২৫ মার্চ,১৯৭১ এর কালরাত্রিতে যেসব অকুতোভয় বাঙালি বুকের কয়েকটি পাঁজর আর একটি করে লাল টুকটুকে হৃদপিন্ড নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম পশুদের বিরুদ্ধে,তাদের সেই ছেলেমানুষি দুঃসাহসকে উৎসর্গ করছি এই সিরিজটি
১.
উধার আটঠো লাশ হ্যায়।কুত্তাছে খিলানা হ্যায়,খিলাদো।আউর না কিসিকো দেনা হ্যায় দে দো।যাও,যো তোমহারা মর্জি করো।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্যাতন ক্যাম্পে চার মাস আটক থাকার পর সৌভাগ্যক্রমে ছাড়া পেয়ে যান যশোরের আমির হোসেন।ফেরার পথে একদল পাকিস্তানি সৈনিকের সাথে দেখা হয়ে যায় তার।তাদের একজন এই কথাগুলো বলেছিল আমির হোসেনকে।কিছুদর যেতেই তার চোখে পড়ে হাত পা বাঁধা উলঙ্গ আটটি লাশ।তাদের কারো কারো শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন করা।১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর – এসময় বাঙালিদের শুধু হত্যা করা হয়নি,হত্যার ধরণটা এমন ছিল যাতে মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় চিরতরে ভুলে যায় বাঙালি।সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে,অথবা শরণার্থীদের ভিড়ে আচমকা ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে।হত্যা করা হয়েছে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে,কিংবা শাবলের বাড়িতে মাথা গুড়িয়ে দিয়ে।শিশুকে হত্যা করা হয়েছে ঘুমের ভেতরে,হত্যা করা হয়েছে হাসপাতালের অসুস্থ রোগীকে।সদ্যজাত শিশু থেকে অশীতিপর বৃদ্ধ – কেউই বাদ যায়নি দশ মাসব্যাপী ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস এই গণহত্যাযজ্ঞে।সমস্ত বাংলাদেশটাই ছিল একটা বধ্যভূমি।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানে শনাক্তকৃত বধ্যভূমির সংখ্যা ৯৪০ টি।এছাড়া ৬৫ টি ব্রিজ ও সেতু এবং ৮৮ টি নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে নিয়মিতভাবে হত্যাযজ্ঞ চলতো।তাদের গবেষণা বলছে সারা বাংলাদেশের এরকম ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বধ্যভূমির সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
প্রীতম এর লেখা হতে সংগ্রহীত
১০টি মন্তব্য
আশা জাগানিয়া
নিয়মিত পর্ব চাই ভাইয়া।জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
সঞ্জয় কুমার
ব্যাস্ততার জন্য দিতে পারছি না । । আজই আরেক পর্ব দেব ভাবছি
অলিভার
“”হত্যার ধরণটা এমন ছিল যাতে মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় চিরতরে ভুলে যায় বাঙালি””
এই লাইনটা কি এমনি হবে?
আরও একটা অনুরোধ। সূত্র যুক্ত করলে তার লিংক সাথে সংযুক্ত করে দিবেন। তাতে ঘটনা গুলি আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং বিস্তারিত আরও কিছু তথ্য জানা যায়।
ধন্যবাদ 🙂
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে ও ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
খুব কস্টের দাদা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সাহসী একটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন।সাফল্য কামনা করছি।ছড়িয়ে দিন সারা পৃথিবীতে “৭১ এ যুদ্ধের বয়াবহতা আর নরপশু পাকিদের স্বদেশীয় বেঈমানদের মুখোস।
খেয়ালী মেয়ে
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির ত্যাগ ও বীরত্বের গৌরবগাঁথা বেশি বেশি প্রকাশিত হোক…….
জিসান শা ইকরাম
আগেই পড়েছি
সিরিজ চলুক।
ব্যাস্ত এবং বড় ব্লগারগন মন্তব্যের জবাব দেননা
বুঝা যাচ্ছে বড় ব্লগারের লেখায় মন্তব্য করলাম 🙂
সঞ্জয় কুমার
মামা !!! ভালো হচ্ছে না কিন্তু । আমি বড় ব্লগার ????
অরুনি মায়া
স্যরি একটার মন্তব্য অন্যটায় চলে গেছে। আমি খুবি দু:খিত 🙁