”কারে দেখাবো মনের কষ্ট গো আমি বুক চিরিয়া
অন্তরে তুষেরই অনল জাগে রইয়া রইয়া —-’’। রহিমা তিন মাসের বা্চ্চা কোলে নিয়ে ধান লাড়ছে আর গুণ গুণ করে গান গাইছে। তার চোখ দিয়ে ঝর্ণাধারা গড়িয়ে পড়ছে। এমন সময় পাশের বাড়ির আলেয়া একটা লাউ নিয়ে আসল। ও বুবু এই যে দ্যাহ কি নিয়া আইছি– ঐ যে লাউ গাছ লাগাইয়া দিছিলা আমার ঘরের পিছনে–গাছটা এত্ত বড় অইছে – লাউ গাছের ডগাগুলা বড়ই লকলকা হইছে গো বুবু। ওমা তুমি দেহি কানতাছো। এই যে দ্যাহ। তুমি কান্দ ক্যান। রহিমা কান্না করে আর চোখ মুছে। বলে, ওরে আলেয়া ! কান্দন কি আর সাধে আহে রে বইন। দুই মাইয়ার পর আবার মাইয়া অইল। শশুর, শাশুরী, ননদ, দেবর সবাই খোটা দেয়, তোগো ভাই সারাক্ষণ খিটিমিটি করে, গাইল দেয়, মারে– আইজক্যাও মারছে, এই যে দ্যাখ একটু আগে মাইর্যা আমারে কিছু রাহে নাই। আলেয়া বলে, বুবু ! কয়েকদিন আগে আমাগো বাড়ি হাসি আইছিল, হুনছো তো ! আমার ভাসুরের মাইয়া। নার্স হইছে। ও কইলো ছাওয়াল মাইয়া সব নাকি ঐ পুরুষগো উপর নির্ভর করে !! শিক্ষিত মাইয়া, কত যুক্তি দিয়া কথা কইল–। মাইয়াগো নাকি একটা কি যেন (x) থাকে। আর পুরুষগো নাকি কি জানি দুইড্যা (x y) থাহে। ও বুবু তুমি ভাইরে কইব্যা তোমার জন্যি আমার এই অবস্থা —-। রহিমা ভাবে এটা কি সত্যি !! সত্যি এটা সম্ভব !! দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়। একটু পানিও পড়েনি রহিমার পেটে। একটু পরেই রহিমার স্বামী আসে।প্রচন্ড তর্জন গর্জন করতে থাকে !! বলে, ওরে মাগী !! বইস্যা বইস্যা শুধু আরাম কর !! পানি আন — পা ধুমু !! খালিতো মাইয়া জন্ম দ্যাও — আর বইস্যা বইস্যা আরাম কর !! রহিমার মাথার ভিতর হাজারটা ঝি ঝি পোকা কামড় দিচ্ছে, সব কিছু কেমন ওলট পালট লাগছে—তার চোখটা জ্বলছে, মনে হয় আর এই বাড়ি নয়—বলে, সব কিছুর জন্যি তুমি দায়ী । তোমার জন্যিই মাইয়া অইছে, এখন তোমার দোষ ঢাকার জন্যি আমারে দোষ দিতাছাও !! আমার উপর অত্যাচার করতাছাও !! এত অত্যাচার আর সহ্য করুম না — আমার চোখ যে দিকে যায় চইল্যা যামু —। রহিমা তার দুই সন্তানকে কাছে ডাকে, বলে, চল আমার আম্মারা । আর এই বাড়িতে থাকুম না — না খাইয়্যা মরুম – তয় আর এই বাড়িতে থাকুম না —-। রহিমার স্বামী অবাক হয়, তাকিয়ে থাকে রহিমার দিকে — এ যেন নতুন এক রহিমাকে দেখছে–। কোন দিন রহিমা স্বামীর অবাধ্য হয় নাই, তার কথার পিঠে কোন কথাই বলে নাই, সেই রহিমা আজ তর্ক করছে, বলছে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে !! রহিমার স্বামী বলে, তোর কি হইছে, ভুতে ধরছে !! সুখে থাকতে ভুতে কিলায়, কোন খানে শুনছোস তুই এই সব আবোল তাবোল কথা—!! রহিমা বলে, এটাই সত্যি, এটাই সত্যি — রহিমা সন্তানদের নিয়ে রাস্তার দিকে পা বাড়ায় –রহিমার ননদ বলে তুমি যাইয়া থাকবা কোনে, খাইবা কি, তুমি আর তুমার মাইয়াগো ক্যাডা খাওয়াইবো !! রহিমার কানে কথাগুলো তীরের মত বিঁধে যায় — কল্পনায় সে দেখে শুধুমাত্র একটা মাটির হাড়ি ভেঙ্গে ফেলেছিল বলে তার ভাবী তাকে কত মেরেছিল, ভাইও সাথে সাথে তাল দিয়েছিল –অথচ বাবা মা বেঁচে থাকতে তার কত আদর ছিল, বিয়ের পর তারা তেমন একটা খোঁজও নেয় নাই, বাড়িতে গেলে দুইদিনের বেশি থাকলে তার ভাবী ও ভাই তারা দিত- কবে শুশুর বাড়ি সে চলে আসবে, তাদের নাকি খরচ বেশি হচ্ছে, অথচ তার ভাইয়ের ছোট একটা মুদির দোকান আছে, জমিতে চাষ করে, পুকুরে কত মাছ !! এক বছরে কত টাকার মাছ বিক্রি করে। রহিমা থমকে দাঁড়ায়, কোথায় যাবে সে !! এই মেয়েদের নিয়ে কোথায় তার জায়গা হবে !! সে একা হলে কোন কথাই ছিল না–কিন্তু তাকে এই বাড়ি ছেড়ে যেতেই হবে — সামনের দিকে ইতস্তত ভঙ্গিতে হাটতে থাকে –। রহিমার স্বামী পথ আগলে ধরে — ও রহিমা তুই কোনে যাস !! আমার সন্তানগো তুই কোনে নিয়া যাস !! তুইও যাবি না — আমার সন্তানরাও যাইবো না –। তুইও আমার, সন্তানরাও আমার —। রহিমা অবাক হয় — ডুকরে কেঁদে উঠে –রহিমা ভাবে এইতো একমাস আগেও কত মেরেছে তার স্বামী, বাড়ি হতে চলে যেতে বলেছিল। পাড়ার এক খালা মিটমাট করে দিয়েছিল– আজ আবারও মারলো–এখন সে কি করবে !! সূর্য্য তার লাল আভা মাখিয়ে ঘুমের দেশে চলে যাচ্ছে —চারদিকে হালকা অন্ধকার। বাঁশ ঝারে হুতুম পেঁচাটা ডানা ঝাপটাচ্ছে —রহিমার স্বামী রহিমার হাত ধরে — রহিমা পা বাড়ায় তার চিরচেনা বাড়িতে, চিরচেনা লোকের হাতটি শক্ত করে ধরে — দূরের আকাশে চাঁদ উঠেছে– এত সুন্দর চাঁদ কোন দিনও উঠে নাই – চারদিকে জোৎস্না —জোৎস্নারা খেলা করছে —
১৬ আগস্ট, ২০১৪
৪০টি মন্তব্য
প্রজন্ম ৭১
খুব সহজ করে লিখলেন আপু। সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটি সম্পুর্নই পুরুষের উপর নির্ভর করে। অথচ এর দায়ভার সম্পুর্নটাই নারীকে বহন করতে হয়। এই যুগেও অনেক শিক্ষিত পরিবারে দেখেছি, দায় চাপায় নারীদের।
নারীরা যদি রহিমার মত একটু প্রতিবাদী হতো তাহলে অনেক নির্যাতনই কমে যেতো। সমাজ সচেতনতা মুলক পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
স্বপ্ন নীলা
ভাই গ্রাম অঞ্চলে এখনো মেয়েদেরকে নির্যাতন সহ্য করতে হয় — কেন মেয়ে হলো — আর একজন মেয়ে হওয়ার পর আরো একটা মেয়ে হলে তো আর কথাই নাই — মেয়েদের যাওয়ার জায়গা কোথায় !! সেই নির্যাতন সহ্য করেই থাকতে হয় একই বাড়িতে
আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন —
প্রজন্ম ৭১
আমি শহরেও দেখেছি এমন। সব দোষ স্ত্রীর। আপনিও ভালো থাকুন আপু।
স্বপ্ন নীলা
ঠিক তাই — আসলে এখানে সচেতনতার অভাব — আবার জানেন !! অনেক শিক্ষিত পরিবারেও এই একই বিষয়গুলো দেখা যায় — আমার বোন বিয়ে হয়েছে অতি শিক্ষিত ঘরে — তার যখন মেয়ের পর আবারো মেয়ে হলো তখন তার শশুর বাড়ির মানুষ অনেক কথাই বলত —মনে হয় এটা আমাদের রক্তে মিশে গিয়েছে— ভাবতেই খারাপ লাগে —
প্রজন্ম ৭১
এটি ভাবতে আসলেই খারাপ লাগে, শিক্ষিত মানুষগন এমন আচরন কেন করবে ?
@আপনার আগের পোষ্টে একটা মন্তব্য করেছি।
স্বপ্ন নীলা
কিছু শিক্ষিত মানুষ এমন আচরণ করে — কারণ তারা অনেকটা জিদ করেই করে — জেনেশুনেই তারা অন্যায় করে — নিজেদের মনের ক্ষোভগুলো কাটিয়ে উঠতে তারা অন্যের ঘাড়ে দোষগুলো চাপিয়ে দিতে চায় —
ভাইরে এত সুন্দর করে মন্তব্য করেছো আমার আগের পোস্টে — আমার ভাললাগায় মন ভরে গিয়েছে —-তোমার জন্য এত্ত এত্ত শুভকামনা রইল
ব্লগার সজীব
চমৎকার হৃদয় গ্রাহী একটি গান দিয়ে শুরু করলেন লেখা। সমাজের একটি বড় সমস্যাকে সহজ কথ্য ভাষায় উপস্থাপন করলেন। এই বিষয়টি পাঠ্যসুচিতে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া উচিৎ। স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমামদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলে ব্যপক সাফল্য পাওয়া যেতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্য ।
স্বপ্ন নীলা
আন্তরিক ধনবাদ ভাই — বিষয়টিকে অনুধাবন করার জন্য — এটা একটা ভিতরে ভিতরে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে– ঠিক যেন ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাওয়া কোন রোগ —
শুভকামনা রইল ভাই তোমার জন্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম খুব সুন্দর উপাস্হাপনা।সন্তানাদি জম্মের লিঙ্গ পরিবর্তনে কোন নারীই দায়ী নয় এটা সাইনস্ের একটা ব্যখ্যা আছে আমি সে দিকে যাব না শুধু এইটুকুই বলব সব পুরুষ এক নয়।আমার এক বায়রার পাচটি মেয়ে ছেলে আশা করতে করতে জীবন শেষ তবুও সে ছেলের মুখ দেখেনি তাই বলে সে বা তার মা বউয়ের প্রতি অবিচার করেননি।বিকৃত মনা চরিত্রের লোকেরাই বউকে দোষী করে যা অন্যায়।যেখানেই এমনটি দেখবেন প্রতিবাদ করবেন। -{@
স্বপ্ন নীলা
আন্তরিক ধন্যবাদ মনির ভাই — সব পুরুষ এক নয় — সব নারীও এক নয় — সবার মধ্যেই ভাল এবং মন্দ গুণগুলো থাকে — আসলেও যেখনেই এ ধরণের ঘটনাগুলো ঘটবে সেখানেই তার প্রতিবাদ করা উচিত তবে তা অতি কৌশলে — শুভকামনা রইল আপনার জন্য —
লীলাবতী
আপু সমাজের একটি বড় ক্ষত নিয়ে লিখলেন। দোষী না হয়েও মেয়েরা যে কতভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, একজন মেয়ে হয়ে এমন নির্যাতন যে কত কষ্ট আর অপমানের তা বুঝতে পারি। আমরা সুযোগ পেলেই যেন মানুষকে বুঝাতে পারি এসব অন্যায়ের কথা, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করলাম আপনার পোষ্ট পড়ে।
স্বপ্ন নীলা
আমাদের দায়িত্ব হলো আমাদের স্বজন এবং পাড়াপড়সিদেরকে সচেতন করা- তারপর বন্ধু, কলিগদের সাথে গল্পের ছলে বলা — আস আপু কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি –আর নয় নির্যাতন — আর নয় —
ভাল থেক আপু
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে নিয়ে লিখলেন। আমি বিয়ে করার পুর্বে এ বিষয়টি হবু বর জানেন কিনা তা প্রশ্ন করবো। যদি না জানে তবে জেনে আমাকে জানাতে হবে এরপর বিবাহ। ধন্যবাদ আপু।
স্বপ্ন নীলা
ভাল বলেছো আপুনি !! আপুরে আমার ভাগণী বিয়ে হয়েছে টেক্সস্টাইল ইন্জিনিয়ারের সাথে — সবাই শিক্ষিত — সবাই সবটা জানে — এইতো ছয়মাস হলো একটি ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে — ওর শ্বাশুরী বলে — ‘’মেয়ে হয়েছে আমরা খুশি কিন্তু প্রথম সন্তান ছেলে হলে আরো খুশি হতাম —- হায়রে তথাকথিত শিক্ষিত — এই শিক্ষার মুখে ঝারু মারি —
গর্জে উঠ পুরুষ — গর্জে উঠ নারী —
শুভকামনা রইল সব সময়
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নূতন ভাবে নিজেকে প্রকাশ করলেন , আর আমরা জানলাম , আপনার নিজ ভাবনায় শুধু কবিতারাই ভেসে বেড়ায় না । না, আপনি ডাক্তারি ভাবনা থেকে ভাবছেন তা মনে করি না । আপনি লিঙ্গ বৈষম্যের মত আবহমান কালের সমস্যা আপনি ভাবছেন , আমাদের ও তা জানাচ্ছেন গল্প বলার ছলে ।
আপনার কবিতার সৌন্দর্য্য নিয়ে এ বিষয়ে আপনার লেখা চাই আরও ।
বেশি করে লিখছেন , ধরে নিচ্ছি আমাদের আগ্রহেই । ধন্যবাদ দিতে চাই না কৃপণ হয়েই ।
স্বপ্ন নীলা
প্রথমেই এত্ত গুলি ধন্যবাদ — আসেন গল্প বলি । আমি ডেজিগনেশন হলো জেন্ডার স্পেসালিস্ট– জেন্ডার নিয়েই আমি কাজ করি–এর আগে শিশু নিয়ে কাজ করতাম — জানেন হেলাল ভাই !! নারী এবং শিশুরা খুবই ভালনারেবল !! আমি কাজ না করলে এত বেশি বুঝতাম না !! পুরুষরাও নির্যাতিত হয় !! তবে তা গরীব হওয়ার কারণে এবং তার হাতে ক্ষমতা না থাকার কারণে অথবা অধস্তন পদে চাকুরী বা কাজ করার কারণে — কত শিশুর আর নারীর নির্যাতনের কথা যে আমি শুনেছি তা বলে প্রকাশ করা যাবে না —- এমন অনেক নারীকে দেখেছি খুবই চাকচিক্যের মধ্যে আছে কিন্তু তার সাথে আলাপ করলে তার প্রচন্ড কষ্টের কাহিনী শোনা গিয়েছে ——
এই ছোট জীবনে সবাই ভাল থাক —–সবাই সুখে থাক —— সবাই নিরাপদে থাক —–
উৎসাহিত হলাম আপনার এত সুন্দর মন্তব্য পেয়ে —
সময় পেলেই কি বোর্ডে হাত চলে যায় –কিছু লিখার তরে —হয়তো যা র্লিখতে চাই তা লিখতে পারি না — হয়ে যায় হাবিজাবি !!
শুভকামনা রইল
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য হাবিজাবি হলেও আমাদের জন্য তা না ও হতে পারে। যা লিখতে পারেন না তা আমাদের
না হলেও সমস্যা নেই। যা লিখতে পারেন তাতেই হবে।পুরুষদের ব্যাপারটি ও ভাল করেই মাথায় রাখতে হবে।
কোন ভাবেই হালকা চালে নয়।
জেন্ডার নিয়ে আলোচনায় আমাদের উৎসাহের কমতি নেই। শুরু করে দিন।
স্বপ্ন নীলা
আসলে জেন্ডার মানে তো শুধুমাত্র নারীদেরকে নিয়ে কাজ নয় বা শুধুমাত্র তাদেরকে উৎসাহ দেয়া নয় —। এখানে নারী এবং পুরুষ উভয় বিষয়টাই চলে আসে । আমাদের সমাজে নারীরা সব চেয়ে বেশি ভালনারেবল —-। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরাও নির্যাতিত হচ্ছে ——- এখানে ক্ষমতার খেলা — ধনীর আছে টাকা, গরীবের টাকা নেই –একজন নারী উচু পদে চাকুরী করে — সে নির্যাতন করছে নীচু পদে যে চাকুরী করছে তাকে (নারী পুরুষ উভয়) ।
হুমমম — আবার লেখার সময় অবশ্যই পুরুষের বিষয়টি নিয়ে আসবো —– আন্তরিক ধন্যবাদ
বনলতা সেন
কবিতার ভাঁজে
লুকিয়ে স্বর্ণকমল !
পাশে আছি
পাশে থাকি !
রাহাবর ,
আপনি আমাদের ।
স্বপ্ন নীলা
নারী সচেতন হোক — পুরুষ আরো এগিয়ে আসুক — আমরা যারা সচেতন তাদেরকে ভূমিকাটা বেশি রাখতে হবে—–
ভাল থাকেন আপুনি — ভাল থাকেন সব সময় ——–
বনলতা সেন
আজ তো অফিস নেই ।
স্বপ্ন নীলা
:Pleasure:
বন্দনা কবীর
এথেকে নারী কবে মুক্তি পাবে জানিনা। অনেক শিক্ষিত পরিবারের মাঝেও এমন মন মানসিকতা আছে।
স্বপ্ন নীলা
আপুরে অনেক শিক্ষিত পরিবারেও দেখা গিয়েছে তারা মেয়ে হলে মনটা খারাপ করে ফেলে !! ভারতে ভ্রুন হত্যা করা হচ্ছে — তাই আমাদেরকে আরো ভূমিকা পালন করতে হবে — মন ঢেলে দিতে হবে নারীর মনের মুক্তিতে — নারীরা ভাল থাকুক —
শুভকামনা রইল নিরন্তর —–
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর একটি লেখা আপু। আসলে পুরুষ বা নারী কারোরই কিছু করার নেই, সব বিধাতা জানে, তবু নারীকেই সব যন্ত্রনা সইতে হয়, হচ্ছে। অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেই মনে করি একদিন। সুন্দর লেখা, আপুকে আজকে একটু ভিন্ন রূপে পেলাম।
স্বপ্ন নীলা
আমাদের নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে — তারপর অন্যদেরকে সচেতন করতে হবে — সচেতন করতে হবে ছাত্র ছাত্রীদেরকে — পাড়ার মানুষদেরকে ———এই অবস্থার পরিবর্তন জরুরী —–
হুমম একটু ভিন্নমাত্রায় লিখতে চেষ্টা করলাম
ভাল থাকবেন
পুষ্পবতী
খুবই বাস্তবধর্মী একটা লিখা লিখেছেন। -{@
অনেক পরিবার আছে যারা কন্যা সন্তান হলে নারীকে দোষারোপ করে।
আর তারা হলো নিচু মাইন্ডের মানুষ।
স্বপ্ন নীলা
আপনার সাথে সহমত তীব্রভাবে — শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে লেখাপড়া জানলেই কেউ মানুষ যেমন হয় না ঠিক তেমনি নারীর বিষয়ে সচেতনও হয় না —- সচেতনতার কাজগুলো আমাদেরকেই করতে হবে —– নারীদেরকে ভাল থাকতে হবে- ভাল থাকতে হবে পুরুষদেরও —তবেই না আগামী প্রজন্ম ভাল থাকবে ——
ভাল থাকুন সব সময়
ব্লগার সজীব
উপরে হেলাল ভাইর মন্তব্যে আপনার জবাবে জানলাম আপনি জেন্ডার স্পেশালিষ্ট। আপু প্লিজ এ বিষয়ে লিখুন। আমার অত্যন্ত আগ্রহ এ বিষয়ে। আপনার আগের লেখাগুলো থেকে এই লেখাটি ভিন্ন, কিছুটা অবাক হলেও এখন বুঝতে পেরেছি যে, আপনি গল্পের মাধ্যমে জেন্ডার বিষয়ে বৈষম্যকে তুলে ধরেছেন। শ্রদ্ধা আপনাকে।
আপু ছোট ভাইয়ের একটা অনুরোধ: আমাদের চোখকে আপনার চোখ বানান, আমাদের মুখকে আপনার মুখ বানিয়ে নিন। প্রমিজ করছি,আপনার কাছ থেকে যা শিখবো, আমার পক্ষে যতটা সাধ্য তা ছড়িয়ে দেবো মানুষের মাঝে।
স্বপ্ন নীলা
হুমমম– মানুষ এমনিতেই পড়ে না — তাই গল্পের ছলে লিখতে চেষ্টা করেছি — ভাই ” তালাক কবিতাটি পড়” –ভাবছি ওটা আমি আবার রিপোস্ট দিব —ওখানেও দেখবে ভাই করুন চিত্র
অফিসের কাজে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় — তাই লেখালেখির সময় তেমন একটা পাই না —–তবু আমি দিব, কোনটা গল্পে, কোনটা কবিতায় কিংবা কোন বইয়ের ভাষায় —-
তোমার জানার আগ্রহকে শ্রদ্ধা জানাই ——আর জেনে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেবার প্রবনতাকে স্যালুট জানাই
শুভকামনা রইল
শিশির কনা
সচেতনতা ব্যাতীত নারীর মুক্তি নেই। -{@
স্বপ্ন নীলা
ঠিক বলেছেন — সচেতনতা ছাড়া নারীর মুক্তি নাই — । মনের মুক্তি দরকার — মনের উদারতা দরকার। মনে দিতে হবে তথ্য — বিভিন্ন তথ্য ——- সেইসাথে বাস্তবায়ন —
শুভকামনা রইল
ছাইরাছ হেলাল
সেই কবে এ এ এ লিখলেন !
রোজ লেখেন না কেন !
স্বপ্ন নীলা
হুমমম সেই কবে এ এ এ এ লিখেছি — হুমমম রোজ রোজ লিখলে অফিসের চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে !!! কাজে ঝালা পালা হয়ে যাই —- হাত আর মন বলে লিখ কিন্তু কাজ বলে হুমমম আগে এইট্যা কর —
এত্ত এত্ত শুভকামনা রইল
জিসান শা ইকরাম
লিখলেন অবশেষে। ধন্যবাদ দিতেই হয় আপনাকে।
আমার অত্যন্ত কাছের একজনের কাহিনী এমন-
স্বামী স্ত্রী দুজনেই উচ্চ শিক্ষিত, সন্তান হচ্ছে না ।
১২ বছর শুধু পরীক্ষা করা হচ্ছে স্ত্রীকে
স্ত্রী কেন সন্তান ধারন করতে পারছেনা , একারনে স্বামীর বাড়ির সবাই সারাক্ষন মানসিক অত্যাচার করেন।
শাশুড়ি বলেন যে বংশ রক্ষার জন্য ছেলেকে আবার বিয়ে করাবে।
আমার পরামর্শে অবশেষে স্বামীর একান্ত অনিচ্ছায় স্বামীকে পরীক্ষা করানো হল
এবং জানা গেলো সমস্যাটি স্বামীর।
স্ত্রী এখনো মুখ বুজে শশুর বাড়ির কথা শুনছে
সে এত কষ্টের মাঝেও কাউকে জানায়নি যে সমস্যাটি তার নয়।
আপনার পোষ্টের বিষয় সময় পেলেই লিখবেন ।
শুভ কামনা ।
স্বপ্ন নীলা
ভাইয়া — গল্পের ছলে জেন্ডার বোঝানোর চেষ্টা করছি — আর এটা আপনার জন্যই সম্ভব হয়েছে — একারণে আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি —
আমরা শিক্ষিত হলেও এখন পর্যন্ত নারীকে কোন না কোন ভাবে হেয় করা হয় — প্রাপ্য সম্মানটা দেয়ার ক্ষেত্রে খুবই কার্পন্য এখনো — আপনার কথাগুলো শুনে আবার আপনার প্রতি শ্রদ্ধায় মনটা ভরে গেল — সমাজে এমন মানুষই তো দরকার– বড়ই দরকার
শুভকামরা রইল
মিসু
ভালো লিখেছেন আপু। শিক্ষকতা পেশায় আছি, বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু বুঝিয়ে লাভ হয় বলে মনে হয়না।
স্বপ্ন নীলা
শিক্ষকতা একটি মহান পেশা । গল্পের ছলে বুঝিয়ে দেবেন –দেখবেন গ্রহণ করেছে —
আসলেতো আমরা সোসালাইজেশনের মধ্যে দিয়েই শিখি আর তা প্রয়োগ করি — পরিবর্তন হচ্ছে খুবই ধীরে — এখানেই কষ্ট —
বনলতা সেন
ছুটি-ফুটি না থাকলেই ভাল। আমাদের জন্য একই ফল যখন।
স্বপ্ন নীলা
হুমমমম (3