
রজনীগন্ধার আড়াল নিয়ে কোন এক
চেনা/অচেনা সৌরভে ভেসে ভেসে এলে!
স্তব্ধের গভীরতায় গভীর হেমন্ত সকালে;
শিশিরে শিশিরে আগলে রেখে,
ঘাস ফুল আর মৌ-গুঞ্জনে;
এ কোন্ নিঃশ্বাস-বিবশ সকাল!
এ কোন্ সোনা-রোদ-ঝলক!
চকিত মুহূর্তের নিস্তব্ধতায় এঁকে দিলে
এ কোন্ উদ্ধত নরম শব্দহীন রক্তাক্ত-স্নান!
এক জলজ্যান্ত ক্লান্ত-সুখ-স্বপ্ন,
মহুয়া-গন্ধে ঘুমহীনের জীর্ণ অন্ধকার-রাত শেষে;
২৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
হেমন্ত এত সুন্দর ভাবে এলো?
এখন তো হেমন্তের সাথেই থাকতে ইচ্ছে করছে সারাক্ষণ।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কতক্ষণ টিকতে পারেন!
আসার সময় একটু রং ঢং করেই আসে।
শীত এলে টের পাবেন, কত শীতে কত জামা!
ইঞ্জা
চমৎকার ভাবে হেমন্তের আগমনীকে বর্ণনা করলেন ভাইজান, কাব্যে আপনার নিপুণতা আমাকে মুগ্ধ করে সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
ঋতুদের প্রতি আমার বিশেষ টান থেকেই এমন করে ভাবতে চেষ্টা করি।
অনেক ধন্যবাদ, নিয়ত সাহায্য-সহযোগিতা থাকছেন বলে; ভাই।
ইঞ্জা
এর মানে হলো আপনি ঋতু প্রেমি, আবারও মুগ্ধ হলাম ভাইজান। ❤
সহযোগী হয়েই থাকতে চাই ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আহা, শান্তি পাইলাম, ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার রচনাশৈলী হেমন্ত আগমনীকে, মন মুগ্ধ ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
নিতাই বাবু
ভাষা দিবস, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের বাংলা ও ইংরেজি তারিখের সাযুজ্য রাখতে বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করেছে সরকার, যার ফলে এ বছর আশ্বিন মাস এসেছে ৩১ দিন নিয়ে।
এবিষয়ে আপনি কি কিছু জানেন, দাদা?
ছাইরাছ হেলাল
পত্রিকায় দেখেছি।
আমার কাছে মন্দ মনে হয় না।
সাবিনা ইয়াসমিন
হেমন্তকে আসতে বলেছেন, না এসে যাবে কই!
শুরু হোক তবে হেমন্ত-কাব্য। রোজ লেখা দিতে হবে কিন্তু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ঋতুরা আমার কথায় ওঠ/বস করে!
বরং আমাকেই দৌড়ের উপরে রাহে!
সে-তো আগের লেখাতেই আগমনী সেরে হেলেছে।
রোজ লেখা পড়তে আমার ভালই লাগবে, আপনি যখন এত সুন্দর করে শুরু করেছে।
লেখা-গাছটি যদি একটু ধার দিতেন, অশেষ নেকি আপনার-ই হতো!
তৌহিদ
বাহ! হেমন্তকে সুন্দরভাবেই নিয়ে এলেন আমাদের মাঝে। এ ঋতু আমার অনেক পছন্দের কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
শুনে ভাল লাগল এটি আপনার ও প্রিয়।
চেষ্টা করেছি মাত্র, এর বেশি কিছু না।
Sharmin Akhter
এতো সুন্দর করে ডাকলে , হেমন্ত কি না এসে পারবে?
ছাইরাছ হেলাল
ডাক দিলেই যদি সব পাওয়া হয়ে যেত
তাহলে না-পাওয়ারা তখন কোথায় যেত!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ,
সাকুল্যে দু’টি মন্তব্যের মধ্যে একটি এখানে এসেছে দেখে আনন্দিত শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
লিখে ফেলুন ‘যা মন চায়’ এমন কিছু।
শারমিন আক্তার
আমার মতো অতি নগন্য পাঠকদের জন্য আপনি যে এতো যত্ন করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আর আমি খুবই দুঃখিত যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে দেরি করেছি।
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, দুঃখিত হওয়ার কিচ্ছু নেই,
আমিও নগন্য লিখিয়ে মাত্র, নাহ্, এমন কিছুই সাজাতে/গোছাতে পারিনি/পারিনা।
ধন্যবাদ দিচ্ছি, ‘কিছু একটা লেখা’! কৈ!
সুরাইয়া পারভিন
হেমন্ত এলো কাব্য প্রেমীদের মনে কাব্যরসের অপার ভাণ্ডার নিয়ে,,,, দারুণ
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ এমন হেমন্তকে সাধুবাদের জন্য।
আপনার লেখা পড়েছি, মন্তব্য দেইনি/দেয়া হয়নি।
লিখব নিশ্চয়ই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনি মনে হয়ে ঋতু বিষেশজ্ঞ!
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্,
তবে প্রকৃতি প্রেমিক বলতে পারেন।
আরজু মুক্তা
হেমন্ত লাজুক ঋতু। শীতের ঘোমটা কিন্তু লাগে গরম।
ছাইরাছ হেলাল
আহা, এতো শীতের প্রস্তুতি মাত্র।
লিখতে শুরু করে দিন, হেমন্তকে।
শাহরিন
হেমন্ত কি এবার আকাশ দিয়ে এলো!!! ছবি কিন্তু ফাডাফাডি!!! সেরম হইছে
ছাইরাছ হেলাল
পেজা-তুলো-মেঘ সে তো হেমন্তের উপহার।
ছবি সেরাম হতেই হবে, কে তুলেছে বুঝতে হবে।
এস.জেড বাবু
এক জলজ্যান্ত ক্লান্ত-সুখ-স্বপ্ন,
মহুয়া-গন্ধে ঘুমহীনের জীর্ণ অন্ধকার-রাত শেষে;
হেমন্ত! এলো তাহলে!
কতগুলি হেমন্ত এলো গেল,
এত সুন্দর করে আসেনি আগে___॥
ছাইরাছ হেলাল
হেমন্ত কিন্তু চালু আছে,
আমি চাই আপনিও হেমন্তে আসুন, চুপিসারে নয়, স্বউচ্চারণে।