আদতে আত্মহত্যার মধ্যে তেমন কিছুই নেই।
যা আছে তা হল কৃচ্ছসাধন, জীবনের উপর কৃচ্ছসাধন মাত্র!
এর চাইতে ঢের ভাল কোরবানি দেওয়া; ভালবেসে।
মূলত ভালবাসাতেও কিছু নেই।
মূল যা তা হল ভালবাসার নামে শরীরের বিকিকিনি, মন সেখানে আধার মাত্র!
এর চাইতে ঢের উপযোগী হচ্ছে লিখে যাওয়া; মানুষকে নিয়ে।
সর্বোপরি লেখকেরও কোন কৃচ্ছতা নেই।
মোটে দু’টি চোখ; দু’টি কান আর দু”টি হাত দিয়ে উপলব্দি করা!
এ হচ্ছে এক মনে বহুমনগামী স্বত্বার পরিচয়, কিছুতেই তৃপ্ত হয় না।
৫৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিকই বলেছেন,
লেখকের বিচরণ সর্বত্রগামী, সে সত্যি তার লেখার জগতে অতৃপ্ত।
অল্প কথায় অনাক সুন্দর।
নীতেশ বড়ুয়া
কিন্তু এই স্বতাকেই ভুলভাবে নেয় অনেকেই। কেউ অধিকার ফলায় আবার কেউ অনধিকারের চর্চায়। কেউ সভ্যতায় তো কেউ আবার সুবিধায়…
ধন্যবাদ হেলাল ভাইয়া। 😀 -{@
ছাইরাছ হেলাল
সব ভালোর ই মন্দ থাকে, তা থাকুক।
ভালোটুকু এগিয়েই যাবে।
নীতেশ বড়ুয়া
হ্যাঁ, এইজন্যেই তো সব ধ্বংসের পরেও সৃষ্টির আনন্দে মাতে… যা কিছু খারাপ তার মাঝেই আছে ভালর আলো। \|/
জিসান শা ইকরাম
বাপরে,এ দেখি বিশাল দার্শনিকের মত লেখা
দর্শনকে কবিতায় মাঝে আনা 🙂
ভালো লেগেছে।
নীতেশ বড়ুয়া
শুনেছি কবিরা ভবিষ্যৎ প্রবক্তা হন। নিজেদের কবিতায় আগত, অনাগত সকল কথা বলে যান ছন্দে তালে। প্রায় সব কবিদের কবিতাতেই দর্শনের দর্শন মিলে। মাঝে মাঝে তাঁদের অনুসরণ করার চেষ্টা করে দেখি আর কি :p
ধন্যবাদ জিসান ভাইয়া 😀
লীলাবতী
নেই নেই নেই,কিছুতেই কিছু নেই। তাহলে আছেটা কি দাদা ভাই?
নীতেশ বড়ুয়া
সময়… অনেক মূল্যবান না বলে বলি একমাত্র মূল্যবান।
লীলাপু -{@
লীলাবতী
আসুন সময়কে কাজে লাগাই। আড্ডা দেই 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
🙁 🙁 🙁 ;(
আর আজকেই কিনা এই দুপুরে আমাকে বের হতে হচ্ছে… ;(
শুন্য শুন্যালয়
দাদাভাই, শুধু বলে গেলাম, ওয়াও। পরে আসবোই, জানিস তুই।
নীতেশ বড়ুয়া
বসে আছি পথ চেয়ে
শুন্য আসবে শুন্যালয়ে 🙁
আবু খায়ের আনিছ
লেখকদের নিয়ে একটা পোষ্ট করেছিলাম প্রথম দিকে। দূর্ভাগ্যবশত লেখাটা ব্লগে নাই, থাকলে পুরুটাই কমেন্টস করে দিতাম।
নীতেশ বড়ুয়া
খুঁজে দেখুন, কোথাও না কোথাও নিশ্চয়ই আছে এখনো 😀
আবু খায়ের আনিছ
আছে অবশ্যই কোথাও না কোথাও। কিন্তু আলসেমি লাগছে তাই খুঁজতে ইচ্ছা করছে না।
নীতেশ বড়ুয়া
;? আলসেমি আলস্যের লক্ষণ :p
আবু খায়ের আনিছ
তাহলে কর্ম কর্মঠের লক্ষণ তাই ত?
নীতেশ বড়ুয়া
কি জানি, আমিও তো আলসে :p
আবু খায়ের আনিছ
:p :p
নীতেশ বড়ুয়া
:D) :p
অপার্থিব
ভাল লিখেছেন।
নীতেশ বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইয়া 😀 -{@
ব্লগার সজীব
আসলে কিসে যে কি আছে, আর কিসে কিছু নেই তাই তো জানিনা।অবুঝ মানুষ এসব না জেনেই একসময় মরে যায়।আর এসব ভেবে নীতেশ দার মত কিছু লেখক বলে যান।লেখা ভালো হয়েছে।
নীতেশ বড়ুয়া
মানুষের সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু কোথায় সেই সীমারেখা তা মানুষ নিজেই জানে না। এইজন্যই আমরা বোধহয় মানুষ!
লেখক তো দূর, আপনার মতো রম্য লেখকের পাঠক হতে পারাটাই সৌভাগ্য যা ইদানীং ভাগ্যাকাশে মরুভূমি হয়ে দেখা দিয়েছে… আর কত অপেক্ষা করাবেন সজু বাইয়াআআআ :@
মরুভূমির জলদস্যু
আদতে আত্মহত্যার মধ্যে তেমন কিছুই নেই।
মূলত ভালবাসাতেও কিছু নেই।
তাহলে আছে কোথায়?
নীতেশ বড়ুয়া
এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- :p শেষ প্যারাকে প্রথম প্যারা আর প্রথম প্যারাকে শেষ প্যারা ভেবে মাঝের প্যারা ঠিক রেখে পড়লেই উত্তর পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ শেষ থেকে শুরু!
খুবই আনন্দিত হচ্ছি প্রশ্নটি করেছেন দেখে। আমি মাঝে মাঝে লিখতে গিয়ে দেখি যা ভেবেছি তা শেষ থেকে পড়লে দুই রকম মানে চলে আসে। অনেকের লেখাই এভাবে পড়ী মাঝে মধ্যে আমি। আর নিজেও সব সময় উল্টপথে ভাবি বলেই হয়তো :p
কৃন্তনিকা
হুম…
“এক মনে বহুমনগামী স্বত্বার পরিচয়”… বাহ…
(y) -{@
নীতেশ বড়ুয়া
এই ‘বহুমনগামী’ শব্দটি বের করতে আমার মাথার ভেতরে সাইক্লোন বয়ে গিয়েছে যাতে সেই চিরায়ত নেতিবাচক ‘বহুগামী’ শব্দের সাথে মিলে না যায় :p
কৃন্তনিকাপু ‘বাহ্’ বলা মানেই অনেক কিছু… আপনার গল্প মিস করছি ভীষণ… 🙁
অরণ্য
নীতেশ দা, সামনে এখন আপনি থাকলে, চায়ের কাপ এবং সিগারেটে জমতো বেশ। বেশি মজা পেত কেউ পাশে থাকলে। কিন্তু ঐ যে এক যাওগায় গিয়ে থেমে যাই আমি যখন বুঝি অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা এবং সময়ে আমরা সবাই আলাদা; এবং আমরা আলাদাকরে দেখতেই পারি। এটাই স্বাভাবিক।
ভাল থাকবেন নীতেশ দা। এতো ন্যাংটো করে না ভাবাই বোধহয় ভাল।
নীতেশ বড়ুয়া
আহা জমতো বেশ 😀
সব কিছুতেই আমরা আলাদা কিন্তু মনের খোঁজে সবাই এক, শুধুমাত্র নিজের মতো করে দেখার চেষ্টা করি।
ন্যাংটো করতে পারলাম আর কই! মানুষের মনের গতি আর মতি বুঝা বড় দায় গো অরন্য ভায়া -{@
বনলতা সেন
শব্দ ব্যবহারে আপনার পারঙ্গমতার আভাস পেলাম। কিছু দারুণ সুবিধা লেখকরা পান সেটাই আনন্দের।
আপনি কবি। দেখবেন আমাকে বিপদে ফেলবেন না। একটু কম কম বুঝি।
নীতেশ বড়ুয়া
শব্দের ব্যবহার নিয়ে জীর্নদশায় আছি বুনোপু! সীমিত শব্দ জানি বলেই অনেক কথাই বলা হয় না, পারি না। টুকটাক কিছু শব্দ খুঁজতে আমাকে ডীকশনারি, গুগল এইসবের দ্বারস্থ হতে হয় নিয়মিত 🙁
লেখকের যা সুবিধে তাই সবচাইতে বড়ো দূর্নাম গো আপু, বড্ড দুর্নাম 🙁
আমি কবি না, কিছুতেই না।
তবে হ্যাঁ, শব্দে আমি যে কাউকেই বিপদে ফেলতে পারি যদি সে আমার সীমানায় চলে আসে, আর তা কোন সম্বোধনেই হোক না কেন :p 😀
অরুনি মায়া
আসলে কি নীতেশ দা যে লেখাকে যে ভালাবাসে সে না লিখে থাকতেই পারেনা | লেখা থেমে গেলে প্রাণ থেমে যায় | ভাল নাইবা বাসতে পারলাম তারচে ভাল লিখে লিখেই মরি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আসলে যে লিখে সে ভালবেসে লিখে, যে ভালবেসে লিখে সে সাদা মনের ভালবাসাতেই লিখে, তা নাহলে অন্য মনে ভালবেসে লিখলে তাকেই থেমে যেতে হয় অচিরেই।
অতএব, আসুন সাদা মনে আপনার মতো লিখেই মরি \|/
প্রত্যাবর্তন চিরস্থায়ী হোক। -{@ (অন্তর্জাল ফুল) :p
অরুনি মায়া
আরে আমি কি চলে গিয়েছিলাম নাকি! চলুন আমরা সবাই মিলে একসাথে মরি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
কথায় আছে প্রেমে মরা জলে ডুবে না। তাই ভালবেসে লেখায় ডুবে কেউ বেঁচে থাকে না। আসুন তবে একসাথে \|/
অরুনি মায়া
\|/ \|/
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ :D) \|/ 😀 -{@ পোস্ট দিন :@
অরুনি মায়া
কখন দিলাম!!!
চোখে দেখেনা হুহ ,,, :@
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও সেই কবে বোকা বলে দিলাম বুঝলেনই না :D)
অরুনি মায়া
আমায় বোকা বলে বকা দিলেন কেন 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
:D)
বোকা বলেই তো বকা নাকি বকা না তা বুঝলেন না :p
নাসির সারওয়ার
তৃপ্তটার দেখা মিললে আমাকে যানাবেন। দেখি পটানো যায় কিনা। অকুল দরিয়ায় মিলতেও পারে অতৃপ্তির তৃপ্তটা।
নীতেশ বড়ুয়া
তৃপ্ত আপাতত তৃপ্তির মনের গহীনে আছে… সেখানে থেকে উঠে এলেই জানাচ্ছি :p
ড্রথি চৌধুরী
হুম অতৃপ্ত আত্মার অতৃপ্ত বাণী :p
নীতেশ বড়ুয়া
:@ রতনে তরন চিনে ^:^
নীতেশ বড়ুয়া
রতনে রতন* :p
ড্রথি চৌধুরী
😀
নীতেশ বড়ুয়া
:p
নীলাঞ্জনা নীলা
মন কি? অনুভব করে কি পাওয়া যায়? কোথায় থাকে মন? সত্ত্বা মানেই কি মন?
একেবারে থমকে গেলাম
“এর চাইতে ঢের উপযোগী লিখে যাওয়া।” ঠিক খুব সত্যি। তবে লেখার আধার যা-ই হোক না কেন সত্ত্বায় থেকেই যায় ভালোবাসা। ভালোবাসা ছাড়া লেখা যায়না।
শেষ লাইনটা “বহুমনগামী স্বত্বার পরিচয়, কিছুতেই তৃপ্ত হয় না।” এর মধ্যে এই গানটাই বারবার আসছে। “যেভাবেই তুমি সকাল দেখো, সূর্য কিন্তু একটাই। যতো ভাগে ভাগ করোনা প্রেম, হৃদয় কিন্তু একটাই…” -{@
https://www.youtube.com/watch?v=RYAFQH99C4I
নীতেশ বড়ুয়া
মানুষের মন এতোই বিশাল যে মনের জন্মলগ্ন থেকেই সে সবাইকে ঠাইঁ দেয়, ভালবাসে। একেকজনের জন্য একেক রকম করে। একজন মানুষ অনেকবার প্রেমে পড়ে, অনেককেই ভালবাসে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
খুঁজতেই আছি।
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও \|/
রাত্রি রায়
কিছুতেই কিছু থাকেনা, তার মানে কি শূণ্য সব? আমরা যা পাই মনে করি পেয়েছি, আসলে সেসব তাহলে পাওয়া নয়? কবি/লেখকই জানেন তার উত্তর। এখন বুঝতে পারছি কিছুটা কবি-সত্ত্বার আবেগ। ভাগ্যিস পাঠক হয়ে আছি! 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ব্যাপারটি আসলেই গোলেমেলে। এক মানুষের এক মনে বহু প্রাণের অস্তিত্ব থাকে। কিন্তু সবাই বলে এক মন, এক প্রেম, এক ভালবাসা। অথচ নানান নামে, পরিচয়ে, কায়াতে, ছায়াতে মানুষ ভালবাসে। আর লেখক মাত্রই মানুষের মন থেকে মনে ঘুরেন তাঁর লেখায়… সেও এক রকমের ভালবাসা… উপরে লেখাটিকে শেষ থেকে শুরু করলে নিচের মতোই দেখায়ঃ
সর্বোপরি লেখকেরও কোন কৃচ্ছতা নেই।
মোটে দু’টি চোখ; দু’টি কান আর দু”টি হাত দিয়ে উপলব্দি করা!
এ হচ্ছে এক মনে বহুমনগামী স্বত্বার পরিচয়, কিছুতেই তৃপ্ত হয় না।
আদতে আত্মহত্যার মধ্যে তেমন কিছুই নেই।
যা আছে তা হল কৃচ্ছসাধন, জীবনের উপর কৃচ্ছসাধন মাত্র!
এর চাইতে ঢের ভাল কোরবানি দেওয়া; ভালবেসে।
মূলত ভালবাসাতেও কিছু নেই।
মূল যা তা হল ভালবাসার নামে শরীরের বিকিকিনি, মন সেখানে আধার মাত্র!
এর চাইতে ঢের উপযোগী হচ্ছে লিখে যাওয়া; মানুষকে নিয়ে।
পাঠক হয়ে আছি বলেই এখনো ভাবতে পারি… 😀
বনলতা সেন
সজীব তো আমাকে সাবধানে থাকতে বলল। আপনার কাছ থেকে।
আপনাকেতো তেমন সন্ত্রাসী মনে হচ্ছে না। ভালই তো মনে হচ্ছে।
শুন্য শুন্যালয়
এক মনে বহুমনগামী স্বত্বা— আদোতে তৃপ্তি বলেই কিছু নেই, ঐ মাটির কলসের জলটুকু ছাড়া।
এতো ভাবিস নাকি রে? লেখা পাল্লাতে তুলেছি, বাটখাড়া কম পড়ছে দাদাভাই। অসাধারন লিখেছিস।
লেখক তার ভালোবাসাতেই আত্ম্রহত্যা করে তৃপ্তি পায়, মে বি। জানিনা, লেখক রা জানে।
নীতেশ বড়ুয়া
লেখকের আসঃলে শরীর বলে কিছু নেই…
এতোদিন পরে এলে 🙁
তবুও এলে 😀