শেষে এসে পৌঁছে গেলাম
তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে ছোট্ট শিমুল গাঁয়ে,
বেসামাল জনারণ্য ঠেলে ঠেলে
উৎকণ্ঠার বৃষ্টি আর ঝড়-জল এড়িয়ে;
এই মেঠো পথ মিশে আছে
কৈশোরের স্বপ্নমাখা মধুপ্রেমে, ছি-বুড়ি আর
এক্কা-দোক্কার স্মৃতিতে;
শব্দহীন ঝরে পড়া গন্ধের বুনোফুল
নাম না জানা লতাপাতা, রঙ-বেরঙের পাখি,
আলতা পায়ে ঘোমটা টানা রাঙা বৌ
লাজে হাঁটে শিথিল বসন্তে, ত্রস্ত পায়ে একাকীর বনপথে,
জ্যোৎস্নার টোল-খাওয়া চন্দনহাসি, গালিচার সূর্যোদয়,
ঝাঁক ঝাঁক স্মৃতি সবই ছিল, হয়ত বা এখনো আছে
শুধু নেই সেই সেই শিমুলের গাছটি, অজস্রের মাঝে,
১৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
শৈশব আর পাড়া গাঁয়ের যেনো একই সাথে বসবাস।
আপনার কবিতার মধ্য দিয়ে বেড়িয়ে এলাম। লেখাটি পড়ে ভাবনায় এলো এখনকার প্রজন্মের শৈশবের সাথে পাড়াগাঁয়ের কি আর পরিচয় হবে?
মন ছুঁয়ে গেলো কবিতাটি।
কুবিরাজ ভাই আজ আপনার কবিতায় আমার পাড়াগাঁয়ের স্মৃতিকে যেনো পেলাম।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আমার এমন একটি স্বপ্নগাঁও আমাকে তাড়া করে, ফিরে ফিরে যেতেও ইচ্ছে করে।
আপনিও কিছু লিখে ফেলুন, যা লেখেননি!
নীলাঞ্জনা নীলা
গাঁয়ের স্মৃতি আমার তেমন নেই। তবে যেটুকু আছে, একদিন লিখবো।
আমার “এলোমেলো কিছু কথা”তেই কখনো আসবে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন ছোঁয়া এ কবিতার জন্যে।
ছাইরাছ হেলাল
লিখুন লিখুন, জলদি করেই
ব্লগার সজীব
এত কিছু থাকার পরেও একটি শিমুল না থাকলেই বা কি ভাইয়া! অনেকের যে অনেককিছুই নেই 🙁
নীলাদির মত আমারও মন ছুয়ে গেলো কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
শিমুল আমাদের লাগেই, যার টানে আমরা একদিন সত্যি সত্যি ফিরে যাব।
আমাদের শিকড়ে।
অরুনি মায়া অনু
মাঝে মাঝে শৈশবের মধুর স্মৃতি এমনভাবে উতলা করে দেয় মন যে নিজেকে বেঁধে রাখা মুশকিল। হয়ত আমরা ছুটে যেতে পারিনা, কিন্তু মনটা ঠিকই চলে যায় স্মৃতির পাতায়। তাকে রোখা দায়।ঠিক আপনার লেখায় যেমনটি বলেছেন বৃষ্টি, ঝড়, জল এড়িয়ে।
শৈশব এমন একটি সময় যা কেউ চাইলেই ভুলে যেতে পারেনা।
আমিও ঘুরে এলাম সেইসব রাত্রি দিনের ঘটনাবহুল স্মৃতি থেকে। সুন্দর বর্ণনা।
ছাইরাছ হেলাল
ইচ্ছেপুরণ ইচ্ছেটি আমাদের ধরা দেয় না, আর দিলেও আমরা তা বুঝতে পারি না,
তাই সেই সব আবাল্য স্মৃতিতে ফিরে যেতেও পারি না,
অপূর্ণতার নিরাশা নিয়েও আমরা আসলেই ফিরে যেতে চাই, কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই।
আপনি লিখে লিখে আমাদের দেখিয়ে ফেলুন এমন স্মৃতিময় কোন কিছু।
মিষ্টি জিন
শৈশব কৈশরের স্মৃতি সে কি ভোলা যায়? খুব ইচ্ছে করে সেইসব দিনে ফিরে যেতে।
আপনার কবিতা আমার সেই ছোট জেলা শহরের হাজারটা স্মৃতি মনে করিয়ে দিল।
অসাধারন..
ছাইরাছ হেলাল
কিছু স্মৃতি আমাদের ধার দিলেই পারতেন,
লেখায় ধার দিতাম,
কিছুই দিচ্ছেন না! ধনীরা এমনই হয় নাকি কে জানে!
মিষ্টি জিন
ধার দেব না ,, যদি ফেরত না দেন :p
সেই ছোট জেলা শহরের পুরো স্মৃতি নিয়েই একদিন হাজির হব।
আমি ছয় ছোট্ট মানুষ ,তাই সবকিছুই একটু আস্তে ধীরে করি। হুটহাট করে কিছু আসে না আমার।
“ধনীরা”এই শব্দ টা আমার অপরিচিত ,, একটু বুঝিয়ে দিবেন? পিলিগ লাগে।
ছাইরাছ হেলাল
লেখাধনীদের কাছে ধার চাই, অফেরৎ যোগ্য অবশ্যই,
হুটহাট করতে হবে না, জমানো ভাণ্ডারে হাত দিন,
আসুন আসুন, এখুনি আসুন!
নাসির সারওয়ার
গতকালের কাছেই যেতে পারিনা, তা আবার সেই শৈশবে যাওয়া!
না পাবার যন্ত্রনাকে পিছু ফেলতেই আমরা ছোট্ট শিমুল গাঁয়ে যেতে চাই, যা হবার নয়।
অতএব, চলতে থাকুক যন্ত্রনার গোঁজামিলে সুখ সুখ অনুভবে যেমনটি চলছে।
ছাইরাছ হেলাল
বুকে বল আনুন, চাইলেই যেতে পারবেন, শৈশব নেন শুধু!
পরকালেও ঘুরে আসতে পারেন,
গোঁজামিলের সুখও এক প্রকার সুখ, হেলায় হারাবেন না কুবি সাব।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কবিতা ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,