নিজেও দেখেছি গণমাধ্যম টাকার জন্য কিভাবে চরিত্র বদলে নেয়, তাই এইসব গণমধ্যমের ধারেকাছে থাকার চেষ্টা কম করি।
আলোকিত হোক 😀 -{@
জিসান শা ইকরাম
সরকারী দলের সাথে মিশে যাচ্ছে তারা
বিএনপিকে দখল করেছে
এবার লীগকে দখল করার পালা।
নতুন সব সরকারী জবে এরাই ঢুকে যাচ্ছে, আদৃষ্ট কারো ছোঁয়ায়।
একটি সময়ে সব অপকর্মের দায় আসবে লীগের মাথায়
যেমন এবার পুজা মন্ডপে প্রতিমা ভাঙ্গা হয়েছে বেশী
অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ,যুবলীগের। শিবির জামাত যখন লীগে যোগদান করে, তখন তো তারা লীগ এরই 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
জিসান ভাই, একতা জেনারেশন শেষ হতে সময় লাগে আর শেষ হওয়ার আগে সে সবকিছুতেই মিশে গিয়ে শেষ হয় বলেই মানি। জামাত শিবির এরা শেষ হওয়ার আগে তাই সবকিছুতে মিশে যাচ্ছে। জাতি হিসেবে আমদের ইতিহাসে যেমন বেঈমানের জন্ম আছে তেমনিই আশা করছি বেঈমানদের মাঝেও তাদের সাথে বেঈমানী করার কেউ জন্ম নিয়ে ওদের শেষ করবে। আমাদের দৃঢ়টা দরকার যেন যে কোন বিপদে, দূর্যোগে আমাদের পন্থার কারো ভুলকে সংশোধন করতে যেয়ে সেই বেঈমান রাজাকারদেরকেই জড়িয়ে না ধরি। 🙂 🙂
জিসান শা ইকরাম
বেঈমান রাজাকারদের বুকে জড়িয়ে ধরা হচ্ছে তো
চোখ কান খোলা রাখলেই এসব দেখতে পারা যায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এখন আমার দিনপঞ্জিও তাইলে লিখে ফেলি।
সকালে উঠেই আয়নায় একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললাম, ও মা গো রে এখনও ব্যথা! ১৭ নভেম্বর কোন কুক্ষণে আনন্দের সাথে হাহাহিহি করতে করতে খাচ্ছিলাম, সেই থেকে ব্যথা দাঁতে ;(
ডিউটিতে যেতেই ক্লায়েন্টের স্ত্রী জানতে চাইলো আমার গালের অবস্থা দেখে। হাসি যে এতো কষ্টের সেটা আজ টের পেলাম। সারাদিন দৌঁড় দৌঁড় দৌঁড়। বাসায় ফিরতেই বন্ধুর ফোন, দেশে সব বন্ধ। আহারে কি হবে সবার? আমার কি! যা হবার হবে। আনন্দিত মনে শিল্পীকে ফোন দিয়ে বললাম এই সাকা আর মুকার ফাঁসি, জানিস? এটা নিয়ে কিছুক্ষণ হাসি-আনন্দ। এইরে রান্না যে নেই কিছু শুধু ঝিঙে-পোস্ত আর লেবুপাতার ডালই আছে। তাড়াতাড়ি কাতল মাছ বের করে ভাঁজলাম। তীর্থ এসে হেভি একটা হাগ। আহ জীবন ধন্য। তরুণের ফোন, আসছে সামনের মাসে। ঘুরতে যাবো আহা। \|/ আচ্ছা এতো আনন্দ চারদিকে ছড়ানো, আমার ব্যথা কমেনা ক্যান? ;(
ঊর্মীর ফোন এই চল লাইমরিডজ মলে। বিকেলে ডিউটি যাওয়া হলোনা 🙁
কিন্তু তাতে কি! ক্লায়েন্টের মেয়ে নতূন জবের অফার দিলো সেন্ট পিটারস হসপিটালে, ভাবছি। কি করবো? যাবো নাকি এখানেই এই সি.বি.আই হোম হেলথেই থাকবো স্মাইলি নীলা হিসেবে?
বিঃ দ্রঃ গতকাল অফিসের মিটিঙে নতূন নার্সিং ম্যানেজারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় আমার বস কেরেন হাতটা তুলে ধরে বললো This is Nila, our smiley nurse.
এই হলো আমার আজকের অনুভূতি। নানা তোমার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি একেবারে। আর বাকী নেই কিছু। -{@ (3
জিসান শা ইকরাম
বাহ তোমার দিনপঞ্জি দেখি বেশ সমৃদ্ধ
শপিং এর একটা ব্যাপারও আছে 🙂
তীর্থ, তরুন ভালো আছে আশাকরি।
তুমি তো সারাক্ষন হাসতেই থাকো
এই হচ্ছে সোনেলার হাসিমুখি নীলা 🙂
আমার লেখা ভক্ত হয়ে নিজের লেখার সর্বনাশ করো না
আমার লেখায় সাহিত্য নেই, আছে বকবকানি।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম তীর্থ-তরুণ খুব ভালো আছে। 😀
ও নানা এটা কি বললে? সাহিত্য তোমার লেখায় নেই!!! বলো কি!!!
চিমটি 😀
আমার লেখাতেও নেই। – – = + 😀 :D)
চলো তাহলে এখন নাচি। আয় তবে সহচরী… 😀 \|/ \|/
জিসান শা ইকরাম
ভালো থাকুক প্রিয় মানুষের প্রিয় মানুষেরা।
আমার এসবে সাহিত্য কোথায়?
প্রায় ফুটবল খেলার মত লেখা নিয়ে খেলি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ফিটিং রুটিনের দিনপঞ্জিতে বেশ একটা ভাব এসেছে।
মন্দ না, জল গড়িয়ে যাক নিজ গুনে রঙ্গীনের সমারোহে।
জিসান শা ইকরাম
দিন পাল্টে যাচ্ছে ধীরে ধীরে
জল পরিপক্ক হচ্ছে রঙে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
রাজাকার নেতা মুজাহিদ আর সাকার ফাঁসির রায় বহাল। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে \|/
পদব্রজে যাত্রা আমার প্রিয় একটা ব্যাপার যদি রাস্তা ফাঁকা থাকে।
ভালো একখান বুদ্ধি পাইলাম, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মাগনা এসিতে বসে ধুলোবালি মুক্ত পরিবেশে অপেক্ষা। :)।
জিসান শা ইকরাম
আনন্দ কিছুটা মাল হলো সরকারের নির্বুদ্ধিতায়।
ফেইসবুক,ভাইবার,হোয়াটসেপ অফ করে দিয়েছে,অথচ এসব চালানো কোন ব্যপারই না।
কারো জন্য অপেক্ষা করার এটি ভালো স্থান
আমি এতেই অপেক্ষা করি।
অরুণিমা
যদিও স্থানগুলো সম্পর্কে জানিনা কিছুই,তারপরেও দিনলিপি কেন জানি ভাল লেগেছে দা।মেট্রো রেইল আসছে তাহলে? বাংলাদেশে ফেইসবুক ভাইবার বন্ধ এখন?কবে নাগাদ চালু হবে আবার?আপনি একটু হাঁটবেন রোজ,মোটু হয়ে যাচ্ছেন, এটি ভালো নয় দা।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা মেট্রো রেল আসছে।ফেইসবুক ভাইবার কবে চালু হবে ঠিক জানিনা।
হাঁটতে হবে আসলেই।
ধন্যবাদ।
ড্রথি চৌধুরী
রাজাকার নেতা মুজাহিদ আর সাকার ফাঁসির রায় বহাল। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে \|/
প্রত্যেক রাজাকারের ফাসিতে যখন দেখি আমার বাবার চোখ চকচক করছে নিজেকে গর্বিত মনে হয় আমি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান :v (y)
জিসান শা ইকরাম
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
তোমার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে স্যাল্যুট -{@
তানজির খান
দিনলিপি দিনদিন আরো ভালবাসাময় হয়ে উঠুক। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ
শুভ কামনা।
রাত্রি রায়
এই ডায়েরি লেখাটাই এ জীবনে হয়ে ওঠেনি। স্মৃতিকে চটকাতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু আপনার দিনপঞ্জিকা পড়ে মনে হচ্ছে লেখা উচিৎ ছিলো। দিনপঞ্জিকা এমন কারুকার্যময় হতে পারে জানা ছিলোনা।
জিসান শা ইকরাম
আমিও ডায়েরি লেখি না
কি মনে করে জানি এই পোষ্ট দিলাম
লিখে ফেলুন আপনিও কিছু।
শুভ কামনা।
লীলাবতী
আপনি ঢাকাতে?ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অপেক্ষা করার বুদ্ধিটা নিয়ে নিলাম।দিনপঞ্জি আরো চাই।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ঢাকায় ছিলাম
নিয়ে নিন, মাগনা এসিতে অপেক্ষা করুন
চলিপে।
শুভ কামনা।
দীপংকর চন্দ
//এমন লেখা প্রকাশ করে খারাপ লাগছে, পাঠককে পড়তে বাধ্য করছি আমি।//
হা হা হা হা
শেষাংশে এমন একটা কথা অপ্রত্যাশিত ছিলো!!
ভালো লাগা থাকছে।
মন্তব্য অংশে উঠে এসেছে ভীষণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা!
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
জিসান শা ইকরাম
একটি পোষ্ট অসম্পূর্ন হতে পারে অনেক সময়
পাঠকদের মন্তব্যে তা পুর্নতা লাভ করে।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
স্বপ্ন
এমন লেখাও ব্লগে দেয়া যায়? বাহ, আমিও লিখতে চাই এমন লেখা 🙂
জিসান শা ইকরাম
হ্যা যায় তো, দিনলিপিই তো ব্লগ।
লেখুন লেখুন 🙂
হতভাগ্য কবি
প্রতিদিনেরটা দেন না কেন ?? হু?? প্রতিদিনেরটা দিতে হবে
😀
জিসান শা ইকরাম
আপনাদের মত শব্দ ভান্ডার আমার থাকলে রোজ অবশ্যই দিতে পারতাম 🙂
হতভাগ্য কবি
জিসান ভাই এসব বলে পার পাবেন না , দিতেই হবে । \|/
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা দেখা যাক 🙂