হাসিরা হেসে ওঠে, বৃষ্টি মেলে দেয় গায়ে;
সুরা মগ্নতায় রঙ্গিন হয়ে ফিকফিকিয়ে হাসে,
হাসি দেখে ফুলেরা হাসে
পাখি হাসে, শিশুটিও হাসে।
বাতাবী লেবু গন্ধ ছড়িয়ে হাসে, হেসে হেসে হাসে;
জানালার গন্ধরাজেরা জলফোটা মেখে হাসে,
তবুও দু’একটি কেতাবি বুদবুদ গোচরের অগোচরে
ডানা মেলে নীলাকাশের আকাশে,
হাসবে সেও কোন একদিন মৃত্যুর একান্ত অবসর অবকাশে;
সাহসী হাসি ফুলসৌরভ হয়ে হেসে ওঠে,
হাসে, রাধিকারমণ স্নিগ্ধতায়,
হাসে, বিষণ্ণতার প্রান্তিক মায়াজাল এরিয়ে,
যৌবনের কৈশরানন্দে টংদোকানে বসে হাসে
ইয়ার-দোস্তদের সাথে,
অকস্মাৎ হাসিমাখা হাসিটি নড়ে ওঠে প্রবীণ ক্লান্তিতে,
ভ্রান্তিময় মূঢ়তায়, বিধুর বিষণ্ণতায়, বিড়ম্বনার গ্লানিতে;
৪৪টি মন্তব্য
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হাসি আর হাসি।
হাসিমাখা প্রবীন হাসিটি ও ক্লান্ত হয়!
তবে কি সবই অভিনয়! শেক্সপিয়ারের সে রঙ্গ মঞ্চের অভিনয়!
ছাইরাছ হেলাল
অভিনয় আমাদের করতেই হয়, করিও।
ইঞ্জা
চমৎকার এক কাব্য উপহার দিলেন ভাই, অনেকদিনপর হাসি এলো তব জীবনে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যাক, হোক না অনেকদিন পর, তবুও হাসি অমূল্য,
বাঁচতে হলে হাসতে হবে।
ইঞ্জা
(y)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি,
মিষ্টি জিন
হাসতে নাকি জানেনা কেউ ,
কে বলেছে ভাই
এই দেখনা হেলাল ভাই কত হাসির গল্প বলে যায়..
শেষ লাইন দুটো মনছুয়ে গেল..
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ,
আপনি মন দিয়ে পড়েছেন দেখে।
হ্যা, শেষে ভিন্ন কিছু ছিল যা আপনার চোখ এরিয়ে যায়নি।
জিসান শা ইকরাম
হাসি মুক্তোর বৃষ্টি হয়ে ঝরুক,
হাসিরও অবশ্য ক্লান্তি আছে, ক্লান্ত হাসিরা ম্রিয়মাণ হয়ে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
মুক্তো খুব দামী, সহজে আজকাল ঝরে পড়ে না,
হাসিরাও ক্লান্ত হয়, নুয়ে পড়ে। নুয়ে যায়,
মৌনতা রিতু
হাসতে এখন অনেক ভয় বড় ! হাসিতেও নাকি অশ্রু ঝরে। হাসব না তাই, চোখে জল আনব তাই।
আমার মাঝে এ এক অদ্ভুদ আমি।
কবিতায় ভাল লাগা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
চোখ চেপে অল্প করে হেসে ফেলুন,
কেউ দেখবে না।
ধন্যবাদ।
ইলিয়াস মাসুদ
” অকস্মাৎ হাসিমাখা হাসিটি নড়ে ওঠে প্রবীণ ক্লান্তিতে,
ভ্রান্তিময় মুঢ়তায়, বিধুর বিষণ্ণতায়, বিড়ম্বনার গ্লানিতে;”
জীবন টাই বুঝি এমন? একটা হাসি শুরু আর শেষ …….. এতেই বুঝি পুরো জীবন ।
কি অদ্ভুত দুটি লাইন! যেভাবে খুশি সে ভাবে বুঝে নাও (3
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিকই ধরেছেন, এখানে ভিন্ন কিছু আছে,
ভাল করেই পড়েন বুঝতে পারি।
শুন্য শুন্যালয়
আনন্দেরও নাকি অশ্রু হয়, আর হাসির আড়ালেও থাকে কিছু না কিছু…
কেতাবি বুদবুদ হাসবে মৃত্যুর অবকাশে,
ছেলেখেলার শিশুসুলভ হাসি ধরে শেষ টায় সত্যিই থমকে গেলাম, একেই কি বলে টুইস্ট?
ভীষণ–
ছাইরাছ হেলাল
আরে! আমি আবার টুইস্ট-ফুইস্ট জানি নাকি! কী না কী কয়।
বুদবুদ কেতাবি হোক বা ন হোক এড়ানো খুবই কঠিন!
অনিকেত নন্দিনী
শেষের দুই লাইনে এসে বিমূঢ় হয়ে গেলাম। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে বিমূঢ় করতে পেরেছি এটা বিশ্বাস করতে
পারছি না,
অনিকেত নন্দিনী
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।
ছাইরাছ হেলাল
এবারে বিশ্বাস জয়যুক্ত হয়েছে, জয়যুক্ত হয়েছে জয়যুক্ত হয়েছে,
মোঃ মজিবর রহমান
ঝরুক হাসি সকল মুখে
হাসুক সবাই কিল্বিলিয়ে
ম্পনের আনন্দ করুক সব প্রাণ।
ছাইরাছ হেলাল
সবার প্রাণে বাজুক আনন্দবীণ।
মোঃ মজিবর রহমান
\|/ নাচুক সবাই আনন্দ চিত্তে।
ছাইরাছ হেলাল
নাচ চলবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শেষ বিকেলের সূর্যের রঙ প্রচন্ড লাল। গোধূলি বেলায় আকাশের লালচে-কমলা রঙটা কেমন হাল্কা ধূসর অন্ধকারে ঢেকে যায়।
কিছু কি হলো? মানে লেখার সাথে কি মিললো?
যতোই বিষণ্ণ হোক না মন, হাসি হাসুক ক্লান্তিহীন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন্তব্য মিলবে না তাও কী হয়!
ক্লান্তিহীন হাসি আমারা চাই, পাই না তো।
নীলাঞ্জনা নীলা
এটা কি বললেন!!! 😮
ছাইরাছ হেলাল
কেন! আমি আবার কী বললাম!
আবু খায়ের আনিছ
বার্ধক্য ধরেছে নাকি ?
হাসুন প্রাণ খুলে।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, প্রাণ খুলেই হাসলাম,
ব্লগার সজীব
হাসিদের পরিশ্রম আছে ভাইয়া, ক্লান্তি লাগতেই পারে।
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো দেখছি, ওদেরও বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে হতে পার।
খেয়ালী মেয়ে
হাসিময় পোস্ট 🙂
ভালো লেগেছে তাই আমিও কয়েকবার হাসিমুখে লেখাটা পড়ে ফেললাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, এ কাকে দেখছি!!
আপনার হাসি মুখ সোনেলা খুব মিস করে।
শুরু করে দিন, ফিরে আসুক সেই সে সব দিন, আপনি যখন সোনেলায়।
খেয়ালী মেয়ে
মন্তব্যের মাধ্যমেই আবার শুরু হলো সোনেলায় পথচলা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ফুল চন্দন আপনাকে।
মেহেরী তাজ
হাসি অধ্যায় এখনও শেষ হয় নাই।
আগের মন্তব্যে যে নাস্তানাবুদ হয়েছি!
হাসি নিয়ে আরর মন্তব্য করছি না!
ছাইরাছ হেলাল
কার এত্ত বড় সাহস! খালি নামডা প্রকাশ্যে বলে ফেলুন।
হাসি অমলিন ই থাকবে।
নাসির সারওয়ার
তার মানে হাসির কোন বিরক্তি নাই! কি যে বলেন ভাই!!
ক্লান্ত কিন্তু হতেই পারে।
আর এই “সুরা মগ্নতা” মানে কি? এরা রঙ্গিন হয় কক্ষন !!
ছাইরাছ হেলাল
কেলান্ত হাসি ও আছে, তবে সহজে কেলান্ত করা যায় না হাসিকে।
কাঠবিড়ালী হাসিতে কুন ক্লান্তি নেই।
সুরা মগ্নতা ব্যাপারডা আপ্নে বোঝবেন না,
তবে ফিকফিকানী দেখলেই রং বুঝে ফেলবেন,
নাসির সারওয়ার
কোনডা যে বুজবাম, সেইডাই বোজলাম না।
থাউক, বোজোনের আর কাম নাই।
ছাইরাছ হেলাল
বেশি বোঝার চেষ্টাও ভালু না,
অলিভার
হাসি মাত্রই আনন্দের প্রকাশ নয়, বরং ভিন্ন কোন অনুভূতিকে লুকানোর প্রয়াসও হয়।
হাসিকে চমৎকার করে বিশ্লেষণ করলেন শব্দ-ছন্দে -{@
ছাইরাছ হেলাল
হাসিতেই আপনার কথা মেনে নিলাম,