উত্তর এবং প্রত্যুত্তর : তিরি এবং অহম : পঞ্চদশ ভাগ
সাতান্ন –
তিরির প্রতি
এভাবে আমায় আর জ্বালাস না প্লিজ। তুই যা চাইবি, তাই দেবো। কোনো পিউকে চাইনা। ময়ূরীই তো ঠোঁট দিয়ে খোঁচা দেয়। খোঁচা কি বলছি ঠোকা।
যাক খুব সিরিয়াসলি একটা কথা বলে রাখছি, আমি বিয়ে করবো না। তার জন্যে যদি তুই আমার সাথে বন্ধুত্ত্ব নাও রাখিস, ক্ষতি নেই।
= অহম
আটান্ন
অহমের প্রতি
এভাবে তুই বলতে পারলি?
= তিরি
উনষাট
-তিরির প্রতি
স্যরি। ক্ষমা করে দে। তবু আড়াল তুলিস না। ভুল হয়ে গেছে এতো কঠিনভাবে বলাটা। পাগলী তুই যা বলবি, সেটাই শুনবো। ফোন দিয়ে যাচ্ছি, কেন তুলছিস না ফোন বলতো? ভালো আছিস তো?
= তোর অহম
রিনী এবং অহমের কথোপকথন :
অহম – হ্যালো রিনী?
রিনী – বলছি, কে অহম?
অহম – হুম আমি। কেমন আছিস?
রিনী – এইতো রে, মনটা ভালো নেই। এই ফিরলাম হসপিটাল থেকে।
অহম – কেন কি হয়েছে?
রিনী – জানিস না? হঠাৎ করে সাত দিন আগে মাথা ঘুরে পড়ে গেলো তিরি। প্রিয়’দা এসে দেখেন লিভিং রুমের জানালার পাশে পড়ে আছে ও।
অহম – বলিস কি! শোন আমি যে ফ্লাইট পাবো আসছি। প্রিয়-তিরিকে জানাস না, অস্থির হয়ে পড়বে। প্লেনে উঠে আবার ফোন দেবো। বাই
**************
হ্যামিল্টন,কানাডা
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ ইং।
১৮টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
আপনার উত্তর প্রত্যুত্তর পড়ে মনে মনে একটু হিংসে হয়, কিন্তু ভাল লাগে….
তিরির কি হয়েছে জানার জন্য পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম…
নীলাঞ্জনা নীলা
হিংসে আমারো হয় :p ধন্যবাদ……… খেয়ালী মেয়ে
জিসান শা ইকরাম
অহম খুব কঠিন করেই বলো তিরিকে
এভাবে না বললেও পারতো।
তিরিকে আবার কোন কঠিন অসুখ দিয়েন না আপনি।
অনেক দিন পরে লিখলেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
এত কঠিন না হলেও পারতো তিরি।কি যে হবে বুঝতে পারছি না।
ব্লগার সজীব
বন্ধুত্বকে কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন আপনি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বন্ধু তো এমনই হতে হয় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
প্রাণের বন্ধুর দারুণ বন্ধুত্বের উপস্থাপন বরাবরের মতই সুন্দর।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রাণের বন্ধু বলে কথা 🙂
প্রহেলিকা
এতোদিন পরে এসে আমিও কিন্তু অহম আর তিরির মজা পেয়ে গেছি, এতোদিন তেমন একটা বুঝতাম না বেশ কয়েকটি পর্ব চোখ বুলানোর পর এখন দেখি বেশ অসাধারণ সবগুলো পর্বই।
তাদের টুকরো টুকরো কথাগুলো বুঁদ করে রাখে পাঠককে। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি দেখি তিরি কেন হাসপাতালে, আশা করি বড়কোনো দুর্ঘটনা শুনাবেন না।
শুভেচ্ছা জানুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখন বুঝতে পেরেছেন বলে ভালো লাগছে আমার।এখনো ভাবিনি আসলে কি করবো।থমকে গিয়েছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
এতোটুকুতে মন ভরেনা 🙁 খবর্দার বলছি, আমাদের ফুলটুসিটার যেন কিছু না হয়।
অহমটা এত্তো পঁচা।
নীলাঞ্জনা নীলা
পাবলিক গাড়িতে বসে বসে লেখি শুন্য,সময়ই তো পাইনা।জব থেকে বাসায় ফিরে অবসাদে পেয়ে বসে।অহমটা এভাবে না বললেও পারতো।ফুলটুসির জন্য মায়া আমারো 🙂
লীলাবতী
পর্ব এত ছোট কেন নীলাপু?বরাবরের মত দারুন -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
পথে পথে লেখি লীলাবতী।ধন্যবাদ 🙂
স্বপ্ন নীলা
দারুন উপস্থাপনা আপু !
ভাল থাকবেন সব সময়
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ,আপনিও ভালো থাকুন নীলা -{@
মেহেরী তাজ
তিরি অহম প্রিয় আমাদেরই একজন হয়ে গিয়েছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এদেরকে আপন ভাবছেন,এ কথা জেনে ভালো লাগছে তাজ 🙂