সপ্তাহের বিশেষ একটা দিনে আমাদের সংসারের অনেকেই অপেক্ষায় থাকতাম হকারের জন্য, একটা বিশেষ সাপ্তাহিক কখন পড়বো। মোটামুটি কাঁড়াকাঁড়ি অবস্থা। তারপর যা হবার তাই হত। বড়োরা আগে এবং লিলিপুটেরা কাটাত সেই কঠিন অপেক্ষার প্রহর। তখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি, মা স্বাভাবিক এর চাইতে একটু জোরেই বললেন, “ওহ, এই জন্যই তোর কয়েক দিস্তা কাগজ বেশি লাগে”। মা এর মুখে আমি কী যেন দেখেছি, ঠিক বুঝিনি। তবে মনে হলো সুখ সুখ ভাব। “এটা কি তোর লেখা?” হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। তারপর ছোট্ট একটা “হ্যাঁ”। “তা যে স্যারকে নিয়ে লিখেছিস, উনি এটা পড়লে তো তোরও তেরোটা বাজিয়ে দেবেন।“ তারপর মা ঢোল পিটিয়ে এলান করলেন, “আজ থেকে তুই সবার আগে পড়বি”। আমিতো বেশ কয়েকটা দিন ঘুমাতে পারলাম না। এতটুকু জীবনের সামান্য প্রাপ্তিতে যে আমার অনেক বড় তৃপ্তি। স্কুলের একটা নির্মম ঘটনা লিখে পাঠিয়েছিলাম সেই সাপ্তাহিকে (বিচিত্রা)। দেশের একজন স্বনাম ধন্য শ্রদ্ধেও সম্পাদক (প্রায়ত) শাহাদাত হোসেন ছেপে দিলেন কী মনে করে যেন। হয়তোবা একটা কিশোরকে উৎসাহ দেবার জন্য। ইংরেজি স্যারকে দেখালাম যেহেতু ওনার সাথে আমার সখ্যতা ছিল। লেখাপড়ার বাইরেও কথা হোতো। কয়েকদিন পরে সেই নির্মম ঘটনার নায়ক শিক্ষক সাহেবকে আর স্কুলে দেখিনি। তারপর টুকটাক লেখা চলছে, ছাপছে। মাঝে মাঝে কবিতার দু একটা লাইনও থাকে। একদিন সাহস করে আস্ত একটা কবিতা পাঠিয়ে দিলাম। তারপর সেই কষ্টকর অপেক্ষা। হয়তো পরের সপ্তাহে ছাপবে। মনে হয় ভুলে গেছে। নতুন একটা পাঠালাম, তারপর আরেকটা, আরো কয়েকটা। মনটা ভেঙ্গে মুচড়ে থেঁতলে চূড়ান্ত হলো একসময় কিন্তু হাল ছাড়িনি আমি। ইংরেজি স্যারকে আমার কবিতার খাতাটা দিলাম। উনিতো মাঝে মাঝে ইংরেজি কবিতা শোনাতেন। সেই স্যার দুদিন পরে যা বললেন, কষ্ট কী? তার মানে হারিয়ে ফেললাম। থেমে গেলো মায়াস্বপ্নের পংতি আঁকা।
স্কুল ছেড়ে কলেজে পা রাখলাম। ভিন্ন শহর ভিন্ন মানুষ ভিন্ন অধ্যায় জীবনের। ক্লাসের মানুষদের দেখে মনের চাহিদা জাগল শুধু ভালো রুমমেটের জন্য। একজন যেন কী করে রাতভর। কাছে গিয়ে দেখতে চাইলাম কি আঁকিবুকি করছে। লাজুক মানুষটা লজ্জায় যেন মেয়ে বনে গেল। খাতাটা দেখে প্রথমেই চোখ চরক গাছে। মুক্তাখরে লেখা গোছানো অনেকগুলো লাইন। অনেক দিন এতো সুন্দর হাতের লেখা দেখিনি। রাতটা পার করলাম ওর কবিতা পরে। তারপর কত রাত কাটিয়েছি ওর লেখা পরে মনে নেই। এই কবিয়াল বন্ধুটির বাড়ি ছিলো খুব কাছাকাছি। ওখানে ওর একটা লেখার সংসারও ছিল। কোন কোন পর্বনে ওরা লেখা-লিখির কাগজ বের করতো। একদিন সপ্তাহের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে এসে একটা ম্যাগাজিন হাতে দিয়ে বলল, “তোর একটা কবিতা ছেপেছে আমার এলাকার একটা পেপারে।“ শুনে আহত হয়েছিলাম অনেক। কবি হবার স্বপ্নভাঙা মানুষটার যন্ত্রণার তুই কী বুজবি! বন্ধুটিকে তো আর আঘাত দেয়া যায়না। লাল মলাটটায় চোখ আকটে থাকলো অনেক্ষণ। প্রথম কবিতাটায় সব শব্দগুলো থেমে গেলো। একি, ও আমার মনের কথা চুরি করলো কী করে! ঝুঁকে পরা মাথাটা তুলতে পারিনি বন্ধুটির সামনে। এক সময় নিউজপ্রিন্টটা ঝাপসা হতে শুরু হলো। সরে গেলাম ওর সামনে থেকে। কখনো বলা হয়নি সেই কষ্টের ভালোলাগার কথা। সেই প্রথম সেই শেষ। সাথে আছে ইংরেজি স্যারের কথা। “সবার জন্য সব কিছু নয়”।
মায়াগুলো ওঠা নামা করে স্বপ্নের গাড়িতে। আমার ষ্টেশনে কেউ নামেনা। আজ উঠিয়ে দিলাম কবি হবো মাদুলিটা।
উৎসর্গঃ কবিয়াল বন্ধুটা, তোর কাব্যিক নামটা এখনো হাঁটছে আমার সাথে।
৭৪টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
নাসির সারওয়ার ভাই, আমার মন্তব্য আমি পোস্ট দিয়েই জানাচ্ছি। আপনিও হাঁটুন কবিতার সাথে। এই শেষ নয়।
নাসির সারওয়ার
মন্তব্য পোস্ট! হবেনা আর।
আপনার মন্তব্য পোস্টে যাচ্ছি।
নীতেশ বড়ুয়া
“হাল ছেড়োনা বন্ধু, কলম তোল হাতে” ঈষৎ পরিবর্তন করে জানালাম আপনাকে 😀
নাসির সারওয়ার
চলতে চলতে কথা হবে
বলতে বলতে জানাও হবে
নীতেশ বড়ুয়া
ইয়ে ইয়ে \|/
ছাইরাছ হেলাল
আপনি স্টেশনের ঠিকানা দিলে দু’একটি কাক-কুক পাঠিয়ে দেয়া যেত।
আজকাল খুব কাকানাগোনা হচ্ছে, কাকদের জন্মনিয়ন্ত্রণ খুব প্রয়োজন, দশ দিকে শুধু কাক আর কাক।
তা মাদুলিটির কোথায় কখন কীভাবে হস্তান্তরিত হল আমারা তা জানতে চাই।
কবি-কুবিরা গোল্লায় যাউক অতি দ্রুত, তাই ই চাই।
নাসির সারওয়ার
কোকিল হলে ঠিকানা দেবো। হঠাৎ কাকের পিছূ ক্যান ভাই? থাকনা কাকরা কাকের মতো।
মাদুলিটির কথা অতি গোপনিও। শুধু আপনাকে বলি, স্টেশনে সপ্নগাড়ি থাম্লো, কেউ নামল না। কন্ডাক্টর যথাযথই হাত বাড়াল আর মাদুলিটি দিলাম।
আমি আছি আপনার সাথে, আসূন কবিদের দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেই।
শুন্য শুন্যালয়
সবার জন্য সবকিছু নয়, ঠিক। তবে কার জন্য কি তা বুঝে ফেলা কিংবা কেউ বলে দেয়াই সব নয়।
ছাপার অক্ষর খুঁজে ফেরাই সব নয়।
স্টেশন যখন আছে, কোন না কোন একদিন মায়া নামবেই। ওটা যে বাড়ির দুয়ার নয়।
মাদুলিটা আজ অব্দি বয়ে বেড়িয়েছেন আর কবির ছায়া দেখেই ভয়ে খুলে ফেলছেন বুঝি?
যদি বলি একটা কবিতা পড়তে চাই আপনার? দেবেন না? আমি কিন্তু বারবার চাইবো।
নাসির সারওয়ার
“স্টেশন যখন আছে, কোন না কোন একদিন মায়া নামবেই।” সেই অপক্ষা কবে শেষ হবে?
মাদুলিটা ছেড়ে দিলাম যেন আর কখনো কবি হবার কথা না বলে।
হবেনা আপুনি, হবেনা…।।
শুন্য শুন্যালয়
সবেতো নতুন পা দিয়েছেন সোনেলায়। আমাকে চেনেন? চিনে যাবেন। হবেনা মানে, হয়েই ছাড়বো, চিন্তা ন কইরেন।
নাসির সারওয়ার
নতুনদের ভয় দেখাতে নাই। কিছুটাতো আচ করতে পারছি। পালাবো কিনা ভাবছি!
নীতেশ বড়ুয়া
:D)
আমাকে সে কি ভয় দেখানো দেখিয়েছে লীলাপু এখানে!!! সেই ভয়কে জয় করেছি উনাদেরকেই গ্যাঁড়াকলে ফেলে।
একটি পোস্ট দিয়ে উনাদের সকলের কাছ থেকে পোস্ট আদায় করে নেওয়াটা \|/
পালাবেন না, বলেছিলাম তো, সাথে আছি। চলুন জমিয়ে ফেলি 😀 -{@
নাসির সারওয়ার
ক্যামন করে যেনে ভয় দেখান উনি। যাক, সাথী যখন পেলাম, হয়ে যাক একহাত।
শুভেচ্ছা অনেক, আপনি অনেক ভাল লেখেন। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আমি যা তা লিখি। কিন্তু আপনার কবিতা পড়ার অপেক্ষা করছি… কে কেমন লিখে তা না বলে এইবার ঝটপট নিজের কবিতাটি দিন তো 😀
শুন্য শুন্যালয়
দিন দিন কবিতা দিন, ভয় দেখাবো না ভাইয়া, প্রমিজ। একটু চিল্লাপাল্লা, ভয় না দেখালে লেখাপড়া করতে চায়না কেউ। নেক্সট পোস্ট কবিতা, নো টক।
নাসির সারওয়ার
হবেনা শুন্য আপু।
অনেক বেশি জং
উঠাবার সময় কই।
নাসির সারওয়ার
হবেনা নীতেশ বড়ুয়া।
এ জং উঠবার নয়।
নীতেশ বড়ুয়া
তবে জং ধরা কবিতাই দিন 😀
নাসির সারওয়ার
আপনি পারেনও বটে নীতেশ!
নীতেশ বড়ুয়া
😀
দিয়ে দিন। আজ রাতের মধ্যেই জং কি মরচে বা তরতাজা লতার মতো একখানা কবিতা চাইইইইই চাই 😀
অরুনি মায়া
আপনার সেই রুমমেট কেও সোনেলায় নিয়ে আসুন। আমরাও তার কবিতা পড়তে চাই।
নাসির সারওয়ার
বলেছি ওকে। আপনার জন্য আবার বলবো।
অরুনি মায়া
ধন্যবাদ 🙂
নাসির সারওয়ার
স্বাগতম 🙂
মেহেরী তাজ
সব কিছু সবার জন্য না হলেও কিছু একটা তো থাকে প্রত্যেকের নিজের জন্য। সেই কিছু একটা টা কি সেটা বেড় করতে হলেও তো সব কিছু করে দেখা চাই।
মাঝ নদীতে প্রচুর জল,ভয় পাবেন না
একটু থামুন, একটু ভাবুন……….
অন্য কারর জন্য না হলেও নিজের জন্য লিখতে থাকুন। শুভ কামনা রইলো সব সময়ের জন্য।
নাসির সারওয়ার
থামতে পারি, তবে ভাবতে চাইনা আর।
হবেন আর। হবেনা…।।
তানজির খান
আমরা আপনার কবিতা পড়তে চাই। ধন্যবাদ দেবার অপেক্ষায় থাকলাম। কবিতা পোস্ট করলে তবেই ধন্যবাদ দিব!!!
নাসির সারওয়ার
আহারে…। একটা ধন্যবাদ ছুটে গেলোরে গেলো…।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবি তো হয়েই আছেন। বারবার পড়লাম। এ কষ্টেরও তো দেখি বেশ সুখ সুখ আলোয়ান জড়ানো। তা নইলে কি লেখা হতো?
আর লেখা যখন হলোই তাহলে কবিতার দিঘীতে পানকৌড়ি হয়ে সাঁতার কাটুন। নিস্তরঙ্গ জলের কাঁপন দেখি আমরা যারা পাড়ে বসে আছি।
পাড় ছুঁয়ে দিলেই জলের আঁখর
চিরল চিরল পাতায় শব্দেরা গাঢ় হবে
মধ্য পুকুরে সাঁতার দিয়েই
ডুবুরী জেতে জীবনের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়-সীমায়
কবিতায় আজন্ম ডুবে থাকে কবি
আবেগ সাঁতার কাটে মনের জলে
তাই বারবার ফিরে আসা এখানেই
তবুও এখানেই। (সকাল ৮ টা কাজে যাচ্ছি, বাসে বসে মন্তব্য করলাম। আটকাতে পারিনি এই আবেগ, যার কাছে পরাজিত হয়েও সুখ।)
নাসির সারওয়ার
হবেনা আপুনি হবেনা। অনেক বেশী জং।
“আবেগ সাঁতার কাটে মনের জলে
তাই বারবার ফিরে আসা এখানেই
তবুও এখানেই”
মনে থাকবে…
এরপর আপনার উইকেন্ড এ এবং দিনে লিখবো।
ওই আপুনি কি করিস
গোলমরিচও ঝাল মরিচ
রান্নঘরে কি খুঁজিস
এলাচ কিন্তু নয় মরিচ।
রান্নাঘরে বসে লিখলাম 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
কি ভাগ্য আমার ভাইয়া? আমি কৃতজ্ঞ।
ওহ আমি শুকনো মরিচ কিংবা মরিচ গুড়ো রান্নায় ব্যবহার করিনা। সব কাঁচা মরিচ। 😀
তাতেই ইস-উস করতে থাকি।
এতো রাতে রান্নাঘরে কি করছেন? ইঁদুর মারছেন নাকি ভাইয়ু? 😀 :D)
নাসির সারওয়ার
কাঁচা মরিচ। অনেক ভাইটামিন। যত বেশী ইস-উস ততো বেশী ভাইটামিন। কবে খাবো?
আপনার অনেক গেয়ান। ক্যামন করিয়া বুজিলেন আপুনিয়া? সংখ্যায় অনেক তাই সময় নিচ্ছে ব্যাটারা ।। মনে হয় ভোর হয়ে যাবে…।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ু গো কাঁচা মরিচ খাবেন?
খান, আমার ভাইটামিনের দরকার নেই।
বেশী জ্ঞান দেখেই তো বিপদে পড়েছি। :p
হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার ফোন নাম্বার নেই, থাকলে দিতাম। একটা কাজ করুন বাঁশী একটা নিয়ে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বাজান। আশা করি কাজে দেবে। 😀 :D)
নাসির সারওয়ার
এতো গেয়ানের জন্য আপনি রাতে একা একা হাশেন। হুম।
ভাল কথা বলেছেন, কিন্তু বাঁশী কই পাই এতো রাতে! ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
গেয়ান বিলিয়ে দিতে চাই, কিন্তু কাউকে পাচ্ছিনা দেয়ার মতো ভাইয়ূ। কি যে করি! ;?
বাঁশী নেই? নাক আছে তো? নাকের গান শুনিয়ে দিয়ে দেখুন তো কাজ হতে পারে। হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা কেন হারিয়ে গেছে জানেন? বলুন তো দেখি! 😀
নাসির সারওয়ার
জ্ঞান এর জন্য মানুষ সুদূর চীন এ যেতো। মনে হচ্ছে আমাকে আরো দূরে যেতে হবে।
এখনতো আবার হ্যামিলনের বউকে খুঁজতে বের হতে হবে। ওনার নাকটা লাগবেতো।
আরেকদিন বলবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যামিলনের বৌ? ;?
ভাইয়ু এখন তো আমি-ই ভাবতে শুরু করলাম।
নাসির সারওয়ার
শুধু কি ভাবলেই হবে নাকি ভাবনার ফলও জানাবেন!
ব্লগার সজীব
আপনার লেখাটি দুবার পড়লাম।লেখার কি প্রাণ থাকে?লেখার মুখটি থমথমে কেনো?চোখে কি পানি দেখলাম আমি? হয়ত দেখিনি,তারপরেও কেন জানি আমার চোখ ছলছল।কবি না হতে পাবার অব্যক্ত কষ্ট।
” মায়াগুলো ওঠা নামা করে স্বপ্নের গাড়িতে। আমার ষ্টেশনে কেউ নামেনা”———- অসাধারণ।
নাসির সারওয়ার
না না, লেখার আবার প্রাণ কি? ওর জন্য আবার খাবার দাবার সহ আরো কিনা কি লাগে।
“কবি না হতে পাবার অব্যক্ত কষ্ট” – অনেক তৃপ্ত হলাম।
শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
গতকালকেই পড়েছি আপনার এই লেখা
মন্তব্য করতে পারছিলাম না আসলে……
হতে পারে আঙ্গুল চলছিলো না কি বোর্ডে
অথবা কোন কারনে চশমা ঝাঁপসা হয়ে গিয়েছিলো
বয়েস হইছে চশমা ঝাপসা হয়ে যায় বিনা নোটিসে
অথবা প্রেশার লো … হাত পা কাঁপাকাঁপি
অথবা অন্য যে কোন কারন…… মন্তব্য না দিতে পারা অজুহাত মাত্র এসব
আসলে মন্তব্য করিনি এটিই বাস্তবতা।
আপনার কবিয়াল বন্ধুটি তো মহা চোর দেখছি
আপনার মনের লুকানো কথা চুরি করে লিখে দিলো
তার তো বিচার হওয়া উচিৎ
আপনার কবিয়াল কবিতা ছেড়ে হয়েছে নিরুদ্ধেস
কবিতা তাকে ছেড়ে গিয়েছে না কবিতাকে সে ছেড়ে গিয়েছে
তা হয়ত আমাদের অজানাই থেকে যাবে
আমার সাথে দেখা হলে,তাকে জানিয়ে দেবো তার দেয়া নাম আপনি ধারণ করে আছেন সোনেলায়
খুশী হবে নির্ঘাত।
স্মৃতি!
অবিরাম বয়ে যাওয়া শান্ত নদী
রিনঝিন
জলতরঙ্গের টুং টাং শব্দ
ঝমঝম
টিনের উপরে বৃষ্টির গান
সেতার
বেহালা ……।।
আরে ধুর কি সব লিখছি মন্তব্যে আউল ফাইল
শুভকামনা রাশি রাশি
শুন্য শুন্যালয়
স্মৃতিঃ
শঙ্খনীলের পুড়িয়ে দেয়া চিঠি প্রীতি
গতজন্মে লুকিয়ে পড়লো এজন্মের আধ খাওয়া স্মৃতি……
অবিরাম বয়ে যাওয়া শান্ত নদীঃ
কোথায় সে কাঁচপোকা, কচলানো ধুলোবালির রেখা?
শান্ত নদী বয়ে যায় অবিরাম, সাথে তার শুকনো শাখা।
রিনঝিনঃ
নেবে তুমি, ছোঁবে রিনঝিন শব্দাবলী?
যুক্তাক্ষরে ভয় পেওনা, এসো একটা একটা করে খুলে ফেলি।
জলতরঙ্গের টুং টাং শব্দঃ
উহু হবেনা চোখের জলে টুংটাং শব্দ
তরঙ্গ হবেনা, দেখবেনা কেউ, গড়িয়েই হবে স্তব্ধ।
ঝমঝমঃ
ঝমঝম করে দুপুর হাসে, দেখার কেউ নেই
আঁধার হলেই সেই হাসিতে ভয়ে হারায় খেই।
টিনের উপরে বৃষ্টির গানঃ
বৃষ্টি গায় গান টিনের উপর, নাচে এদিক বিদিক
ইটের ছাদ দুঃখে কাঁদে, চোখ পড়েনা সেদিক।
সেতার
বেহালাঃ
আমি খুঁজেই মরি সেই সুর, উঠি নামি সেতার বেহালায়
আমার খোঁজাই সার, কি জানি কোথায় সে হারায়।
ছাইরাছ হেলাল
ডরামু কিনা বুঝতে পারছি না।
শুন্য শুন্যালয়
কিসের ডর ;? আপনি মনে হয় তাজের হরোর গল্পের মন্তব্য এইখানে দিছেন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ডর দ্যাহাইবেন, কইতেও দেবেন্না, এ ভারী অন্যায্য।
নাসির সারওয়ার
“ঝমঝম করে দুপুর হাসে, দেখার কেউ নেই”, আমরা আছিনা, দেখে নেবো।
আর সেতার বেহালায় সাথে গীটার ও লাগবে কিন্তু!!!
শুন্য শুন্যালয়
গীটার তো পারিনা, নেকলেস-ডায়মন্ড-ম্যাঙ্গো মানে হারমনিয়াম পারি আর কঙ্গো পারি একটু একটু, হবেনা?
নাসির সারওয়ার
তাতেই চলবে। মুড়ির টিন পেটাতে পারলোও চলতো।
আসুন তবে সুর করি
লাজে যেনো না মরি।
শুন্য শুন্যালয়
জিসান ভাইয়া, আপনি সেই কবিয়াল নন আমি শিউর 🙂
ইন্টারের পরে জোর করে ধরে নিয়ে জন্মদিনের খাবার খেতে নিয়ে গিয়েছিল, বন্ধুরা।
সেই মুখচোরা পিরুনি, না, এ আপনি নন আমি শিউর।
রাত জেগে আঁকিবুকি? হুমহু? লজ্জায় মেয়ে বনে যাওয়া? কুন্তলা তোমার সন্দেহ কারেক্ট। 😀
না, না এ কবিয়াল আপনি নন আমি শিউর 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমি হলে প্রমাণ পাইতেন এখন
কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না– এই কথা মনে আছে নিশ্চয়ই
কবিয়াল হইলে দু-একটা ছিটে ফোটা কোবতে ভুলে ভালে প্রকাশ হয়ে যেতোই যেতো।
পিরুনি?গুগল সার্চ দিয়া জানলাম তা তো দেখি খাদ্য দ্রব্য -[ https://www.google.com/search?q=piruni&tbm=isch&tbo=u&source=univ&sa=X&ved=0CFoQsARqFQoTCPzNy9HNyMgCFQMkjgodIbAFSw&biw=1002&bih=433 ] আমি কি খাদ্য দ্রব্য?
উহ সেই কুন্তলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে ছোটবেলার সেই আতংকের মাঝে নিয়ে গেলেন।
আমি আমি না, আমি সেও না।
নাসির সারওয়ার
সব ঝাঁপসা যদি চশমাই প্রতিরোধ করতে পারতো, তাহলে তো ওদের …।। অবশ্যই পারেনা সংক্রমণ জনিত ঝাঁপসা। বয়স নিয়ে টানাটানির দরকার নাই। অনেকেই বুড়ো হবেনা।
ঠিকই বলেছেন আপনি, মামলা হবে সোনেলার আদালতে যদি পাই তাকে এখানে। মণের মধ্যের ঢূকে হাতিয়ে নিলো নিলো সব!
আমার বন্ধুতো কবিয়াল, ও কবিতা ছাড়তে পারবেনা আর কবিতাও ওকে ছাড়বেনা। আমার আবার এই অসুবিধাটা নাই। ধন্যবাদ আপনাকে, দেখা হলে ওকে আমার না বলা কথাটাও যদি বলতেন।।
স্মৃতিরা মাঝে মাঝে অশান্ত নদীর রূপেও আসে কিন্তু।
ভালো থাকুন অনেক অনেক করে।
জিসান শা ইকরাম
আদালতে স্বাক্ষী হবো আমি
চিন্তা কইর্যেন না
স্মৃতিরা যে ভাবেই আসুক সমস্যা নেই
ফিরে আসাটাই মুখ্য
ভালো থাকুন সব সময় -{@
নাসির সারওয়ার
“স্মৃতিরা যে ভাবেই আসুক সমস্যা নেই
ফিরে আসাটাই মুখ্য”।
অনেক ভালো বলেছেন !!
ছাইরাছ হেলাল
ইস্, কেন যে কুবি হইতারল্লাম না!!!
আফসোস বড়ই আফসোস।
শুন্য শুন্যালয়
যে ভাইয়া বড়ই আফসোস, আপনি এখন অনুভূতিষ্ট হইয়া গেছেন।
নাসির সারওয়ার
হায় হায় কয় কি? ভারী চিন্তার বিষয় ;?
লীলাবতী
এই লেখাটিতে মন্তব্য করতে এসে আর সবার মন্তব্য পড়ে শব্দ জটে পরে গেলাম ভাইয়া।সব ভালোলাগা শব্দগুলো এক সাথে চলে এলো মাথায়।কবি না হতে পারা ভাইয়া আর অচেনা কবিয়াল ভাইয়াকে শুভেচ্ছা -{@
নাসির সারওয়ার
এই লেখাটার চাইতে মন্তব্যগুলো অনেক ভালো লেগেছে আমার। আপনার শুভেচ্ছা আমার কাছে থাকল এখন, কবিয়ালটাকেও পৌঁছে দেবো সময় কোরে।
সাবরিনা
অনেক দিন পর সোনেলায় এসে ব্লগ সম্পর্কিত একঘেয়ে পোস্ট পড়তে পড়তেই আপনার লেখাটি চোখে পড়লো। সত্যি বলতে, স্বাদ ফিরে পেলাম। হাত আছে গো আপনার; শিল্প হবে।
নাসির সারওয়ার
আপনার এই মন্তব্যটি আমি আমার মনের কুঠুরিতে রেখে দিলাম। এখানে অনেক ভালো ভালো লেখকরা রয়েছে। আপনি অনুগ্রহ করে আমাদের সোনেলাতে থাকুন ।
নীতেশ বড়ুয়া
ভাই, আপনাকে আগে কে কি বলেছেন জানি না কিন্তু সোনেলায় আপনার এই একটি পোস্ট আরো কত পোস্ট এনেছে দেখেছেন? আপনার এই একটি লেখাতেই এতো কিছু! সত্যিই আপনার তারিফ করতে হয় আপনার ভাবনার টানে আমারাও আটকা পড়লাম। আপনার কবিতা তো চাইই চাই সেই সাথে আপনার এমন করে লেখা চাই নিয়মিত।
এই অনুরোধটুকু রইলো ভাইয়ের প্রতি।
ভালবাসা নিবেন (3 -{@
নাসির সারওয়ার
“ব্লগারদের জন্য কিছু রেডিমেট কমেন্ট” লেখাটায় এই মন্তব্যের কি উত্তর হবে তা পেলাম না। সজীব সাহেবকে জানাতে হবে যেন ওটা আপডেট করা হয়। নইলে কি জানি হয়ে যায় …..
কবিতা আসছেনারে দাদাভাই। সংসার আর কর্মশালার চাপে আমি মোটামুটি বর্তা হওয়া মানুষ একটা। তারপরও ঢু মাড়ি সোনেলাতে। দৌড়াতে দৌড়াতে লেখার মেধা আমার নাই। তাই অনেক সময় মন্তব্যও করা হয়ে ওঠেনা।
উষ্ণতা রেখে দিলাম (চুরি করা কথা!!!!)।
ভালো থাকুন, ঢালতে থাকুন সঞ্জীবনী। অনেকের সাথে আমিও পান করবো।
নীতেশ বড়ুয়া
সংসার! হাহাহা… আমার চাইতে বখারাপ হয়ে কেউ নেই এ আমি বলতে পারি :p
আপনার কর্মশালা নিয়ে কিছু লিখুন। লেখা ছাড়বেন না। লেখার ফাঁকে ফাঁকে না হয় দু’একলাইন আমাদের জন্যেই কবিতাকারে দিয়ে দিলেন 😀
নাসির সারওয়ার
এইটা আমার পছন হইছে দাদাভাই।
তবে…..
“বখারাপ” কি? কেউ একটা সোনেলা ডিকশোনারি বানায় না।।।।
নীতেশ বড়ুয়া
বখারাপ= বেশী খারাপ :D) :D)
নাসির সারওয়ার
রোজ কিছুনা কিছু শেখা যায়, যদি আমরা শিখতে চাই। তাইনা দাদাভাই?
স্বপ্ন
সাপ্তাহিক বিচিত্রায় লেখা প্রকাশিত হওয়া তো বিশাল ভাগ্যের ব্যাপার। ঐ সময়ে নাকি সাপ্তাহিক বিচিত্রা প্রচুর জনপ্রিয় ছিল। আপনার হয়ে আপনার কবিয়াল বন্ধুটিই লিখেছিলেন কবিতা?যা আপনার ই মনের কথা?
এখন লিখে ফেলুন ভাইয়া।এখানে আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ করুন।
নাসির সারওয়ার
আপনি ঠিকই ধরেছেন, সেই কালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা অনেক জনপ্রিয় ছিল।
আমার কবিয়াল বন্ধুটি একটা আস্ত চোর।
সব ইচ্ছে পুরন করার সাধ্য কি সবার থাকে? তবে শুভেচ্ছাটা রইলো আপনার জন্য।
স্বপ্ন
আপনার জন্যও আন্তরিক শুভেচ্ছা ভাইয়া।সোনেলা পরিবারে আপনাকে আমি স্বাগত জানাইনি।প্রথম মন্তব্যেই স্বাগত জানানো উচিৎ ছিল।আমাদের এই ছোট্ট জগতে স্বাগতম আপনাকে -{@
কেন জানি মনে হচ্ছে,আপনি সোনেলার অনেককেই জানেন।কেন মনে হচ্ছে,তা জানিনা।
নাসির সারওয়ার
আপনার আতীথেয়তার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা, এই যেমন আপনাকে চিনে ফেলেছি দুয়েক দিনের মধ্যেই। আপনি ভালোবাসায় রঙ মিশাতে পারেন।
আরো কয়েক জন আছে, তাদের লেখার ভক্ত আমি।
অন্তরা মিতু
“শুরু” যে কোনো সময়েই, যে কোনো জায়গা থেকেই করা যায়। আপনার শুরুটা হয়েছিল বহু আগেই, যা কখনোই শেষ হয়ে যায়নি, শুধু একটু ব্রেক নিয়েছিল মাত্র…
আবার হাতে নিন ষ্টিয়ারিং, গাড়ি চলতে থাকবে, নিশ্চিত।
আপনার কবিতার অপেক্ষায় রইলাম। না লিখলে অভিযোগ করবো, আমার সেই দাবী আছে পাঠক হিসেবে, এ-ও জানিয়ে দিলাম।
নাসির সারওয়ার
অনেক বেশি জংতো তাই সময় নিচ্ছে একটু। তবে কবিতার চারা বুনেছি। কলি ফুটলেই আপনাকে জানাবো।
আপাতত অভিযোগটা হোল্ড করুন। নাহলে সোনেলা ছাড়তে হতে পারে।
ভালো থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
“” একজন যেন কী করে রাতভর। কাছে গিয়ে দেখতে চাইলাম কি আঁকিবুকি করছে। লাজুক মানুষটা লজ্জায় যেন মেয়ে বনে গেল। খাতাটা দেখে প্রথমেই চোখ চরক গাছে। মুক্তাখরে লেখা গোছানো অনেকগুলো লাইন। অনেক দিন এতো সুন্দর হাতের লেখা দেখিনি। রাতটা পার করলাম ওর কবিতা পরে। তারপর কত রাত কাটিয়েছি ওর লেখা পরে মনে নেই। ”
ভাইসাব আপনার এই কবিয়াল বন্ধু কই থাকে এখন?
সে কি এখনো লজ্জায় মুখ লুকায়?
তার কবিতার খাতাটিও বা কই?
তারে সোনেলায় লিখতে বলুন প্লিজ, আমরাও একটু পড়ি তার কবিতা।
আপনার লেখা চাই ভাইসাব।
নাসির সারওয়ার
আচ্ছা, বলে দেবো। লিখে ফেলবে কিছু না কিছু!