আমি তখন ইন্টামিডিয়েট পড়ি ছাত্র খারাপ হওয়ার দরুন কমার্স নিলাম। ভর্তি আমলা সরকারী (ডিগ্রী) কলেজে। রাস্ট্র বিজ্ঞান তখন আমার ৪র্থ সাবজেক্ট। এই সাবজেক্ট আমার ভালই লাগে। ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে পড়ার খুব আগ্রহ ছিল মাঝে কিছুটা ভাটা পড়ে মানসিকভাবে, যে কি হবে এই বিষয়ে পড়ে যে মুক্তিযোদ্ধারা আজ বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত।

একদিন রাস্ট্রবিজ্ঞান ক্লাশ। যে স্যারের ক্লাশ তিনি কেসেট নামে পরিচিত, সহকারী প্রফেসর জনাব মোঃ মজিবুর রহমান। তাঁকে সবাই ক্যাসেট নামেই জানে বিশেস করে ছাত্রছাত্রীরা এগুল পূর্বভাইদের কাছেই প্রাপ্য। কারন স্যার শুরু করলে ক্যাসেটের মত বলতে থাকেন ।  স্যার যখন পড়ান ক্লাশে এসে নাম ডাকার পড়েই স্যারের লেকচার শুরু, সময় শেষ স্যারের বক্তব্যও শেষ।

একদিন পড়া ছিল আমাদের সবার জনপ্রিয় শেরে এ বাংলা একে ফজলুল হক সাহেবের উপর।  শেরে এ বাংলা একে ফজলুল হক সাহেব তাঁর ভোটের উপলক্ষে ভোট করছেন। একদিন এক গ্রামে যাওয়ার পথে তাঁর সাগরেদ বললেন স্যার এই এলাকায় আপনার ভোট নায়। তখন স্যার বললেন এখানেই আমি সবচেয়ে বেশি ভোট পাব। কিভাবে স্যার?

পরের দিন স্যার একায় বাহির হয়ে ঐ এলাকায় হাটা শুরু করলেন। পথে জমিতে কৃষক লাংগল চষছেন। হক সাহেব রাস্তা ছেড়ে মাঠে নেমে পড়লেন। সব কৃষকের সাথে দেখা করার জন্য। সামনে যে কৃষককে পেলেন সেই কৃষকের বাড়ী থেকে পান্তাভাত , লবন আর কাঁচা লংকার গামলা। উনি নামলেনন গেলেন তাঁদের কাছে। কৃষকদ্বয় দ্রত পায়ে তাঁকে সালাম দিলে তিনি বললেন তোমরা কি খাও? স্যার পান্তাভাত আর লবন কাঁচা ঝাল।

স্যার বললেন আমারও খুব প্রিয় আমাকে দেবেন খেতে। স্যার এগুল আপনার মত লোক খেতে পারবেনা। না না আমার খিধে পেয়েছে তাছাড়া আমার খুব ভাল লাগে পান্তা খেতে। স্যার তাঁদের সাথে বসে ঠেলার উপরই খেলেন। এভাবেই তিনি ঐ ইলেকশনে অখানে উনিই বেশি ভোট পান।

বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলেই তাঁর পরিচয়।

মানুষ কে দিলে মানুষও দেয় খালিহাতে ফেরায় না। তাই রাজনীতিবিদদের মানুষের মাঝে যাওয়া উচিত, মানুষের পাশে থাকা দরকার মানুষের চাওয়া -পাওয়া জানা উচিত তাঁদের চাহিদা বেশি নয় নিরাপদে রাত্রীজাপন রাস্তাঘাট ভাল চলাফেরায় নিরাপদ এই যা।

৪৬২জন ৪৬২জন

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ