দুইটা বাচ্চা সুধিরের সাথে সেল্ফি তুলতে গেলে সে তাদেরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়!!
তার ঔদ্ধত্য পূর্ণ আচরন দেখে আমি অবাক হই।
আমি p ব্লক m র-তে লওয়ারে ছিলাম। সুধির আমার ঠিক ওপরের স্টেন্ডে ছিলো।
আমার বন্ধুর সাথে দেখা করতে ওপরে গিয়ে দেখি সুধির ওখানে।
কিছু বাংগালি সাপোর্টার তখন উত্তেজনার তুংগে। কারণ মাত্রই রাইডু আওট হইছে। তারা সুধিরের সামনে, পিছনে চিল্লাচ্ছিলো।
হঠাত দেখি দুইটা মেয়ে পিচ্চি ছবি তোলার জন্য তার হাত ধরে ঝাকি দিচ্ছে।
সুধির তাদেরকে ঝারা মেরে ফেলে দেয়।
ওখানে, বাংলাদেশের সমর্থকরা তার সাথে বাক বিতন্ডা্য জড়িয়ে যায়। পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। আর কিছু দেশী ভাই যদি হেল্প না করতো, তবে সুধিরের টিকিও পাওয়া যেতনা।
আমি আর আমার বন্ধু, স্পষ্ট শুন্তে পাচ্ছি, সে বলতেছে, ” তোম লোগোকো হাম্নে ক্রিকেট শিখাইয়া, ডাল্মিয়া নে তোমকো টেষ্ট খেলনে কো দিয়া ” আমার নাগালে থাকলে আমিই সুধিরকে চটকানা দিতাম।
একটা আস্ত বেয়াদব, অসভ্য, অহংকারী নন্সেন্স।
আমি বিসিবিকে অনুরোধ করবো, ওকে বাংলাদেশের মাঠে ব্যান করার জন্য।
রথী, মহারথী যারা সুধিরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ওঠে পরে লেগেছেন, তাদেরকে বলতেছি, ভিডিওর ২:০৫ সেকেন্ডে সে স্পষ্ট বলেছে ” বাংলাদেশ যেয়সা ছুটি টিম কে সাথ ইন্ডিয়া হারা ইস লিয়ে হাম বহুত দুখি হেয় ” বঙ্গানুবাদ ” বাংলাদেশের মতো ছোট দলের সাথে ভারত হারায় আমি খুব কষ্ট পাইছি ‘।
সাহস কতো বড়! এতো বার হারার পরেও সে ‘ছোট দল বলে ‘!
এই ভারত আর পাকিস্তান দুই ভাই, আমাদের যোগ্যতাকে কখনোই সমীহ করেনি।
এরা আমাদেরকে হেয় করার জন্য গলায় গলায় ভাব।
স্টেডিয়ামে কি হয়েছিলো জানেন কেঊ! যারা ফাল পারতাছেন, লাইক, শেয়ার কামাচ্ছেন ছিলেন ঐখানে!
স্টেডিয়ামের বাইরে সে যখন অটো নেয় তখন আমরা বন্ধুরা স্মুক করছিলাম দাঁড়িয়ে।
অখানেও তার সাথে ছবি তলা নিয়ে ধাক্কা ধাক্কি হয়। ইনফেক্ট আমার এক বন্ধু তার সাথে ছবিও তোলে। সে অটো তে ওঠে পরার পরেও কিছু অতি উত্সাহি জনতা অটোর পিছু নেয়। তাকে টীজ করে।
এতো কিছু করেছে এই ইন্ডিয়া বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়া, আর একটু টিজেই তাদের গা জ্বলে কেনো! মওকা মওকা কারা শুরু করেছে! এখন এর জবাব দিলে বলে ‘তোমাদেরকে আমরা খেলা শিখাইছি! ডাল্মিয়া টেষ্ট স্টেটাস দিছে! ”
জবাব সহ্য করতে না পারলে, বাংলাদেশে না আসাই বেটার।
১৯টি মন্তব্য
পারভীন সুলতানা
আপনার চাক্ষুস বয়ান অন্যদের জানার জন্য ভাল উপাদান কিন্তু আপনার ভাষা গ্রহণযোগ্য নয় । আরেকটু সংযত এবং চলতি, কথ্য , শুদ্ধ ইত্যাদি মিলিয়ে লেখা ফেসবুকের জন্য গ্রহণীয় , কিন্তু এখানে কতটুকু তা আমাদের জানা দরকার ।
রাগ সংবরণ করে সংযত ব্যাবহার করাই সভ্য মানুষের শিক্ষা । অন্যকে উস্কে দেয়া নয় । সবচেয়ে বড় কথা সব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। আমরা ব্যাট দিয়েই সারা দুনিয়াকে জবাব দেব ।
আমি তখন বেশ ছোট , বিহারীরা আমাদের বাসার চারদিকে থাকত । আমাদের সাথে ওদের আচরণ ছিল নিম্নশ্রেনীর জাতের মত । ওদের ভাষায় স্পষ্টত প্রকাশ পেত ওরা আরয জাতি । কি হয়েছে শেষতক ? আমরা ওদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছি , মোহাজের বলে ।আমরা বাঙালি নামে প্রতিষ্ঠিত। ধন্যবাদ।
ইমন
আপু, আমি সাধারণ মানুষ। আমরা সাধারণ মানুষেরা যখন কথা বলি তখন এতো জটিল করে ভাবি না। আমরা আমাদের মতো করে কথা বলি, অবশই কারো যেনো বুঝতে অসুবিধা না হয়।
আমরাত সাধারণ মানুষ আপু, চোখের সামনে যখন অন্যায় দেখি এবং যখন দেখি দেশের সাথে অনন্যায় হচ্ছে , তখন নিজে হাঁটু গেরে নামি সেই সাথে দশ জন কে উস্কেও দেই . আগে দেশের কথা ভাবতে হবে , পরে সাধু , চলিত, কথ্য, আঞ্চলিক , উস্কে দেয়া ন্নাকি টিপিকেলি হেন্ডেল করবো, এসব পরে ভাবি .
ধন্যবাদ, আপনাকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।
ব্লগার সজীব
একটি লেখা দিলেন,যার কোন শিরোনাম নেই।শিরোনাম না দিলে শিরোনামের স্থানে Permalink লেখা আসে।সোনেলায় এমন ব্লগার আছেন যিনি শিরোনাম দিতে পারেন না বা মনেই থাকেনা!পোষ্ট দিয়ে আপনি আপনার লেখাই মনে হয় পড়েন না আর।পড়লে শিরোনাম নেই এটা আপনার চোখে পড়তো।
এমন অমনোযোগিতা একটি ব্লগকে কিভাবে রিপ্রেজেন্ট করে তা বুঝবার মত অবস্থা নেই মনে হয় আপনার।
জিসান শা ইকরাম
পোষ্ট দিয়ে দেখা উচিৎ পোষ্টটি সঠিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে কিনা।
এডিট এর অপশন তো আছেই।
পোষ্ট দিয়েই চলে না যাবার জন্য অনুরোধ করছি।
ইমন
ব্লগার সজীব
আপনার কমেন্ট এর পড়েও আরেকজন ব্যাক্তি কমেন্ট করেছেন এটা নিয়ে। দেখুন তার কথা বলার ধরন আর , আপনার কথা বলার ধরন। আমি কি আজকে নতুন লিখি! আমার ফোনের চার্জ হঠাৎ মাঝপথে শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যাটা হয়ে গেছে। এমন অসহযোগিতা আর ঔদ্ধত্ত পূরর্ণ আচরন একজন ব্লগারের নিকট থেকে আশা করা যায় না . মাইন্ড ইউর বেহেবিয়ার প্লিজ।
জিশান ভাইয়া, ব্যাপারটা নিয়ে আপনার সাথে আমার ফেবুতে কথা হয়েছে। আপনি এটা সজিব সাহেব কে রিপ্লাই দিলে পারতেন। যা হোক , ধন্যবাদ।
আদিব আদ্নান
শিরোনামটি দিয়ে দিন।
অনিকেত নন্দিনী
সবমিলিয়ে মাঠের অবস্থা আর আপনার শিরোনামহীন পোস্ট দুটোই দুঃখজনক।
জিসান শা ইকরাম
এটি নিয়ে মিডিয়া অযথা পানি ঘোলা করেছে।
ইমন
আমাদের মিডিয়া যে ম্যাচিউরড হয়নি এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ভারত প্লেন করে এই সামান্নয় ব্যাপারটা নিয়ে এতো ঘাটাইছে যাতে করে দেশীই বেদেশি মিডিয়াতে আমাদের গৌরব পোরর্ন জয়ের কথা চাপা পরে যায়। এবং হয়েছেও তা ! কোথায় আমারা আমাদের বিজয় উৎসব করবো, তা না করে মাফ চাঁই মাফ চাঁই করে ভারত আর তাদের মিডিয়ার পাতা ফাঁদে পা দিলাম . ….
স্বপ্ন
” বাংলাদেশ যেয়সা ছুটি টিম কে সাথ ইন্ডিয়া হারা ইস লিয়ে হাম বহুত দুখি হেয় ” বঙ্গানুবাদ ” বাংলাদেশের মতো ছোট দলের সাথে ভারত হারায় আমি খুব কষ্ট পাইছি ‘।সুধিরকে কান ধরে ঘুরানো দরকার ছিল।
ইমন
😀
হিলিয়াম এইচ ই
কি কমু বুঝতাছি না।
ইমন
🙂
খেয়ালী মেয়ে
সুধিরের এই ঘটনাটা একেক জায়গায় একেকভাবে আসছে, এতে করে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা সেটাই বুঝা যাচ্ছে না….
ইমন
-:-
মিথুন
আপনি নিজে শুনেছেন যখন তখন আপনার কথাই বিশ্বাস করেছি ভাইয়া। আমাদের উত্তেজিত জনতাও কম ভয়ংকর নয়, তাই হয়তো সবাই দ্বিধাবিভক্ত।
ইমন
হ্যা আমি নিজেও ভাবিনি ব্যাপারটা এতো আলোড়ন তু্লবে। সুধির কে ঘিরে যাস্ট মিছিল দিচ্ছিল। এই এর বেশি কিছুনা। ও ভয় পেয়ে গেছিল। এতকিছু করলো ইন্ডিয়ানরা আমাদের সাথে বিশ্বকাপে, তার বিনিময়ে আমরা একটু আনন্দ করতে পার্বোনা !
আর আমাদের মিডিয়া যে ম্যাচিউরড হয়নি এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ভারত প্লেন করে এই সামান্নয় ব্যাপারটা নিয়ে এতো ঘাটাইছে যাতে করে দেশীই বেদেশি মিডিয়াতে আমাদের গৌরব পোরর্ন জয়ের কথা চাপা পরে যায়। এবং হয়েছেও তা ! কোথায় আমারা আমাদের বিজয় উৎসব করবো, তা না করে মাফ চাঁই মাফ চাঁই করে ভারত আর তাদের মিডিয়ার পাতা ফাঁদে পা দিলাম . ….
শুন্য শুন্যালয়
আপনি স্টেডিয়ামে ছিলেন, কাছ থেকে ব্যাপারটা দেখেছেন তাই আপনার জন্য বোঝা সহজ হয়েছে। যারা দেখেনি তাদের কাছে ঘটনা বিশ্লেষণ সহজ নয়, বরং নিজের দেশের চাইতে পরের দেশের মানুষ কে সাপোর্ট করছে এতেই বড়ত্ব বা আতিথেয়তা প্রকাশ পায়।
আমি বলেছি এটা যদি ওর বাড়িয়ে বলা হয়, ওকেই কান ধরে বের করা উচিৎ। ব্যান করা হোক ওকে মাঠে। আর এখন তো 100% হ্যাঁ।
ইমন
তাঁরপর জল কি কম গুলা হলোও ! আমাদের অনলাইন সেলিব্রেটিরা মৌসুমি লাইক কামিয়ে নিলেন . নিজেরা কতো মহৎ তা ইনিয়ে, বিনিয়ে প্রকাশ করলেন। এদের মতো বহুমুখি সাপেরাই সব সময়ে দেশের বিপক্ষে থাকে।
অথচ কি দেখা গেলো! সুধির নিজে মিডিয়াতে বলেছে সে লানচ্ছিত হয়নি।
আমি ধিক্কার দেই ঐসব লাইক খুর , ধান্দাবাজ দের।
আর আমাদের মিডিয়া যে ম্যাচিউরড হয়নি এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ভারত প্লেন করে এই সামান্নয় ব্যাপারটা নিয়ে এতো ঘাটাইছে যাতে করে দেশীই বেদেশি মিডিয়াতে আমাদের গৌরব পোরর্ন জয়ের কথা চাপা পরে যায়। এবং হয়েছেও তা ! কোথায় আমারা আমাদের বিজয় উৎসব করবো, তা না করে মাফ চাঁই মাফ চাঁই করে ভারত আর তাদের মিডিয়ার পাতা ফাঁদে পা দিলাম . ….