এমনটা আগে কখনো হয়নি, কিন্তু আজ হয়েছে—আব্বু আম্মুর মধুর চেষ্টা ছাড়াই আমার ঘুম ভাঙলো—চোখ মেলে দেখি পাশেই আম্মু বসে আছে আমার পানে চেয়ে—উঠতে যাচ্ছি এমন সময় আম্মু বলে উঠলো আর একটু ঘুমিয়ে নে, এখনো আযানের সময় হয়নি—কিন্তু আমার মাঝে এক অদ্ভূত ভালো লাগা কাজ করছে, উঠে বসলাম, আম্মুকে জড়িয়ে ধরে জানতে চাইলাম তুমি বুঝি ঘুমাও না মা?এভাবেই বসে বসে আমাকে দেখো?..আম্মু হাসতে হাসতে বলে উঠলো নারে পাগলী এইমাত্র আসলাম-আমার মামনিটা আজ কোন ডাকাডাকি ছাড়া কেনো উঠে গেলো?—ঘুম হয়নি,শরীর খারাপ করেনি তো, শুরু হলো প্রশ্ন—সব মা রা বোধ হয় এমনি হয়—একদিন একটু সাতপাঁচ হলেই চিন্তায় পড়ে যায়—আমি বিছানা ছেড়ে উঠে আম্মুকে বললাম, তুমি একটু ঘুমিয়ে নাও, আমি আজ তোমাকে ডেকে তুলবো—আজ আমার অনেক ভাল লাগছে, আমি একটু বাগান থেকে হেঁটে আসি—ততক্ষণে তুমি একটু ঘুমিয়ে নাও—আম্মু বলল যা ঘুরে আয়…
প্রতি সোম মঙ্গলবার আমি সাদা ড্রেস পরি—কেনো পড়ি তার কোন ব্যাখ্যা নাই..এতো বড় হয়ে গেলাম অথচো এখনো চুল বাঁধতে জানি না, বাসায় সব সময় আমার চুল খোলাই থাকে, আর বাইরে বা কোন অনুষ্ঠানে উঁচু করে সবগুলো চুল একসাথে নিয়ে একটা ঝুটি,এই হলো আমার চুলবাঁধা….
এলোমেলো চুলের সাদা ড্রেস পরা আমি ভোর দেখার জন্য দরজা খুলে বাইরে পা রাখতেই মনে হলো এক স্বর্গীয় ভুবনে বিরাজ করতে যাচ্ছি—খালি পায়ে পা রাখলাম বাইরের জগতে—শিশির ভেজা শুকনো পাতার চাদর বিছানো রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম একা একা—ঝোপঝাড়ে ফুটে থাকা কুয়াশাসিক্ত বনোফুলগুলো আমায় দেখে হেসে উঠলো—এত্তো মিষ্টি হাসি একটু করে স্পর্শ না করে থাকতে পারলাম না—দু’একফোটা শিশির আলতো করে আমার কপালে টুপ করে এসে তাদের অস্তিত্ব জানান দিলো—ভোরের রঙে চোখ আলোকিত হয়ে উঠলো—গুণগুণ করে কারা যেনো সারগাম শুরু করলো, পাখিদের প্রাণেও যে শিহরণ জেগে উঠেছে বুঝতে আর বাকী রইলো না….
হঠাৎ এক দমকা বাতাস এসে ছুঁয়ে গেলো—সামনে তাকাতেই দেখি সাদা ড্রেস পরা খুব সুন্দর একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাত বাড়িয়ে—না আমি তাকে চিনি না, তবে আমিও তার দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম—তারপর আমরা দুজন আবার হাঁটতে শুরু করলাম…..
সে আমাকে বলল, তুমি এই শীতের সকালে গরম কাপড় ছাড়া কেনো বের হয়েছো?..
আরে তাইতো, কী অদ্ভূত এতোক্ষণ আমার খেয়ালই ছিলো না যে, আমি গরম কাপড় পড়িনি—আর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেও পড়েনি—বললাম তুমিও তো পরোনি—
মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো,পরী তুমি আসলেই খেয়ালী মেয়ে—ঠান্ডা তো লাগছে না, কেনো শুধু শুধু গায়ের উপর ভারী জামাকাপড় জড়িয়ে রাখবো?..
আজব তুমি কিভাবে জানো যে আমিই পরী,আমিই খেয়ালী মেয়ে?—
জানি, তোমার খেয়ালীপনায় বলে দিচ্ছে তুমিই খেয়ালী, তুমিই পরী—
আমি আবারো অবাক হলাম,তুমি কেনো বলছো না যে তুমি কে?..
আচ্ছা সেই ভোরের কথা তোমার মনে আছে?—যে ভোরের কথা তুমি শুধু পড়েছো আর মায়াবী বলেছো—আজকের ভোরটা তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে?….
তুমি শূন্য?…
উফফফ পরী তুমি খুব প্রশ্ন করো?—আমাকে চিনতে তুমি এতো দেরি করলে?—এমন মিষ্টি ভোরে আমি ছাড়া তুমি আর কাকে খুঁজে পাবে?…
আরে তাই তো, এতো স্নিগ্ধ মায়াবী তুমি ছাড়া আর কে হবে?—হুমমম ভোরটাও অনেক মায়াবী…
পরী, তুমি বুঝি এই প্রথম ভোর দেখছো?..
না, আগেও দেখেছি, অনেকবার দেখেছি, কিন্তু আজকের মতো এতোটা ভালো আগে কখনো লাগেনি…
পরী, তুমি কি জানো শিশির কেনো এতো ঝরে?..
হুমমম জানি তো, ঘাসকে ভালোবাসে বলে…
তাই, এবার বলো পাখি এতো সুন্দর করে কেনো গান গায়?..
এটাতো খুব সহজ প্রশ্ন, প্রকৃতিকে ভালোবাসে বলে…
বাহ!!এবার বলো বৃষ্টি কেনো ঝরে?…
মাটিকে ভালোবাসে বলে…
আচ্ছা এবার বলো চাঁদ রাতে আকাশে কেনো হাসে?..
মনে হয় রাতের নির্জনতাকে চাঁদ খুব ভালোবাসে…
মনে হয়?…
হুমমমম..
হঠাৎ করে কয়েকটা প্রজাপতি আমাদের দুজনের সামনে দিয়ে উড়ে গেলো—তা দেখে শূণ্য আবার প্রশ্ন করে বসলো, আচ্ছা বলতো প্রজাপতির গায়ের রং এতো সুন্দর কেনো?…
সাথে সাথেই বলে ফেললাম আকাশের রঙধনু সুন্দর বলে—শূন্যকে বললাম উফফফ শূন্য তুমি এতো প্রশ্ন করো কেনো?….
মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে শূন্য বললো, আচ্ছা আর করবো না—তবে এইটা বলো যে,সূর্য কেনো উদয় হয়?…
হুমমম মনে থাকে যেনো, এটাই শেষ প্রশ্ন…
পরী, তুমি কিন্তু বলোনি সূর্য কেনো উদয় হয়?…
কেনো আবার, পৃথিবীকে ভালোবাসে বলেই তো সূর্য উদয় হয়….
এবার বলো পরী, তুমি আমার সব প্রশ্নের কেনো উত্তর দিচ্ছো?…
শূন্য তুমি কিন্তু আমাকে বোকা বানাচ্ছো, এটাও কিন্তু একটা প্রশ্ন হয়ে গেলো…
বলো না প্লীজ….
তুমি ভোর ভালোবাস বলে আমিও তোমাকে ভালবাসতে শুরু করেছি, তাইতো তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছি…..
শূন্যর হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে কতোদূর চলে এসেছি জানি না—
হঠাৎ শূন্য বলে উঠলো, দেখো পরী খুব সুন্দর একটা ঘাট দেখা যাচ্ছে, চলো সেখানে বসি….
হুমমম চলো বসি…
ঘাটের কাছে পৌঁছাতে দেখি ছোট্ট বিলে ডুবুডুবু পানি—আর ওটা দেখেই শূন্য আর বসতে চাইছে না—চলো পরী সাঁতার কাটি-এতো সুন্দর স্বচ্ছ পানি আমার সাঁতার কাটতে ইচ্ছে করছে….
কিন্তু শূন্য আমিতো সাঁতার জানি না…
আরে বোকা আমি তো আছি…..
শূন্য নেমে গেলো ডুবু পানিতে আর হাত বাড়িয়ে দিলো আমার দিকে—আমি হাত বাড়াতে যাবো ওমনি পা পিছলে ডুবু পানিতে পড়ে গেলাম—শূন্য পরী বলে চিৎকার করে উঠলো….
আর তখনি আব্বুর ডাকে স্বপ্নটা ভেঙে গেলো—ওঠ মামনি চারদিকে আযান দিচ্ছে নামাযের সময় হয়েছে—আম্মু এসে আব্বুকে বলছে আপনি যান গেইট খোলা হয়েছে, আমি ওকে দেখছি—আব্বু মসজিদে চলে গেলো—আমিও উঠে বসলাম—আম্মুর কাছে জানতে চাইলাম আমি কি এতোক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম?—আম্মু বললো তোর বাবা সেই কখন থেকে তোকে ডেকে যাচ্ছে—দেরি না করে নামাযটা পড়ে নে….
নামায শেষ করে প্রতিদিনের মতো আজ আর ঘুমালাম না—কিছুক্ষণ বারান্দায়, তারপর কিছুক্ষণ বাগানে পায়চারি করলাম—নিজেকে নিজে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছি, কেনো আমি এমন অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতে গেলাম?…স্বপ্নগুলো এমন অদ্ভূত কেনো হয়?…..
শূন্য শূন্যালয় আপু তোমাকে খুব মিস করছি—অনেকদিন তুমি আমাদের পাশে নেই—প্লীজ তাড়াতাড়ি ফিরে এসো মায়াবী একটা ভোর নিয়ে…..
(খেয়ালী মেয়ের অদ্ভূত স্বপ্ন)
৭৫টি মন্তব্য
আবু জাকারিয়া
গল্প পড়তে পড়তে সত্যিই স্বপ্নের জগতে চলে গিয়েছিলাম। অস্বাধারন লেখা, অস্বাধারন কল্পনা। খুব ভাল লাগল।
খেয়ালী মেয়ে
কল্পনা নয়, এতো স্বপ্ন 🙂
ধন্যবাদ 🙂
স্বপ্ন
আপু,আসলেই আপনি এমন স্বপ্ন দেখেছেন?নাকি গল্প?গল্প হোক আর স্বপ্নই হোক এমন মায়াবী লেখায় মুগ্ধ না হয়ে পারলামনা।এত সুন্দর করে কিভাবে লেখেন আপু?শুন্য শুন্যালয় আপু সোনেলায় আসেননা?শূন্য শূন্যালয় আপু প্লীজ তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন মায়াবী একটা ভোর নিয়ে…..
খেয়ালী মেয়ে
গল্প নয়, একটা অদ্ভূত স্বপ্ন ছিলো–তবে স্বপ্নটাকে এভাবে শব্দজটে বাঁধবো সেটা জানা ছিলো না–সকালেই পরিচিত এক ভাইয়াকে বিষয়টা জানাতেই উনি বললো স্বপ্নটাকে লিখে ফেলো–সত্যি বলতে উনার কথায় আমাকে লেখার এই সাহসটুকু দিয়েছে—উনার জন্যই আমি লিখতে পেরেছি..
হুমমম এটাই চাই উনি তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক মায়াবী একটা ভোর নিয়ে 🙂
স্বপ্ন
স্বপ্ন!অবাক হলাম আপু,লেখার মাঝে পরিচয় এমন কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার কথা আমি এই প্রথম শুনলাম।এমন না হলে সোনেলাকে পরিবার বলবে কেনো সবাই 🙂
খেয়ালী মেয়ে
আমার কাছেও এটা একটা অদ্ভূত স্বপ্ন–কেমন একটা মায়ার মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করলাম–হুমমম সোনেলাকে একটা পরিবারই মনে হচ্ছে–এই মায়াটা পরিবারেই বেশি কাজ করে…
জিসান শা ইকরাম
যে কোন স্বপ্নের নাকি ব্যাখ্যা আছে
আমি ঠিক জানিনা
তবে যে কোন স্বপ্নকেই নাকি বলতে হয় ‘ ভালো দেখেছেন’।
এই স্বপ্নকে কেবল ভালো বললে চলে না, অসাধারন সুন্দর একটি স্বপ্ন বলতে হবে একে।
আপনি এই সোনেলাকে নিয়ে ভাবেন
সোনেলার লেখা নিয়ে ভাবেন
ভাবেন এখানের লেখকদের কথা
শুন্য শুন্যালয়ের ভোর আপনার মনে দাগ কেটেছে
মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেয়ায় শুন্য শুন্যালয় অনন্যা।
তার সাময়িক অনুপস্থিতি আপনার স্বপ্নে চলে এসেছে।
এমন আন্তরিকতায় পরিপুর্ন এই সোনেলা,দেখতেও ভালো লাগে।
শুভ কামনা।
খেয়ালী মেয়ে
আপনি ঠিক ধরেছেন জিসান ভাইয়া শুন্য শুন্যালয়ের ভোর আমার মনে আসন পেতে বসেছে, উৎসাহও দিতে পারেন খুব ভালো–কিন্তু তাঁর এই অনুপস্থিতি ভালো লাগছে না–তাকে ছাড়া সোনেলা ফাঁকা মনে হচ্ছে…
প্রহেলিকা
একই স্বপ্নের কথা বলে বুঁদ করে তুললেন আপনি। খেয়ালী মেয়েকে নূতন করেই চিনে নিলাম (মানে আপনার লেখাকে) কতটুকু আবেগ মেশালে এমন লেখা যায় ভাবছি। বায়ান্ন রাতের নির্জনতায় বসেও যদি এমন আবেগী কিছু লিখতে যাই তাহলেও খিটকীটে ভাব কাটিয়ে উঠতে পারি না, আর আপনি কি সুন্দর করেই না বললেন।
আমি আর মানুষ হতে পারলাম নারে আপু, প্রথমে প্রশ্ন দেখে আপনার উত্তর না দেখেই নিজে নিজে উত্তর দিতে শুরু করেছিলাম, উত্তরগুলো ছিল এমন, শিশির ঝরে পিচ্ছিল করার জন্য যাতে পিছলা খেয়ে পড়তে পারি।
পাখি ডাকে সংঘর্ষহীন ঘুমের মাঝে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য আর বৃষ্টি ঝরে ভিজিয়ে দিয়ে গায়ে জ্বর উঠানোর জন্য।
পরে আপনার এমন আবেগী উত্তর দেখে ভাবলাম কিভাবে যে পারেন। ভালো লেগেছে লেখা অনেক ভালো লেগেছে।
হ্যা বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো উনার দেখা নেই, ফিরে আসুক শুন্য শুন্যালয় আপু।
খেয়ালী মেয়ে
বায়ান্ন রাতের নির্জনতায় বসেও যদি এমন আবেগী কিছু লিখতে যাই তাহলেও খিটকীটে ভাব কাটিয়ে উঠতে পারি না (y) —আহা!!!!!কী সুন্দর লাইন, যা আমি কখনোই লিখতে পারবো না…
যে নিজে নিজেই অন্যের আশায় না থেকে উত্তর খুঁজে নিতে পারে, সে শুধু মানুষ না মহামানুষ হয়ে গিয়েছে 🙂 ধন্য আপনি -{@
ফিরে আসুক শুন্য শুন্যালয় আপু..
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখায় স্বপ্নময়তায় আর এক ভোর কে পেলাম, দেখলাম সাবলীল বর্ণনায়।
এভাবে গুছিয়ে ভাবনার চিত্রন সহজ নয় মোটেই।সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সাদা সাজ-পোশাক!
অনুপস্থিত আছেন তা ঠিক, আপনার ডাক এড়াতে পারবেন না। এসে যাবেন।হয়ত ছবি তুলছেন, ভোর দেখে ভোরের সাথে
মনের সুখ-দুঃখ ভাগ করছেন।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে সাদা সাজ-পোশাক তার পেছনেও বিরাট এক রহস্য রয়েছে 🙂
আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন, সাথে করে অনেক ছবি আর মায়াবী এক ভোর নিয়ে..
শুন্য শুন্যালয়
সাদা সাজপোশাকের এই রহস্য জানতে চাই, জানাতে হবে। শীঘ্রই, নইলে অনশন হবে।
খেয়ালী মেয়ে
কিছু রহস্য রহস্যই থাক, উন্মোচিত না হওয়ায় ভালো, এতো সবার মঙ্গল হয় নাকি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কাকতালীয় হলেও সত্যি, সোম আর মঙ্গলবার আমার নেটে না আসার দিন, সুযোগ পেলে অবশ্য ছাড়িনা। তবে খাতা কলমে এই দুদিন আমার ছুটি। তোমার সাদা ড্রেস আমাকে তাই আরেক রহস্যের হাতছানি দিলো। ঠিক আছে থাক তবে সে রহস্য। রহস্য উন্মোচন অমঙ্গলের কিনা জানিনা, তবে এটা জানি যতোদিন তা না উন্মোচিত হবে, ততদিনই সেটা জানবার তীব্র আগ্রহ থাকবে।
খেয়ালী মেয়ে
বাহ!!!! দুজনের তো দেখি কাকতলীয় মিলটা দারুন হয়েছে 🙂
আগ্রহটা যদি শেষ পর্যন্ত থাকে, তবে অদূর ভবিষ্যতে কখনো না কখনো সেই রহস্যের উন্মোচন হতেও পারে 🙂
প্রজন্ম ৭১
দেখা স্বপ্নকে খুবই চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপু।যেমন সুন্দর স্বপ্ন,তেমন সুন্দর তার বর্ননা।দুজনের প্রশ্ন এবং উত্তর স্বপ্নের মত সুন্দর।
শুন্য আপু সুস্থ আছেন তো?ফিরে আসুক আমাদের প্রিয় আপুটা।মিস করছি তাকে।
খেয়ালী মেয়ে
সত্যি বলতে উৎসাহ নামক এই শব্দটা যেকোন কাজকে অনেক সহজ করে দেয়–স্বপ্নটাকে এভাবে লিখার জন্যও আমি উৎসাহ পেয়েছি, আর সেজন্যই লিখতে পেরেছি…
শুন্য আপু সুস্থ আছেন এটাই আশা করি…
নওশিন মিশু
কিছুক্ষনের জন্য স্বপ্নের দেশে চলে গিয়েছিলাম। শান্ত-স্নিগ্ধ-মিষ্টি এক অনুভুতি ।
ধন্যবাদ আপু …. -{@
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম স্বপ্নের দেশটা আসলেই শান্ত-স্নিগ্ধ-মিষ্টি -{@
ব্লগার সজীব
মুরুব্বীদের কাছে জেনেছি,ভোর রাতের স্বপ্ন সত্যি হয়।একদিন হয়ত আপনার এমন কোন মায়াবী ভোরে দুজনে একসাথে হেঁটে বেড়াবেন।আপু আপনার লেখায় এত মায়া আনেন কিভাবে?শুন্য শুন্যালয় আপু দ্রুত ফিরে আসুক।
খেয়ালী মেয়ে
আপনি যা জেনেছেন তা যেন সত্যি হয় 🙂
আর মায়াবতীদের সবকিছুতে যে মায়া থাকে সেটা বুঝি জানেন না :p
শুন্য আপু ফিরে এসেছে \|/
ব্লগার সজীব
এত আন্তরিক ভাবে কেহ ডাকলে ফিরে আসতেই হবে।কত মায়া আপনার ডাকে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
বুঝতে এতো দেরি করলেন :p
ব্লগার সজীব
হ্যাপ্পি ভ্যালেনটাইন ডে আপুনি -{@
খেয়ালী মেয়ে
হ্যাপ্পি ভ্যালেনটাইনস ডে -{@
ব্লগার সজীব
হিংসে হচ্ছে শুন্য শুন্যালয় আপুর প্রতি।অষ্ট্রেলিয়ায় আগুন,চিন্তায় অস্থির হয়ে পোষ্ট দেন লীলাবতী আপু।কিছুদিন অনুপস্থিত শুন্য শুন্যালয় আপু,আপুকে নিয়ে পোষ্ট দেন পরী আপু।আমি অনুপস্থিত থাকলে আমাকে নিয়ে কেউ পোষ্ট দিবেন না আমি জানি 🙁 ;(
শুন্য শুন্যালয়
লাভ নাই, এমন করে বললেও কেউ পোস্ট দেবেনা :p
আপনার জানটুসরা কেমন আছে?
খেয়ালী মেয়ে
শুন্য আপু জানটুসরা?…তার মানে কি উনার কত্তোগুলো জানটুস আছে? 😮
ছোট্টবাবু সজীব ভাই আপনার অনুপস্থিতিতে কেউ পোস্ট দিবে কিনা তা আগে থেকে বলতে পারছি না—তবে আপনি যদি বিয়ের পাত্রী খুঁজে পান সেটা আগে থেকে একটু জানান দিয়েন–দেখি আপনার এই বিয়ের পাত্রী নিয়ে কোন পোস্ট দেওয়া যায় কিনা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হি হি কত্তোগুলো জান্টুস তা তিনি নিজে জানেন কিনা কে জানে?
তুমিও দেখি আমাকে রিড করা শুরু করেছো। সজীব ভাইয়ের পাত্রি নিয়ে আমি অর্ধেক লিখেও ফেলেছি। কিন্তু আর এগুতে পারছিনা। তোমাকে পাঠিয়ে দিই। তুমি শেষ করে ফেলো। এইসব পাত্রী খোঁজা কি আর একা একা হয়?
খেয়ালী মেয়ে
ওওওওওও তাই নাকি?—অর্ধেক লেখাটা তাহলে পুরো করে ফেলো, পাঠানোর দরকার নেই—তুমি একা একা কষ্ট করে পাত্রী খুঁজলেও, বিয়ে কিন্তু সবাই মিলে খাবো ঠিক আছে 🙂
ব্লগার সজীব
পরী আপু,একজনও থাকলে কি আমি ব্লক পোষ্ট দেই বলুন?আমি ছোটবাবু না আপু,বড় হয়েছি তো! বিয়ের কথা জানাবো আপনাকে,কিন্তু হবু বউ যদি সোনেলা পড়ে তাহলে তো সব বরবাদ হয়ে যাবে।পাত্রী চাই পোষ্ট কেনযে দিলাম? 🙁
খেয়ালী মেয়ে
আহারে!!!!বেচারা!!!!কত্তো মাছুম!!!একজনও নাই বলেই তো আমি ছোট্টবাবু বলছি–কিন্তু আপনি কি করছেন, বারবার আপনি বড় হয়েছেন বড় হয়েছেন, আপনার অনেকে আছে বলে জানান দিচ্ছেন :p
সমস্যা না পাত্রী সোনেলা পড়ে থাকলে সময়মত সোনেলা কর্তৃপক্ষকে বলে আপনার সেই পোস্ট ভ্যানিশ করে দেওয়া হবে 🙂
ব্লগার সজীব
এখন আবার মাসুম বলে 🙁
খেয়ালী মেয়ে
তাহলে বলবো টা কি?…..যান আপনি বুড়া হয়ে গেছেন–আপনার এখন বিয়ে দেওয়া দরকার–কে কোথায় আছো, সবাই মিলে বুড়াবাবুটারে বিয়ের সাজে সাজাও :@ নাউ হ্যাপী????????
ব্লগার সজীব
বিয়ে করা দরকার 😀 হাসিতে আমার সব দাঁত দেখা যাচ্ছে।প্রমানিত যে আমি বড় হয়েছি \|/
খেয়ালী মেয়ে
দেখছো কেমন বিয়ে পাগল পোলারে ^:^
ব্লগার সজীব
আপু বিয়ে পাগল বলায় লজ্জা পেয়েছি :p
ব্লগার সজীব
শুন্য আপু,আপনিও আমাকে পচান 🙁 জান্টুসটা লিখতে জান্টুসরা হয়ে গিয়েছে,আমার কি দোষ?সব দোষ কি বোর্ড এর।TR পাশাপাশি না দিলে কি হতো?কেউ না দিক,আমার লীলাবতী আপু ঠিকই দেবেন।আমার সাথে ঝগড়া করলেও আপু আমাকে অনেক ভালোবাসেন 🙂
খেয়ালী মেয়ে
আপনি ঝগড়াও করতে জানেন 😮 তাও আবার লীলাবতী আপুর সাথে 😮
আপনি তো দেখি সাংঘাতিক :@
ব্লগার সজীব
বুঝে গিয়েছি আমি,একমাত্র লীলাবতী আপুই আমাকে ভালোবাসেন,আর কেহ না। লাগবেনা আপনাদের ভালোবাসা 🙁
খেয়ালী মেয়ে
বয়ে গেছে আপনেকে ভালোবাসা দিতে :p
ব্লগার সজীব
শুন্য আপুরে তো দিয়েছেন?আমি কি মানুষ না ;(
খেয়ালী মেয়ে
কে বলছে আপনি মানুষ না?…কার এত্তো বড় সাহস এই কথা কয়?… 🙂
লীলাবতী
এই বালকটির এত হিংসা কেনো? এই ছেলে বড় হয়ে তো সবাইকে হিংসা করবে।হিংসা করা ভালো নয় বালক 😀
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম পোলাডা দেখি একটু বেশিই হিংসুইট্যা 🙂
খসড়া
পাখি আজ কোন সুরে গায়
বকুলের ঘুম ভেঙে যায়।
খেয়ালী মেয়ে
আজ কোনো কথা নয়,শুধু গান আর গান 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ঘুমিয়ে ছিলাম অনেক অনেকদিন। কোন এক পরী যেন আমাকে ডাকলো!! সে তাহলে তুমি? 🙂
মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে গেলে অন্যরকম কিছু স্বপ্নের অনুভূতি থেকে যায়, তাকে ঠিক তেমন করে প্রকাশ করা যায় এটা আমার আগে মনে হতো না। তোমার অদ্ভুত সুন্দর প্রকাশে নিশ্চুপ বসে থাকা ছাড়া কিছু করার নেই। এই ভালো লাগা প্রকাশ করতেও জানতে হয়।
কি সব ভোর লিখেছি এতদিন। তোমার মতো করে এমন মায়াবী ভোর আমি দেখতেও পাবনা, লিখতেও পারবোনা কোনদিন। অসাধারণ। এমন করে দৃশ্যগুলো বলা যেন সবাই তা চোখের সামনে দেখতে পাবে। পরী এতো সুন্দর একটি পোস্টের জন্য একটাই কথা লাভ ইউ (3
খেয়ালী মেয়ে
যাক পরীর ডাকে তাহলে ঘুম ভাঙলো 🙂 তবে এতোটা ঘুম ভালো নয়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর–
আপু তোমার দেখা তোমার লেখা ভোরের গল্প পড়েই তো ভোরের প্রতি এতোটা আসক্ত হয়েছি, আর সেই তুমি বলছো যে তুমি পারবা না কোনদিন, এটাও বুঝি বিশ্বাস করতে হবে?….
সত্যিই তোমার অনুপস্থিতি ভালো লাগছিলো না,আমাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য শুধু একটাই কথা বলবো লাভ ইউ (3
শুন্য শুন্যালয়
ভোরের প্রতি আসক্তি যদি আমার কারনে হয়, তবে আমি ভাগ্যবান। বুনোদি কিন্তু আমার চাইতে অনেক অনেক ভালো লেখে ভোরকে নিয়ে। তোমার লেখাটিও স্নিগ্ধতায় ছাড়িয়ে গেছে অনেক। ভাবছি মাঝে মাঝে এখন থেকে তোমার স্বপ্নে হানা দিলে কেমন হয়, এমন করে এক একটি লেখা যদি পাই। 🙂 আমি ফিরে আসিনি, আমি আসলে সোনেলা ছেড়ে যেতেই পারিনা কখনো। ভালো থেকো পরী। বসন্তের কোকিলিয়া শুভেচ্ছা -{@
খেয়ালী মেয়ে
স্বপ্নে হানা দাও সমস্যা না, কিন্তু হারিয়ে যেওনা আপু (3
শুভ হোক বসন্ত -{@
নুসরাত মৌরিন
পরী আপু,আপনি তো একটানে আমাদের সবাইকে স্বপ্নের জগতে নিয়ে গেলেন।
ঠিক বলেছেন শূন্য আপু না থাকলে সোনেলার সব কিছু শূন্য শূন্য লাগে…।
কেউ হয়ত বিশ্বাস করবে না,কিন্তু এর মাঝে একদিন আমিও শূন্য আপুকে স্বপ্ন দেখেছি।কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর করে লিখতেই পারবো না…।
শূন্য আপু এত যে কাছের মানুষ হয়ে গেছেন কিছুদিন সোনেলায় না এলেই আপনি আমাদের স্বপ্নে এসে ধরা দেন…।এমন কয়জন পারে?
সাদা জামা পরা,এলোমেলো চুলের পরীটা খুব ভাল থাকুক।স্বপ্নেরা তাকে ঘিরে থাকুক।মায়াবী ভোরে শিশিরের জলে সে ভালবাসায় ডুবে থাকুক…।
শুভকামনা…। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
মৌরিন আপু লিখে ফেলেন আপনার স্বপ্নটাও, প্লীজজজজজজজজজজ
হুমমম ঠিক বলেছেন উনার অনুপস্থিতি ভালো লাগে না–সোনেলাকে খুব ফাঁকা মনে হয় উনি ছাড়া–তবে এখন আর চিন্তা নেই কারণ শুন্য আপু চলে এসেছেন 🙂
সাদা জামা পরা,এলোমেলো চুলের পরীটাকে সবসময় স্বপ্নরা ঘিরেই থাকে–
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কেউ কি তবে আমার কথা বিশ্বাস করবে? এই না আসার দিনগুলোতে আমি মৌরিন আর খেয়ালী মেয়ের কথা কত ভেবেছি। দুজনকে নিয়ে একটা লেখার আইডিয়াও ঘুরেছে মাথায়।তবে লিখতে পারিনি, অনেকদিন ধরে লেখা আসছেনা কিছু আমার।
খুব বেশি জড়িয়ে গিয়েছি সবার ভালোবাসার মাঝে। কিছুদিন না চলে গেলে কি করে জানতাম সবাই আমাকে এতো মিস করছে।আমিও অনেক বেশি মিস করেছি। ভালোবাসা তোমাদের জন্য বাসন্তী শুভেচ্ছা সহ। -{@
খেয়ালী মেয়ে
(3 -{@
নুসরাত মৌরিন
আপু তাই!!
সত্যি ভেবেছেন আমাদের কথা?
কখনো যদি সত্যি আপনার কলম ছুঁয়ে আমাদের সম্বন্ধে কোনো লেখা এসেই পড়ে তার চেয়ে আনন্দের আর কিছুই হবে না…।
ফাগুন মাসটাই ভালবাসার…।
ভালবাসা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাক আপনাকে এবং খেয়ালী মেয়েকে…।
খেয়ালী মেয়ে
ভালবাসা ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাক মৌরিন আপুমনিকেও (3 -{@
স্বপ্ন নীলা
মায়াবী হাতে এত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন !!! দারুন দারুন
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ ধন্যবাদ 🙂
মিথুন
লেখা যে স্বপ্নের চাইতেও মায়াবী। খেয়ালী আপু আমরাও এখন থেকে আপনার এমন মায়াবী ভোরের অপেক্ষা করবো। চমৎকার লেখা———–
খেয়ালী মেয়ে
অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নের মিথুনকে 🙂 -{@
শিশির কনা
এত মায়া এনে লেখেন কিভাবে আপু?শুন্য আপু চলে এসেছেন 🙂
খেয়ালী মেয়ে
হুমমম শুন্য আপু চলে এসেছে মায়ার টানে…মায়া কাজ করেছে গভীরভাবে তাই লেখার মাঝেও মায়া খুঁজে পাচ্ছেন 🙂
শিশির কনা
আমাকেও একদিন স্বপ্নে দেখবেন আপু? :p একটি বানানো স্বপ্ন হলেও চলবে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
স্বপ্নে কি নিজের ইচ্ছেমত যে কাউকে দেখতে চাইলেই দেখা যায়?…
এক কাজ করা যায় আপনি একটা বানানো স্বপ্ন লিখে ফেলুন, তারপর আমি সেটা দেখে দেখে আপনেকে লিখে দিবো :p
লীলাবতী
সত্যি সত্যি এমন একটি স্বপ্ন দেখেছেন ভাবাই যায়না।কত সুন্দর একটি স্বপ্ন।কেমন করে যে এত ভালো লেখেন বুঝিনা। সোনেলাকে সত্যি সত্যি একটি পরিবার মনে হচ্ছে এখন।
খেয়ালী মেয়ে
হুমমমম সোনেলাকে এখন পরিবারের মতোই মনে হয় 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অদ্ভুত সুন্দর এক মায়াবী স্বপ্ন।
খেয়ালী মেয়ে
ধন্যবাদ -{@
ব্লগার সজীব
আপু প্রফাইল পিকচার পরিবর্তন করে ফেললেন,এই প্রফাইল পিকচারের মেয়েটি আমার চেয়ে অনেক ছোট।এখন আর আমাকে পোলাপাইন বলা যাবে না :p
খেয়ালী মেয়ে
প্রোফাইলের ছবি দিয়ে বড় ছোট নির্ণয় করছেন যে?…আপনার পোফাইলের দিকে তাকালে তো তাহলে বলতে হয় যে, আপনার এখনো জন্মই হয়নি যে:p –আপনি কত্তো কত্তো পিচ্চি এবার ভাবতে থাকেন যে:)
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ঠিক,সজীবের এখনো জন্মই হয়নি :D)
খেয়ালী মেয়ে
কী মজা সজীব ভাইয়ার এখনো জন্মই হয়নি \|/
ব্লগার সজীব
আমার জন্মই হয়নি?তাহলে এই যে আমি লিখছি,এটি কি আমার মা লিখে দিচ্ছেন আপু? 🙁