এক দুঃখী রাজপুত্রের রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। যিনি নিজের জীবনের সমস্ত কষ্ট- যাতনাকে নিয়ে করে গেছেন কৌতুক,জীবনকে শিখিয়েছেন কি করে বাঁচতে হয়,স্বপ্ন দেখতে হয়, ছাড়িয়ে যেতে হয় নিজেই নিজেকে।বিরহকে নিজের ভেতর ধারণ করেই যিনি দৃঢ় কণ্ঠ উচ্চারণ করেছেন,
“My pain may be the reason for somebody’s laugh. But somebody’s pain must never be the reason of my laugh.”
মাথায় বাউলার হ্যাট, নাকের নিচে ছোট গোঁফ , চাপা কোট , ঢিলেঢালা প্যান্ট , হাতে ছড়ি , পায়ে কালো জুতো ,ছোটোখাটো গড়নের একজন মানুষ এভাবেই ধরা দিয়েছেন আমাদের সামনে । কিন্তু , তিনি যখন তার সৃজনশীলতার স্ফুরণ ঘটিয়েছেন , তখন বিশ্ববাসী টের পেয়েছে তিনি একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব । বলছিলাম , স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র (১৬ই এপ্রিল, ১৮৮৯ – ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৭৭)এর কথা। যিনি আমাদের কাছে চার্লি চ্যাপলিন হিসেবেই সমাদৃত হয়েছেন ।চ্যাপলিনের মায়ের নাম হান্নাহ চ্যাপলিন , বাবার নাম চার্লস চ্যাপলিন।দুজনই মঞ্চে গান করতেন। চ্যার্লি চ্যাপলিনের জন্মস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। ধারণা করা হয় তিনি ইষ্ট স্ট্রিট, ওয়ালওয়ার্থ, লন্ডনে জন্ম গ্রহণ করেন । কিন্তু চলচ্চিত্র জীবনের প্রথমদিকে একবার তিনি বলেছিলেন ফ্রান্সের ফঁতেউব্ল শহরে তার জন্ম।যাকগে ,এসব গৌণ ব্যাপার। মূখ্য তার কর্ম ।
চ্যাপলিনের বয়স যখন দুই বছর তখনই তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ছোট্ট চ্যাপলিনকে নিয়ে তার মায়ের দারিদ্রপীড়িত সংগ্রামী জীবন চ্যাপলিনকে অভিজ্ঞ করেছে আরও। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে চ্যাপলিনের অভিনয় শুরু হয়।মা হান্নাহ চ্যাপলিন থিয়েটারে গান করে সংসার চালাতেন ।একদিন মঞ্চে উঠেছেন গান করতে , কিছু সময় অতিবাহিত হতেই গলায় সমস্যা দেখা দেয়। থিয়েটার হলের দর্শকদের চিৎকার – চেঁচামেচী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মঞ্চে তুলে দেয়া হলো পাঁচ বছরের চার্লিকে। সে তখন অভিনয়ের কিছুই বুঝে না। তো চ্যাপলিন মঞ্চে উঠে গাইতে শুরু করলেন ,‘Jack Jones well and known to every body’, তার গানে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে স্টেজে কয়েন ছুঁড়তে থাকে । চাপলিন হঠাৎ অঙ্গভঙ্গিসহ বলে ওঠেন, ‘আমি এখন গান গাইব না; আগে পয়সাগুলো কুড়িয়ে নিই, তারপর আবার গাইবো।’ তার কথা বলার এই মুহূর্ত দর্শকদের বিপুল আনন্দ যোগায়। স্যার আর্থার কোনান ডয়েল একবার মঞ্চ নাটক দেখতে গেলেন । সেখানে এক কিশোরের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বললেন, ”
চালিয়ে যাও। তোমার মধ্যে প্রতিভা আছে। অনেক নাম হবে তোমার।” শুনে ছেলেটি প্রস্তাব করল, “আপনি আর আমি কি একসঙ্গে কাজ করতে পারি? দুজনের আয় না হয় সমান ভাগে ভাগ করে নেব।” এই সাহসী ছেলেটিই বিশ্বখ্যাত চ্যাপলিন।যিনি সত্যিই দেখিয়েছিলেন , তাঁকে দিয়েই সম্ভব অসম্ভব সাধন ।
আইনষ্টাইনের যখন প্রথম চার্লি চ্যাপলিনের সঙ্গে দেখা হলো তখন চ্যাপলিনকে বললেন- “আপনাকে আমি যে কারণে খুব পছন্দ করি সেটা হলো আপনার বিশ্বজনীন ভাষা। আপনি যখন অভিনয় করেন, তখন আপনি হয়তো কোনো ডায়লগই বলছেন না, কিন্তু সারা পৃথিবীর মানুষ ঠিক বুঝতে পারে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন এবং তারা সেজন্য আপনাকে অসম্ভব ভালোও বাসে।” উত্তরে চার্লি চ্যাপলিন বললেন-” ড. আইনস্টাইন, আপনাকে আমি তার চেয়েও বড় কারণে পছন্দ করি। আপনার থিওরি অব রিলেটিভিটিসহ অন্যান্য গবেষণার বিন্দুবিসর্গ কেউ বুঝে না, তবুও গোটা পৃথিবীর মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা করে।”এই হলেন চার্লি চ্যাপলিন , যিনি জন্ম দিয়েছেন স্মরণীয় সব মুহূর্তের।
চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম বছরেই আলভা এডিসন তৈরী করেন ক্যামেরা এবং এবছরেই জন্ম হয় দুনিয়ায় ত্রাস সৃষ্টি করা এডলফ হিটলারের ।প্রকৃতির কি অসাধারণ সংযোগ। ক্যামেরা তৈরী না হলে চ্যাপলিনের প্রতিভার দেখাও পাওয়া যেত না , অন্যদিকে হিটলারের নির্মমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার চ্যাপলিন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাও জানা যেত না। মূকাভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন নির্বাক চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিত্ব।তিনি নিজের ছবিতে নিজেই অভিনয়, সংলাপ রচনা, পরিচালনা, প্রযোজনা এমন কী সঙ্গীত পরিচালনা পর্যন্ত করেছেন। শিল্প কী ?চ্যাপলিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, “শিল্প হচ্ছে পৃথিবীর কাছে লেখা এক সুলিখিত প্রেমপত্র।” যে প্রেমপত্র তিনি লিখে গেছেন বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে ,অভিনয়ের মাধ্যমে কিছু না বলেও।
চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্রে নাম জানা যাক , যেগুলো মাধ্যমে হাস্যরসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করে পৌঁছে দিয়েছেন নানান বার্তা ।
The Triumph,
Modern Times ,City Lights,The Great Dictator ,The Gold Rush ,The Kid , Limelight ,The Immigrant ,
,The Circus ,Monsieur Verdoux , A Dog’s Life ,A countes from Hongkong সহ আরও বিখ্যাত সিনেমা তার রয়েছে।
দাম্পত্য জীবনে চ্যাপলিনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে তিন বার। যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা মূলত চ্যাপলিনের বিপুল অর্থের প্রতিই বেশি মোহগ্রস্থ ছিল। একসময় তিনি বেশ ভীত হতে পড়েন প্রেম-ভালোবাসা- বিয়ে নিয়ে।দুঃখী চ্যাপলিনের মুখে তাই উচ্চারিত হয়েছিল , “I always like walking in the rain, so no one can see me crying. ” তবে দারিদ্রের সাথে সাথে একসময় চ্যাপলিন কান্নাকেও জয় করেছিলেন। সুখীও হয়েছিলেন ব্যক্তি জীবনে।
একদিন নাট্যকার ইউজিন ও’নীলের বাসায় গিয়েছেন
চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে। ও’নীলের একমাত্র কন্যা উনার সাথে পরিচয় হয় তার। কিন্তু তিনি তখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন ।একসময় উনা নিজেই তার ভালোবাসার কথা প্রকাশ করেন চ্যাপলিনের কাছে। চ্যাপলিন ছিলেন দ্বিধাগ্রস্থ। ও’নীল তাঁকে অভয় দিয়ে বললেন , উনা চালচলনে খুবই সাধারণ তবে বুদ্ধিমতী মেয়ে। চ্যাপলিন উনাকে বিয়ে করলে সুখী হবেন।শেষতক উনার ভালোবাসাই চ্যাপলিনের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।উনা তাঁর ভালোবাসার শুশ্রুষা দিয়ে ঘুচিয়ে দেন চ্যাপলিনের সমস্ত ক্ষত এবং বাকী জীবন বেশ শান্তিতে অতিবাহিত করেন দুজন।
শেষ বয়সে চার্লি দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘আমার জীবনে আরো কয়েক বছর আগে উনা আসেনি কেন?”
চার্লি চ্যাপলিন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন অভিনয়ের দক্ষতায়। একসময় তিনি ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ কর্তৃক নাইট উপাধিতে ভূষিত হন । ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয় My Autobiography শিরোনামে তার আত্মজীবনী । বইটি সর্বকালের বেস্ট সেলার হিসেবে বিক্রি হয় । কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক ডিগ্রিসহ ফরাসি সরকারে দেওয়া ‘অর্ডার অব দ্য লিজিওন’ লাভ করে।তিনি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব ও একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার জিতেছেন। এছাড়া তার ছয়টি চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস বিশেষভাবে সংগ্রহ করে রেখেছে।
দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত চ্যাপলিন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন নি। তিনি ছিলেন স্বশিক্ষায় সুশিক্ষিত। জীবন, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে তিনি শিখেছেন প্রতিনিয়ত। নিজেকে তিনি এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন যে, আজ তাঁকে নিয়ে লিখতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে শেষ করা যাবে । তবুও মনে হবে অনেক কিছুই লেখা হয়নি।
চার্লি চ্যাপলিনের ছবির
বিশেষত্ব হলো মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ-ব্যথা- বেদনা ও অনুভূতির ব্যঙ্গময় প্রকাশ। যা তাকে দিয়েছে কালোত্তীর্ণ বিশ্বখ্যাতি। যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির সপক্ষে সর্বদা বিশ্বজনমত গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ- বিদ্রুপ, শ্লেষ ও মানবিক চেতনা তার প্রতিটি ছবির প্রধান বিষয়।
চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কও ছিলো।এমন একজন মানুষের প্রতি ঈর্ষান্বিত হবে না কেউ কেউ তা ভাবা অমূলক।
তার নির্মিত ‘দ্যা গ্রেট ডিক্টেটর মুভি’ তে তিনি হিটলারের ভূমিকায় অভিনয় করেন।যেখানে ফুটিয়ে তুলেছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নির্মমতার চিত্র । এজন্য তাঁকে কমিউনিষ্টও বলা হত। তখন তিনি বলেছিলেন, “মানুষকে ভালোবাসার জন্য যদি আমাকে কমিউনিষ্ট বলা হয়, তো আমি কমিউনিষ্ট।” যুক্তরাজ্যের নথিতে চ্যাপলিনের নাম নিয়েও ছিল বিতর্ক। যদিও শেষপর্যন্ত গোয়েন্দারা তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন ।
হাসির রাজা চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত সেই উক্তি দিয়েই যবনিকাপাত করা যাক তবে , ” I have many problems in my life, but my lipd don’t know that, they always smile.”
কিংবদন্তি চার্লি চ্যাপলিনের মৃত্যুর পর তাঁর মৃত দেহ চুরি হয়ে যায়।কয়েকদিন পর যা উদ্ধার করা হয়।
প্রতিনিয়ত হাসির ভেতর দিয়ে তিনি নাড়িয়ে গেছেন বিশ্ববিবেককে , আমাদের মনে বুনে দিয়েছেন মানবতার বীজ ,সেই মানব হৃদয় চার্লি চ্যাপলিন ও তাঁর
সৃষ্টি কর্মের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা ।
১৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যার নামটি শুনলে মনের অজান্তেই হাসি পায় সে হলো চার্লি চ্যাপলিন।তার অনেক ছবিই দেখেছি জীবনি আজ জানলাম।শুভ কামনা। -{@
রুম্পা রুমানা
পড়বার জন্য ধন্যবাদ। আরও লেখা যেতো । কিন্তু বড় হয়ে যাবে ভেবে লিখি নি। ভালো থাকুন।
অনিকেত নন্দিনী
পড়লাম এবং জানলাম। এই পোস্ট না পড়লে অনেক কিছুই অজানা থেকে যেতো। এমন সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপু। 🙂
রুম্পা রুমানা
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়েছেন বলে। ভালো থাকবেন।
মিষ্টি জিন
চারলি চ্যাপলিনের অনেক ছবি দেখেছি , আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তার সম্পর্কে আজ অনেক কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ
রুম্পা রুমানা
চ্যাপলিন সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না আসলে এতো বিস্তৃত জগত তাঁর ! আপনাকে ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
এখন যার অভিনয় দেখে হাসিতে ফেটে পড়ি তিনিই হলে চার্লি চ্যাপলিন, উনার মতো অভিনেতাই পারেন মানুষকে হাসাতে হাসাতে দুঃখ কি বোঝানো।
হ্যাটস অফ আপু, এতো সুন্দর লেখাটি উপহার দেওয়ার জন্য আর সাথে অনুরোধ রইলো সবার লেখা পড়ুন, কমেন্ট করে সবাইকে উৎসাহিত করুন, শুভকামনা। (y)
রুম্পা রুমানা
আসলে অলসতায় অনেকের লেখাতেইমমন্তব্য দেয়া হয়ে উঠে না। তবুও চেষ্টা করি যাদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে এই দুই মাসে তাদের লেখায় মন্তব্য করতে। আপনাকে ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো সক্রিয় থাকতে।
ইঞ্জা
শুভকামনা জানবেন আপু।
আবু খায়ের আনিছ
উনার সম্পর্কে বেশ কিছু জানার সুযোগ হয়েছিল এই বছরের শুরুর দিকে। একটা ভিডিও প্রেজেন্টেশন করেছিলাম ইনস্পায়ার নিয়ে, সেখানে উনার জীবনের কথাও বলেছিলাম।
মানুষ যে তার কর্মে বড় হয় তার জলন্ত প্রমান এই মানুষটা। জীবনকে নিয়ে যারা হতাশ, ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে গিয়েছে যাদের জীবন তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকতে উনার আত্মজীবনি।
সুন্দর একটা পোষ্ট, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
খুব সুন্দর বিশ্লেষন। এই মানুষটি সম্পর্কে প্রায় পুরোটাই অজানা থাকলেও তার কাজের মধ্য দিয়েই তাকে চেনা। অনেক ধন্যবাদ রুম্পা এমন পোস্টের জন্য। কতো অসাধারন একজন ব্যক্তিত্ব, তেমন তার কথাগুলো। এমন মানুষের মৃত্যু তো নেই কেন শুধু শুধু দেহ নিয়ে টানাটানি ..
নীলাঞ্জনা নীলা
এই যে তিলোত্তমা কোথায় থাকো তুমি?
শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছাসহ বকুনী, রাগ এবং হাসি। 😀 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
চার্লি চ্যাপলিনের এই কথাটি “I have many problems in my life, but my lips don’t know that, they always smile.” খুব বেশী প্রিয় আমার। এই মানুষটিকে আমার হাসির জন্য আইডল ভাবি।
খুবই যত্ন নিয়ে লিখেছেন। আপনার এই লেখাটা পড়ে আমি কয়েকটি লাইন লিখেও ফেলেছি, জানেন?
শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা।