যাচ্ছি যাব বলতে বলতে যেদিন সত্যি সত্যিই চলে গেলে আমাকে ছেড়ে,
ছাড়িয়ে নিলে শেষ দাবিটুকুও সম্পর্কের
সেদিন আমি বুঝিনি, বুঝিনি ভুলেও, কসম
ধমনীতে ততদিনে প্রেমের নিবিড় প্রবাহ কতটা বইয়ে গেছে !
কিংবা আমার কতটা জুড়ে বইয়ে দিয়েছো প্রবাহ তোমার
বিস্তৃত শেকড় কতটুকু ভেতরে আমার বুঝতে পারিনি সেদিন এক রত্তিও !
তাই তুমি যখন চলে যেতে চাইলে আমাকে ছেড়ে
আমি আর ফিরাইনি খুব
ভেবেছিলাম এ যাওয়াটাও বরাবরের মত কাছে আসার অভিপ্রায়ে !
সেদিন বুঝিনি, আজ বুঝি সেই চলে যাওয়াটা ক্ষোভের বিস্ফোরণ কতটুকু !
আজো হিসেব মিলেনি তোমাকে ছেড়ে কতটুকু ভালো আছি
কিংবা কিইবা চেয়েছিলে সেদিন-
তুমিতো ভালো করেই জানতে
চিরকালই আমি স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে গুলিয়ে এসেছি
বুঝিয়ে না দিলে বুঝবো কী করে বলো
আমার কতটা জুড়ে বিস্তৃত করেছো তোমার শেকড় !
কিংবা কী সব অনুযোগ পুষে রেখেছো আমার প্রতি ।
এক এক করে তিন তিনটি বছর কেটে গেলো চলে গেলে
আমাকে ছেড়ে, পূর্ণ হলো আমাদের সেপারেশনের !
সেদিন শুনেছি, বাসায় নাকি বিয়ের কথাবার্তা চলছে তোমার
আচ্ছা বলোতো, যে উদ্যত প্রেমিককে সর্বস্ব উজার করে
ভালোবেসেছিলে, রক্ত-মাংসে যার দাহে জ্বলেছো অহর্নিশি
সবিনয়ে তাঁকে ফিরিয়ে, কিংবা তাঁকে দূরে রেখে
তুমিও কী ভালো আছো কিংবা থাকবে খুব একটা ?
সকাল-বিকেলের জার্নি, ভার্সিটি- ক্লাশ ইত্যাদি ব্যস্ততায়
কতটুকু আর ভুলে থাকা যায়, আমিতো পারিনি, সত্যিই কী পেরেছো !
জানি বলবে, একটু একটু করে মানিয়ে নিচ্ছি বেশ
তবে জেনো, তোমার কতটুকু ঘিরে আমি আর আমার কতটুকু
জুড়েইবা তুমি, চাইলেই তা কীভাবে অস্বীকার করবে তুমি ? আমিতো পারিনা !
জানিনা কীভাবে আছো, তবে আজকাল আমার কেবলই মনে পড়ে
মনে পড়ে সেইসব দিনগুলো তোমার আমার
সেইসব স্বপ্নের আদ্যোপান্ত আমাদের !
যখন তুমি আমি দুজন মিলে ছোট্ট একটা ঘরের স্বপ্ন দেখতাম,
স্বপ্ন দেখতাম আমাদের ভালোবাসার ।
কেবলই মনে পড়ে আজকাল স্মৃতিগুলো ভালবাসাময় সেই !
খুব ব্যাকুলতা কাজ করে ভেতরে ভেতরে তখন, করে ভীষণ
অথচ চাইলেই আজ
দু’ঘণ্টার এই দূরত্বটুকু পেরিয়ে তিন বছরের ব্যবধান ঘোচাতে পারবোনা ।
জানি, পারবেনা আর কখনোই ।
একটি মর্মান্তিক দীর্ঘশ্বাস চেপে
এক এক করে তিন-তিনটি বছর কেটে গেছে যেভাবে
জানি, বাকী জীবনটুকুও অত্যন্ত নিঃশব্দে সেভাবেই তুমিহীন কেটে যাবে আমার !
২২টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
এই ‘তুমিময়তার’ ঘোর ও কেটে যাক স্বাভাবিক নিঃশব্দতায় ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
কেউ কেউ কিছু কিছু কষ্ট আর আক্ষেপকে চিরকালই সযত্নে লালন করে । আঘাতই সবচে বড় জাগরন ভাই ।
জিসান শা ইকরাম
প্রেমময় স্মৃতি
বাস্তব না হলেই বাঁচি
দূরত্ব অনেক সময় সুন্দরকে সৃষ্টি করে , যেমন এই কবিতাটি ।
এত আবেগ আবেগ দিয়ে লিখে কিভাবে কবি ?
মর্তুজা হাসান সৈকত
এইযে ভাইয়া আপনাদের এত অনুপ্রেরনা এত ভালবাসাই ভেতর থেকে লিখা বের করে আনে নইলে আমার কী সাধ্য কবিতা লিখার । ভালো থাকুন সর্বদা…
এই মেঘ এই রোদ্দুর
ইশ এত কষ্ট ভাল লাগে না । মানুষ বড় নিষ্ঠুর
প্রেম করার সময় মনে থাকে না
কষ্ট দেয়ার সময় সব একসাথে ঢেলে দেয়
খুব সুন্দর কবিতা । ভাল লাগল
মর্তুজা হাসান সৈকত
এমন কমপ্লিমেন্ট পেয়ে আমারও ভালো লাগলো খুব । ভালো থাকবেন ।
মিসু
এমন প্রেমিকের জন্য মেয়েরা কিন্তু পাগল থাকে 🙂
মর্তুজা হাসান সৈকত
প্রেমভাগ্য কিন্তু ভালোই আমার আপি । 😀 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
এতটা হৃদযন্ত্রনা বহন করা ঠিক না ।
সৃষ্টির জন্য এটি অতি প্রয়োজনীয় নয় সব সময় ।
লেখাটিকে চমৎকার বলছি ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
হুম সেটা ঠিক বলেছেন তবে প্রেমের কবিতায় কিন্তু আবেগের যথাযথ ব্যাবহার হওয়াও চাই, আমার কাব্য দর্শন সেটাই ভাইয়া । ধন্যবাদ সুচিন্তিত অভিমতের জন্য আপনার ।
খসড়া
ছোট প্রান ছোট ব্যাথা ছোট ছোট দু:খ কথা শুধু দীর্ঘশ্বাস।
মর্তুজা হাসান সৈকত
ছোট ছোট দু:খ কথা একত্রে বেশ বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে কিন্তু এ কবিতায় ভাই । 😀
প্রজন্ম ৭১
কবি ভাই খুব আবেগপূর্ণ মানুষ বুঝা যাচ্ছে , এত আবেগ দিয়ে প্রতিটি কবিতা লিখেন , মনে হয় সত্যি ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
তবে স্বীকার করতে দোষ নেই যে, রোমান্স আবেগই আমার কবিতার সবচে বড় উপাদান হয়ে ফুটে ওঠে ।
কৃন্তনিকা
দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়লাম পড়ে… কি লাভ অভিমান করে? 🙁
মর্তুজা হাসান সৈকত
কৃন্তনিকা ভাই এসবতো আপনাদের মেয়েদের বেশী বোঝার কথা ! :p :p
কৃন্তনিকা
তা ঠিক… :p :p :p
মর্তুজা হাসান সৈকত
🙂 🙂
ব্লগার সজীব
মুগ্ধ পাঠ ভাই (y) (y) (y)
মর্তুজা হাসান সৈকত
ধন্যবাদ ভাই সময় নিয়ে পড়ার জন্য । ভালো থাকুন ।
নীলাঞ্জনা নীলা
লেখা সম্পর্কে সবাই সঠিক বলেছেন , আমার আর কি বলার আছে । মুগ্ধ হয়ে গেলাম কবি । -{@ -{@
মর্তুজা হাসান সৈকত
আমার কবিতা যে আপনার ভালো লাগছে জেনে আমারও অনেক অনেক ভালো লাগছে । শুভ কামনা রইল আপি ।