* মসজিদের মাইকে মিথ্যে ঘোষণা দিয়ে ফটিকছড়িতে তান্ডব , লাশ গুম ।
* একাকি একটি মেয়েকে দিবালোকে কয়েকশত বীর পুরুষের ধাওয়া করা এবং প্রহার ।
* বাগেরহাটে নির্মূল কমিটি নেতার ওষুধ কারখানা গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া ।
* থানা আক্রমণ করে পুলিশের মাথায় খন্তা দিয়ে দিখণ্ডিত করা ।
* রাজশাহীতে ইট , হেলমেট দিয়ে পুলিশের মাথায় আঘাত।
* খুলনায় ভারতীয় হাইকমিশনারের সভার সামনে ককটেল বিস্ফোরন ।
* বিরামহীন ভাবে দিনের পর দিন হরতাল ।
শেষ কোথায় এর ? এসব মোকাবেলায় সরকারের চেস্টার সাথে কারা জড়িত ? ‘হেফাজতের সাথে সমঝোতার করতে হবে ‘ এই ধারনা সরকারের মাথায় কারা দিয়েছে ? যে হেফাজতের উত্থান হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারির পরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই আন্দোলন বেগবান হবার পরে পরেই । সে হেফাজতের সাথে সমঝোতা আর বিষধর সাপকে নিয়ে ঘুমানো যে একই কথা এই সাধারণ কথাটা যে কেউ বুঝলেও সরকার কেনো বুঝছে না ? এ বিষয়ে সরকারের পরামর্শ দাতারা জামাত শিবির কিনা সে সন্দেহ এখন আর উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
প্রতিটি মসজিদের একটি কমিটি থাকে , মসজিদের মাইকে মিথ্যে কথা ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হলে মসজিদ কমিটিকে দায়ী করা হবে , এমন উদ্যেগ সরকার কেনো নিচ্ছেন না । ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিয়ন্ত্রিত ইমাম সমিতিকে নিয়ে সরকার কেনো বসছেন না ? এই সব মিথ্যে প্রচার এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করা সম্ভব । সরকারকে এই পরামর্শ কারা দিচ্ছেনা ইচ্ছে করে ?
জনতাকে বোঝাতেই যদি না পারেন,তবে কিসের এক একজন জননেত্রী বা জননেতা হয়েছেন ?
ফেইসবুক বা বিভিন্ন ব্লগ যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা আন্তরিক ভাবে বলছেন তারা সরকারের নজরদারির মাঝে আছেন , আর যারা এই সমস্ত খুনের ছবি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে মিনিটের মাঝে হাজার হাজার শেয়ার দিচ্ছে তারা কেন নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে? কারা বসে এসব মনিটরিং করছেন ? সরকারের মাঝে আশ্রয় নেয়া জামাত শিবির নয়ত ? বাস্তব অবস্থা তো তাই প্রমাণ করে ।
আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার এবং জামাত নিষিদ্ধ করার উপর। এখন কি সেখানে থাকতে পারছি আমরা ? এসব লেখার কারণে বা এসব লেখায় লাইক দেয়ার কারণে কখন আবার জেলে যেতে হয় বা কখন আবার জামাত শিবির হেফাজতের হাতে নিজের জীবনটা শেষ হয়ে যায়- এমন চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছি আমরা। ‘ জীবন গেলে একটা মুরগী জবাই হয়েছে ‘ সরকারের এমন উদাসীন মনোভাব কি প্রমাণ করে ?
ছাগলের হাত থেকে শস্য রক্ষার জন্য বেড়া দিয়েছি , এখন তো দেখছি বেড়াই শস্য খেয়ে ফেলছে।
১০টি মন্তব্য
বনলতা সেন
এখনই এদের রুখে দিতে হবে । নাহলে এর শেষ পরিণতি হবে আফগানিস্থান ।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , রুখতে হবে এই দানবদের , এই মৌলবাদকে ।
যাযাবর
ধরবো মোরা শ্লোগান , বাংলা হবে তালেবান। ধেয়ে আসছে মহা বিপদ ।
জিসান শা ইকরাম
এর শেষ কোথায় বুঝতে পারছি না।
শিশির কনা
এদের বিরুদ্ধে কিছু লিখতেও ভয় করে এখন জিসান ভাই ।
জিসান শা ইকরাম
কি আর করা , সাবধানে থাকতে হবে ।
প্রজন্ম ৭১
বাংলাদেশকে আফগানিস্থান বানানোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে হেফজতিরা। এরা জানে না বাঙ্গালি এত সহজে পরাজিত হয়না।
জিসান শা ইকরাম
এরা দেশকে আফগান করার স্বপ্নে বিভোর ।
অচেনা
নতুনরাও কিছু কিছু এদের সাথে আছে দেখে মনটা কষ্টে ভরে যায়।
কি জানি হবে ভবিষ্যত বাংলা মায়ের? এ কথা ভাবলেই কান্না পায়। 🙁
জিসান শা ইকরাম
বাংলা মায়ের জন্য শুধু দোয়া এবং শপথ করতে হবে।