ঝুম করে বৃষ্টি পড়ছে। রাজ্য ঘুমাচ্ছে। এই একটা ছুটির দিনে সারাদিন বিছানাতেই পড়ে থাকে রাজ্য। অহনা বারান্দায় চেয়ারে বসে বৃষ্টি দেখছে। বৃষ্টির ছাট এসে এসে মুখে লাগছে। সেলফোন বেজে উঠলো অহনার। অহনা ফোন ধরে বলল, “হ্যালো”
ওপাশ থেকে বলল, “হ্যালো। কেমন আছিস, অহো?”
“ভালো। তুই?”
“ভালো”
“আজ তোর শ্যুটিং নেই?”
“তুই কি কোন খোঁজই রাখিসা না? আপাতত কোন প্রজেক্ট হাতে নেই নি।”
“ও”
“বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে”
“হুম”
“তোর কি মনে আছে?”
“কি?”
“তুই একদিন বৃষ্টিতে ভিজতে চেয়েছিলি?”
“হুম। তুই রাজী হোস নি। ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াতে বসে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনছিলি আর লেকচার কপি করছিলি।”
“কেন রাজী হই নি জানিস?”
“কেন?”
“ঐ দিন তুই সাদা রঙের ড্রেস পরেছিলি।”
“তোর হঠাৎ সেদিনের কথা মনে পড়ল!”
“আজ বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে।”
“তো ভেজ না। কে বাঁধা দিয়েছে?”
“তোর সাথে। কিন্তু তুই তো নেই। তোর কি বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে না?”
অহনা গ্রিলের মধ্য দিয়ে বাইরে তাকালো। কোন উত্তর দিল না।
অপু আবার বলল, “তোর কি বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে না?”
“জানি না। বড় হয়ে গেছি। এখন বৃষ্টি দেখলে আগের মত আবেগ কাজ করে না। মনে হয়, চ্যাপচ্যাপা কাদার কথা, উনার কাদালাগা প্যান্টের কথা। মনে হয়, কখন থামবে বৃষ্টি?”
“এতো বদলে গেলি কেন, অহো?”
“‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ পড়িস নি? মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। কারনে অকারণে বদলায়।”
“হুম”
“অপু, আজ রাখিরে। পড়ে কথা হবে। Bye.”
অহনা খেয়াল করলো, সে আজও সাদা রঙের একটি শাড়ি পরে আছে। সাদার উপর লাল, সবুজ ও কালো রঙের নকশা।
অহনা বারান্দা থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলো রাজ্যকে। কি অসহায়ভাবে ঘুমাচ্ছে লোকটা। অহনা বিছানার কাছে দাঁড়ালো। রাজ্য নাক ডেকেই চলেছে। অহনা রাজ্যের পাশে বসে আলতো করে ধাক্কা দিল রাজ্যকে। বলল, “উঠুন। আর কতক্ষণ ঘুমোবেন?”
রাজ্য চোখ মেলে তাকাল। তারপর মৃদু হাসি দিয়ে হেঁচকা টান দিয়ে অহনাকে বিছানায় শুইয়ে দিল। তারপর অহনাকে জড়িয়ে অহনার পিঠে নাক ঘষতে ঘষতে বলল, “তুমিও ঘুমোও না আমার সাথে।”
“এভাবে নাক ডাকলে কেউ ঘুমোতে পারে?”
“এতদিনে তো অভ্যাস হয়ে যাওয়া উচিৎ। যেসব স্বামীরা নাক ডাকে, তারা বউকে অনেক বেশি ভালোবাসে। ঘুমোও তো।” ক্ষনিকবাদেই নাক ডাকতে আরম্ভ করল রাজ্য।
অহনা কোমরের কাছে থেকে রাজ্যের হাতটা ঠেলা মেরে সরিয়ে উঠে পড়ল। বলল, “ধ্যাৎ। খালি মরার মত পড়ে পড়ে ঘুমোয়।”
রাজ্য চোখটা হাল্কা মেলে আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
অহনা ওয়ারড্রব খুলে শাড়ি দেখতে লাগলো। তারপর গাঢ় নীল রঙের শাড়িটা টেনে বের করল। শাড়িটার উপর কালো ও রুপালি সুতো দিয়ে কাজ করা। সাদা শাড়িটা বদলে গাঢ় নীল রঙের শাড়িটা পরল, সাথে কালো রঙের ব্লাউজ। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে টেনে টেনে চোখে কাজল দিল। বড় গাঢ় নীল রঙের একটা টিপ পরল কপালে।
তারপর চা বানিয়ে বিছানার পাশের টি-টেবিলে রাখল। আস্তে করে রাজ্যর কানের কাছে বলল, “এই, শুনছেন? চা বানিয়ে এনেছি।” তারপর রাজ্যর মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিল।
রাজ্য কোনমতে উঠে বসল। বলল, “আচ্ছা, দাও, চা দাও।”
চায়ে চুমুক দিল রাজ্য। অহনা বলল, “আপনি কি আরো ঘুমোবেন?”
“কেন?”
“না, এমনি।”
“তুমি কি বাইরে যাচ্ছ?”
“না। তবে যেতে তো ইচ্ছে করে। ছুটির দিনে সবাই প্রিয়জনের সাথে এদিকওদিক যায়। আমার স্বামী নাক ডাকলেও সেই সৌভাগ্য আমার নেই।”
“স্বামী ভালবাসলেই যে রমণী সৌভাগ্যবতী হবে- এমন কোন কথা আছে? জানো, রাজা অডিসিউসের জন্য তার ওয়াইফ পেনেলপে কত বছর অপেক্ষা করেছিল?”
“জানতে চাইও না।”
“আহা, শোনো না। যখন রাজা অডিসিউস নিরুদ্দেশ, তখন প্রজারা রানী পেনেলপেকে চাপ দিচ্ছিল বিয়ে করার জন্য যাতে রাজাহীন রাজ্য আর রাজাশুন্য না থাকে। তখন রানী প্রজাদের বলেন, ‘আমি উল দিয়ে যে বুননকর্ম করছি সেটা শেষ হতেই আমি বিয়ে করব। প্রতিদিন যতটুকু বুনতেন, রাতে ততটুকুই খুলে ফেলতেন। এভাবে অপেক্ষা করতেন কবে ফিরে আসবেন তার প্রিয়তম স্বামী।”
“তার মানে আমি সারা সপ্তাহ জুড়ে উল বুনবো, শুক্রবার আসতেই খুলে ফেলব। তাই তো?”
“থাক। তুমি আমার কথার মর্মার্থ বুঝবে না। তা শাড়ি বদলেছো কেন?”
“আমি তো শাড়ি বদলাই নি। এটাই পরেছিলাম।”
“উহু, তুমি সাদা রঙের ঐ শাড়িটা (আলনার দিকে আঙুল উঁচিয়ে) পরেছিলে।”
“তাও ভালো। একটু হলেও খেয়াল করেন আমাকে। বলুন তো, আমি এখন কি রঙের শাড়ি পরেছি?”
“নীল, more specifically royal blue। আর এই শাড়িকে বলে মেঘডম্বর শাড়ি।”
“কানাইয়ের বাঁশীর সুরের আবেশে উন্মত্তা রাধা বর্ষার রাতে গাঢ় নীল রঙের শাড়ি অভিসারের জন্য বের হতো যাতে রাতের অন্ধকারের সাথে তাকে পার্থক্য করা না যায়। বৃষ্টির শব্দের সাথে রাধার পায়ের নূপুরের নিক্বণ মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত।”
“Significance কি? তুমিও অভিসারে যেতে চাও? তাহলে ঢাকার বাইরে পোস্টিং নেই, কি বলো। তুমি যাবে রাতের ট্রেনে আমার সাথে দেখা করতে।”
“ধ্যাৎ। মুডটাই মাটি হয়ে গেল। ঘুমোন, ঘুমোন আর ভুঁড়িটা আরো বাড়ুক।” বলেই অহনা চায়ের কাপ রেখে বারান্দায় চলে এল। রাগে ফুঁসতে লাগলো। এই লোকটিই বিয়ের আগে দেখা করতে এসে বলেছিল, ‘যাদের ঠোঁটে তিল থাকে,তাদের প্রেম করে বিয়ে হয় শুনেছি। আপনি বললে আপনার সাথে কয়েক মাস চুটিয়ে প্রেম করতে পারি’। ভন্ড কথাকার, এই লোকটাকে বিয়ে করাই ভুল হয়েছে। লোকটা জানে শুধু মেয়েপটানো কথা বলতে। গ্রিলের মধ্য দিয়ে বৃষ্টি দেখতে লাগলো অহনা। বৃষ্টি অবিরত পড়ছেই।
অহনা গ্রিলের মধ্য দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানির ছোঁয়া নিল। এমনসময় অহনা অনুভব করল, একজোড়া হাত ওর কোমর বেষ্টন করলো। তারপর অহনার কাঁধের কাছে নাক ঘষতে লাগলো। বলল, “চল, বৃষ্টিতে ভিজি।”
অহনা ফিরে তাকালো। সাথে সাথে ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট স্পর্শ করল রাজ্য। বলল, “কি ভিজবে না?”
“আপনি হিমু হয়ে এসেছেন কেন?”
“আমি তো এটা পরেই ঘুমুচ্ছিলাম।”
অহনা হেসে দিল। বলল, “হুম। নাটক করা হচ্ছে?”
“তোমার মত অভিনেত্রীর কাছে আমার অভিনয় তো তুচ্ছ।”
“এতো পাঞ্জাবী থাকতে হলদেটাই কেন? আপনি এতো হুমায়ূনভক্ত তাতো জানতাম না”
“উহু, এটা হলদে নয়।”
“পীত রঙ”
“পীত রঙ?”
“রাধে, তুমি অভিসারে যেতে চাও, আর প্রেমিকের বসনের রঙ জানো না?”
“মানে?”
“মানে কৃষ্ণ পীত রঙের ধুতি পরতেন। আমার না আছে পীত রঙের ধুতি, না আছে লুঙ্গি। কোন পাজামাও নেই। টিশার্ট একটা আছে অবশ্য।
কিন্তু রাধে পরবে শাড়ি, আর কানু পরবে টিশার্ট। How funny! তাই পাঞ্জাবীটা পরলাম।”
অহনা হাসতে লাগলো।
রাজ্য বলল, “আমার কি মনে হয় জানো?”
“কি?”
“হুমায়ূন আহমেদ পীতাম্বর শ্রীকৃষ্ণ ও নীলাম্বরী রাধা থেকেই হয়ত হলুদ হিমু ও নীল শাড়ি পরিহিতা রুপার কনসেপ্ট তৈরি করেছেন। আবার রাধার মতই রুপার অপেক্ষাও শেষ হবার নয়।”
“হুম। কি জানি? আপনি কি এতক্ষন ধরে হলুদ I mean পীত রঙের জামা খুঁজছিলেন?”
“কি করবো বল? তুমি তো উল বুনতে রাজীই হলে না…”
বিঃ দ্রঃ অহনা, অপু ও রাজ্যকে নিয়ে লেখা আরো দুটি গল্প-
এবং অপুকে নিয়ে গল্প-
“প্লট”
৫৭টি মন্তব্য
সীমান্ত উন্মাদ
গল্পটা আমার অনেক ভাল লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকল। ।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂 🙂 🙂
আপনার জন্যও রইল অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
গল্পের শুরুটা সুন্দর অহনা নামটি বেশ
চলুক না আরো পর্ব…..অপেক্ষায়।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
অপু, অহনা, রাজ্যকে নিয়ে লেখা “অহো-কথা” ও “খণ্ডিতা” এবং অপুকে নিয়ে লেখা “প্লট” পড়ে দেখতে পারেন। পর্ব করে লেখা হয়ে ওঠে না আমার, মানে হাতে পর্ব বের হয় না 😛 । পর্ব করে না লিখলেও এসব চরিত্রকে নিয়ে আসবো হয়ত।
ভালো থাকবেন। 😀
জিসান শা ইকরাম
অনেক কিউট একটি গল্প
মুগ্ধ হলাম দুজনের কথা এবং অহনার কিছু উপলব্দিতে।
রাধা কৃষ্ণের সাথে মিল খুঁজতে পারাও অবশ্য ভালো লাগার আর একটি কারন।
আপনি বেশ ভালো লেখেন।
বরাবরের মত এটিও ভালো লিখেছেন।
কৃন্তনিকা
“হিমু” পড়তে গিয়ে আমার বারবার রাধাকৃষ্ণের বেশ কিছু ব্যাপারের সাথে মিল ধরা পড়ে। তাই লিখে ফেললাম।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো… 🙂
জিসান শা ইকরাম
গল্পের সাথে মিলিয়ে ছবি খুজতে কষ্ট হয়েছে মাষ্ট।
আপনার গল্প গুলো অন্য কারো সাথে মেলে না
তবে এক নাগারে পড়ে ফেলা যায়
আগ্রহ ধরে রাখতে পারেন পাঠকের ।
কৃন্তনিকা
হুম, কষ্ট একটু হয়েছে। রাধাকৃষ্ণের অনেক ছবি নেটে থাকলেও হিমুরুপার ছবি তেমন নেই। ছবিগুলো প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে খুঁজেছি।
দোয়া করবেন যেন সামনের গল্পগুলোতেও আগ্রহ ধরে রাখতে পারি। 🙂
সাইদ মিলটন
রাজা তুমি কবে রোদ্দুর হতে চাইবে 🙂
কৃন্তনিকা
অহনা যখন মেঘ হবে… 😛
সাইদ মিলটন
তারচেয়ে ভালো নদী হয়ে যাক
কৃন্তনিকা
হুম… ভালোই বলেছেন 😀
নুসরাত মৌরিন
“অসাধারন,অসাধারন,অসাধারন”। আর কোনো কথাই মাথায় আসছে না।
অনেকদিন পর এত ভাল একটা গল্প পড়লাম।খুব খুব খুউব ভাল লাগলো।
আরো বেশি বেশি লিখুন না অহনার গল্প?…প্লি-জ।
কৃন্তনিকা
মন্তব্য পড়ে ভীষণ ভীষণ ভীষণ খুশি হয়ে গেলাম। 😀
“অসাধারণ” মন্তব্য পাওয়া যে কোন লেখকের জন্য অনেক বড় কিছু…
“অহনা”কে নিয়ে আরো ২টি গল্প আছে, লিঙ্ক দেয়া আছে পড়তে পারেন। যদি মাথায় অহনাকে নিয়ে গল্প চলে আসে, হাত দিয়ে লিখে ফেলবো- কথা দিলাম 🙂
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
নুসরাত মৌরিন
যত গুলো লিঙ্ক দিয়েছেন সব কয়টাই কাল গোগ্রাসে গিলেছি, তবু মনের ক্ষিদা মেটেনি।
আরো আরো লেখা চাই… । 🙂
কৃন্তনিকা
অহনা, অপু ও রাজ্যকে নিয়ে লেখাগুলোর লিঙ্ক এখানে।
আমার লেখা সকল গল্পই আছে সোনেলাতে। সোনেলাতে আমার প্রফাইলে গেলে আরো আরো লেখা পাবেন। আমার লেখা লিখতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু আপনার মত পাঠক হারাতে চাই না। আমার প্রফাইলের অন্য গল্পগুলোতে হয়ত অপু,অহনা নেই, তারপরও পড়ে দেখতে পারেন। 🙂
চেষ্টা করবো তাড়াতাড়িতে লেখা দেবার। ঈদ মোবারক। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দারুণ হয়ে ওঠা লেখা পড়ার আনন্দই আলাদা। সময় দিচ্ছেন দেখে ভালই লাগে।
হায় রাধা !
কৃন্তনিকা
মাথায় কিছু না আসলে লিখতে পারি না। তখন আপনাদের লেখা দেখে হতাশ লাগে…
যখন লেখা হাত থেকে বের হয়, তা সোনেলায় ভেসে ওঠে 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার দারুণ লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
সাইদ মিলটন
রাধার দহন সবাই দেখে …
কৃন্তনিকা
হুম…
দহন সে তো রাধারই…
ব্লগার সজীব
রাধা কৃষ্ণের সাথে মিলিয়ে ভালোই লিখেছেন আপু। সারাক্ষন চলুক ভালোবাসাবাসি।
কৃন্তনিকা
ছোট্ট একটা গল্প বলি।
শিব যখন তপস্যায় ছিলেন, তখন শিবের তপস্যা ভাঙ্গার জন্য প্রেমের দেবতা মন্মথ প্রেমবাণ নিক্ষেপ করেন। তখন শিবের তৃতীয় নয়ন খুলে ক্রোধাগ্নি বের হয়, সেই অগ্নিতে মন্মথদেব ভস্ম হয়ে যান। আর সেই ভস্ম উড়ে ছড়িয়ে যায় সারা পৃথিবীতে। যতদিন পৃথিবী আছে, চলবে ভালবাসাবাসি। 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
লীলাবতী
কানাইয়ের বাঁশীর সুর যেন আর বন্ধ না হয়। কি লুমান্টিক গল্প দিলেন দিদি। মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
কৃন্তনিকা
যতদিন আছে রাধা, ততদিন চলবে বাঁশীর সুর। 🙂 সুতরাং বাঁশীর সুর কখনোই থামবে না।
লীলাবতীকে মুগ্ধ করতে পেরেছি … আমার গল্প সার্থক 😀 😀 😀
মেহেরী তাজ
আজ দুপুরে পড়েছি আপনার লেখা। ভয়ে মন্তব্য করিনি। এত ভালো লেখায় কি মন্তব্য করা যায় ভেবে পাইনি। মন্তব্য যদি ভুল হয়ে যায় 😛
কৃন্তনিকা
হায় হায়! কি লেখা লিখলাম? মানুষজন মন্তব্য করতে ভয় পায়!!! এখন দেখছি, এমন লেখা আর লেখা যাবে না 😛
ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ পুলকিত হলাম। কিন্তু আপনার মন্তব্য তো ভয় ধরিয়ে দিল। যদি মন্তব্যই না করেন তাহলে বুঝবো কিভাবে যে পড়েছেন?
যা মনে হবে মন্তব্য করবেন। 🙂
আপনার জন্য রইল শুভকামনা। ঈদ মোবারক।
হিলিয়াম এইচ ই
মারাত্মক সুন্দর গল্প। বেশ ভালো লেগেছে
কৃন্তনিকা
পাঠকের ভালো লাগাতেই লেখকের আনন্দ, আর মারাত্মক ভালো লাগলে তো কথাই নেই…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
ঈদ মোবারক।
বনলতা সেন
অহনা আর অপুকে ঠিক-ঠাক ধরে রাখ্রেসহজ কাজ নয় । আপনি পেরেছেন, পারবেন ও।রাধা-কৃষ্ণ এনে আরও দারুণ করেছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
আপনার দারুণ লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ যেন আনন্দে কাটে। ভালো থাকবেন। 😀
স্বপ্ন
আপু কয়েকবার পড়লাম, এত ভালো লেগেছে যা প্রকাশ করতে পারছিনা। রাধা কৃষ্ণর সাথে এমন মিলিয়ে লেখা এই প্রথম পড়লাম। আমিও যে কৃষ্ণ হতে চাই, হাতে থাকবে বাঁশি , বাঁশির সুরে ছুটে আসবে সে 🙂 ভাবলেই কেমন করে ওঠে মন।
কৃন্তনিকা
বাহ, কয়েকবার পড়াতে পেরেছি আপনাকে… উম, তাহলে লেখা তো ভালোই হয়েছে আমার 😛
ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দ হচ্ছে। ঈদ মানেই আনন্দ, আপনি তো আমার ঈদ করে দিলেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আশা করি, খুব শ্রীঘ্রই আপনার রাধা ছুটে আসবে আপনার কাছে। বাঁশী কিন্তু ঠিকঠাক বাজায়েন… 😛
প্রজন্ম ৭১
দুজনের কথা পড়ে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। যদিও অহনার চিন্তায় কিছুটা বিষাদ আছে, তারপরেও ড্রেস পরার পর সব ওকে। এরপরের কাহিনী কল্পনা করতে হবে 😛
কৃন্তনিকা
আপনি মজা পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কল্পনা করুন… কল্পনাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।
ঈদ মোবারক 😀
কৃষ্ণমানব
প্রতীক্ষার পালা বাতাসের মত একবার এদিকে বয়,
আরেকবার ওদিকে !!!
অতঃপর লেখিকা মহাশয়া বেশ সময় লাগিয়ে লেখাটি লিখেছেন ,,
সেটা আমি ঢের বুঝিতে পারছি ।।
তবে লেখিকা তার দুঃখের ছবিগুলো হাসির ছলে ছলে কৌশলে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন !!!
পরে বেশ হাসি পেয়েছে ..
বারে বারে জানতে মন চাচ্ছে , লেখিকার মনের ক্যানভাসের দৃশ্যপটে
দেয়ালের উপারের খোলা আকাশ নিয়ে কোন গল্প থাকতে পার কি ??
যেটায় লুকিয়ে আছে অনেকের সুপ্ত ভবিষ্যত ?
জানাবেন ?
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে ।
তাই আমার ক্যানভাসের রং এ আপনার জলরং আকাঁ কাল্পনিক গল্পের প্রত্যাশায় রহিলাম !
কৃন্তনিকা
লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আমারো।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂
একদিন বৃষ্টি পড়ছিল, এক বান্ধবীর সাথে রিক্সায় যাচ্ছিলাম। তখন এই গল্পটি মাথায় আসে। পরে বাসায় এসেই সাজিয়ে ফেলি গল্পটি।
মনের ক্যানভাসের দৃশ্যপটে দেয়ালের উপারের খোলা আকাশ নিয়ে কোন গল্প আছে কিনা- এর উত্তর দেয়া কঠিন। সোনেলায় আমার প্রফাইলে আমার লেখা সকল গল্প আছে। পড়ে দেখতে পারেন। হয়ত আকাশ পেতেও পারেন। আর যদি না পান, আমি চেষ্টা করবো সামনের লেখায় নিয়ে আসতে…
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ও আপনার ক্যানভাসের রঙের জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
অদ্ভুত সুন্দর বা অসাধারন গল্প কি একেই বলে ? মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার আবেগ দেখে। লেখার মাঝে থাকুন কৃন্তনিকা।
কৃন্তনিকা
আপনার অদ্ভুত সুন্দর লেগেছে জেনে খুশি হয়ে গেলাম 🙂
লেখার মাঝে থাকার চেষ্টা তো করবই… দেখি কি হয়…
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কবীর হুমায়ুন
খুব ভালো লাগলো গল্প টা ।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।
লীলাবতী
আপু, আপনাকে উতসর্গ করা পোষ্ট শেয়ার দিয়েছি আজ ফেইসবুকে। কলংকিনি রাধা 😛
কৃন্তনিকা
🙂
খুশি হয়ে গেলাম …
মোঃ মজিবর রহমান
গল্প পড়ে মনে আসে তৃপ্তি।
জিবনে রঙ মেলে নাই।
শুভেছা অবিরত।
কৃন্তনিকা
আমার গল্প আপনার মনে তৃপ্তি আনতে পেরেছে- এখানেই আমার লেখার সার্থকতা। 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেও ধন্যবাদ
ব্লগার সজীব
নতুন লেখা কই আপু ?
কৃন্তনিকা
গল্প তো লেখা হচ্ছে না। দেখি একটা মুভি রিভিউ লিখতে পারি কিনা… 🙂
ব্লগার সজীব
দিন দ্রুত। অপেক্ষা করছি 🙂
শিশির কনা
আপনি এত ভালো লেখেন কিভাবে আপু? কেমন আছেন আপনি? আপনার কথা প্রায়ই মনে পরে।
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো নেই, পড়াশুনার ভয়াবহ চাপ। এতোই চাপ যে এখন কোন লেখা পড়তেও ইচ্ছে করে না সেটা গল্প হোক বা কবিতা… ^:^ আমিও সোনেলাকে ও আপনাদের সবাইকে ভীষণ মিস করি… 🙁 🙁 🙁
জিসান শা ইকরাম
ডাক্তারকে এখানে দেখতেও ভালো লাগে।
কৃন্তনিকা
🙂
নীতেশ বড়ুয়া
যাক, উনি একজন ডাক্তার জানতে পারলাম 😀
নীতেশ বড়ুয়া
মুগ্ধতা! (সিকুয়েল, প্রিকুয়েল না দেখে পড়ছি)
কৃন্তনিকা
ভালো লাগলো মন্তব্য দেখে…
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার পোস্ট পড়ে পড়ে আমি অদ্ভূত মন্তব্যহীনতায় ভুগছি
কৃন্তনিকা
“মন্তব্যহীনতায় ভোগা”র মত সুন্দর মন্তব্য হয়ত নেই…
🙂 🙂 🙂