এই লিখাটা যে কোনোদিন আমাকে লিখতে হবে তা বুঝতে পারি নাই। তারপরেও লিখলাম জানি অনেকে মানবেন অনেকে মানবেন না। কে মানবেন কে মানবেন না তা তাদের ব্যাক্তির বিষয়। আমার লিখার আমি লিখে যাই। কথা হচ্ছে যুদ্ধপরাধিদের বিচার প্রসঙ্গে। অনেকের ভিতর দেখছি এক ধরনের হতাশা এবং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমি বলবো আমি উদ্বিগ্ন তবে হতাশ নই। বলবেন উদ্বিগ্ন কি কারণে? আমি বলবো ট্রাইব্যুনালের আগের রায়গুলা কেন কার্যকর করা হচ্ছে না ? এর ভিতর কি সমস্যা আছে?সাধারণ জনগন জানতে আগ্রহী কারণ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যুদ্ধপরাধিদের বিচার এবং রায় দ্রুত কার্যকর করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করে জাতীকে কলঙ্ক মোচন করতে। কিন্তু এখানে প্রসঙ্গে উল্লেখ থাকে যে সেই বিচার কাজ পরিচালনা করছেন বিজ্ঞ আদালতের আইনজীবী র। আমরা দেশের আইন এবং বিচার বিভাগের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু যখন ই বিচার কার্যক্রমে ধীর গতি লক্ষ করি তখন ই অনেকের মনে সংশয় সৃষ্টি হয়। আমার কথা হচ্ছে আইন আইনের গতিতে চলবে তবে সেই গতিবেগ আসলে কতো সেইটা বুঝা যাচ্ছে না। প্রতিটা যুদ্ধপরাধিদের বয়স বাড়ছে এবং তারা যে সুযোগ সুবিধা সরকারের কাছে থেকে ভোগ করছে তা দেখে মনে হচ্ছে এরা জামাই আদরে রয়েছে। আমরা বিবেকবান জাতী যদি হয়ে থাকি অবশ্যই আমাদের অধিকার আছে সরকারের কাছে এই প্রশ্ন করার যেই বিচারের রায় হয়ে গিয়েছে সেই রায় কার্যকর করতে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? আইনের পরিমণ্ডলে থেকেই বিচার হউক এবং একটি সময় বেধে দেওয়া হউক এতো কার্যদিবসের মধ্যে বিচার হবে এতো কার্যদিবসের মধ্যে রায় কার্যকর অবশ্যই করতে হবে। আমি আওয়ামী লীগ সরকারের উপর আস্থাশীল , জননেত্রি শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি আস্থাশীল বিধাই আমি হতাশ নই। তবে এইটুকু বলবো বিচার প্রক্রিয়া কেমন জানি স্থিমিত হয়ে পড়েছে। এই সিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি এও জানি সরকারের উপর বিভিন্ন মহলের চাপ আছে এই বিচার সংক্রান্ত ব্যাপারে। তথাপিও আমি বলবো এই বিচার করার ক্ষমতা এবং রায় কার্যকরের মাধ্যমে জাতীর কলঙ্ক মোচনের ক্ষমতা একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার তথা জননেত্রি শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব। আমরা আপনার সরকারের উপর আস্থা রেখে বলতে চাই যুদ্ধপরাধিদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হউক এই আশা আমরা করতেই পারি। অতএব লেট করলে দেরী হইয়া যাইব।
জয় বাঙলা। জয়#বঙ্গবন্ধু
২০টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
বিচারের রায় হওয়া কিংবা কার্যকর হওয়া দুটাই সময়ের ব্যাপার। তবে এই শকুন গুলোকে আমাদের টাকায় একদিনও বাঁচিয়ে রাখতে ইচ্ছে করেনা। এই সরকারের কাছেই যতটুকু চাওয়া এবং আস্থা আছে বিচার হবেই কিন্তু তাই বলে আর কতো অপেক্ষা?
প্রথম লেখায় আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি সোনেলা পরিবারে। -{@
পাগলা ঘন্টা
শুন্য শুন্যালয়কে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রান ঢালা অভিনন্দন আপনার ব্যাস্ততম সময়ের ভিতর আমার লিখায় আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমি দারুন ভাবে উৎসাহিত বোধ করছি। আমাকে আপনাদের পরিবারের একজন মনে করায় আমি সোনেলা পরিবারের কাছে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।সোনেলা পরিবার কেও জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা। এইখানে উল্লেখ থাকে যে সারবিক দিক বিবেচনায় আনতে হবে দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনের জোড়াল ভাবে দাবী পেশ করতে হবে সালিনতা বজায় রেখে। আমাদের ঐকমত ই পারে এইসব কুলাঙ্গারদের বিচারিক রায় দ্রুত কার্যকর করতে।আমাদের সকলকে যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সৈনিক হিসাবে নিজেদের দাবী করি এই ব্যাপারে নিজেদের ভাবনা গুলো জনগনের মধ্যে ছড়াতে হবে।
জয় বাঙলা । জয়# বঙ্গবন্ধু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আস্থা আছে বিচার হবেই কিন্তু তাই বলে আর কতো অপেক্ষা?সহ মত শুন্যে আপুর সাথে। -{@ (y)
পাগলা ঘন্টা
শুভেচ্ছা আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
কৃন্তনিকা
আপনার সাথে সহমত। এদের বিচারকাজ দেরী করা মানে আসলে এদের পোষা…
পাগলা ঘন্টা
এইখানে একটি বিষয় আমাদের লক্ষ রাখতে হবে এই বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক চাপ আছে তারপরেও বলবো বিচারিক কারজ দ্রুত সমাপন করতে একটা সময়সীমা বেধে দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা
পুষ্পবতী
যুদ্ধ অপরাধীদের বাচার কোন অধিকার নাই।
তাদের বিচার খুব তারাতারি করা উচিত।
পাগলা ঘন্টা
বাঁচার অধিকার নেই কথাটা সত্য তবে বিচারের সুষ্ঠু প্রয়গে তাঁদের শাস্তিবিধান দ্রুততর করতে হবে। এই ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
রায়ের বাস্তবায়ন চাই অতি দ্রুত ।
পাগলা ঘন্টা
যথার্থ বলেছেন। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
বনলতা সেন
কোন কথা শুনতে চাই না । শুধু চাই রায়ের কার্যকারিতা ।
অভিনন্দন আপনাকে এখানে লেখার জন্য ।
পাগলা ঘন্টা
আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা আপনার মূল্যবান মতের জন্য
ব্লগার সজীব
আপনার লেখার সাথে সহমত পোষণ করছি। এদের দ্রুত বিচার করে দন্ড কার্যকর করা আমাদের দায়। আমরা দায়বদ্ধ এ বিষয়ে ১৯৭১ এর শহীদ এবং বিরংগনাদের কাছে।
পাগলা ঘন্টা
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা
শিশির কনা
বিলম্বের জন্য সরকারের কোন ব্যাখ্যা আর ভালো লাগছেনা। আপিলের সময় বেঁধে দেয়া আছে, তারপরেও ঝুলে আছে সব। এখন আর আশা করিনা যে এদের রায় বাস্তবায়িত হবে।
পাগলা ঘন্টা
হতাশ হলে চলবে না। আমাদের মুল কাজ জনমত গড়ে তোলা আর এই ক্ষেত্রে আমি বলবো একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ই পারে যুদ্ধপরাধিদের বিচার করে শাস্তি বিধান করতে। আপনাকে শুভেচ্ছা
ছাইরাছ হেলাল
ভাই যতই ব্যাখ্যা দিন না কেন ভি আই পি কেবিনে বসে কলা মুলো চালাবে তা দেখতে ভালো লাগে না ।
পাগলা ঘন্টা
এইটা একটা উপযুক্ত মন্তব্য করেছেন । আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা
মিসু
এ বিষয়ে আর কোন কথার উপর সামান্য তম আগ্রহ নেই। শুধু শুনতে চাই, এদের ফাঁসী হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এই চাওয়াটা আমার অধিকার।
পাগলা ঘন্টা
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি তবে এইটুকু বলবো বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করতে অনেক ধৈর্য এবং ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন বিধায় আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। ভুলে গেলে চলবে না আপনি একজন গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তান। তাই আপনার কাছে এইটুকু আশা করতেই পারি ত্যাগী বাবার সন্তান হিসাবে বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে হবে ও ধৈর্য ধারন করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না । ভালো থাকবেন। আবার ও শুভেচ্ছা