অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে পড়াশুনা করছি । ১৯৭২ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ডাটা খুজে পাওয়া কঠিন । তারপরেও যে উৎস থেকে এটি পেয়েছি তার লিংক দিয়ে দিচ্ছি । লিংকে আরো বিস্তারিত আছে । ছবির উপর ক্লিক করে ছবি বড় করে দেখুন ।
এখানে ১৯৭২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সময় কালকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি ।
১৯৭২ – ১৯৭৫ , ১৯৭৫ – ১৯৮২ , ১৯৮২ – ১৯৯০ , , ১৯৯১ – ১৯৯৬ , ১৯৯৬ – ২০০১ , ২০০১ – ২০০৫ , ২০০৭ – ২০১২ । এখানে শেষ বছরের প্রবৃদ্ধি গ্রহন করে আলোচনা করা হয়েছে । লিংকে গিয়ে প্রতি বছরের প্রবৃদ্ধি যে কেউ দেখে নিতে পারবেন । লিংক এবং কিভাবে দেখবেন প্রতিবছরের প্রবৃদ্ধি তা লেখার শেষ দিকে বলা হয়েছে ।
আশ্চর্য হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছিল মাইনাস ১৩.৯৭ থেকে । ১৯৭৩ এ দাড়িয়েছিল ৩.৩৩ । বৃদ্ধির পরিমান ১৭.৩ । ১৯৭৪ এ প্রবৃদ্ধি ৯.৫৯ যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সরবোচ্চ । মাইনাস ১৩ দশমিক ৯৭ থেকে এই উত্তরন অকল্পনীয় । ১৯৭৫ এর শেষ সময়ে এসে তা দাড়ায় – ৪.০৯ । মাইনাস ৪ দেখে লীগ বিরোধীদের উল্লসিত হবার কিছু নেই , কারন স্বাধীনতার পর শুরুই হয়েছিল মাইনাস দিয়ে। সেক্ষেত্রে ১৯৭২ এর চেয়ে ১৯৭৫ এর অগ্রগতি ৯.৮৮।
বাংলাদেশ ,পাকিস্থান , ভারত , মালয়েশিয়া দেখানো হয়েছে । চীন , আমেরিকা , জাপান , ব্রিটেন এর প্রবৃদ্ধি কেউ ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন ।
বাংলাদেশঃ ২ দশমিক ৩৮
পাকিস্থানঃ ৬ দশমিক ৫৪
ভারতঃ ৩ দশমিক ২৪
মালয়েশিয়াঃ ৫ দশমিক ৯৪
প্রতি বছরের প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে গ্রাফের উপর কার্সর নিলেই।
বাংলাদেশঃ ৫ দশমিক ৯৪
পাকিস্থানঃ ৪ দশমিক ৪৬
ভারতঃ ৫ দশমিক ৫৩
মালয়েশিয়াঃ ৯ দশমিক ০১
বাংলাদেশঃ ৪ দশমিক ৬২
পাকিস্থানঃ ৪ দশমিক ৮৫
ভারতঃ ৭ দশমিক ৫৫
মালয়েশিয়াঃ ১০ দশমিক ০০ ( চীনের সমান হওয়ায় সম্ভবত আলাদা আসেনি )
বাংলাদেশঃ ৫ দশমিক ২৭
পাকিস্থানঃ ১ দশমিক ৯৮
ভারতঃ ৪ দশমিক ৯৪
মালয়েশিয়াঃ ০ দশমিক ৫২
অর্থনৈতিক মন্দা আমরা সাফল্যের সাথেই মোকাবেলা করেছি । অন্যন্য দেশের প্রবৃদ্ধি দেখুন।
বাংলাদেশঃ ৫ দশমিক ৯৬
পাকিস্থানঃ ৭ দশমিক ৬৭
ভারতঃ ৯ দশমিক ২৮
মালয়েশিয়াঃ ৫ দশমিক ৩৩
বাংলাদেশঃ ৬ দশমিক ৩২
পাকিস্থানঃ ৪ দশমিক ১৯
ভারতঃ ৩ দশমিক ২৪
মালয়েশিয়াঃ ৫ দশমিক ৬১
সার্বিক অবস্থায় আমাদের বাংলাদেশ এর প্রবৃদ্ধির হার একামত্র চীন ব্যাতিত অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ ভালো । দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে আমরা অবশ্যই অনেক দূর যেতে পারবো । একদিন পৌঁছে যাবো স্বপ্নের বাংলাদেশে ।
হতাশার কিছু নেই ।
১৭টি মন্তব্য
হতভাগ্য কবি
অনেক গবেষনা করেছেন সে জন্য ধন্যবাদ। জানলাম অতীত । ইনশাল্লাহ আমরা একদিন উপরের কাতারে থাকবো
জিসান শা ইকরাম
ইনশ আল্লাহ —
মিসু
জিসান ভাই অগনিত ধন্যবাদ এমন লেখা দেয়ার জন্য । রেফারেন্স হিসেবে কাজ দিবে আমার । জিয়া আর এরশাদ এর কাল আলাদা আলাদা দিলে আরো ভালো হতো ।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকেও কষ্ট করে পঠন করার জন্য ।
আচ্ছা , জিয়া আর এরশাদের সময় টি আলাদা করে দিব ।
কৃন্তনিকা
অনেককিছু জানলাম। জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ 😀
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।
আদিব আদ্নান
এ পরিসংখ্যানটি জানা ছিল না ,
আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই আশা রাখি ।
জিসান শা ইকরাম
অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক ।
ছাইরাছ হেলাল
আমরাও স্বপ্ন দেখি সবুজের ।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন দেখতেই থাকবো
অবিরাম স্বপ্নের করাঘাত ।
শিশির কনা
অসাধারন কাজ করলেন জিসান ভাই । এত বিশাল একটি সময়ের বাংলাদেশের অর্থনীতিকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে এনেছেন। আমাদের সামনে এখন চীন । আমাদের প্রবৃদ্ধি স্থির , পরে যাচ্ছে না অন্যান্য দেশের মত। আশা প্রদ একটি লেখা । ভেংগে যাওয়া স্বপ্ন আবার দেখা শুরু করলাম । অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
শুধু দশটি বছর আমাদের দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে অনেক উপরে পৌঁছে যেত আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ।
ব্লগার সজীব
৭২ – ৭৫ , ৭৫ – ৮২ দেখে অবাক হলাম । ৭৫ – ৮২ নাকি ছিল দেশের স্বর্ণযুগ ? ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্য।
জিসান শা ইকরাম
৭৫ – ৮২ নাকি ছিল দেশের স্বর্ণযুগ ছিল অপপ্রচারে , বাস্তবে না ।
তুমি আমি এক
আশ্চর্য হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। ………।
সবচেয়ে ভালো দিক হোল বর্তমান সরকার যখন ই ক্ষমতায় আসেছে তখন ই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে বর্তমানে চলমান বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ + । ।
আমি জানিনা অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারা কি করতো ??
জিসান শা ইকরাম
এটিই সত্যি 🙂
প্রজন্ম ৭১
তথ্য বহুল পোস্ট , এতদিন এ সম্পর্কে জানতাম না । কিন্ত আওয়ামী লীগ এসব জানে না ? তারা অপপ্রচারের জবাব দেয় না কেন ?