দ্যুলোক না পাতাল তল! ফুড়ে এলি বুঝি?
এই, হাসিখুশি খুকি, ফুলপরী, দুঃসাহসী শিশু;
ছিলি কোথায়? কোন দুষ্টু ছুৎমার্গে, এত্ত কাল?
এভাবে হাছুমিছু মিড়মিড়িয়ে তাকিয়ে থেকে
হবে না কোন লাভ, এ বেলায়;
ওবেলায় আসিস বুড়ো হাবড়ার কাঁধে চড়ে
গা-গতরে হিসু ফেলে, চশমা ছিনিয়ে।
অনর্গল আলসে নয়না হোস না,
চঞ্চল নিক্বণ তুলে বলনা কী বলতে চাস,
তুই ডাকিনী নস, প্রখর ভয়ে কুপোকাত!
সে আমি হব না।
অপরূপ রূপান্তরের মায়া! স্বপ্নিল আহ্লাদিপনা!
তাতেও হবে না কাজ;
উহ, রুদ্ধশ্বাস বকবকানি!
প্রতিধ্বনিত নিঃশ্বাসাকুল হয়ে বলেই
ফেলনা নিগূঢ় কথাটি;
“নেবে আমাকে ঐ দারুচিনি দ্বীপে”
স্বভাবীস্বপ্ন চোখের তারায়,
অপেক্ষা কোন এক জীবিত পুনর্জনন, ভাবনায়।
২৬টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আহা কি মিষ্টি আহ্লাদ! শিশু যতই দুঃসাহসী হোক না কেন, তার দিকে এতো কঠিন কঠিন শব্দ ছুঁড়ে দেয়া কি ঠিক হচ্ছে? কতো নামেইতো ডাকলেন। শিশুর সাথে শিশু হওয়া মনে হয় বেশ জরুরী।
সপ্নীল আহ্লাদীপনার মাঝেই নিশুতি রাতে কিংবা নিস্তব্ধ ভোরে বলবেই একদিন
“নেবে আমাকে ঐ দারুচিনি দ্বীপে”
সেদিন কিন্তু আমাদের ভুলে যাবেন না যেন !!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক কথাই বলেছেন,
শিশু হয়েই লেখা জরুরী, তবে কথা হলো অভ্যাস যায় না ম’লে(মরলে)
এমন কথা মনে রাখতেই হয়,
না না, সোনালার সোনাদের ছাড়া যাওয়াই হবে না।
প্রহেলিকা
এমন আশ্বাসে বিশ্বাস না করে কি আর উপায় আছে।
মাথায় এতো শব্দ ঘুরে ক্যামনে আপনার? এদিক ওদিক ভুলে দু একটা ফেলে গেলেইতো আমাদের মতো যারা আছে তারা রক্ষা পায়।
দয়া মায়া বলে নেই কি কিছু হৃদয়ে?
ছাইরাছ হেলাল
সবই চোরা মাল, ইশশিরে ধরা পরে গেছি। তবে চোরদেরও খোঁড়া বা ন্যাংটো যুক্তি থাকে। মনে করুন আপনি ফুল বা বই পছন্দ করেন, ডাই হার্ড। ফুল বাগান/বই বাগানে গেলেন, অবশ্যই ভ্রমর বা প্রজাপতির বেশে নয়, সময় কাটালেন ফুল/বইদের সাথে মহানন্দে, ইতিউতি বা আড় চোখে তাকিয়ে টুপ করে ফুল/বই কোঁচড়ে পুড়ে নিলেন, হতে পারে এর চাষ-বাস ঠিক ভাবে হল না, তাতে মহাভারতের এমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না, অবশ্য এহেন অপকর্মে সামিল হয়ে আমার ভাগে ভাগ বসানো কোন ভাল কাজ নয়। দূরত্বের দূরে বসে মিড়মিড়িয়ে তাকিয়ে থাকাই উত্তম।
প্রহেলিকা
কতটুকু আর দূরে থাকে যায়? হেমলক ঘ্রাণে উন্মাদ চোঁখের পাঁপড়ি কেউ কি দেখেনি? নাকি দেখেও না দেখার ভান করেছে কে জানে? মহাভারতের ক্ষয়ক্ষতি তখন যেমন হয়নি আমার মনে হয় নিকটের নিকটে আসলেও ক্ষতি হবে না। এবার তাহলে দরজাটা খুলে দিন হে জিউসের অতিথি।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন আপনি জ্ঞানী মানুষ, চোরাচুরির লাইনে যাওনের বুদ্ধি কেমনে দেই।
ব্যাপার না, জিউসের আশীর্বাদ আপনি পেতে শুরু করেছেন দেখছি,
তবে মহা ভারতের দিকে তির্ষক দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতেই হবে,
নাসির সারওয়ার
এবেলা ওবেলা, থোরাই কেয়ার আমার
চড়ে বসবো কাঁধে, ভাঙ্গুক চমশা
জোর করে কথা নেবো
নিতে হবে ঐ দারুচিনি দ্বীপে।
শিশুটিকে তো আর শিশু রাখলেননা।
ছাইরাছ হেলাল
ডিজিটাল যুগে শিশু আর শিশু থাকে কই,
এ্যান্ড্রয়েডে বসবাস,
তাকে তো নিতেই হবে এ বেলার ওবেলায়।
ব্লগার সজীব
দারুচিনি দ্বীপে যদি যেতেই চায়, চাওয়া পূর্ণ হবে এমন নিশ্চয়তা পেলেই না তবে আহ্লাদী আবদার করবে।
ছাইরাছ হেলাল
তাকে না নিয়ে আর উপায় নেই দেখছি।
ইঞ্জা
আহা কি আহ্লাদ, বেশ মিষ্টি মিষ্টি লাগছে 😀
ছাইরাছ হেলাল
শিশু বলে কথা, মিষ্টি হতেই হয়।
ইঞ্জা
(y)
ছাইরাছ হেলাল
উহ, নো ইমো।
ধন্যবাদ,
নীলাঞ্জনা নীলা
আবার জন্ম! জন্মের ক্ষণ? জন্মদিন? হুম যতোদিন শিশু থাকে মায়া পায়, পূর্ণাঙ্গ হলেই মানুষ হয়ে যায়। মানুষের মনের ভেতর যে শিশুত্ত্ব থাকে আমরা বলি, আসলে সে ভুল।
আইচ্ছা তয় কবিরাজ ভাই-শিশু :p যেইদিন দারুচিনি দ্বীপ যাইবেন, যদিও আমি যামুনা। তয় ঠিকানাখান দিয়া যাইয়েন। ওরে :p লইয়া যামু। 😀
কবিতা ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
আমার সাথে যাবে না, যাবেন ওর লগে!!
আপনাকে ঠিকানা দেওন ঠিক হবে না।
আমরা সবাই বয়স্ক শিশু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
এত্তো হিংসা করেন ক্যান? কি হয় ঠিকানা দিলে? :@
ছাইরাছ হেলাল
আমারে নিয়ে গেলে ঠায়-ঠিকানা সব ই দিমু।
হিংসামুও না।
মিষ্টি জিন
টিন এইজ বয়সে এত কঠীন কবিতা পড়াচ্ছেন…. দাঁতের ডাক্তারের সব খরচাপাতি কিন্তু কবিকে বহন করতে হবে :p
দারুচিনি দ্বীপ কিন্তুক আমি চিনি..
পথপ্রদর্শক লাগলে বলতে দ্বীধা করবেন না যেন।
কবিতায় ভাললাগা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
এমন একজন পথপ্রদর্শক থাকলে আর চিন্তাই না,
কোন দ্বিধা আর করছি।
না না কিছুতেই ডাক্তারের কাছে যাব না,
পাকা দাঁত রেখে কাঁচা দাঁত তুলে নেবে।
আপনার লেখা পাচ্ছি না তো!
শুন্য শুন্যালয়
শিশুতো এখন ব্লগ লিখতে শুরু করেছে, মায়া মায়া আহ্লাদীপনা করে এইসব মামাদের নাস্তানুবাদ করা যাবেনা মোটেও, হলে ডাকিনীই হতে হবে। হুম চশমা ছিনিয়ে নেয়া, হিসু করে ভিজিয়ে দেয়া, পিঠে চড়ে ঘোড়া হয়ে পিঠ বাঁকা করে দেয়া এইসব করতে হবে। শিশুটি আমার কাছে দুইদিন থাকলেই হবে, নো চিন্তা।
আবার দারুচিনি দ্বীপ! যেই দ্বীপের কস্মিনকালেও কোন হদিস মিলতেছেনা, সেই দ্বীপে যাবে কেন শিশু? তা আপনি যতই দুঃসাহসী বলে কানপড়া দেন না কেন?
স্বভাবীস্বপ্ন!! অভ্র কীবোর্ডের জায়গায় নতুন একটা ছাইরাছ কীবোর্ড বানিয়ে আমাদের উদ্ধার করুন। লেখাতো নয় যেন শিশুবধের চকলেট!
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো আপনাদের দেখে দেখে শিখি!!
বধ করতে বা হতে আর পারলাম কৈ!! সবই কপাল,
দ্বীপ ছাড়া আমাদের চেলেই না, আমি কিছুই গুপন করি না দ্বীপের ঠায় ঠিকানা বলেই দেই।
শিশুদের বুঝি কানপড়া দেয়া যায়!! দেখবেন আপনি যেন আবার এই কাজ করে না বসেন!!
ডাকিনীদের খুব ভয় পাই, অবশ্য তাবিজের ব্যবস্থা নেয়া যাবে!!
ভুলেও আপনার কাছে দেয়া হবে না,
আমাদের জানের মায়া বড় মায়া।
মৌনতা রিতু
শিশু আসবে বুড় হাবড়ার কাঁধে চড়ে। চশমা নিলে যদি উষ্টা খায় বুড় !
দারুচিনি দ্বিপের দেশে মোর যাওয়ার খউউউউউব শখ। আমার বুড় যাইতেই চায় না। বুড় ঘুরে এসেছে, বিয়ের আগে। তয় বুড়র ঘাড়ে কে ছিল, তদন্ত চলছে,,,,,,,,, চলতেই আছে।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, তদন্ত রিপোর্ট জানতে মুঞ্চায়,
দ্রুত তদন্ত শেষ করে ফেলুন, তবে আপডেট দিয়েন।
চশমা ছিনিয়ে নিলে উষ্টা মাষ্ট।
আবু খায়ের আনিছ
নাতিকে চাই বুড়োর তাই না, বার্ধ্যকের শিশুপনা মন কত কিছুই চায়।
ছাইরাছ হেলাল
বুড়ো না হলে অনেক কিছুই জানা যায় না।
কত কী মন চায়,