অর্পিতা ২০

সঞ্জয় কুমার ১৪ জুলাই ২০১৪, সোমবার, ০৬:৩৩:০৫অপরাহ্ন বিবিধ ৭ মন্তব্য

না

তাহলে এতসব হিসাব কিভাবে জানলেন?

বাবা অংকের শিক্ষক ছিলেন । কিছুদিন আগে রাজ মিস্ত্রী আমাদের বাসায় কাজ করেছিল ওদের কাছ থেকেই হিসাবটা শিখে নিয়েছেন ।
তুমি হঠাৎ না বলে চলে এলে!!!

তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে আগে বলিনি ।
আগামী কাল ঢাকা চলে যাচ্ছি ।

আবার কবে আসবে?

জানিনা ।

আমার খুব ভয় হচ্ছে

কেন?

ঢাকায় গেলে সবাই বদলে যায় । দাদাও আগে কত ভাল ছিল ঢাকায় যাওয়ার পর কেমন পাল্টে গেল ।
চোখের আড়াল হলেই নাকি মনের আড়াল ।

সবাই পাল্টে গেলেও তোমার জয় কখনোই পাল্টাবে না । চোখের আড়াল হলেই বা কি ?
তুমি তো আমার মনেই সব সময় আছ ।কাল সকাল দশটায় গাড়ি ।

সাবধানে যেও । নিজের শরীরের যত্ন নিও ।

ঠিক আছে । তুমিও ভাল থেক ।

অর্পিতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে জয় এখন আপন বাড়ির পথে ।

অনেকদিন পরিবারের সাথে সময় কাটানো হয়নি । প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে বাবার জন্য একটা জামা মায়ের জন্য শাড়ি আর ছোট ভাইয়ের জন্য একটা জিনসের প্যান্ট নিল ।

বাড়িতে জয়:

বিজয় (জয়ের ছোট ভাই)
দাদা কখন আসলি?
মা…. বাবা….. তারাতারি এস দাদা এসেছে ।

জয়ের বাবা: আমি সব কিছু মিলনের কাছে শুনেছি । আমার ছোট ছেলেটা কখন যে এত বড় হয়েছে বুঝতে পারিনি । পাশ করার আগেই চাকুরী পেয়েছে । তোকে নিয়ে আমার গর্ব হয় বাবা । ঈশ্বর তোকে আরও বড় করুন ।

জয় : শুধু তোমরা আশির্বাদ করো ।

জয়ের মা: পড়াশোনা হল চাকুরী হল এবার ঘরে একটা সুন্দর বউ চাই । ঘরের কাজ আর আমি একা একা সামলাতে পারি না । বয়স তো আর কম হয়নি ।

জয়ের বাবা: বাদ দাও তো , ছেলেটা কেবল বাইরে থেকে এল । আগে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম নিক ।

বিজয়: দাদা পাশের ঘরে আয় কথা আছে ।

কি বল

ঢাকায় যাওয়ার আগে আমার একটা ব্যাট কিনে দিবি । উত্তর পাড়াদের সাথে সেদিন অল্পের জন্যে জিততে পারিনি । একটা ভাল ব্যাট না হলে খেলা জমছে না ।

ঠিক আছে দেব ।

রাতে জয় অর্পিতাকে ফোন দিল ।

হ্যালো অর্পা কেমন আছ?

ভাল

তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে ।
ঢাকায় যাওয়ার আগে আমার একটা অনুরোধ রাখতে পারবে??

চলবে…………

৭৮৫জন ৭৮৫জন
0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ