blog2 [640x480]
দরজায় তুমুল করাঘাত, জিসু দরজা খোলো, খোলো বলছি।শব্দে একলাফে বিছানায় উঠে বসা। এ কোথায় আমি? অপরিচিত শয়ন কক্ষ।দরজা খুলে খুলে কাউকে না দেখা।বুঝেছি স্বপ্নে এমন ডাকাডাকি। বাইরে কুয়াশা।নদীর মাঝে থাকায় কুয়াশায় দৃষ্টি সীমা দশ ফুটের বেশী হবেনা।জলে কম্পন।
আচ্ছা কুয়াশা কেন নাম এর? কু+আশা? এত অসাধারন একটি প্রাকৃতিক অবস্থার নাম এমন হবে কেন? কুয়াশা ভেদ করে ভোরে ভোর হয় কারো কারো। আমারো।
একের ভিতর তিন লাগেজ সমেত সিএনজির সামনে।স্যার মিটারে যা উঠবে এরপর খুশি হয়ে কিছু দিয়েন।ঘটনা কি? এই কি ঢাকা শহর? দিনের শুরুটা দন্ত বিকশিত অবস্থায় 😀

সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত শুধু একজনের জন্যই।দিন দিন প্রতিদিন। মাম পানির বোতল হতে জল যায় স্বচ্ছ গ্লাসে। ইচ্ছে মত রঙ দেয় সে আজ যেন লাল রঙের আধিক্য একটু বেশী।

রিক্সায় দোয়েল চত্বর টিএসসি হয়ে কলাবাগান। দোয়েল চত্ত্বর টিএসসি সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে মেট্রো রেলের। ঢাকায় অবশেষে মেট্রো রেল  🙂 ভাইবারে অনেকের মেসেজ।উত্তর সেন্ড হয়না, মেজাজ খারাপ।নাসিরের ফোনের সাথে সাথে মনে পরে গেলো, কিছুদিন আগে সিএনজির উপরের রেক্সিন ছিরে ছো মেরে নিপুন ছিনতাইকারীর হাতে চলে যায় নাসিরের মোবাইল। সাথে থাকা ল্যাপটপের ফিতা আঁকড়ে থাকি। ডলফিন গলিতে পাওয়া যাবে ল্যাপির ব্যাটারী। সাধের গোলাপি পিচ্চি ল্যাপিতে কত স্মৃতি। ব্যাটারী পাওয়া যাবে বিকেল পাঁচটায়। তখন সময় দুই। টিভিতে দেখি ফেইসবুক, ভাইবার,হোয়াটসএপ বন্ধ। রাজাকার নেতা মুজাহিদ আর সাকার ফাঁসির রায় বহাল। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে  \|/

আজ একটু হাঁটি। কলাবাগান থেকে হেঁটে হেঁটে আছাদ গেটের আড়ং।কাধে ল্যাপির শুন্য ব্যাগ। আদম হাওয়াকে নিষেধ করা হয়েছিল গন্ধম না খেতে।আল্লাহ্‌র নিষেধই অমান্য কারীদের উত্তম পুরুষ আমি।প্রিয় কয়েকজনের নিষেধ অমান্য করে হাঁটতে হাঁটতে সিগ্রেট টানতে খারাপ লাগেনি। ক্ষুধায় পেট চোচো……… খাবার বিল আটশত টাকা একার!! সামান্য ভাবান্তর, গরীবের অর্থ দীনতার কথা মনে পরে গেলো। আর ধুর…… এসব ভাবলে চলবে নাকি?

আবার পদব্রজে যাত্রা। আজকে পদ যুগল ব্যবহার দিবস মনে হয়। ব্যাটারী লাগিয়ে মুগ্ধ আমি। দেশে এমন কম্পিউটার সার্ভিস সেন্টার!! কলাবাগান হতে হেঁটে হেঁটে ধানমন্ডি ৯ এ ইবনে সিনা (এখানে চিকিৎসা কেন? মেজাজ খারাপ  আমার)। অপেক্ষা করছি আত্মীয় রোগীর। যে কোন অপেক্ষার সময় আমি কাছা কাছি কোন বেসরকারী ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপেক্ষা করি। মাগনা এসিতে চেয়ারে বসে থাকি ধুলোবালি মুক্ত পরিবেশে। ইবনে সিনার এসি ভালো না। গরম আর অপেক্ষমান দের কথায় মাথা ধরে যায়। সিড়ি বেয়ে দোতলায়, একটু ভীড় কম। কি করা যায় একা একা? স্নেহের ধনের ফোন এসে আমাকে উদ্ধার করে  🙂

রাত দশটায় রুমে ফিরে দিনলিপি লেখা শুরু।
এমন লেখা প্রকাশ করে খারাপ লাগছে, পাঠককে পড়তে বাধ্য করছি আমি।

৬৩২জন ৬৩২জন
0 Shares

৭৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ