
এক বিকাল
এক ছন্নছাড়া
একটি বিকেল একটি ঝামেলাজুক্ত অফিস সময় পিছনে ফেলে বের হলাম। প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা কাজের চাপে। অফিস বের হতে পিয়ন কে বললাম ভাল লাগছেনা, আবার একটু দেরি করে বিশ্রাম করলাম।
বের হয়েই নিচে নেমে একটু হাটতেই ঝির ঝিরে বাতাস, হালকা লাগছে, শীত শীত ভাব প্রান জুড়িয়ে যাচ্ছে।ধির অতি ধির পায়ে হেটে এগিয়ে যাচ্ছি বাস স্টপে গাড়ীতে উঠার লক্ষে। মনে ইচ্ছে করছে দুহাত ঊর্ধ্বে তুলে পাখির ন্যায় আকাশে উড়ি আর বাতাসের সাথে মাখা মাখি করি মন উজাড় করে শুন্যে ঘুরি। এই শীতে মেঘলা সময়ে বিকেলে ফুর ফুরে মেজাজে লম্বা সরু বা জমির আইল ধরে হাঁটতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আবার যদি হয় নদীর তট তাহলে আর কি বলব মন্মাতান এক অনুভূতি।
এই আমার বাংলা এই আমার মা নয়নাভিরাম সুদৃশ্য মাঠ।
শীতে মেঘলা আকাশ রাতে হালকা শীত আর জোনাকি আলোয় ঘুরতে আমার বেশ লাগে। ওহ! যদি গ্রাম হত ঘুরতাম ঘুরতাম কয়েক সেকেডে কত কি যে আউল ফাউল ভাবছি আমি নিজেই জানিনা। মাথার চাপ্টা কমছে। এই আবহাওয়াটা আমার ভীষণ প্রানে দোলা দেই। এই অনুভব আমার খুব ভাল লাগে। এই বাতাসে আমার নদীর পাড়ি ধরে হাটতে আর কিছু ফোক বা বাউল গান খুব শুনতে ভাল লাগে।
কিংবা গ্রাম্য সরু পথ বেয়ে চলা মনে আবেগ তোলে হাটার জন্য। মাঠের পর মাঠ চিকন রাস্তা হেলে দুলে হাটা বেশ আরামদায়ক ও প্রানে আনে একটু আলাদা সস্তি যা প্রকাশ করা যায় না ভাষায়। ধির পায়ে অতি ধিরে আনমনে চলা যেখানে থাকবেনা দিক বিদিক চলব মাইলের পর মেইল ঘন্টার পর ঘণ্টা। মনে সুর সুরিয়ে গাইবে হইত কোন চির চেনা সুর আউল বাউল গান।
অরিন্দম হাটিয়া চলে ………।।
২৪টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনুভূতিগুলো বেশ চমৎকার।সকল দেশের সেরা এ বাংলা আমার মন জুড়িয়ে যায় তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।অরিন্দম হাটিয়া চলে………তারপর? -{@
মোঃ মজিবর রহমান
শ্রধ্বেয় মনির ভাই, আমার গুছিয়ে লেখার কোন যোগ্যতা নাই, মনের শখে ব্লগে পড়ি, আর আপনার লেখা থেকে মনের খোরাক নিয় মাত্র। ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
তাঁর পর কিছু হবে…
আবু জাকারিয়া
মাঠের পর মাঠ, নির্জন রাস্তার পর রাস্তা একা একা হাটতে ভাল লাগে। ভাল লাগে একা একা অনেক কিছু ভাবতে। কিন্তু শহরের জীবনে ব্যাস্ততা বেড়ে যায় দিন দিন। গ্রামের সৌন্দর্য আর দেখা হয়না। ভাল লাগল আপনার লেখাটা।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাললাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাই আমার মন লেখা কোন জাতের না , আম্র মন বিক্ষিপ্ত।
সব কিছু গুছিয়ে লেখা আমার হয় না, মনে চা বলে তা খাতা কলমে প্রস্ফুটিত হয় না।
ব্লগার সজীব
একটি সুন্দর দৃশ্য আঁকলেন লেখায়।স্নিগ্ধ অনুভূতিতে ছুঁয়ে গেল প্রাণ।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে শুভেচ্ছা অবিরত।
শিশির কনা
খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া।আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি -{@
মোঃ মজিবর রহমান
আমার সোনার বাংলা আমি তোমাই ভালবাসি।
খেয়ালী মেয়ে
ইচ্ছেগুলো সুন্দর…
পুকুরপাড়ে বাঁশঝাড়ে মিটমিট করে জোনাক জ্বলার দৃশ্যটার কথা মনে পড়ে গেলো, আপনার জোনাকি আলোতে ঘুরতে বেশ লাগে কথাটা পড়ে..
মোঃ মজিবর রহমান
জোনাকির মিটিমিটি আলো অন্ধকার বাশবনে বা বাগানে চমৎকার লাগে আপু।
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর লিখলেন!
মোঃ মজিবর রহমান
মাঝে মাঝে আসি ভাইয়া সময় খুব অভাবি।
ব্লগার সজীব
মজিবর ভাই,আমার মনে হয়,এই লেখাটি আপনার এমন ধরনের লেখার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লিখেছেন।লিখুন আরো।
মোঃ মজিবর রহমান
লিখতে অনেক সময় ও চিন্তা লাগে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বপ্ন
খুব সুন্দর ভাবে অনুভুতিগুলো প্রকাশ করলেন।
মোঃ মজিবর রহমান
অনেক সময় মাথার পোকা গুল জ্বালায় তাও হয় না কি করি বলুন তো।
জিসান শা ইকরাম
মজিবর ভাই লেখা খুবই ভালো হয়েছে।
ছবি এপলোডে মনে হয় কিছু ভুল হয়েছে।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া আমি আইটি তে খুব অপক্ত।
শুভেচ্ছা অবিরত।
নওশিন মিশু
“একটি বিকেল একটি ঝামেলাজুক্ত অফিস সময় পিছনে ফেলে বের হলাম। প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা কাজের চাপে।”
আমার কথাগুলো কিভাবে জানলেন ? ;?
মোঃ মজিবর রহমান
চাকরী জীবীরা জানেন
ঐভাবেই
ধন্যবাদ।
লীলাবতী
ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল লাগ্লে কৃতঘ্ন।
শুন্য শুন্যালয়
মজিবর ভাইকে একদম ভিন্নরূপে পেলাম এই লেখায়। বেশ ভালো লেগেছে। এমন একান্ত অনুভূতিগুলো শেয়ার করুন আরো ভাইয়া। ভালো থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল লাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ
দিদি।